মাসি পিসি কবিতার প্রশ্ন উত্তর ও সারাংশ।class 8 মাসি পিসি কবিতা।

 

মাসি পিসি কবিতার সারাংশ। মাসি পিসি কবিতার উৎস। মাসি পিসি কবিতা জয় গোস্বামী। মাসি পিসি কবিতা প্রশ্ন উত্তর class 8। মাসি পিসি কবিতা।



                                            মাসিপিসি

                                                                    জয় গোস্বামী


সূচিপত্র:

ক।কবি পরিচিত 

খ। উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে-কলমে সমাধান


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

 ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

 আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক) কবি পরিচিতি: 

বিখ্যাত কবি জয় গোস্বামী ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ধীরানন্দ

গোস্বামী এবং মায়ের নাম সবিতা গোস্বামী। তাঁর  শিক্ষা একাদশ শ্রেণির বেশি হয়নি। সেই

 সময়েই 'দেশ'পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের পর তাঁর খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। জয় গোস্বামীর

 প্রথম কবিতার বই “ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ'। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হল-

 অসমাপ্তপাণ্ডুলিপি,ঝাউপাতা, 'দাদাভাইদের পাড়া,পাখি, 'পাগলী তোমার সঙ্গেল,পাকার

 পোশাক, রৌ ছায়ার সংকলন 'শুভেচ্ছা সব গাছ,সবার পারা,হরিশের জন্য একক ,পোড়া ছাই

 প্রভৃতি। ছেলেবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি আকর্ষণ তাঁর অন্তরে কবিতার জন্ম দেয়। জয়

 গোস্বামী পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির অনীতা সুনীল বসু পুরস্কার,আনন্দ পুরস্কার'

 (১৯৮৯), "সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (২০০০) প্রভৃতি সম্মান লাভ করেছেন।


 উৎস:

কবি জয় গোস্বামী রচিত মাসিপিসি' কবিতাটি তাঁর 'পাগলী তোমার সঙ্গে, কাব্যগ্রন্থ থেকে

 নেওয়া হয়েছে।


সারসংক্ষেপ: 

কবি জয় গোস্বামী ছেলে ভুলানো ছড়ার চরিত্র নিয়ে তাঁর মাসিপিসি' কবিতাটি রচনা

 করেছেন। তিনি সমাজের নিম্নবর্ণীয়, দরিদ্র, ও কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের

 জীবন কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছেন।কবিতার সমাজের নিম্নবর্ণের নারীদের স্বপ্নের ছবি আঁকা

 হয়েছে। রাত ফুরিয়ে ভোর হওয়ার আগে ঘুমপাড়ানি মাসিপিসিরা ঘুম থেকে উঠে পড়েন।

 তখনও শুকতারা ছাদের ধারে থাকে, আর চাঁদ যেন চেনা তালগাছের কাছে এসে থমকে

 যায়। তারপর তারা তাঁদের গতরাতের বাসি কাপড়-চোপড় কাচতে বসে যায়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা-

বসন্তে তাদের এই দৃশ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। ভোরবেলার শিশির ধোঁয়া পথ ধরে তারা

 রেলস্টেশনে পৌঁছে যান। সেখানে তাঁরা  রেল বাজারের হোমগার্ডের ঝামেলা ও নানান

 সমস্যায় পড়েন। এইসব বাধা কাটিয়ে তাঁরা লালগোলা কিংবা বনগাঁ লোকালে চালের বস্তা বা

 পোঁটলাপুঁটলি তুলে দেয়।পরিবারের সকলের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার একমাত্র অবলম্বন

 তাঁরা নিজেরাই। তাঁদের সেই সামান্য রোজগারেই সংসার চলে। সমাজে নানা উৎসব,

 আনন্দের মুহূর্ত আসে কিন্তু তারা ভাগীদার মাসিপিসিরা হতে পারেন না।

পরবর্তী অংশে সেই মাসিপিসিরা বাস্তবের আঘাতে বিপন্ন এবং জীবনসংগ্রামের নারীদের

 জীবনচিত্র অঙ্কনের পাশাপাশি কবি তাঁদের হার না মানা মনোভাবের কাহিনি রচনা

 করেছেন।


নামকরণ:

