ক।কবি পরিচিত
খ। উৎস
গ। বিষয়সংক্ষেপ
ঘ। নামকরণ
ঙ) হাতে-কলমে সমাধান
ক)লেখক পরিচিতি:
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ছোটোগল্পকার সমরেশ বসু ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চিত্রকর মোহিনীমোহন বসু এবং শৈবালিনী দেবীর কনিষ্ঠ পুত্র। ঢাকার রাজনগরে ছোটোবেলা কাটিয়ে পরবর্তীকালে সমরেশ বসু নৈহাটিতে আসেন। বহুবিচিত্র অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই লেখক সাহিত্যে সেই সকল অভিজ্ঞতার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত ছোটোগল্প 'আদাব'। এটি 'পরিচয়' পত্রিকায় ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।কালকূট, ও ভ্রমর,ছদ্মনামে তিনি অসংখ্য গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। আনন্দ পুরস্কার ও সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত এই লেখকের বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে 'বিবর,প্রজাপতি,দেখি নাই ফিরে,উত্তরঙ্গ, নয়নপুরের মাটি,বি.টি. রোডের ধারে,সওদাগর, গঙ্গা,জগদ্দল,টানাপোড়েন,শ্রীমতী কাফে,বাঘিনী, পরম রতন,স্বীকারোক্তি,মহাকালের রথের ঘোড়া, ওদের বলতে দাও উল্লেখযোগ্য। ‘আদাব’ ছাড়া তাঁর বিখ্যাত গল্পগুলির মধ্যে রয়েছে-জলসা,গন্তব্য, প্রতিরোধ,অকাল বৃষ্টি,কিমলিস' প্রভৃতি। কালকূট নামে লেখা শাম্ব' ও ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে' তাঁর দুটি অসাধারণ সৃষ্টি।১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান।
খ)উৎস:
সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব' গল্পটি ‘সমরেশ বসু গল্প সমগ্র' গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
গ)বিষয়সংক্ষেপ:
কথাসাহিত্যিক তথা ছোটোগল্পকার সমরেশ বসুর 'আদাব' গল্পটি হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে রচিত। এই গল্পে বন্ধুত্ব ও মানবিকতার কাহিনি ফুটে উঠেছে। গল্পের দুই প্রধান চরিত্রের মধ্যে একজন হল নিম্নবিত্ত এক সুতাকলের মজুর এবং অন্যজন নৌকোর মাঝি। উভয়ের ধর্মপরিচয় আলাদা হলেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে তারা একইরকমভাবে অসহায়। রক্তপাত,খুন খারাপি,লুঠ চলছে শহরজুড়ে।শহরের দুটো গলি যেখানে এসে মিশেছে, সেই রাস্তায় ডাস্টবিনের আড়ালে সুতাকলের মজুর ও নৌকোর মাঝি দুজনেই ভয়ে লুকিয়েছিল। সেখানেই তাদের পরিচয়। দুজনের মনেই তখন মৃত্যুভয়। সেই চাপা ভয় আর উত্তেজনায় সময় এগিয়ে চলে। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর তাদের মনে একটাই প্রশ্ন এল,'হিন্দু, না মুসলমান ?'কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না। অবশেষে বিড়ি ধরাতে গিয়ে তারা একে অপরের পরিচয় জেনে যায়। তবু তারা কেউ কাউকে আক্রমণ করে না।