ক।কবি পরিচিত
খ। উৎস
গ। বিষয়সংক্ষেপ
ঘ। নামকরণ
ঙ। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।MCQ-১
চ) অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর।SAQ-১
ছ)বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্নমান-৫
ক)কবি পরিচিতি:
জন্ম ও শৈশব:
১৮৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চ বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ের মামার বাড়িতে রাজশেখর বসুর জন্ম হয়।পিতা পণ্ডিত চন্দ্রশেখর বসু এবং মাতা লক্ষ্মীমণি দেবী। মুঙ্গের,খড়গপুর এবং বাংলা দেশের বাইরে ঘুরে তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে।
শিক্ষাজীবন:
১৮৮৫ থেকে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দ্বারভাঙ্গার রাজ স্কুলে পড়াশোনা করে এনট্রান্স পাস করেন। ১৮৯৫-১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাটনা কলেজে পড়েন। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স-সহ বিএ পাস করেন। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এমএ পরীক্ষা দেন এবং প্রথম স্থান অধিকার করেন।
কর্মজীবন:
রাজশেখর বসু ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে প্রফুল্লচন্দ্র সেন প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন । খুব অল্প মাইনেতে কাজ শুরু করলেও ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে নিজের দক্ষতায় তিনি কোম্পানির পরিচালক হয়ে ওঠেন। একদিকে গবেষণার কাজ, অন্যদিকে ব্যাবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকেই তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
সাহিত্যজীবন:
১৯২০ খ্রিস্টাব্দে রাজশেখর বসুর লেখালেখির শুরু করেন। ১৯২২-এ পরশুরাম ছদ্মনামে ‘শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড' নামে এক ব্যঙ্গ রচনা প্রকাশ হওয়ার পরই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির হলো- লঘুগুরু,বিচিন্তা, ভারতের খনিজ, কুটির শিল্প প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থ, কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ, ব্যাসের মহাভারত, গীতা প্রভৃতির অনুবাদ এবং চলন্তিকা নামক অভিধান। এ ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ হল- গড্ডলিকা, কজ্জলী, হনুমানের স্বপ্ন, ধুস্তরী মায়া প্রভৃতি।
সম্মাননা:
রাজশেখর বসু ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানান সংস্কার সমিতি ও ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংস্কারের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার রাজশেখর বসুকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করেন।
জীবনাবসান:
১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রাবন্ধিক হৃদরোগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
খ)উৎস:
‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' প্রবন্ধটি ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত বিচিন্তা গ্রন্থের অন্তর্গত।
গ)বিষয়সংক্ষেপ:
বিজ্ঞান নিয়ে যারা বাংলা ভাষায় চর্চা করেন। তাদের উদ্দেশ্যে আলোচ্য প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক তাদের দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। যারা ইংরেজি জানেন না বা খুব অল্প জানেন, তারা রয়েছেন প্রথম শ্রেণিতে। অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েরা এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক মানুষেরা এই শ্রেণিতে পড়েন। দ্বিতীয় শ্রেণিতে আছেন সেইসব মানুষেরা যাঁরা ইংরেজি জানেন এবং ইংরেজি ভাষায় সামান্য হলেও বিজ্ঞান পড়েছেন।