যে-কোনো সাহিত্যসৃষ্টির ক্ষেত্রে নামকরণের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে। নামকরণের মধ্য

 দিয়েই কবি তাঁর কাব্যের বিষয়বস্তু সম্বন্ধে আগাম ধারণা দিয়ে থাকেন। আলোচ্য কবিতায়

 শ্রমজীবী নারীদের কঠিন জীবনসংগ্রামের কাহিনি ফুটে উঠেছে। তাঁদের জীবনে কোনো

 সুখের স্বপ্ন নেই। ভোররাত থেকেই তাঁদের কর্মব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। সূর্য ওঠার আগেই

 তাঁরা ঘুম থেকে উঠে পরনের বাসি কাপড় কেচে ফেলে। তারপর জীবনধারণের তাগিদে

 শিশির ভেজা পথে হেঁটে তাঁদের চলা শুরু হয়। তাদের কোলে- থাকে চালের ভারী বস্তা। এ

 চলার কোনো বিরাম নেই। সংসারের মুখের দিকে তাকিয়ে শত ঝামেলা

ঝঞ্ঝাট,অত্যাচার,লাঞ্ছনা সহ্য করেই তাঁদের  সংগ্রাম চলতে থাকে। চারপাশের জীবনে নানা

 উৎসব-অনুষ্ঠানের সামান্য প্রভাব টুকুও তাঁদের জীবনে নেই। তাঁদের সেই কঠিন

 জীবনযাপনের ছবি এই কবিতায় ফুটে উঠেছে। মাসিপিসি বলতে আমরা কাছের মানুষকেই

 জানি। কবিতায় যাদের কথা বলা হয়েছে তাঁরাও আমাদের চেনা মানুষ। ছোটোবেলা থেকেই

 ছেলেভুলানো ছড়ায় এই মাসিপিসিদের দেখেছি আমরা। তাই বলা যায় ‘মাসিপিসি'

 নামকরণটি যথার্থ ও সার্থক হয়েছে।


হাতে কলমে সমাধান: 

১) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


১.১) জয় গোস্বামীর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর: জয় গোস্বামীর লেখা দুটি কবিতা বই এর নাম -প্রত্নজীব, এবং বজ্রবিদ্যুৎ ভর্তি খাতা।


১.২) জয় গোস্বামীর লেখা একটি উপন্যাসের নাম লেখো।

উত্তর: জয় গোস্বামীর লেখা একটি উপন্যাস হলো- 'সেই সব শেয়ালেরা,।


২)নীচের প্রশ্নগুলির অতি-সংক্ষেপে উত্তর দাও।

২.১) “অনেকগুলো পেট বাড়িতে..-"'পেট'-এর আভিধানিক অর্থ কী?এখানে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর:জয় গোস্বামী রচিত ‘মাসিপিসি' কবিতা থেকে আলোচ্য অংশটিতে ‘পেট’ শব্দটির

 আভিধানিক অর্থ হল ‘উদর’।ব্যবহৃত অর্থ-'মাসিপিসি' কবিতায় ‘পেট' শব্দটি ‘সংসারের

 সদস্য' অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।


২.২)“সাত ঝামেলা জোটায়”—এখানে ‘সাত' শব্দটির ব্যবহারের কারণ কী?

 উত্তর: জয় গোস্বামী রচিত ‘মাসিপিসি’ কবিতায় ‘সাত' শব্দটি 'বহু' বা 'নানান' অর্থে ব্যবহৃত

 হয়েছে। রেলবাজারে হোমগার্ডদের তৈরি করা নানান ঝামেলার কথা বোঝাতেই ‘সাত' শব্দটি

 কবি ব্যবহার করেছেন।


২.৩) 'মাহিনা' শব্দটি কবিতায় কী অর্থে ব্যবহৃত? শব্দটির অন্য কোন্ অর্থ তোমার জানা আছে?

উত্তর: কবি জয় গোস্বামীর ‘মাসিপিসি' কবিতায় ‘মাহিনা’ শব্দটি ‘মাস’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

*'মাহিনা' শব্দটি ফরাসি ‘মাহিয়ানা' শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘মাসিক বেতন'।


২.৪) কোন শব্দ থেকে এবং কী করে ‘জষ্টি' শব্দটি এসেছে?