বরং দুটি বিপন্ন মানুষ যেন ক্রমশ আত্মীয় হয়ে ওঠে। উভয়ের মধ্যে থাকা সাম্প্রদায়িক ভেদরেখা মুছে যায়। একে অপরের পরিবার-পরিজনদের অসহায়তা আর দুশ্চিন্তার কারণ বুঝতে পারে। পরের দিন ইদ। সেই উপলক্ষ্যে মাঝি তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যার জন্য নতুন পোশাক কিনেছে। সে তাদের কাছে পৌঁছোনোর জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সুতা-মজুরের তীব্র আপত্তি আর বারণ সত্ত্বেও সে সেই ভয়ংকর রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। ভগবানের কাছে সুতা-মজুর কাতর প্রার্থনা জানায় মাজি ব্যান বিপদে না পড়ে।” রুদ্ধশ্বাসে কয়েকটি মুহূর্ত কাটার পর হঠাৎ 'হট', ‘ডাকু ভাগতা হ্যায়' ইত্যাদি শব্দ কানে যেতেই সুতা-মজুর গলা বাড়িয়ে তাকায়। সে লক্ষ করে এক পুলিশ অফিসার রিভলবার হাতে রাস্তার উপর লাফিয়ে পড়ল। দু-বার গর্জে উঠল তার বন্দুক। সুতা-মজুরের জলভরা চোখের সামনে ভেসে ওঠে মাঝির বুকের রক্তে লাল হয়ে যাওয়া তার ছেলেমেয়ে আর স্ত্রীর জন্য কেনা জামাকাপড়গুলির ছবি।
ঘ)নামকরণ:
সাধারণভাবে গল্প, উপন্যাস বা নাটকের মূলভাবনার আভাস পাওয়া যায় নামকরণের মধ্য দিয়ে।১৯৪৬-এর হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে লেখা 'আদাব' গল্পে শুভবোধ হারিয়ে ফেলা,আদর্শহীন সমাজের ছবি ফুটে উঠেছে।শহরে ১৪৪ ধারা চলছে।অগ্নিসংযোগ-এককথায় আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি। সেই মুহূর্তে সন্দেহ-অবিশ্বাস-উৎকণ্ঠা নিয়েই পরস্পরের কাছাকাছি আসে দুজন মানুষ। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নাওয়ের মাঝি আর সুতাকলের শ্রমিক ক্রমশ বন্ধু হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয় নিজেদের হতাশা-যন্ত্রণা-উদ্বেগ ভাগ করে একে অপরের সহমর্মী হয়ে উঠেছে। দরিদ্র,অসহায় এই দুই সাধারণ মানুষ একসময় নিজেদের সম্প্রদায় ভুলে যারা দাঙ্গা লাগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়। পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ আর সন্দেহ ভুলে যায় তারা। ইদের পরবে স্ত্রী-পুত্র-পরিজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকুল বাসনায় মাঝি তার বন্ধুকে 'আদাব' বা নমস্কার জানিয়ে বিদায় নেয়। সে জানায়, কখনোই সে এই রাতের কথা ভুলে যাবে না। সুতাকলের মজুরও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে, সে-ও মাঝির সাথে পরিচয় হওয়ার এই রাতটির কথা মনে রাখবে।এর কিছুসময় পরেই সুতামজুর পুলিশ অফিসারের রিভলভারের গুলিতে মাঝির প্রাণ হারানোর আশঙ্কা করে। এ কথা ভেবে সুতাকলের মজুরের চোখ জলে ভরে ওঠে। আলোচ্য গল্পে মাঝির শেষ উচ্চারিত শব্দ ‘আদাব’-কে নামকরণে ব্যবহার করা হয়েছে।এর মাধ্যমে মাঝির চিরবিদায়ের অর্থটি স্পষ্ট হয়েছে।এর পাশাপাশি খেটে-খাওয়া মানুষের ঐক্য এবং সহনশীলতাকেও লেখক এই নামকরণের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন। তাই বলা যায় এই নামকরণ যথাযথ ও সার্থক হয়েছে।
ঙ) হাতে-কলমে সমাধান:
১)নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
১.১) সমরেশ বসুর ছদ্মনাম কী?
উত্তর: সমরেশ বসুর প্রধান ছদ্মনাম 'কালকূট'। তাঁর আর একটি ছদ্মনাম হল 'ভ্রমর'।
১.২) তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উত্তর: সমরেশ বসুর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম হল 'বি.টি. রোডের ধারে' এবং 'গঙ্গা'।
২) নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও।
২.১)কোন্ সময়পর্বের কথা গল্পে রয়েছে?