প্রথম শ্রেণির পাঠকদের সঙ্গে বিজ্ঞানের বিশেষ পরিচয় নেই, যদিও কয়েকটি সাধারণ পারিভাষিক শব্দ ও মোটাদাগের বৈজ্ঞানিক তথ্য তাঁদের জানা থাকতে পারে। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি তথ্য সম্পর্কে তাঁরা অজানা। তাঁরা যখন বাংলা ভাষায় লেখা কোনো বৈজ্ঞানিক রচনা পড়েন, তখন বৈজ্ঞানিক বিষয়টি শিখে নিলেই তাদের চলে, ভাষা সেখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণিতে যাঁরা আছেন, অর্থাৎ যাঁরা ইংরেজি জানেন এবং ইংরেজিতেই বিজ্ঞান পড়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে বাংলায় লেখা কোনো বাক্য সহজ মনে হয় না, অর্থও পরিষ্কার হয় না।এই শ্রেণির পাঠকদের যেহেতু ভাষাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এবং সেই সমস্যা এড়িয়ে বিষয়টি জানতে হয়, তাই এই পাঠকদের বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান পড়তে হলে অন্য পাঠকদের তুলনায় বেশি প্রচেষ্টা করতে হয়। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় কয়েকটি বাধার কথা প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন। প্রথম বাধা হল পরিভাষার সমস্যা। বাংলায় পারিভাষিক শব্দের অভাব দূর করতে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ উদ্যোগ নিয়েছিল।সেখানে লেখকরা নানা বিষয়ের পরিভাষা রচনা করেছেন।এরপরে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানের অধ্যাপক, ভাষাতত্ত্ববিদ, সংস্কৃতজ্ঞ ও কয়েকজন লেখককে নিয়ে পরিভাষা রচনার একটি প্রচেষ্টা চালায় এবং সেটি অনেক বেশি সফল হয়। লেখকের মতে বিজ্ঞান রচনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনমতো বাংলা শব্দ না পাওয়া গেলে ইংরেজি শব্দই বাংলা বানানে ব্যবহার করা যায়।যেমন,অক্সিজেন,প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন, ইত্যাদি।
পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচয় অত্যন্ত কম। ফলে বাংলায় পপুলার সায়েন্স লেখা সহজ কাজ নয়। তবে প্রাবন্ধিক মনে করেন, এদেশে বিজ্ঞানশিক্ষার প্রসার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।বিজ্ঞান আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় রচনাপদ্ধতি অনেক লেখকই আয়ত্ত করতে পারেননি। অনেকক্ষেত্রে তাঁদের ভাষা আড়ষ্ট ও ইংরেজি শব্দের আক্ষরিক অনুবাদ হয়ে দাঁড়ায়। ইংরেজি শব্দের অর্থের ব্যাপ্তির সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা প্রতিশব্দ ব্যবহার করতে গিয়ে তাঁরা অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ প্রয়োগ করেন। ইংরেজিতে কোনো বাক্য ভেবে নিয়ে তা বাংলায় প্রকাশ করতে গিয়ে রচনার ভাষা উৎকট হয়ে পড়ে। অনেকে মনে করেন পারিভাষিক শব্দ একেবারে বাদ দিয়ে দিলে বিষয়টি বেশি সহজ হয়। কিন্তু সবসময় তা ঘটে না। যেমন, 'আলোকতরঙ্গ'-এর বদলে 'আলোর নাচন' লিখলে তা বৈজ্ঞানিকভাবে যথাযথ হয় না। বাক্যের অর্থও স্পষ্ট হয় না।এ প্রসঙ্গেই প্রাবন্ধিক শব্দের তিন প্রকার শক্তির কথা বলেছেন। তিনি অভিধা,লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা-এই তিনপ্রকার শক্তির মধ্যে বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে ‘অভিধার ব্যবহারই যথাযথ বলে মনে করেছেন। প্রবন্ধের শেষে রাজশেখর বসু বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রচয়িতাদের আর একটি দোষের কথা বলেছেন। অল্পবিদ্যার ওপর নির্ভর করে বিজ্ঞান রচনার ফলে অনেক ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভুল থেকে যায়। তাই সম্পাদকের উচিত কোনো বৈজ্ঞানিক রচনা প্রকাশের আগে অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে তা যাচাই করিয়ে নেওয়া।
ঘ)নামকরণ:
যে-কোনো সাহিত্যের ক্ষেত্রেই নামকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নামকরণের মাধ্যমেই পাঠক বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। কখনও চরিত্রধর্মী, আবার কখনও বিষয়মুখী। ব্যঞ্জনাধর্মী নামকরণও অনেক সাহিত্যিকের প্রথম পছন্দ। প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তাঁর 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' রচনায় বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনার ক্ষেত্রে অনেকগুলি সমস্যার কথা বলেছেন। প্রথমেই তিনি পাঠকদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চেয়েছেন। পাঠকদের মধ্যে ইংরেজি না জানা অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক যেমন একদিকে আছেন, তেমনই অন্যদিকে আছেন ইংরেজি জানা ও ইংরেজিতে বিজ্ঞান পড়া অল্প কিছু পাঠক। প্রথম শ্রেণিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা বিজ্ঞান সেভাবে পড়েননি, কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠকদের ক্ষেত্রে ভাষার সমস্যা রয়েছে। তাই ইংরেজি প্রবন্ধ পড়ায় অভ্যস্ত সেইসব মানুষের কাছে বাংলায় রচিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের অর্থ স্পষ্ট হয় না।