 উত্তর: কবি জয় গোস্বামীর রচিত ‘মাসিপিসি' কবিতায় ‘জষ্টি’ শব্দটি ‘জ্যৈষ্ঠ’শব্দ থেকে

 এসেছে। ধ্বনি পরিবর্তনের সূত্র অনুযায়ী শব্দটি এসেছে।


৩) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখো।

৩.১) “শুকতারাটি ছাদের ধারে, চাঁদ থামে তালগাছে”–এই পঙক্তিটির মাধ্যমে দিনের কোন

 সময়ের কথা বলা হয়েছে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। 


 উত্তর: কবি জয় গোস্বামী রচিত 'মাসিপিসি' কবিতায়, ভোরের আলো ফোটার সময়ের কথা

 বলা হয়েছে।

**ভোরের আকাশে শুকতারার আবির্ভাব ঘটে। অন্যদিকে চাঁদ তালগাছে থেমে যাওয়া অর্থাৎ

 বিদায় নেওয়ার মধ্য দিয়েও ভোরের ছবি ফুটে ওঠে। এই দুই ঘটনার মধ্য দিয়ে কবি ভোরের

 কথাই বলতে চেয়েছেন।


৩.২) “দু এক ফোঁটা শিশির তাকায় ঘাসের থেকে ঘাসে”–এই পঙ্ক্তিটিতে যে ছবিটি ফুটে

 উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: জয় গোস্বামী রচিত 'মাসিপিসি' কবিতায় শীতের ভোরে শিশির-ভেজা ঘাসের দৃশ্য

বর্ণিত হয়েছে।

** ঘাসের মাথায় শিশির জমেছে। কিছুক্ষণ পরে ভোরের এই শিশির, রোদ উঠলেই হারিয়ে

 যাবে। ততক্ষণে মাসিপিসিরা চালের বস্তা নিয়ে অনেক দূরে চলে যায়। রাত থাকতে

 মাসিপিসিরা ঘুম থেকে উঠে ঘরের সব কাজ সেরে বাইরের কাজে বেরোন, মাঠের শিশির

 যেন সেই ঘটনারই সাক্ষী হয়ে থাকে।


৩.৩) “সাল মাহিনার হিসেব তো নেই”—সাল মাহিনার হিসেব নেই কেন?

উত্তর: কবি জয় গোস্বামী রচিত 'মাসিপিসি' কবিতায় লালগোলা কিংবা বনগাঁ লোকালে

 বস্তাভরতি চাল তুলতে আসা মহিলাদের সাল মাহিনার হিসাব থাকে না। এই হিসাব না থাকার

 মধ্য দিয়ে কবি তাঁদের প্রতিদিনের কঠোর পরিশ্রমের কাজের ধারাকেই বোঝাতে চেয়েছেন।

 তাঁদের কোনো ছুটি নেই। প্রতিদিন একই কাজে তাদের কোন আনন্দ নেই।অর্থ উপার্জন

 শ্রমজীবী, দরিদ্র- এই নারীরা পরিবারের সব কাজ সেরে বারো মাস দিন রাত ফুরিয়ে ভোর

 হওয়ার আগেই অর্থ উপার্জনের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। তাঁদের কাছে 'সাল' বা

 'মাসের কোনো হিসাব থাকে না।


৪ ) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।

৪.১)“শতবর্ষ এগিয়ে আসে – শতবর্ষ যায়”-এই পক্তিটির মধ্য দিয়ে কৰি কী বলতে চেয়েছেন আলোচনা করো।

উত্তর:কবি জয় গোস্বামী রচিত 'মাসিপিসি' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।শতবর্ষের এগিয়ে

 আসার মধ্য দিয়ে কবি মাসিপিসিদের গতানুগতিক জীবনের চিত্রটি কবিতায় তুলে ধরেছেন।

 সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সমাজের নানান ক্ষেত্রে দুর্বার গতিতে উন্নতি ঘটছে। কৃষির

 ক্ষেত্রে, শিল্পের ক্ষেত্রে, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে,পরিবহণের ক্ষেত্রে, বিজ্ঞান বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে

