সূচিপত্র:
ক। কবি পরিচিতি
খ) উৎস
গ। বিষয় সংক্ষেপ
ঘ। নামকরণ
ঙ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
চ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ)২০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
ছ। ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
জ। বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর ১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।
ক) কবি পরিচিতি:
ভূমিকা:
বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতা ও গানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা ছাড়াও সমাজের যাবতীয় অবিচারের
বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ করেছেন। তিনি সমাজের নারীমুক্তির কথা বলেছেন, ধর্মীয় গোঁড়ামির
বিরোধিতা করেছেন।
জন্ম ও শৈশব:
কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে। তাঁর
বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ, মায়ের নাম জাহেদা খাতুন। মাত্র আট বছর বয়সে
নজরুল তাঁর বাবাকে হারান। ফলে জীবনের শুরু থেকেই তাঁকে কঠোর দারিদ্রের মুখোমুখি
হতে হয়।
ছাত্রজীবন:
গ্রামের তাঁর লেখাপড়াশুরু হয়। দশ বছর বয়সে নিম্নপ্রাথমিক পরীক্ষায় পাস করে তিনি ওই
মক্তবেই এক বছর শিক্ষকতা করেন। পরে ঘটনাচক্রে তিনি পূর্ববাংলার ময়মনসিংহের
কাজীর সিমলা গ্রামের নিকটবর্তী দরিরামপুর বিদ্যালয়ে ভরতি হন। কিন্তু সেখানে তিনি
বেশিদিন থাকেননি। ফিরে এসে তিনি ভরতি হন বর্ধমান জেলার উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে
এই বিদ্যালয় থেকে সপ্তম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি ভরতি হন বর্ধমান জেলার
রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ উচ্চবিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ে নজরুল অত্যন্ত মেধাবী
ছাত্ররূপে পরিচিত ছিলেন। এখান থেকেই তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন,
কিন্তু শেষপর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি
সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। নজরুলের প্রথাগত শিক্ষাজীবনের এখানেই সমাপ্তি।
কর্মজীবন:
অল্প বয়স থেকেই নজরুল সাধু-সন্ন্যাসী-বাউলদের সঙ্গ পছন্দ করতেন। মাত্র এগারো বছর
বয়সে তিনি গান-কাহিনি রচনা করে অর্থ উপার্জন করেছেন। নিজের লেখা গানে সুরও
দিতেন তিনি নিজে। একসময়ে আসানসোলের একটি রুটির দোকানে মাসিক পাঁচ টাকা
বেতনে কাজ করেছেন নজরুল।
ব্যক্তিজীবন:
১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রমীলা সেনগুপ্তের সঙ্গে নজরুলের বিবাহ হয়। শুধু কবি হিসেবে নয়, তিনি
গায়ক, গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা প্রায়
তিন হাজার। অভিনেতা ও কাহিনিকার রূপে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে নির্বাক হয়ে পড়েন। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত
হলে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে যান।
সাহিত্যজীবন:
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা 'মুক্তি' প্রকাশিত হয়।