তিনি প্রথমেই আসে পারিভাষিক শব্দের অভাবের কথা। এই সমস্যার সমাধানে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগী হয়। তবুও বহু ইংরেজি শব্দকে এখনও আমাদের বাংলা বানানে লিখতে হয়।এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান খুব কম, সেই কারণে এখানে ইউরোপ বা আমেরিকার মতো পপুলার সায়েন্স রচনা করা কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সবার প্রথমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারের প্রয়োজন।সহজ ও স্পষ্ট বাংলায় লেখা, অলংকার, উৎপ্রেক্ষা বাদ দিয়ে শব্দের মূল অর্থকে সামনে রাখা-এগুলি বিজ্ঞানের প্রসারে প্রয়োজন। এ ছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে বৈজ্ঞানিক তথ্য যথাযথভাবে না জেনে যেন প্রবন্ধ রচনা করা না হয়। তাতে রচনার মধ্যে তথ্যের ভুল থাকার সম্ভাবনা বেশি। রাজশেখর বসু এই প্রবন্ধের লক্ষ্যই হল বাংলায় বিজ্ঞান রচনাকে আরও সহজ এবং জনপ্রিয় করে তোলার জন্য যেসব সমস্যা আছে, তা দূর করা। প্রবন্ধের বিভিন্ন উদাহরণ সহযোগে সেই সমস্যাগুলি তিনি আলোচনা করেছেন এবং তার সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। তাই এই কারণেই তাঁর দেওয়া নামটি সার্থক হয়েছে।
ঙ। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।MCQ-১
১)রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম-
ক) বনফুল
খ) শ্রীপান্থ
গ) পরশুরাম
ঘ)রূপদর্শী
উত্তর:(গ) পরশুরাম
২) ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' প্রবন্ধটি যে গ্রন্থের অন্তর্গত, সেটি হল-
ক) বিচিন্তা
খ) গীতাঞ্জলি
গ) মেঘনাদবধ
ঘ) দেবদাস
উত্তর:(ক) বিচিন্তা
৩) যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ লেখা হয়, তাদের মোটামুটি কতগুলি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?-
ক) তিনটি
খ) চারটি
গ) পাঁচটি
ঘ) দুটি
উত্তর:(ঘ) দুটি
৪)বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের উদ্দিষ্ট পাঠকদের প্রথম শ্রেণিতে পড়ে-
ক) অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে
খ) অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক
গ) অল্পবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক
ঘ) শুধু শিক্ষিত বয়স্ক লোক
উত্তর:(গ) অল্প বয়স্ক ছেলে ও মেয়ে এবং অল্প শিক্ষিত বয়স্ক লোক
৫)বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের উদ্দিষ্ট পাঠকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে-
ক) যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অল্প বিজ্ঞান পড়েছে
খ) অল্পবয়স্ক ছেলে
গ) অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক
ঘ) শুধু শিক্ষিত বয়স্ক লোক
উত্তর:(ক) যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অল্প বিজ্ঞান পড়েছে
৬) প্রথম শ্রেণির পাঠকরা কয়েকটি পারিভাষিক শব্দ শিখেছে। এগুলির মধ্যে একটি হতে পারে-
ক) ম্যালেরিয়া
খ) টাইফয়েড
গ) ডায়রিয়া
ঘ) ইনফ্লুয়েঞ্জা
উত্তর:(খ) টাইফয়েড
৭)পিতলের চাইতে অ্যালুমিনিয়াম হালকা—এই জ্ঞানটি হল-
ক) বিশেষ জ্ঞান
খ) অসামান্য জ্ঞান
গ) সামান্য জ্ঞান
ঘ) সুগভীর জ্ঞান
উত্তর:(খ) সামান্য জ্ঞান
৮)ছেলেবেলায় লেখক কার লেখা বাংলা জ্যামিতি পড়েছিলেন?-
ক) রামমোহন রায়
খ) রাধারমণ মল্লিক
গ) ব্রম্মমোহন মল্লিক
ঘ) কেশবচন্দ্র নাগ
উত্তর:(গ)ব্রহ্মমোহন মল্লিক
৯)ইজার' শব্দের অর্থ-
ক) ধুতি
খ) পাজামা
গ) লুঙ্গি
ঘ) জিনস
উত্তর:(খ) পাজামা
১০)কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সমিতি গঠিত হয় কত সালে?-
ক) ১৯৩০
খ) ১৯৩২
গ)১৯৩৫
ঘ) ১৯৩৬
উত্তর:(ঘ) ১৯৩৬
চ) অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর।SAQ-১
১) রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম কী?
উত্তর: রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম হলো পরশুরাম।
২)রাজশেখর বসু রচিত বাংলা অভিধানের নাম কী?
উত্তর: রাজশেখর বসু রচিত বাংলা অভিধানের নাম চলন্তিকা।
৩)'যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয়'- তাদের মোটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে। '- শ্রেণি দুটি কী কী?
