নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর class 9। নিরুদ্দেশ গল্পের নামকরণের সার্থকতা। নিরুদ্দেশ গল্পের বড়ো প্রশ্ন উত্তর। নিরুদ্দেশ গল্পের উৎস।

 

নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর class 9। নিরুদ্দেশ গল্পের নামকরণের সার্থকতা। নিরুদ্দেশ গল্পের বড়ো প্রশ্ন উত্তর। নিরুদ্দেশ গল্পের উৎস।


                                           নিরুদ্দেশ গল্প 

                                                                             প্রেমেন্দ্র মিত্র


সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ। বিষয় সংক্ষেপ

গ। নামকরণ

ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ঙ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ)২০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

চ। ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

ছ। বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর ১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

 ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

 আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।




কবি পরিচিতি: প্রেমেন্দ্র মিত্র 

ভূমিকা:

প্রেমেন্দ্র মিত্র রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগের বিশিষ্ট কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও

 চলচ্চিত্রকার হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।

জন্ম এবং শৈশব:

১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কাশীতে তাঁর জন্ম হয়। হুগলি জেলার কোন্নগরে

 অভিজাত মিত্র বংশের সন্তান ছিলেন তিনি। তাঁর পিতার নাম জ্ঞানেন্দ্রনাথ মিত্র, মাতার নাম

 সুহাসিনী দেবী। তাঁর উচ্চশিক্ষিত পিতা রেলের অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদে চাকরি করতেন।

 প্রেমেন্দ্রর বয়স যখন সাত-আট বছর, তখন তাঁর মা মারা যান।


ছাত্রজীবন:

প্রেমেন্দ্রর দাদামশাই রাধারমণ ঘোষ ইস্ট ইন্ডিয়া রেলের মির্জাপুর ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত

 ডাক্তার ছিলেন। প্রেমেন্দ্র সেখানেই বড়ো হতে থাকেন। দাদামশাইয়ের মৃত্যুর পর

 প্রেমেন্দ্রকে আশ্রয় নিতে হয় নলহাটিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে একটি স্কুলে তাঁর

 পড়াশোনা শুরু হয়। পড়াশোনায় তিনি ভালো ছিলেন। এরপরে নলহাটি ছেড়ে তিনি চলে

 আসেন কলকাতায়। সেখানে তিনি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভরতি হন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে তিনি

 প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাস করে স্কটিশচার্চ কলেজে ভরতি হন। কিছুদিন

 বাদে কলেজের পড়া ছেড়ে দিয়ে কৃষিবিদ্যা শিক্ষার জন্য তিনি শ্রীনিকেতনে যান। এরপর

 কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে তিনি জগন্নাথ কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ভরতি হন। কিছুদিন পর

 আবার ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন। কিন্তু এবার আর পড়াশোনা নয়, শুরু করেন

 জীবিকার সন্ধান। এইসময় প্রবাসী পত্রিকায় তাঁর দুটি গল্প প্রকাশিত হয় এবং এখান থেকেই

 তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিনি চেয়েছিলেন ডাক্তার হতে, কিন্তু শেষপর্যন্ত হয়ে গেলেন

 সাহিত্যিক। 


সাহিত্যজীবন:

প্রেমেন্দ্র মিত্র সাময়িকপত্র সম্পাদনা করেছেন।  সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ

 ছিল। তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা পঞ্চাশটি,ছোটোগল্প তিরিশটি, এছাড়াও শিশু ও কিশোরদের

 রচনা, ছড়া, নাটক, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথা,এবং অনুবাদ গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি লরেন্সের

 গল্প, বার্নার্ড শ-র নাটক এবং হুইটম্যানের শ্রেষ্ঠ কবিতা অনুবাদ করেছেন। তাঁর সৃষ্ট বিখ্যাত

 একটি চরিত্র ঘনাদা। ‘পরাশর’ গোয়েন্দাকে নিয়ে তিনি গল্প লিখেছেন। চলচ্চিত্রের কাহিনি ও

 চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। এ ছাড়া চলচ্চিত্রে গান লিখেছেন তিরিশটি। তাঁর ছদ্মনাম ছিল

 'কৃত্তিবাস ভদ্র’।আগামীকাল, বিসর্পিল প্রভৃতি প্রেমেন্দ্র মিত্রের বিখ্যাত উপন্যাস। তাঁর

 গল্পগ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-বেনামী বন্দর, পুতুল ও প্রতিমা, মৃত্তিকা, অফুরন্ত,