 উন্নতি ঘটলেও সমাজের সব মানুষই তার সুফল লাভ করতে পারছে না। সেই উন্নতি আর

 অগ্রগতি কেবল ধনী ও শিক্ষিত মানুষকে  আরও উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছে।জীবনসংগ্রামে

 টিকে থাকা শ্রমজীবী, নিপীড়িত মানুষের জীবনের ছবি কোনো বিশেষ ঘটনায় শতবর্ষ

 পূর্তিতে বদলায় না।জীবনসংগ্রামে টিকে থাকার জন্য তাদের দিনরাত্রি কঠোর পরিশ্রম

 করতেই হয়।


৪.২ 'মাসিপিসি' কবিতায় এই মাসিপিসি কারা? তাঁদের জীবনের কোন্ ছবি এই কবিতায় তুমি

 খুঁজে পাও?

উত্তর: কবি জয় গোস্বামীর রচিত 'মাসিপিসি' কবিতায় মাসিপিসি হলেন- দরিদ্র, শ্রমজীবী

 মহিলারা। তাঁরা সংসার চালানোর তাগিদে কাক ভোরে বনগাঁ বা লালগোলার মতো বিভিন্ন

 ট্রেনগুলোতে চালের বস্তা তুলে দেন।

** আলোচ্য কবিতায় কঠোর জীবনসংগ্রামী মাসিপিসিদের জীবনের ছবি আঁকা হয়েছে।

 রাতের অন্ধকার দূর হয়ে ভোরের আলো ফুটে ওঠার আগেই তাঁরা ঘুম থেকে উঠে পড়েন।

 শুকতারা যখন ছাদের ধারে এসে থমকে দাঁড়ায়, তালগাছের আড়ালে যখন চাঁদ থেমে যায়

 অর্থাৎ ভোর হওয়ার কিছু আগে তাঁরা ঘুম থেকে উঠে পড়ে। তারপর তাঁরা গতরাতের পরে

 থাকা কাপড়চোপড় কাচতে যায়। এইভাবে নিজের হাতে পরিবারের কাজ সামলে যান

 রেলস্টেশনের দিকে। কোলে-কাঁখের পোঁটলাপুঁটলিতে ও বস্তায় থাকে চাল।পরিবারের

 অনেকগুলি মানুষ তাঁদের রোজগারের ওপরই নির্ভরশীল। সামান্য রোজগারের জন্য তাঁদের

 এত পরিশ্রম করতে হয়। দুঃসহ পরিশ্রমের পাশাপাশি চলে পুলিশি নজরদারি।

 রেলস্টেশনগুলিতে  হোমগার্ডদের নানান ঝামেলা তাঁদের পোহাতে হয়। সামাজিক উৎসব-

অনুষ্ঠান তাঁদের জীবনে কোনো আলাদা আনন্দ নিয়ে আসে না।


৪.৩) ‘মাসিপিসি' কবিতার এই মাসিপিসিদের মতো আর কাদের কথা তুমি বলতে পার যাঁদের

 ট্রেনের উপর নির্ভর করে জীবিকা অর্জন করতে হয়?

উত্তর:কবি জয় গোস্বামীর রচিত ‘মাসিপিসি' কবিতায় ট্রেনের উপরে নির্ভর করে জীবিকা

 ট্রেনে চাল,তুলতে,আসা হতদরিদ্র নারীদের দেখা মেলে। এরা ছাড়াও ট্রেনে বিচিত্র জীবিকার

 মানুষজনকে যাত্রী হিসেবে দেখা যায়।আর দেখা যায় হকারদের।তাঁরা যাত্রীদের কাছে

 বিক্রির জন্য নানান জিনিস নিয়ে ট্রেনে ওঠে।কেউ মণিহারি দ্রব্যের বিক্রেতা,কেউ ফল

 বিক্রেতা, চানাচুর-বাদাম বিক্রেতা,লজেন্স বিক্রেতা,খেলনা বিক্রেতা, কেউ-বাসংবাদপত্র

 ইত্যাদি। এঁদের মধ্যে চা বিক্রেতা বা জুতো পালিশওয়ালাদেরও দেখা যায়। এ ছাড়াও বহু

 কণ্ঠশিল্পী, জাদুশিল্পী এমনকি ভিকারীরা যাত্রীদের দিকে হাত বাড়ান।তারা নানান বিপদের

