ডাবের কার্যকারিতা এবং গুনাগুন সম্পর্কে:
ডাবের কার্যকারিতা এবং গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি,ডাবের জল হল-একটি
প্রাকৃতিকউপহার-যা নানা স্বাস্থ্য উপকারে সমৃদ্ধ। তাই তাজা কচি নারকেল থেকে পাওয়া
যায় এবং নানা গুনাগুনমানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
>নীচে ডাবের গুনাগুন এবং ব্যবহারের ব্যাখ্যা করা হলো:
1. ইলেকট্রোলাইটের উৎস:
ডাবের জল প্রাকৃতিকভাবে একটি উন্নত ইলেকট্রোলাইট সম্পদ। এর মধ্যে আছে
ইলেক্ট্রোলাইট যেমনম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি শরীরের জল ভারসাম্য
বজায় রাখতে সাহায্য করে। তীব্রগরমে বা ঘামের মাধ্যমে শরীরের লবণ ও জল হারানোর
পর ডাবের জল পান করলে শরীর দ্রুত আগেরমত ফিরে আসে।
2. হজম শক্তি বৃদ্ধি:
ডাবের জল এবং ডাবের শাঁসে কিছু প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে, যা হজম করতে সাহায্য
করে। এটিপেটের সমস্যা যেমন- অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রাইটিস এবং হজমের অন্যান্য সমস্যা
সমাধানে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করতে পারে।
3. হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা:
ডাবের জল এবং ডাবের শাঁসে থাকা পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের এবং স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে।পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে
সাহায্য করে।
4. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নয়ন:
ডাবের শাঁসে এবং জল দুইই ত্বকের জন্য খুব উপকারী।ডাবে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং
ভিটামিন-সি ত্বককে সজীব সজীব করে তোলে। চুলের জন্যও এটি উপকারী কারণ এটি
চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্যকরে এবং চুলের শিকড় মজবুত করতে সাহায্য করে, এছাড়াও বয়সের
ছাপ ফেলতে দেয় না।
5. ওজন নিয়ন্ত্রণ:
ডাবের জল একটি নিম্ন ক্যালোরি জল,যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।ডাবের জল
পেটকে সুস্থরাখে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমাতে সাহায্য করে।
6. পেশী এবং কিডনির কার্যকারিতা:
ডাবের জল পেশীর সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনি পাথরের ঝুঁকি কমাতে
সাহায্য করে।বিভিন্ন ধরনের কিডনির সমস্যাকে রক্ষা করে।
7. প্রাকৃতিক নিরাময় বৈশিষ্ট্য:
ডাবের জল আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। এটি কিডনি এবং মূত্রাশয়
এবং স্বাস্থ্যউন্নত করে এবং কিডনিতে স্টোন তৈরির ঝুঁকি কমায়।
8. শক্তি বৃদ্ধি:
ডাবের শাঁসে থাকা ক্যালোরি, ফ্যাট এবং প্রোটিন শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগান দেয়।
এটি একটিভালো বিকল্প পদ্ধতি, বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের পর ডাবের জল
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
9. প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নয়ন:
ডাবের জল এবং ডাবের শাঁসে থাকা যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এটি বিভিন্ন সংক্রমণ এবং অসুস্থতার বিরুদ্ধে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।
10. সুস্থ জীবাণুর সহায়তা:
ডাবের জল শরীরের ভিতরের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিভাইরাস নামে জীবাণুর
সাথেলড়াই করতে সাহায্য করে এবং সাধারণভাবে শরীর ও মানসিক বিকাশ লাভ করে।
অসুস্থ ব্যক্তিকে ডাক্তারবাবুরা ডাবের জল খেতে বলেন।
** নিরাপত্তা এবং ব্যবহারের দিক নির্দেশনা:
ডাবের জলে স্বার্থপর জীবন যাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে মনে রাখা দরকার,এটি
অতিরিক্তখেলেহজমের সমস্যা হতে পারে এবং অসুস্থতার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ
নেওয়া উচিত।
1. ডাবের জল খাওয়া:
সকালে ডাবের জল খেলে খুব বেশি উপকার পাওয়া যায় কারন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর
একটি তাজা ডাবের জল খেলে শরীরকে সজীব করে তোলে। ফলে পড়াশোনা এবং বিভিন্ন
কাজকর্মে মনবসে।ডাবের জল শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
2. খাওয়ার আগে ডাবের জল:
খাবারের আগে ডাবের জল খাওয়া আপনার হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি
শরীরের পি.এইচ স্তর ভারসাম্য বজায় রাখে এবং খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে।
ডাবের জলপ্রক্রিয়াজাত হলে কিছু পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
3.অতিরিক্ত পরিমাণ ডাবের জল না খাওয়া:
যদিও ডাবের জল পুষ্টিকর, অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়।ডাবের জল
একটিপ্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে, সঠিক সময়ে এবং সঠিক পরিমাণে ডাবের জল
পান করলেআপনার মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ লাভ ঘটবে।
ডাবের জলে উপকারিতা click Here
0 Comments