 মহানগর, নিশীথ নগরী, কুড়িয়ে ছড়িয়ে, সামনে চড়াই এবং সপ্তপদী। তাঁর উল্লেখযোগ্য

 কাব্যগ্রন্থগুলি হল-প্রথমা, সম্রাট, ফেরারী ফৌজ, সাগর থেকে ফেরা, কখনো মেঘ, হরিণ

 চিতা চিল, অথবা কিন্নর, নদীর নিকটে এবং নতুন কবিতা।


সম্মান ও স্বীকৃতি:

সাগর থেকে ফেরা কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে অকাদেমি পুরস্কার এবং ১৯৫৮

 খ্রিস্টাব্দে 'রণীর পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া 'পদ্মশ্রী' ও 'দেশিকোত্তম' উপাধিও লাভ করেছেন

 তিনি। জীবনাবসান: ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ মে প্রেমে মিত্রের জীবনাবসান হয়।


 উৎস

প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা 'নিরুদ্দেশ' ছোটোগল্পটি ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত 'সামনে চড়াই, গল্প

 সংকলনে প্রথম প্রকাশিত হয়।


বিষয়সংক্ষেপ:

খবরের কাগজে নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের দিকে ইঙ্গিত করে গল্পকথক তার বন্ধু সোমেশকে

 বোঝাতে চান যে, বিজ্ঞাপন অধিকাংশ সময়েই অর্থহীন হয়  পড়ে এবং নিরুদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি

 ঠিকঠাকই ফিরে আসে। তখন সোমেশ এই ফিরে আসা নিয়ে এক ভয়ানক ট্র্যাজেডির

 কাহিনি শোনান কথককে।

অনেক বছর আগে সংবাদপত্রে দিনের পর দিন একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হতে থাকে, যাতে

 শোভন নামে একটি ছেলে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ায় তার প্রতি ফিরে আসার কাতর আবেদন

 জানানো হয়। তারপর বিজ্ঞাপন বের হতে থাকে। একদিন হঠাৎ সেই কাতর আবেদন

 কাগজে প্রকাশিত হয়। এভাবে চলতে চলতে একসময় এই বিজ্ঞাপন বন্দ হয়ে যায়। তারপর

 প্রায় দু- বছর পর একদিন শোভন হঠাৎই বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু পুরোনো নায়েবমশাই

 তাকে চিনতে পারেন না। তাকে বাইরের বাড়িতে বসতে বলে, ভিতরে ঢুকতে দেন না।

 এরপর ছবি মিলিয়ে সে আসল শোভন কিনা তার পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু মিল খুঁজে পাওয়া

 গেলেও শোভনকে ভিতরে যেতে দেওয়া হয় না, বরং চলে যেতে বলা হয়। শোভন উদ্‌ভ্রান্তের

 মতো তার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাকে বলা হয়, তাঁদের কাছে খবর আছে সাত

 দিন আগে শোভন মারা গেছে। এই কথাবার্তার মধ্যেই শোভনের বৃদ্ধ বাবা সেখান দিয়ে যান

 শোভন ছুটে তাঁর কাছে গেলেও তিনি তাকে চিনতে পারেন না। নায়েবমশাই তাকে জানান

 যে তৃতীয়বার নিজেকে শোভন হিসেবে দাবি জানাতে লোক এসেছে। বৃদ্ধ বাবা কিছু না বলে

 শোভনকে চলে যেতে  বলেন। শোভন বুঝে উঠতে পারছে না কি করবে। যখন নায়েবমশাই

 কিছু টাকার নোট তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলেন যে গৃহকর্ত্রী মৃত্যুশয্যায়, ছেলের মৃত্যুসংবাদ

 তিনি পাননি। তিনি ছেলেকে দেখার আশা করে আছেন। তাই তাকেই সেই হারিয়ে যাওয়া

 ছেলে হয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হতে হবে।সোমেশের গল্প এখানেই শেষ হয়। গল্পকথক

 সোমেশের কানের কাছে শোভনের মতোই একটা জরুল রয়েছে এ কথা জানালে সোমেশ

 জানান এই সাদৃশ্যের জন্যই তাঁর পক্ষে গল্প বানানো সহজ হল। গল্পকথক অবশ্য তাঁর এই

 গল্প বানানোর কথাটি বিশ্বাস করতে পারেন না।


নামকরণ:

প্রেমেন্দ্র মিত্রের 'নিরুদ্দেশ' গল্পটি বিষয়ভিত্তিক নামকরণ  হলেও তা শেষপর্যন্ত ব্যঞ্জনাধর্মী

