ক) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন(Type-1) প্রশমান-২
খ) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (Type-2) প্রশ্নমান-৩
গ) রচনাধর্মী বা বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর। প্রশ্নমান-৫
বাংলা কাব্যসাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো:একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার।
ক) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন(Type-1) প্রশমান-২
১) মধুসূদনের প্রথম কোন কাব্য অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত? কাব্যটির প্রকাশকাল উল্লেখ করো।
উত্তর: মধুসূদনের প্রথম কাব্য অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত 'তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য'।কাব্যটির প্রকাশকাল হল -১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে।
২) ছদ্মনামে মধুসূদন কী কাব্য রচনা করে ছিলেন?
উত্তর:মধুসূদন ছদ্মনামে -A vision of the past- Captive Ladie, নামে একটি ইংরেজি কাব্য পৃথ্বীরাজের কাহিনী বর্ণনা করেন।
৩) মধুসূদনের লেখা দুটি কাব্যের নাম লেখো।
উত্তর: মধুসূদনের লেখা দুটি কাব্যের নাম হল-'মেঘনাদবধ কাব্য' ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে এবং 'বীরাঙ্গনা কাব্য' ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে রচিত হয়।
৪) মধুসূদনের রচিত মহাকাব্যটির নাম কী? মহাকাব্যটির প্রকাশকাল উল্লেখ করো।
উত্তর:মধুসূদন রচিত মহাকাব্য টির নাম-'মেঘনাদবধ কাব্য'। মহাকাব্যটির প্রকাশকাল হল-১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে।
৫) মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত দুটি কবিতার নাম করো।
উত্তর:মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত দুটি কবিতা হল- 'আত্মবিলাপ'ও 'বঙ্গভূমিরপ্রতি'।
৬) সম্পূর্ণ 'মেঘনাদবধ কাব্য'টি কে, কত সালে প্রকাশ করেন?
উত্তর: ১৮৬২ সালে কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা সম্পাদিত হয়ে দুটি খন্ড একত্রে প্রকাশিত হয়।
৭) মেঘনাদবধ কাব্যের বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: মেঘনাদবধ কাব্যে বীরবাহুর নিধন সংবাদ থেকে মেঘনাথদের হত্যা এবং প্রর্মিলার স্বামীর চিতারহন পর্যন্ত মোট তিন দিন ও দু-রাত্রি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
৮) বীরাঙ্গনা কাব্যের বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: বীরাঙ্গনা কাব্যের বিষয়বস্তু ছিল-১১জন নারীর- ১১টি চিঠি।
খ) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (Type-2) প্রশ্নমান-৩
১)'তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য' সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: মধুসূদন বাংলা পয়ারের কাঠামোর মধ্যে অন্ত্যমিল তুলে দিয়ে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বা অমিল প্রবহমান পয়ারে রচনা করেন চারটি সর্গে বিভক্ত একটি সম্পূর্ণ আখ্যানকাব্য তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ)। সুন্দ-উপসুন্দ বধের জন্য তিলোত্তমা নামের অপ্সরা সৃষ্টির পৌরাণিক কাহিনিকে মধুসূদন দত্ত নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে পরিবেশন করেন এই কাব্যে।
২) মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্য 'মেঘনাদবধ কাব্য'টির সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
উত্তর:মধুসুদন দত্তের শ্রেষ্ঠ কীর্তি নয়টি সর্গে বিন্যস্ত মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ)। অমিত্রাক্ষর ছন্দ মেঘনাদবধ কাব্য-এ আরও পরিণত হয়ে উঠেছে। মেঘনাদবধ কাব্য বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম শিল্পসার্থক সাহিত্যিক মহাকাব্য (Literary Epic)। এই কাব্যে মধুসূদন রামায়ণ-এর কাহিনি ও চরিত্রগুলিকে নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবর্তন করতে দ্বিধা করেননি। তাঁর এই কাব্যে রাম বা লক্ষ্মণ নন, রাবণ এবং মেঘনাদই নায়ক-সহনায়কে পরিণত হয়েছেন।
৩)মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা কাব্যগুলির নাম লেখো।