উত্তর: ব্রিটিশ শাসনের একেবারে শেষপর্বে ভারতবর্ষে (১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ) ঘটে যাওয়া হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ের কথা ‘আদাব’গল্পে রয়েছে।
২.২)'ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী '- প্রাণী দুটির পরিচয় বর্ণনা দাও।
উত্তর: কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু রচিত 'আদাব' গল্পে উল্লিখিত ‘দুই প্রাণী’ হল দুজন বিপন্ন সাধারণ মানুষ, পেশায়- একজন মাঝি এবং অপরজন সুতাকলের মজুর।
২.৩)'ওইটার মধ্যে কী আছে?'-বক্তা কীসের প্রতি ইঙ্গিত করে?
উত্তর : সমরেশ বসু রচিত বিখ্যাত ছোটোগল্প 'আদাব ’থেকে উদ্ধৃত বাক্যটিতে সুতা- মজুর, মাঝির বগলে থাকা পুঁটলির প্রতি ইঙ্গিত করে।
২.৪ গল্পে কোন নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে?
উত্তর: 'আদাব' গল্পে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে।
২.৫) 'সুতা- মজুরের ঠোটের কোণে একটু হাসি ফুটে উঠল,- তার এই হাসির কারণ কী ?
উত্তর: সমরেশ বসু রচিত 'আদাব' গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে সুতা- মজুর কল্পনা করে, মাঝি বাড়ি ফিরলে মাঝির স্ত্রীর'মরণের মুখ থেইকা তুমি বাঁইচা আইছ ?' ইত্যাদি কথার উত্তরে মাঝি কী বলবে- এই ভেবে তার ঠোটের কোণে একটু হাসি ফুটে ওঠে।
৩ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
৩.১)'শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারি হয়েছে'-লেখকের অনুসরণে গল্পঘটনার রাতের দৃশ্য বর্ণনা করো।
উত্তর:সমাজসচেতন কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু তাঁর ‘আদাব' গল্পে শহরে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে ভয়ংকর রাত্রির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছেন। প্রতিহিংসা: সম্প্রীতি ভুলে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষেরাই সেখানে একে-অপরের প্রতি হিংসায় মেতে ওঠে। দা, সড়কি, ছুরি, লাঠি প্রভৃতি নিয়ে তারা অন্য সম্প্রদায়কে আক্রমণের মধ্য দিয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই নরকের মতো পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গুপ্তঘাতকের দলও সক্রিয় হয়ে ওঠে।ভয়ের পরিবেশ: তারা অন্ধকারকে আশ্রয় করে চোরাগোপ্তা আঘাতে চারপাশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখে। অবাধে চলে লুঠতরাজ | গা-ছমছমে ভয়ংকর সেই রাত তাদের নিষ্ঠুরতাকে প্রকট করে তোলে। দিকে দিকে বস্তিগুলোতে আগুন লাগানো চলতে থাকে। চারিদিকে শোনা যায় মৃত্যুভয়ে ভীত মানুষের তীব্র চিৎকার। কখনো কখনো তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সৈন্যবাহী গাড়ি। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে সেনাকর্মী বা পুলিশও দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গুলি চালিয়ে দেয়। সহমর্মিতা: গল্পটিতে রাত্রিবেলা দু-দিকের দুটি গলির মাঝখানে একটি উলটে যাওয়া ডাস্টবিনের আড়ালে দুজন মানুষকে দেখা যায়—তাদের একজন মুসলমান মাঝি এবং অপরজন সুতাকলের হিন্দু মজুর। ধর্ম ও সম্প্রদায়ের দিক থেকে আলাদা হয়েও বেঁচে থাকার তাগিদেই সেই দুজন মানুষ একে অপরের প্রতি সহমর্মী হয়ে ওঠে।
৩.২)'হঠাৎ ডাস্টবিনটা একটু নড়ে উঠল।'-ডাস্টবিন নড়ে ওঠা'র অব্যবহিত পরে কী দেখা গেল?