এরপর থেকে নজরুল লেখালেখির ক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হয়ে পড়েন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে
নজরুল সেনাবাহিনী ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ভারত পত্রিকায়
প্রকাশিত হয় তাঁর বিদ্রোহী' কবিতা। এই কবিতা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বৃহত্তর
পাঠকসমাজে পরিচিত হয়ে ওঠেন।তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলি হল- অগ্নিবীণা (১৯২২),
দোলনচাপা (১৯২৩), বিষের বাঁশি (১৯২৪), ভাঙার গান (১৯২৪), প্রলয়শিখা (১৯২৪),
সাম্যবাদী (১৯২৬), সর্বহারা (১৯২৬), ফণিমনসা (১৯২৭), সিন্ধু-হিন্দোল (১৯২৭), ঝিঙেফুল
(১৯২৮), জিঞ্জীর (১৯২৮), সন্ধ্যা (১৯২৯) প্রভৃতি।গল্প-সংকলন- ব্যথার দান (১৯২২), রিক্তের
বেদনা, (১৯২৪) এবং শিউলি মালা (১৯৩১) নামে তাঁর তিনটি গল্প-সংকলন আছে।
উপন্যাস-তিনি বাঁধনহারা (১৯২৭), কুহেলিকা (১৯২৭), মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০) প্রভৃতি কয়েকটি
উপন্যাস রচনা করেন।নজরুলের বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে নির্বাচিত কবিতা সংকলনটির নাম
সঞ্চিতা। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে নজরুলের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ধূমকেতু পত্রিকা। এই
পত্রিকায় তিনি স্পষ্ট ভাষায় পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি তুলে ধরেন। স্বদেশভাবনা প্রচারের জন্য
ব্রিটিশ সরকার কিছুদিনের মধ্যেই পত্রিকাটির প্রকাশ বন্ধ করে দেয়। রাজদ্রোহের অপরাধে
নজরুল এক বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি মুক্তি লাভ করেন।
সম্মান ও স্বীকৃতি:
ভারত সরকার কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে 'পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত
করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে 'জাতীয় কবির মর্যাদা দেন এবং তাঁকে
'একুশে পদক' দিয়ে সম্মানিত করেন।
জীবনাবসান:
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট ঢাকায় কবির জীবনাবসান ঘটে এবং সেখানেই তাকে সমাধিস্থ
করা হয়।
খ) উৎস:
'ভাঙার গান' কবিতাটি 'ভাঙার গান' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
গ) সারসংক্ষেপ
দেশকে স্বাধীন করার জন্য যাঁরা প্রতিজ্ঞা করেছেন তাঁদের কারাগারে বন্দি করেছে ইংরেজ
সরকার। কবি দেশের তরুণদের কারাগারের লোহার দরজা ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দিতে
বলেছেন। শৃঙ্খলে আবদ্ধ বিপ্লবীদের জমাটরক্ত লেগে আছে কারাগারের বেদিতে। তরুণ
দেশপ্রেমীদের কবি শিবের সঙ্গে তুলনা করে ধ্বংসের দব্জা বাজাতে বলেছেন। কারাগারের
প্রাচীর ভেদ করে ধ্বংসের পতাকা উড়ুক—এটাই কবির ইচ্ছা। কেউ মালিক, কেউ রাজা নয়,
আমরা সবাই সমান এবং স্বাধীন—এই মনোভাব নিয়ে গাজনের বাজনা বাজিয়ে স্বাধীনতা
ঘোষণার ডাক দিয়েছেন কবি। সত্য হল মুক্ত ও স্বাধীন, তাকে কেউ শাস্তি দিতে পারে না।
ইংরেজরা ভগবানকে ফাঁসি দিতে চায়— এমন কথা শুনলে কবির হাসি পায়। কারণ ভগবান
অমর, স্বাধীনতা সংগ্রামীরাও মৃত্যুঞ্জয়ী। ভগবানকে ফাঁসি দেওয়ার মতো সর্বনাশা ভুল