 হয়ে উঠেছে। গল্পের প্রথম অংশে কথক কাগজে প্রকাশিত নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে

 নির্দিষ্ট ঘটনা উল্লেখ করে বোঝাতে চান যে, নিরুদ্দেশ আসলে ঘটে অভিমানের কারণে।

 অভিমান মিটলেই নিরুদ্দেশাক ঘরে ফিরে আসে। কিন্তু এই গল্পে সোমেশের সংসারের প্রতি

 আকর্ষণ ছিল না। তার জীবন দিয়ে সে নিরুদ্দিষ্টের ট্র্যাজেডি বুঝতে পেরেছে, শোভন

 নিরুদ্দিষ্ট হওয়ার পরে কাগজে নানাভাবে অসংখ্য বিজ্ঞাপন বেরোয়। দু-বছর চলার পরে

 বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যায়। তখনই কৌতূহলী শোভন বাড়ি ফেরে। কিন্তু ট্র্যাজেডি হল তখন

 কেউ তাকে চিনতে পারে না। শোভনের ট্র্যাজেডি ঘনীভূত হয়, যখন নায়েবমশাই শোভনকে

 টাকা দিয়ে বলেন যে মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের কাছে শোভনকেই শোভনের ভূমিকায় অভিনয়

 করতে হবে। মিথ্যা এভাবে সত্যের জায়গা দখল করে নেয়। প্রকৃত শোভন চিরকালের জন্য

 বর্তমানে থেকেও নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।তাই গল্পের নামকরণ ‘নিরুদ্দেশ' অত্যন্ত সার্থক হয়ে

 উঠেছে।


ঘ) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১)'নিরুদ্দেশ' গল্পটির লেখক হলেন-

ক) প্রেমেন্দ্র মিত্র 

খ) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

গ)নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

ঘ) তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়

উত্তর (ক) প্রেমেন্দ্র মিত্র


২)দিনটা ছিল-

ক) ভারী ঠান্ডা 

খ) ভারী গরম 

গ) ভারী রৌদ্রক রোজ্জ্বল 

ঘ) ভারী বিশ্রী

উত্তর (ঘ) ভারী বিশ্রী 


৩)'নিরুদ্দেশ' গল্পে বলা হয়েছে- 

ক) শীত ঋতুর কথা

খ) বসন্ত ঋতুর কথা 

গ) বর্ষা ঋতুর কথা

(ঘ) শরৎ ঋতুর কথা

উত্তর:(ক) শীত ঋতুর কথা 


৪ )শোভনের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন-

ক) জমিদার 

খ) স্বাধীনতা সংগ্রামী

গ) কৃষিজীবী

ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর:(ক) জমিদার 


৫)লেখকের বাড়িতে হঠাৎ দুপুরে এসে উপস্থিত হয়েছিল-

ক) মহেশ

খ) সোমেশ 

গ) রমেশ

ঘ)সুরেশ

উত্তর:(খ) সোমেশ


৬)'নিরুদ্দেশ' গল্পে কথক হল-

ক)রমেশ 

খ)সুরেশ

গ)বীরেশ 

ঘ)সোমেশ

উত্তর:(ঘ)সোমেশ


৭)একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছ?'- আশ্চর্য ব্যাপারটি হল- 

ক) খবরের কাগজে একসঙ্গে সাত-সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন

খ) খবরের কাগজের বেশিরভাগ পাতা বিজ্ঞাপনে ভর্তি 

গ) খবরের কাগজে সেদিন কোনো নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন ছিল না 

ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর(ক) খবরের কাগজে একসঙ্গে সাত সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন।


