সূচিপত্র:
ক) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন(Type-1) প্রশমান-২
খ) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (Type-2) প্রশ্নমান-৩
গ) রচনাধর্মী বা বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর। প্রশ্নমান-৫
বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো:একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার।
ক) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন(Type-1) প্রশমান-২
১) বাংলা গদ্যের প্রথম যথার্থ শিল্পী কাকে বলা হয়? এবং তাঁর রচিত দুটি অনুবাদমূলক রচনার নাম লেখো।
উত্তর :রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা গদ্যের প্রথম যথার্থ শিল্পী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আখ্যা দিয়েছিলেন।
* তাঁর রচিত দুটি অনুবাদকমূলক রচনা হল- শকুন্তলা গ্রন্থের অনুবাদ,[কালিদাসের-অভিজ্ঞানশকুন্তলম্,থেকে] ভ্রান্তিবিলাস গ্রন্থের অনুবাদ-[শেকসপিয়রের Comedy of Errors থেকে]।
২) ঈশ্বরচন্দ্রবিদ্যাসাগর রচিত তাঁরঅসমাপ্ত আত্মজীবনীটির নাম কী?বিদ্যাসাগর রচিত দুটি বিতর্কমূলক রচনার নাম লেখো।
উত্তর:ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনীটির নাম-বিদ্যাসাগর চরিত।
* বিদ্যাসাগর রচিত দুটি বিতর্কমূলক রচনা -বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব এবং বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার,।
৩) বিদ্যাসাগরের প্রথম সার্থক গদ্যগ্রন্থ কোনটি?এই গ্রন্থের সময়কাল কী?
উত্তর: ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগরের রচিত 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'- গ্রন্থটি তাঁর প্রথম গ্রন্থ।
৪) বিদ্যাসাগরের রচিত দুটি মৌলিক গ্রন্থের নাম করো এবং প্রকাশ কাল উল্লেখ করো।
উত্তর:বিদ্যাসাগরের রচিত দুটি মৌলিক গ্রন্থের নাম হল-প্রভাবিত সম্ভাষণ এবং বিদ্যাসাগর চরিত। গ্রন্থ দুটি যথাক্রমে প্রকাশিত হয় ১৮ ৬৩ খ্রিস্টাব্দে এবং ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে।
৫) বিদ্যাসাগরের ছদ্মনাম কী ছিল? ছদ্মনামে কী কী গ্রন্থ রচিত করেছেন?
উত্তর:বিদ্যাসাগর'কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য এবং কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো সহচরস্য ছদ্মনামে 'অতি অল্প হইল'- ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে, এবং আবার অতি অল্প হইল ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে, গ্রন্থ গুলি রচিত হয়।
৬) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রচিত কয়েকটি পাঠ্যগ্রন্থের নাম বলো।
উত্তর:ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রচিত কয়েকটি পাঠ্য গ্রন্থ হল- বর্ণপরিচয়, বাংলার ইতিহাস, বোধোদয়, চরিতাবলী ও জীবনচরিত, উপক্রমিকা প্রভৃতি।
৭) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম ও মৃত্যু কত খ্রিস্টাব্দে?
উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু হাজার ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে।
৮) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রচিত গ্রন্থগুলি প্রধানত কয়টি শ্রেণীতে বিভক্ত ও কী কী?
উত্তর:ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রচিত গ্রন্থগুলি প্রধানত তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত-
ক) শিশুপাঠ্য
খ) অনুবাদ গ্রন্থ
গ) মৌলিক রচনা
৯) কাকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়? বর্ণপরিচয় গ্রন্থের রচিয়তা কে?
উত্তর:বাংলা গদ্যের জনক হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।বর্ণপরিচয় গ্রন্থের রচিয়তা হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
খ) সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (Type-2) প্রশ্নমান-৩
১)বিদ্যাসাগরের সামাজিক সংস্কার বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম করো।এগুলিকে তাঁর কোন জাতীয় রচনার অন্তর্ভুক্ত করা যায়?