ইংরেজ শাসককে কারা বা কে দেয় ? কবি দেশের তরুণদের এই বলে উৎসাহ দিয়েছেন যে
তারা যেন খ্যাপা ভোলানাথের মতো প্রলয়দোলা দিয়ে হ্যাঁচকা টানে কারাগারগুলো ভেঙে
দেয়। যুদ্ধের ভেরি কাঁধে তুলে নিতে কবি যুবশক্তিকে ডাক দিয়েছেন। মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা
করে দেশের মুক্তির জন্য প্রাণ উৎসর্গ করার বার্তা দিয়েছেন কবি। কালবৈশাখী ঝড়ের মতো
উত্তাল দেশের পরিস্থিতি। এখন চেষ্টা না করে বসে থেকে সময় নষ্ট না করে ভয়ংকর
কারাগারের ভিত্তি নাড়িয়ে দিতে হবে। লাথি মেরে ভাঙতে হবে তালা, বন্দিশালা গুলোতে
আগুন জ্বালাতে হবে, উপড়ে ফেলতে হবে সমস্ত বন্ধন।
ঘ)নামকরণ:
'ভাঙার গান' কাব্যগ্রন্থের প্রথম রচনাটির নাম 'ভাঙার গান'। অসহযোগ আন্দোলনের সময়
রচিত।এ গানে প্রায় দুশো বছরের ইংরেজ অপশাসনকে ভাঙার কথা বলা হয়েছে। সশস্ত্র
বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ইংরেজ কারাগারে বন্দি বিপ্লবীদের মুক্ত করবেন এবং
সমগ্র স্বদেশকে বিদেশি শাসকের কবল থেকে মুক্তি দেবেন এমন দুর্বার সংকল্প আলোচ্য
গানে প্রকাশিত হয়েছে। সমগ্র গানে ধ্বংস তথা ভাঙার সুর ধ্বনিত হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনে
সমগ্র ভারতবর্ষই যেন এক বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে। সেই বন্দিদশা থেকে দেশবাসীকে
মুক্ত হতে হবে সশস্ত্র বিপ্লব ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। স্বাধীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রথমে ভাঙতে
হবে পরাধীনতার শৃঙ্খল। সেই ভাঙনের আহ্বানই রয়েছে আলোচ্য গানটিতে। তাই এ গানের
শিরোনাম 'ভাঙার গান'যথার্থ ও সার্থক হয়েছে।
ঙ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১)'ভাঙার গান' কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তা হল-
ক) সর্বহারা
খ) ছায়ানট
গ) ভাঙার গান
ঘ)বিষের বাঁশী
উত্তর:(গ) ভাঙার গান
২)“কারার ওই লৌহকপাট ভেঙে ফেল কররে লোপাট”এখানে 'লৌহকপাট' শব্দের অর্থ-
ক)লোহার দরজা
খ) লোহার জানালা
গ) লোহার দ্বারের আবরণ
ঘ) লোহার শিকল
উত্তর:(ক) লোহার দরজা
৩)'কারার ওই লৌহকপাট'কে কবি কী করতে বলেছেন?
ক) ভেঙে ফেলতে
খ) লোপাট করতে
গ) ভেঙে ফেলতে ও লোপাট করতে
ঘ)খুলে ফেলতে
উত্তর:(গ) ভেঙে ফেলতে লোপাট করতে
৪)ভেঙে ফেল কর রে লোপাট”-কী ?
ক) পাষাণ বেদী
খ) লৌহকপাট
গ) ধ্বংস নিশান
ঘ) প্রাচীন প্রাচীর
উত্তর:(খ) লৌহকপাট
৫)‘ওই লৌহকপাট' কোথাকার?
ক) কারার
খ) প্রাসাদের
গ)অট্টালিকার
ঘ) দেবালয়ের
উত্তর:(ক) কারার
৬)“কররে লোপাট”-লোপাট শব্দের অর্থ হলো-
ক) ভেঙে ফেলা
খ) আত্মসাৎ করা
গ) লুঠ করা
ঘ) চিহ্নমাত্র না রাখা
উত্তর:(ঘ) চিহ্নমাত্র না রাখা
৭) “রক্ত জমাট শিকল পূজার পাষাণ বেদী”-কবি পাষাণ বেদী বলেছেন-
ক)বিদেশের কারাগারকে
খ) ভারতীয় কারগারকে
গ) পরাধীন ভারতবর্ষকে
ঘ) মন্দির-মসজিদকে
উত্তর:(গ) পরাধীন ভারতবর্ষকে
৮)'পাষাণ বেদী'—কীসের?
ক)জমাট রক্তের
খ) দেবীর পূজার
গ) শিকল পূজার
ঘ) ঈশান পূজার
উত্তর:(গ) শিকল পূজার
৯)ওরে ও পাগলা ভোলা” ভোলা কে?
ক)ব্রহ্মা
খ) মহেশ্বর
গ) বিশ্ব
ঘ) পবনদেব
উত্তর:(খ) মহেশ্বর
১০) 'দে রে দে প্রলয় দোলা”-প্রলয় দোলা কে দেবে?