৮) শোভনকে আমি জানতাম-কথাটি বলেছেন-

ক) লেখক 

খ) শোভনের বাবা 

গ) শোভনের মা 

ঘ)সোমেশ

উত্তর:(ঘ) সোমেশ


৯)এ অশান্তির চেয়ে বনবাস ভালো।' বলে বাবা বেরিয়ে পড়ে-

ক) বাজারে 

খ) কর্মস্থলে 

গ) স্টেশনের দিকে 

ঘ) কাগজের অফিসে 

উত্তর:(ঘ) কাগজের অফিসে 


১০) আমরা কি এতদিন রাম যাত্রা বার করেছি-উক্তিটি বক্তা হলেন-

ক) খবরের কাগজের অফিসের লোক 

খ) সোমেশের বাবা 

গ) লেখক 

ঘ) খাজাঞ্চি মশাই 

উত্তর (ক) খবরের কাগজের অফিসের লোক 


১১) সাধারণ একটি বিজ্ঞপ্তি মাত্র- বিজ্ঞপ্তি ছিল-

ক) সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার পাওয়া যাবে 

খ) পুরস্কারের পরিমাণ বাড়বে 

গ) পুরস্কার পাওয়া যাবে 

ঘ) পরিচয় চিহ্ন ঘাড়ের দিকে একটা জড়ুল

উত্তর:(ক) সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার পাওয়া যাবে 


১২) নায়েবমশায় হতাশভাবে হাতের ভঙ্গি করে বললেন-নায়েবমশাই হতাশ ভাবে বললেন-

ক) শোভনের মা মৃত্যুশয্যায় 

খ) সাত দিন আগে শোভন মারা গেছে 

গ) বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে 

ঘ) শোভনের বাবা বাড়িতে নেই 

উত্তর:(খ) সাত দিন আগে শোভন মারা গেছে 


১৩)'কেমন করে মারা গেল?' নায়ক মশাই বললেন-

ক) অসুস্থ হয়ে 

খ) গুলিবিদ্ধ হয়ে 

গ) পাহাড় থেকে পড়ে 

ঘ) রাস্তায় গাড়ি চাপা পড়ে 

উত্তর:(ঘ) রাস্তায় গাড়ি চাপা পড়ে 


ঙ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ)২০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১)'দিনটা ভারী বিশ্রী।'-দিনটা 'বিশ্রী' কেন?

 উত্তর: প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত 'নিরুদ্দেশ,গল্পে- শীতের দিন হলেও বাদলার কারণে আকাশ

 মেঘাচ্ছন্ন এবং পৃথিবী স্নান হয়ে উঠেছে। তাই দিনটা এত বিশ্রী।


২)সোমেশ হঠাৎ এসে পড়ায় কথকের কী সুবিধা হয়েছিল?

 উত্তর: প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত নিরুদ্দেশ গল্পে- সোমেশ হঠাৎ এসে পড়ায় কথকের দুপুর

 কাটানোর সুবিধা হয়েছিল।


৩)একটা আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছ?-আশ্চর্য ব্যাপার টি কী ছিল?

উত্তর: আশ্চর্য বিষয়টি ছিল খবরের কাগজে একসঙ্গে সাত- সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন

 বেরোনো।


৪) কাগজে সাতটি বিজ্ঞাপনের কথা শুনে সোমেশের প্রতিক্রিয়া কী ছিল ?

উত্তর: বিজ্ঞাপনের কথা শুনে সোমেশ কোনো কৌতূহল না দেখিয়ে অন্যমনস্কভাবে

 সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে থাকেন।


৫)'নিরুদ্দেশ' গল্পে ছেলের পীড়াপিড়িতে মা কী করেছিলেন?

উত্তর:নিরুদ্দেশ গল্পে ছেলের পীড়াপিড়িতে মা লুকোনো পুঁজি থেকে টাকা বের করে তাকে

 দিয়েছিলেন।


৬) নিরুদ্দেশ গল্পে বাবা তাঁর থিয়েটার দেখতে যাওয়া ছেলে ফিরলে কী করবেন বলেছেন?

উত্তর: 'নিরুদ্দেশ' গল্পে বাবা তাঁর থিয়েটার দেখে ফেরা ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন

 বলেছেন।


৭)ছেলে নিরুদ্দেশে চলে যাওয়ার পরে মা-র কী অবস্থা হয়?

উত্তর:ছেলে নিরুদ্দেশে চলে যাওয়ার পরে মা খাওয়া বন্ধ করে দেন এবং বিছানা থেকে ওঠেন

 না।


৮) “সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফিরে এসে দেখেন অবস্থা গুরুতর।"-এই গুরুতর অবস্থাটি কী ছিল?

উত্তর: ছেলের নিরুদ্দেশের কারণে মা শয্যা ছাড়বেন না পণ করেছিলেন। ছেলে ফেরেনি তাই

 অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠেছিল।



৯) বাবা ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য কী করতে গিয়েছিলেন? 

উত্তর: বাবা ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে গিয়েছিলেন।


১০)নিরুদ্দেশ-এর বিজ্ঞাপনে বাবা কী লিখতে চেয়েছিলেন?

উত্তর: নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনে বাবা ছেলেকে ফিরে আসার আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন।


১১)“পুরোনো খবরের কাগজের ফাইল যদি উলটে দেখো..-কী দেখা যাবে?