 ঝুঁকি,নানান লাঞ্ছনাতে শিকার হয়ে এইভাবেই তারা জীবিকা অর্জন করে।


৪.৪) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ওরা কাজ করে' কবিতাটি তুমি পড়ে নাও। 'মাসিপিসি' কবিতার

 সঙ্গে 'ওরা কাজ করে' কবিতার কোন্ সাদৃশ্য তোমার চোখে পড়ল তা আলোচনা করো।


উত্তর: ‘ওরা কাজ করে' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের ‘আরোগ্য' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ১০ সংখ্যক

 কবিতা। এই কবিতাটিতেও শ্রমজীবী মানুষের কথা কবি প্রকাশ করেছেন। সদ্য রোগমুক্ত

 কবি 'মাটির পৃথিবী'র দিকেচোখ মেলে জনতার কর্মমুখর কলরবই শুনতে পেয়েছেন।

 মানুষের প্রতিদিনের প্রয়োজনেযুগ-যুগান্তর ধরে তাঁরা কাজ করে চলেছেন। এঁরাই ধরে

 রেখেছেন সভ্যতার হাল, দাঁড় টেনেএগিয়ে নিয়ে চলেছেন সভ্যতাকে। মাঠে মাঠে বীজ বোনা

 থেকে শুরু করে পাকা ধান কাটারকাজে, অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের সমুদ্র-নদীর ঘাটে ঘাটে, বড়ো

 বড়ো শিল্প-বাণিজ্যকেন্দ্রে ক্ষুদ্রথেকে ভারী শিল্পের কাজে মানুষের চিরন্তন জীবনসংগ্রামের

 চিত্র কবি প্রত্যক্ষ করেছেন।পাঠ্য ‘মাসিপিসি’ কবিতাতেও শ্রমজীবী নারীদের

 জীবনসংগ্রামের ছবি ফুটে উঠেছে। তাঁদেরসেই অবিরত লড়াইয়ের মূলে যে অদম্য প্রাণশক্তি

 রয়েছে, তাকে কবি সম্মান জানিয়েছেন।সেদিক থেকে বিচার করলে ‘ওরা কাজ করে'

 কবিতার সঙ্গে ‘মাসিপিসি'কবিতারঅনেকখানি মিল দেখা যায়। এ ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের

 কবিতার ইতিহাসচেতনা ওসমাজচেতনার কথাওআমাদের পাঠ্য ‘মাসিপিসি' কবিতাতেও

 ফুটে উঠেছে।


৫) নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো।

৫.১) ফুল ছুঁয়ে যায় চোখের পাতায়, জল ছুঁয়ে যায় ঠোঁটে।(জটিল বাক্যে) 

উত্তর: ফুল যেমন ছুঁয়ে যায় চোখের পাতায় তেমনই জল ছুঁয়ে যায় ঠোঁটে।

৫.২) ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি রাত থাকতে ওঠে। (জটিল বাক্যে)

উত্তর: যখন রাত থাকে তখন ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি ওঠে। 

৫.৩) অনেকগুলো পেট বাড়িতে,একমুঠো রোজগার।

(যৌগিক বাক্যে)

উত্তর: অনেকগুলো পেট বাড়িতে কিন্তু একমুঠো রোজগার।


CONTENTS:

আরো পড়ুন:

 বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চন্দ্রগুপ্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর Click Here

বনভোজনের ব্যাপার গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

সবুজ জামা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


the wind cap lesson 1 part 1 Click Here 

the wind cap lesson 1 part 2 Click Here

the wind cap lesson 1 part 3 Click Here


Clouds Lesson 2 part 1 Click Here

Clouds Lesson 2 part 2 click Here 


একটি চড়ুই পাখির কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কার দৌড় কতদূর গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর click Here 

ঘুরে দাঁড়াও কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

মাসি পিসি কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 


Midnight Express Lesson-11 part-1 question answer Click Here 

Midnight Express lesson-11 part-2 question answer click Here 

Midnight Express Lesson-11 part-3 question answer click Here 














Post a Comment

0 Comments