ক)পাগলা ভোলা
খ) মালিক বা রাজা
গ)তরুণ ঈশান
ঘ) কাল বোশেখি
উত্তর:(ক) পাগলা ভোলা
১১) “কাধে নে দুন্দুভি ঢাক”—দুন্দুভি হল-
ক) বাঁশি
খ) দামামা
গ) শিঙা
ঘ) শঙ্খ
উত্তর:(খ) দামামা
১২) “কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক”-দুন্দুভি বাজানো হয়-
ক)পূজার সময়ে
খ) গানের সময়ে
গ)আনন্দের সময়ে
ঘ)যুদ্ধের সময়ে
উত্তর:(ঘ) যুদ্ধের সময়
চ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ)২০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১)'ভাঙার গান' রচনাংশটি মূল কী নামে সংকলিত হয়েছিল।
উত্তর:ভাঙার গান' রচনাংশটি মূল গ্রন্থে 'ভাঙার গান' নামে সংকলিত হয়েছে।
২) কারার ওই লৌহকপাট"-'লৌহকপাট' কথার অর্থ কী?
উত্তর:লৌহকপাট কথার অর্থ -লোহার তৈরি দরজা।
৩)"কারার ওই লৌহকপাট ভেঙে ফেল কর রে লোপাট”-কবি কাদের এই আহ্বান
জানিয়েছেন?
উত্তর: পরাধীন ভারতে তরুণ বিপ্লবী বীরদের প্রতি কবি এই আহ্বান জানিয়েছেন।
৪) 'কারার ওই লৌহকপাট কে কবি কেন ভেঙে ফেলতে বলেছেন?
উত্তর: স্বাধীনতাসংগ্রামী বীর বিপ্লবীদের কারাগার থেকে মুক্তকরে তাদের আরদ্ধ কাজকে
সম্পূর্ণ করার জন্য কবি লৌহকপাট ভেঙে ফেলতে বলেছেন।
৫)শিকল পূজার পাষাণ বেদীতে কাদের রক্ত জমাট হয়ে আছে?
উত্তর:ব্রিটিশ সরকার দ্বারা অত্যাচারিত ভারতের বীর সন্তান স্বাধীনতাসংগ্রামীদের রক্ত জমাট
হয়ে আছে।
৬) “ভরে ওই তরুণ ঈশান”-তরুণ ঈশানকে কৰি কী করতে বলেছেন?
উত্তর: তরুণ ঈশানকে কবি প্রলয় বিষাণ অর্থাৎ ধ্বংস ঘোষণাকারী শিঙা বাজাতে বলেছেন।
৭)'ওরে ওইতরুণ ঈশান'-বলতে কবি প্রকৃতপক্ষে কাদের বুঝিয়েছেন?
উত্ত: 'তরুণ ঈশান' বলতে কবি প্রকৃতপক্ষে ভারতমাতার বীর সন্তান স্বাধীনতাসংগ্রামীদের
বুঝিয়েছেন।
৮)ঈশান' শব্দের দুটি অর্থ লেখো।
উত্তর:ঈশান-শব্দের অর্থ শিব। অন্যদিকে, ঈশান হল- উত্তর-পূর্ব দিক-যা দশটি দিকের
একটি।
ছ। ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
১)“কারার ওই লৌহ কপাট ভেঙে ফেল কররে লোপাট”-এই আহ্বানের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা
করো।
উত্তর: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত 'ভাঙারগান' কবিতায়-পরাধীন ভারতের
বন্ধন-মোচনের জন্য কবি তরুণ বিপ্লবী শক্তিকে আহ্বান জানিয়েছেন। অত্যাচারী ইংরেজ
শাসক দেশপ্রেমী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যে কারাগারে আটকে রেখেছে বা রাখতে চায় সেই
সমস্ত কারাগারের লৌহকপাট ভেঙে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন কবি।
২) “রক্ত জমাট শিকল পূজার পাষাণ বেদী”—পক্তিটির অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের রচিত' ভাঙার গান' কবিতায়-পরাধীন ভারতবর্ষে অত্যাচারী
ইংরেজ শাসক স্বাধীনতাসংগ্রামী ভারতীয়দের কারারুদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
ভারতমাতার বীর বিপ্লবী সন্তানরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দেশের মুক্তির জন্য।
সন্ত্রস্ত ইংরেজরা বিপ্লবীদের কারারুদ্ধ করে দমন করতে চেয়েছিলেন সশস্ত্র স্বাধীনতা
সংগ্রামকে। শোষক ইংরেজদের অত্যাচারে বিপ্লবীদের অনেক রক্ত ঝরেছে। শাসক
ইংরেজের অত্যাচারে কারাগারে লেগেছে রক্ত। আর বিপ্লবীদের রক্ত লেগে থাকা সেই
কারাগারই কবির কাছে হয়েছে দেশমাতৃকার পূজার পাষাণ বেদি, যাতে শহিদের রক্ত জমাট
হয়ে আছে।
৩)“ওরে ওই তরুণ ঈশান, বাজা তোর প্রলয় বিষাণ”-তরুণ ঈশান প্রলয় বিষাণ বাজাবে কেন?