উত্তর: রাজশেখর বসু রচিত প্রবন্ধে দুই শ্রেণীর মধ্যে প্রথম শ্রেণি হলো যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে এবং দ্বিতীয় শ্রেণি হল যারা ইংরেজি জানে।
৪)প্রথম শ্রেণির পাঠকদের সম্পর্কে প্রাবন্ধিক কী বলেছেন?
উত্তর: রাজশেখর বসু রচিত 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' প্রবন্ধে বলেছেন যে, গুটিকয়েক ইংরেজি পরিভাষিক শব্দ ছাড়া তাদের বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় নেই।
৫)“গুটিকতক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ হয়তো তারা শিখেছে শব্দগুলি কী?
উত্তর: রাজশেখর বসু রচিত প্রবন্ধে' গুটিকতক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ হলো- টাইফয়েড আয়োডিন মোটর, জেব্রা, ক্রোটন।
৬) 'এই শ্রেণির পাঠক ইংরেজি ভাষার প্রভাব থেকে মুক্ত ।'- শ্রেণির বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর:প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু রচিত বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্পর্কে যারা বিশেষ জানেন না, যাদের বিজ্ঞানের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় নেই।
৭) ছোটোবেলায় রাজশেখর বসু ছেলে বেলায় কার লেখা জ্যামিতি বই পড়তেন ?
উত্তর:ছেলেবেলায় লেখক রাজশেখর বসু ব্রহ্মমোহন মল্লিকের লেখা বাংলা জামিতি বই পড়তেন।
৮)কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন?
উত্তর: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন হাজার ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে
৯) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির বিশেষত্ব কী?
উত্তর:কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতিতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অধ্যাপক, ভাষা তত্ত্ব, সংস্কৃতজ্ঞ পন্ডিত এবং লেখকরা এক যুগে কাজ করেছিলেন।
১০)বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি কী বিধান দিয়েছে?
উত্তর:রাজশেখর বসুর রচিত 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান'প্রবন্ধে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি এই বিধান দিয়েছিল যে নতুন কোন রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলায় ব্যবহার করা যাবে।
১১) উপযুক্ত পরিভাষা না পাওয়া পর্যন্ত প্রাবন্ধিক কী পরামর্শ দিয়েছেন ?
উত্তর: রাজ শেখর বসু রচিত বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে উপযুক্ত পরিভাষা না পাওয়া পর্যন্ত লেখক বাংলা বানানে ইংরেজি শব্দই ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
১২'আমাদের সরকার ক্রমে ক্রমে রাজকার্যে বেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন।'- তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন কেন ?
উত্তর: রাজশেখর বসু রচিত বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে,লেখক বলেছেন- সরকার থেকে উদ্যোগ নিয়ে দেশি পরিভাষা প্রচলন করায় অনেকের সমস্যা হচ্ছে। কারণ তারা ইংরেজিতে অভ্যস্ত বলে পরিভাষাগুলি তাদের নতুন করে শিখতে হচ্ছে।
ছ)বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্নমান-৫
১) 'তাঁদের মোটামুটি দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে। '- কাদের কথা বলা হয়েছে ? দুই শ্রেণির পরিচয় দাও।
উত্তর: প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর রচিত'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান'- প্রবন্ধে লেখক পাঠকদের কথা বলা বলেছেন।লেখক 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' বিষয়ক প্রবন্ধে পাঠকদের দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন।
* পাঠকদের যে দুটি শ্রেণির কথা লেখক বলেছেন তাদের প্রথমটি হল- যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে। দ্বিতীয়টি হল- যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় কিছু বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা পড়েছে।
প্রথম শ্রেণি:
প্রথম শ্রেণির পাঠকদের বিজ্ঞানের সঙ্গে কোনো পূর্বপরিচয় নেই। কিছু সাধারণ ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ তাদের জানা থাকতে পারে কিংবা কিছু মোটাদাগের বৈজ্ঞানিক তথ্যও তাদের অভিজ্ঞতায় থাকতে পারে। কিন্তু কোনো সুশৃঙ্খল আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্যই তাদের জানা থাকে না। প্রথম শ্রেণির পাঠকের ক্ষেত্রে সুবিধা হল বিষয়টি বুঝতে পারলেই তারা বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষা করে নিতে পারে।
দ্বিতীয় শ্রেণি:
যাদের ইংরেজি শিক্ষা হয়েছে তাদের নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। এই শ্রেণির পাঠকদের বাংলায় বিজ্ঞান শিখতে গেলে তাদের ইংরেজিতে বিজ্ঞান পড়ার ও বোঝার অভ্যাস ত্যাগ করতে হয়। এই কারণে তাদের শিক্ষা কষ্টকর হয়ে ওঠে। শ্রেণিতে আছে ইংরেজি না জানা বা অল্প জানা পাঠকরা। এদের বিজ্ঞানের সঙ্গে কোনো পূর্ব পরিচয় নেই। এই শ্রেণির পাঠকদের ক্ষেত্রে জ্ঞানের সমস্যা তৈরি করলেও ভাষা কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। কারণ তাঁরা বাংলা ভাষায় ভালো বলতে বা লিখতে পারে। বিষয়টিকে কেবল যথাযথভাবে বুঝে নিলেই হয়। কিন্তু যেসব পাঠক ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় কমবেশি বিজ্ঞান পড়েছে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা অন্যরকম। সে যখন কোনো বৈজ্ঞানিক রচনা পড়ে তখন তাকে ইংরাজি বর্জন করতে হয়। আগে তাকে বাংলা ভাষাকে আয়ত্ত করতে হয়।লেখক উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন যে,ব্রহ্মমোহন মল্লিকের যে বাংলা জ্যামিতি ছেলেবেলায় তাঁর বুঝতে অসুবিধা হয়নি,সেটিই যারা ইংরেজিতে জিওমেট্রি পড়েছে তাদের কাছে বোধগম্য হয় না। এই ভাষার গন্ডি অতিক্রম করে যাওয়াই সবথেকে কঠিন কাজ।
২)বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে 'পরিভাষা সমস্যা' 'বিষয়ে লেখক যে আলোচনা করেছেন তা সংক্ষেপে ভাষায় লেখো।
উত্তর :প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু রচিত ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ' নামক প্রবন্ধে 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান'চর্চার ক্ষেত্রে যেসব বাধার কথা বলেছেন তা হল- পারিভাষিক শব্দের অভাব।
*একবার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন লেখক নানা বিষয়ে পরিভাষা রচনা করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু তাঁরা কাজটি একসাথে বসে করেননি, ফলে নতুন রচিত পরিভাষাগুলির মধ্যে সমতা ছিল না। একই বিষয়ের অনেকগুলি করে পরিভাষা তৈরি হয়েছিল।
*১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি বিভিন্ন শাখার মানুষদের একত্রিত করে পরিভাষা সংকলন তৈরি করতে পেরেছিল। এই সংকলনটি অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ও যথাযথ। তবে সংকলনটি আরও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন বলে লেখক মনে করেছেন। ইংরেজি শব্দকেই বাংলা
* যতদিন উপযুক্ত বাংলা পরিভাষা তৈরি না হচ্ছে ততদিন ইংরেজি শব্দকেই বাংলা বানানে লিখে চালানো ভালো হবে বলে লেখক মনে করেছেন।পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা সম্ভব নয়, আবার পরিভাষা তৈরির সময় বিজ্ঞান আলোচনার যে নিজস্ব রচনাপদ্ধতি রয়েছে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলির থেকে সাহায্য নিয়ে সকলে মিলে নতুন পরিভাষা গড়ে তোলা।
৩)কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সমিতির সদস্য কারা ছিলেন?এঁদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছিল কি না,তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর:প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর রচিত,বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান'- প্রবন্ধে, ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিভাষা রচনার উদ্দেশ্যে একটি সমিতি গঠিত হয়েছিল। এই সমিতির যাঁরা সদস্য ছিলেন তাঁরা হলেন-বিভিন্ন বিজ্ঞানের অধ্যাপক ,ভাষাতত্ত্ববিদ ,সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত এবং কয়েকজন লেখক। তাদের কাজ ইতিপূর্বে গঠিত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের পরিভাষা সমিতির তুলনায় অনেক সুসংহত ও সফল হয়েছিল।কারণ,তাতে পাঠকের পক্ষে অর্থ বোঝা সহজ হয়েছে। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কৃত সংকলন খুব বড়ো নয় বলে আরও শব্দের প্রয়োজনীয়তা।তাই লেখক আরও পারিভাষিক নির্মাণের দিকে জোর দিয়েছেন।
Contents:
আরো পড়ুন:
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here
অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর Click here
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here
the passing away of bapu question answerUnit 1 Click Here
The passing away of bapu question answer unit 2 Click Here
The passing away of bapu question answer unit 3 Click Here
My Own True family poem Lesson 4 Click Here
শসার স্বাস্থ্য উপকারিতা click Here
Tea benefits for health click hair
চোখ click here
মধুর উপকারিতা click here
শব্দ দূষণ click here
একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার
নুন কবিতা প্রশ্ন উত্তর click here
0 Comments