উত্তর:পুরোনো খবরের কাগজের ফাইল ওলটালে দেখা যাবে দিনের পর দিন একটি

 বিশেষনিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে।


১২) “মনে হয় ছাপার লেখায় সত্যি যেন কান পাতলে কাতর আর্তনাদ শোনা যাবে।”- এই

 আর্তনাদ কীসের জন্য ছিল?

উত্তর:এই আর্তনাদ ছিল পালিয়ে যাওয়া ছেলে ফিরে আসার জন্য মায়ের কাতর আবেদন।


 চ। ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩


১) “ছেলে বিশাল পৃথিবীতে নিরুদ্দেশ যাত্রায় বেরিয়ে পড়ে।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত 'নিরুদ্দেশ' গল্পে গভীর রাতে বাড়ি ফেরায় বাবা ছেলের উপরে

 প্রচুর রেগে যায়। আগের বছর ফেল করা ছেলের যে এবছরও ভালো কিছু করা সম্ভব নয়,তা

 তিনি বেশ বুঝতে পারেন এবং অর্থের অপচয় করা ছেলেকে বের করে দেওয়ার কথাও

 বলেন। এই সময়েই ছেলে বাড়ি ঢুকলে বাবা নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে  তাকে

 বেরিয়ে যেতে বলেন, ছেলেও তক্ষুণি বাবার কথায় নিরুদ্দেশ যাত্রা করে।


২)“এ অশান্তির চেয়ে বনবাস ভালো।”-কে কখন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে?

উত্তর:প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত 'নিরুদ্দেশ' গল্পে মন্তব্যটি করেছিলেন নিরুদ্দেশ ছেলেটির বাবা।

 বেশি রাত করে বাড়ি ফেরায় ছেলেকে বেরিয়ে যেতে বলাতে ছেলেও তক্ষুণি গৃহত্যাগ করে।

 কিন্তু পুত্রশোকে মা খাওয়া বন্ধ করে দেন। পরদিন সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফিরে বাবা

 দেখেন যে তিনি শয্যা থেকে উঠবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।এই ঘটনা দেখে ছেলেটির

 বাবা এমন মন্তব্য করেন।


৩)“আমরা কি এতদিন রামযাত্রা বার করেছি।”-কে কেন মন্তব্যটি করেছে?

উত্তর:প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত 'নিরুদ্দেশ' গল্পে ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে মা

 খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেন এবং অসুস্থ হওয়ায় বিছানা নেন। মন খারাপ করে বাবা খবরের

 কাগজের অফিসে গিয়ে হাজির হন এবং সেখানে এক কর্মী ভদ্র লোককে জানান যে তিনি

 তাঁদের কাগজে একটা খবর বের করতে চান। ভদ্রলোকটি ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন যে তাঁদের

 খবরগুলো ছেলেটির বাবার পছন্দ হচ্ছে না বলেই তিনি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।


৪) “এই বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক সত্যকার ট্র্যাজিডি থাকে।”-মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর:প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত 'নিরুদ্দেশ' গল্পে কথক খবরের কাগজের নিরুদ্দেশের

 বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গে বলেন যে, নিরুদ্দেশরা অনেক সময়ই হঠাৎ কোনো কারণে বাড়ি

 ছাড়ে,তারপরে কিছুদিন বাদে বাড়ি ফিরেও আসে। কিন্তু বন্ধু সোমেশের মনে হয় বিষয়টি

 এত সহজ নয়। বহু নিরুদ্দেশের পিছনেই থাকে মৃত্যুর মতো হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা।সে সব

 ক্ষেত্রে ফিরে আসা সম্ভব হয় না।


ছ। বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর ১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।

১) “অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসই এই"।- বিজ্ঞাপনের কোন ইতিহাসের কথা

 এখানে বলা হয়েছে নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর:প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘নিরুদ্দেশ' গল্পে শীতের এক বাদলা দিনে দুপুরবেলা খবরের কাগজে

 প্রকাশিত নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের দিকে তাকিয়ে কথক নিরুদ্দেশের পিছনের ঘটনাকে

 নিজের মতো করে প্রকাশ করতে চেয়েছেন।

একটি ছেলে সম্ভবত থিয়েটার দেখার জন্য মাঝেমধ্যেই বেশি রাত করে বাড়ি ফেরায় তার

 বাবা খুব রেগে যান।আগের বছরে ফেল করা ছেলে যে এবারেও কিছু করতে পারবে না বাবা

 তা বুঝতে পারেন। ছেলে যে তাঁর অর্থের অপচয় করছে, রেগে গিয়ে সেটাও বলেন তিনি।

 তিনি ছেলেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এসময়েই ছেলের প্রবেশ ঘটে। রাগ