উত্তর:১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর বিধাব বিবাহ প্রচলন করবার প্রসঙ্গে 'বিধবা বিবাহ চলিত হওয়া উচিত ছিল কিনা এতদবিষয়ক প্রস্তাব' (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড ১৮৫৫ খ্রিঃ) প্রকাশিত হয়। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে দুইভাগে 'বহু বিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদবিষয়ক প্রস্তাব রচিত ও প্রকাশিত হয়। মদ্যপান রহিত করা বিষয়েও তাঁর গ্রন্থ আছে।
২)‘ঈশ্বরচন্দ্র বাংলা গদ্যের জনক'-মন্তব্যটি প্রতিষ্ঠা করো।
উত্তর:ইউরোপীয়েরাই প্রথম বাংলা গদ্যকে গ্রন্থ রচনায় মর্যাদা দিতে থাকেন। শ্রীরামপুরের মিশন বা ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। কিন্তু তারা বাংলা পদবিন্যাস লালিত্য তাদের অজ্ঞাত ছিল। যতিও ছেদের ব্যবহার সম্পর্কে ও তাঁদের সঠিক ধারণা ছিল না ।মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার তাঁদের মধ্যে একমাত্র শিল্পপ্রবণতা সম্পন্ন হলেও প্রত্যাশিত সাফল্যে তিনি উপনীত হতে পারেন নি। বাংলার অন্বয় ,ছেদ ইত্যাদি প্রাথমিক শর্তগুলি বোঝায় রামমোহনের গদ্য কর্মক্ষম , উদ্দেশ্যসাধক এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সরীসৃপ গদ্য প্রথম ঋজু মেরুদন্ড পায় রামমোহনের হাতে। এর বেশি লক্ষ্য রামমোহনের ছিল না। বিদ্যাসাগরই প্রথম বাংলা গদ্যকে যতিশীল, গতিশীল, ছন্দবোধ-সংকুল, পদলালিত্যময় এক শিল্পরূপ দিলেন। এই ভাষাই যোগ্য হাতে হাতিয়ার হয়ে পরবর্তী সাহিত্যিকদের হাতে সাহিত্যের স্বর্ণ সিংহদার খুলে দিতে পেরেছিল। এই ভাষার জনক বিদ্যাসাগর।
গ) রচনাধর্মী বা বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর। প্রশ্নমান-৫
১) বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান সম্বন্ধে আলোচনা করো ।
উত্তর:বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান অনস্বীকার্য।বিদ্যাসাগর রচিত গ্রন্থগুলিকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়-
১)অনুবাদমূলক রচনা:
বিদ্যাসাগরের অনুবাদমূলক রচনাগুলি নিছক।এগুলির মধ্যে তাঁর নিজস্ব সৃজনধর্মী শিল্পীসত্তার পরিচয় ও পাওয়া যায়। শকুন্তলা এবং সীতার বনবাস গ্রন্থ দুটি যথাক্রমে কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ এবং ভবভূতির উত্তর রামচরিত নাটক ও বাল্মীকি রামায়ণের উত্তরকাণ্ড-অবলম্বনে রচিত। ইংরেজি গ্রন্থ অবলম্বনে তিনি রচনা করেন বাঙ্গালার ইতিহাস, বোধোদয়, কথামালা, ভ্রান্তিবিলাস প্রভৃতি; আর হিন্দি বেতালপচ্চীসী অবলম্বনে রচনা করেন বেতাল পঞ্চবিংশতি।
২)মৌলিক রচনা:
বিদ্যাসাগরের মৌলিক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল- সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্যশাস্ত্র বিষয়ক প্রস্তাব , বিদ্যাসাগর চরিত ,শোককাব্য, প্রভাবতী সম্ভাষণ, প্রভৃতি।
৩)পাঠ্যপুস্তক শ্রেণির রচনা:
বর্ণপরিচয়,ব্যাকরণ কৌমুদী,শব্দমঞ্জরী প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য পাঠ্যপুস্তক শ্রেণির রচনা।
৪) সংস্কারমূলক রচনা:
বিদ্যাসাগরের সমাজ সংস্কার মূলক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হল-বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব ,বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার,প্রভৃতি।
৫) ব্যঙ্গমূলক রচনা:
বিদ্যাসাগরের ব্যঙ্গমূলক গ্রন্থগুলি হল- অতি অল্প হইল,আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস ও রত্নপরীক্ষা, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ।
আরো পড়ুন:
একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর click here
তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর click here
লালন শাহ ফকিরের গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click here
ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click here
ছুটি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click here
আগুন নাটকের প্রশ্ন উত্তর click here
আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধ প্রশ্ন উত্তর Click here
পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান আলোচনা করো। Click here
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো। Click here
বাংলা কাব্য সাহিত্য মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান
চরিত্র গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা Click here
বাংলা কাব্য সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তী অবদান click here
বাংলা নাট্য সাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান Click here
বাংলা নাট্য সাহিত্যে বিজন ভট্টাচার্যের অবদান Click here
বাংলা গদ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান Click here
আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here
মানস- মানচিত্র অবলম্বনে ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবন সম্পর্কে প্রবন্ধ রচনা Click here
বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রবন্ধ রচনা Click here
0 Comments