উত্তর: ‘সমরেশ বসু গল্প সমগ্র' গ্রন্থে সংকলিত 'আদাব' ছোটোগল্প থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে 'আদাব' গল্পটি লেখা হয়েছে।
দুদিকের দুটি গলির সংযোগস্থলে একটি উলটানো ডাস্টবিন ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়েছিল। সেই ডাস্টবিনের আড়ালটিকে কাজে লাগিয়ে একটি লোক গলির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে ভয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইল। তার কান দূরের অস্পষ্ট শব্দের দিকে, আর তখনই অল্প নড়ে উঠল ডাস্টবিনটা। ভয়ার্ত মানুষটির শিরা- উপশিরাগুলি শিরশিরিয়ে উঠল মৃত্যুর আশঙ্কায়। রুদ্ধশ্বাস কয়েকটা মুহূর্ত এভাবেই কাটল। লোকটি সন্দেহ করল কোনো কুকুরই হবে বোধহয়। তাড়া দেওয়ার জন্য ডাস্টবিনটাকে ঠেলে দিল সে। খানিকক্ষণ সব চুপচাপ থাকার পর আবার নড়ে উঠল ডাস্টবিনটা । ভয় ও কৌতূহলের সঙ্গে মাথা তুলে লোকটা দেখতে পেল ওপাশ থেকে আর-একটি মানুষের মাথা ঠিক একইভাবে উঠে এসেছে।
৩.৩) হিন্দু- মুসলমান সম্প্রীতির আবহ গল্পে কীভাবে রচিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: সমরেশ বসু রচিত 'আদাব' গল্পে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আর হানাহানির ঘটনা ফুটে উঠেছে। দাঙ্গা, গুপ্তহত্যা, লুঠতরাজ আর নরকের মতো ভয়ের পরিবেশে শহর আচ্ছন্ন। এই পরিস্থিতিতে প্রবল অবিশ্বাস আর সন্দেহ মনে নিয়ে শহরের রাজপথে এক ডাস্টবিনের আড়ালে দুজন খেটে-খাওয়া মানুষের প্রথম দেখা হয়। তাদের একজন নৌকোর মাঝি এবং আর- একজন সুতাকলের শ্রমিক। প্রাথমিকভাবে পরস্পরের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে চিন্তিত হলেও মৃত্যুভয়ই তাদেরকে অনেক কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল। তাই মাঝি সেই জায়গা ছেড়ে উঠে যেতে চাইলে সুতা- মজুর প্রাণনাশের আশঙ্কা জানিয়ে তাকে বাধা দিয়েছিল। কথপোকথনের সময় তাদের মনে আসে নিজেদের বিপদের কথা, ঘরের কথা, মা-বউ-ছেলেমেয়ের কথা। উভয়েরই মনে জেগে ওঠে একই প্রশ্ন-বিড়ি জ্বালানোর সময় সুতা-মজুর জানতে পারে মাঝি মুসলমান। এই সত্য জেনে সে আবার সংশয়ে পড়ে। কিছু সময় পরে খানিকটা ধাতস্থ হয়ে সেই দুঃসময়কেই দোষারোপ করে সুতা-মজুর বলে, “দিনকালটা দেখছ তো? বিশ্বাস করন যায়—তুমিই কও?”
গল্পে আরও দেখা যায়, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তারা কেউ ঠকে যায়নি। তারা নিজেরাই উপলব্ধি করেছে, এই দাঙ্গা আর হত্যার পরিবেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে তাদের মতো খেটে- খাওয়া মানুষদেরই। এভাবেই গল্পে দাঙ্গা-অবিশ্বাস আর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের মধ্যেও সম্প্রীতির পরিবেশ রচিত হয়েছে। গল্পের শেষে মাঝির মৃত্যুর আশঙ্কায় সুতা-মজুরের অসহায় দৃষ্টির মধ্য দিয়েও সেই সৌহার্দ্যের ছবিটিই সুন্দরভাবে অঙ্কিত হয়েছে। সুতা মজুরের ওই করুণ দৃষ্টির মধ্যে সম্প্রদায়নির্বিশেষে, সাধারণ মানুষের বিপন্নতার পাশাপাশি ঐক্যের ছবিটিও ফুটে উঠেছে।
0 Comments