উত্তর:মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা বাংলা কাব্যগুলি হল তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০ খ্রি.), ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১ খ্রি.), মেঘনাদবধ কাব্য(১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ),বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২খ্রিষ্টাব্দ),চতুর্দশপদী কবিতা বলি (১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দ)।এগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠতম কাব্যগ্রন্থটির নাম- 'মেঘনাথবধ কাব্য'।
৪) মধুসূদনের বীরাঙ্গনা কাব্য'এর পরিচয় দাও।
উত্তর:এই কাব্যের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে সার্থক পত্রকাব্য রচনার দৃষ্টান্ত মধুসূদনই প্রথম স্থাপন করেন। রোমান কবি ওভিদের Heroides এর অনুসরণে লেখা তাঁর বীরাঙ্গনা কাব্য-এ আছে এগারোটি পত্র, যোগানাদুশান্তের প্রতি শকুন্তলা, সোমের প্রতি তারা, দশরথের প্রতি কৈকেয়ী, নীলাধবজের প্রতি জনা, দুর্যোধনের প্রতি ভানুমতী, পুরুরবার থেকে সংগৃহীত প্রতি উবশী ইত্যাদি। পুরাণ-মহাকাব্য ইত্যাদি থেকে নারীচরিত্রগুলির মধ্য দিয়ে নারীত্বের বিচিত্ররূপকে ধরতে চেয়েছেন কবি। আলোচ্য পত্রকাব্যগুলিতে কাব্যরসের সঙ্গে নাট্যরসেরও সার্থক সমন্বয় লক্ষ করা যায়।
৫) মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত 'ব্রজাঙ্গনা' কাব্যের পরিচয় দাও।
উত্তর:মধুসূদনের অপর একটি উল্লেখযোগ্য কাব্য হল ব্রজাঙ্গনা কাব্য।কাব্যটির নায়িকা হলেন রাধা। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দে লোখা এই কাব্যে রাধা একজন সাধারণ মর্ত্যমানবীরূপেই অঙ্কিত হয়েছে।কবির নিজস্ব স্বীকৃতি বা দাবি অনুযায়ী এটি ওড জাতীয় রচনা হলেও গীতি কবিতার মেজাজ কবিতাটিতে লক্ষ্য করা যায়।
গ) রচনাধর্মী বা বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর। প্রশ্নমান-৫
১)বাংলা আখ্যানকাব্য ও মহাকাব্যসাহিত্যে মধুসূদন দত্তের অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর:বাংলা কাব্যসাহিত্যে, বিশেষত আখ্যানকাব্য ও মহাকাব্যে, মধুসূদন দত্তের তাবির্ভাব এক বিস্ময়কর ঘটনা।মধুসদন বাংলা পয়ারের কাঠামোর মধ্যে অন্ত্যমিল দিয়ে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বা অমিল প্রবহমান পয়ারের প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন পদ্মাবতী নাটকের একটি জায়গায়। তারপর এই ছন্দে তিনি রচনা করেন চারটি সর্গে বিভক্ত-তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য-১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ। তিলোত্তমা নামের অপ্সরা সৃষ্টির পৌরাণিক কাহিনিকে মধুসূদন দত্ত নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে পরিবেশন করেন এই কাব্যে।
মধুসূদন দত্তের সর্বাধিক পরিচিত কাব্য এবং শ্রেষ্ঠ কীর্তি নয়টি সর্গে বিন্যস্ত মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ)। তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য-এর অমিত্রাক্ষর ছন্দ মেঘনাদবধ কাব্য-এ আরও পরিণত হয়ে উঠেছে। মেঘনাদবধ কাব্য বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম শিল্পসার্থক সাহিত্যিক মহাকাব্য (Literary Epic) | এই কাব্যে মধুসূদন ভারতীয় মহাকাব্যের আদর্শকে বর্জন করে পাশ্চাত্য আদর্শকে গ্রহণ করতে চাইলেও ভারতীয় আদর্শকে পুরোপুরি অস্বীকার করতে পারেননি। রামায়ণ-এর কাহিনি ও চরিত্রগুলিকে তিনি নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিবর্তন করতে দ্বিধা করেননি। তাঁর এই কাব্যে রাম বা লক্ষ্মণ নন, রাবণ এবং মেঘনাদই নায়ক-সহনায়কে পরিণত হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর click here
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর click here
লালন শাহ ফকিরের গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click here
ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click here
ছুটি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click here
আগুন নাটকের প্রশ্ন উত্তর click here
আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর Click here
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান আলোচনা করো। Click here
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো। Click here
বাংলা কাব্য সাহিত্য মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান
বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তী অবদান click here
আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here
0 Comments