 চেপে রাখতে না পেরে ছেলেকে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি এবং ছেলেও তক্ষুণি বেরিয়ে যায়।

 ছেলে চলে যাওয়ার পরে মা খাওয়ার সময়ে রাগারাগি করার জন্য ছেলের বাবার কাছে

 অভিযোগ করেন। বাবাও ছেলের এই অবস্থার জন্য মাকেই দায়ী করেন। এরকম একটা

 পরিস্থিতির মধ্যে মা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন।পরদিন অফিস থেকে ফিরে তাঁকে

 বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি চলে যান খবরের

 কাগজের অফিসে। বিজ্ঞাপনে ছেলের নাম, পরিচয় দিয়ে তাকে ফিরে আসার অনুরোধ

 জানানো হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে বাবা দেখেন বিজ্ঞাপন বেরোনোর আগেই ছেলে এসে হাজির

 হয়েছে। তবে পাকাপাকি থাকার জন্য নয়,কয়েকটা বই নেওয়ার জন্য। এবারে ছেলেকে

 পেয়ে বাবা ও মার ভূমিকা অদ্ভুতভাবে পালটে যায়। মা ছেলেকে সামান্য বকুনির জন্য 

 তাকে ‘কুলাঙ্গার' বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে কিন্তু বাবা তাঁকে বকাবকি করতে

 নিষেধ করেন। অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসই এই বলে কথক মন্তব্য

 করেছেন।


২)"সকলের দৃষ্টিতে অবিশ্বাস।”-কাদের কথা বলা হয়েছে?এই অবিশ্বাসের কারণ আলোচনা

 করো।

উত্তর:প্রেমেন্দ্র মিত্রের রচিত 'নিরুদ্দেশ' গল্পেরশোভনের বাড়ির নায়েবমশাই

অন্যান্যকর্মচারীদের কথা বলা হয়েছে।

শোভন নিরুদ্দেশ হয়েছিল দু-বছর আগে। কাগজে মা-বাবার কাতর আবেদনেও সে সাড়া

 দেয়নি। পুরস্কার ঘোষণার পরেই নানান জনের কাছ থেকে সাড়া আসতে শুরু করে। কিন্তু

 সত্যিকারের শোভন ফিরে আসার পরেও তাকে পুরস্কার প্রত্যাশীদেরই আর-একজন বলে

 বাড়ির কর্মচারীরা মনে করে। সেই কারণে তার বাবার বাড়িতে বসার ব্যবস্থা করা হয়। শোভন

 জোর করে বাড়ির ভেতরে যেতে চাইলে তাকে স্পষ্টই বলা হয়-“মিছিমিছি কেলেঙ্কারি করে

 লাভ নেই। তাতে ফল হবে না কিছু।” এমনকি শোভন তার ছোটোবেলার ফোটো দেখে

 চিনতে পারলেও তার বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয় না। নায়েবমশাই ছবির সঙ্গে শোভনের কিছু

 মিল পেলেও তাকে মনে করিয়ে দেন যে, আগে আরও দুজনের সঙ্গে এই মিল ছিল, এমনকি

 জড়ুল পর্যন্ত। কিন্তু শুধু পুরস্কার প্রত্যাশীদের ভিড়, আর শোভনের দীর্ঘ অনুপস্থিতিই সবার

 মনে এই অবিশ্বাসকে তৈরি করেনি, ইতিমধ্যে পাওয়া শোভনের মৃত্যুসংবাদও এই

 অবিশ্বাসের বড়ো কারণ। খবর এসেছে যে সাতদিন আগে গাড়ি চাপা পড়ে শোভন মারা

 গিয়েছে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং হাসপাতালসূত্রে এই ধারণা সমর্থিতও হয়েছে। এই

 কারণে শোভন বাড়ি ফিরে এলেও কেউ তাকে বিশ্বাস করতে চায়নি।



CONTENTS:

আরো পড়ুন:

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here

হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here


Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1 Click Here

Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here


All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here

All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here


Autumn poem Lesson 3 Part 1 Click Here


A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here

A Day in the zoo Lesson 4 part 2 Click Here


All Summer in a Day Lesson 5 part 1 Click Here

The price of bananas part 1 click Here 

The price of bananas part 2 click Here 


আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

আমরা কবিতা প্রশ্ন উত্তর click Here 

খেয়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

























Post a Comment

0 Comments