উত্তর: কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত' ভাঙার গান'কবিতায়-ঈশান হলেন ধ্বংস ও
সৃষ্টির দেবতা শিব। জরাজীর্ণকে, বিনাশ করার জন্য তিনি যখন প্রলয় নৃত্য করেছিলেন, তার
আগে বাজিয়েছিলেন বিষাণ অর্থাৎ শিঙা। কবি নবীন বিপ্লবীদের ঈশানের সঙ্গে তুলনা করে
ইংরেজ শাসন বিনাশের বিষাণ বাজাতে বলেছেন। দেশমাতার মুক্তির জন্য যেসব
ভারতসন্তান সংগ্রাম করছেন তাঁদের ওপর অত্যাচার করে, তাঁদের কারারুদ্ধ করে ইংরেজরা
তাঁদের স্বাধীনতা দমন করতে চাইছে। তাই তরুণ ঈশানকে অশুভ ইংরেজ শাসনের ধ্বংসের
জন্য প্রলয় বিষাণ বাজাতে হবে।
৪) “ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীন প্রাচীর ভেদি।"-ধ্বংস নিশান ওড়াতে কবি এত উৎসাহ
দিয়েছেন কেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ভাঙ্গার গান কবিতায়-পরাধীন ভারতবর্ষ ইংরেজদের
শাসন,শোষণ,অত্যাচারে জর্জরিত। তাই দেশের সুসন্তানরা দেশকে স্বাধীন করার ব্রত
নিয়েছেন। বিদ্রোহী বিপ্লবী তরুণদের শৃঙ্খলিত কারারুদ্ধ করছে অত্যাচারী শাসক। কবি চান,
কারাগারের লৌহকপাট ভাঙতে অর্থাৎ ইংরেজদের অধীনতা অস্বীকার করতে এবং
শাসকের প্রতি ভয় ভক্তির অভ্যস্ত বেড়াজাল ছিন্ন করতে ধ্বংস নিশান ওড়াতে হবে। আর
তাহলেই সত্য, মানবতা ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা যাবে। তাই কবি ধ্বংসের নিশান ওড়াতে এত
উৎসাহ দিয়েছেন।
৫) “গাজনের বাজনা বাজা”-গাজনের বাজনা কখন এবং কেন বাজে?
উত্তর: বাংলা চৈত্রসংক্রান্তিতে দেবাদিদেব শিবের পূজাকে কেন্দ্র করে গাজন উৎসব হয়।
এটি একটি লৌকিক উৎসব। একে চড়কপূজাও বলা হয়। এই পার্বন উপলক্ষ্যে গ্রামবাংলায়
মেলাও বসে। গাজনের উৎসবে ঢাক, ঢোল, কাঁসি, বাঁশি ইত্যাদি দেশি বাদ্যযন্ত্র সহযোগে
প্রলয়ের দেবতা শিবকে বন্দনা করা হয়।
CONTENTS:
আরো পড়ুন:
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন
উত্তর Click Here ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click
Here নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন
উত্তর Click Here ভাঙার গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here আবহমান কবিতার প্রশ্ন
উত্তর Click Here আমরা কবিতা প্রশ্ন উত্তর click Here খেয়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর click
Here নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-1 click
Here চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-2 click Here
Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1Click Here Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here
All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here
A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here
A Day in the zoo Lesson 4 part 2 Click Here
All Summer in a Day Lesson 5 part 1 Click Here
The price of bananas part 1 click Here
The price of bananas part 2 click Here
Hunting snake poem question answer click Here
0 Comments