ভানুসিংহের পত্রাবলী বিষয়বস্তু। ভানুসিংহের পত্রাবলী প্রশ্ন উত্তর class 7। ভানুসিংহে পত্রাবলী রবীন্দ্রনাথ। ভানুসিংহের পত্রাবলী class 7।

 

ভানুসিংহের পত্রাবলী বিষয়বস্তু। ভানুসিংহের পত্রাবলী প্রশ্ন উত্তর class 7। ভানুসিংহে পত্রাবলী রবীন্দ্রনাথ। ভানুসিংহের পত্রাবলী class 7।


                                   ভানুসিংহের পত্রাবলি

                                         রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



সূচিপত্র:

ক।কবি পরিচিতি

খ) উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে-কলমে সমাধান


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক) লেখক পরিচিতি:

১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে কবির জন্ম হয়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহর্ষি

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র। শৈশব থেকেই রবীন্দ্রনাথ কবিতা লিখতে শুরু করেন।

পরবর্তীকালে তিনি বিশ্ববিখ্যাতকবিহনএবং১৯১৩খ্রিস্টাব্দে'SongOfferings'বাগীতাঞ্জলি,গ্রন্থের

জন্য সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ' পান। বাংলা সাহিত্যেরউপন্যাস, ছোটোগল্প,নাটক,গান, প্রবন্ধ

প্রভৃতি শাখায় তিনি প্রচুর অবদান রেখেছেন। তাঁরউল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল ‘মানসী,সোনার

 তরী,চিত্রা,গীতাঞ্জলী,বলাকা' প্রভৃতি। তাঁরনাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-

'ডাকঘর,বিসর্জন,রক্তকরবী' প্রভৃতি।‘চোখের বালি, ‘ঘরেবাইরে,গোরা' প্রভৃতি হল রবীন্দ্রনাথ

ঠাকুরের স্মরণীয় উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথের শেষজীবনেআঁকা ছবিগুলি চিত্রকলার জগতে

সুখ্যাতি পায়।পড়াশোনা ও অন্যান্য শিক্ষাকে আনন্দময়করে তোলার জন্য তিনি

‘বিশ্বভারতী' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ আগস্ট এইমহান কবি মারা যান।


উৎস:

পাঠ্যাংশটি রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠিপত্রের সংকলন 'ভানুসিংহের পত্রাবলি' থেকে নেওয়া

হয়েছে।


বিষয়সংক্ষেপ: 

'ভানুসিংহের পত্রাবলি' গদ্যাংশে আছে দুটি চিঠি। প্রথম চিঠির বিষয় হল কলকাতার বৃষ্টি।

 লেখক শান্তিনিকেতনের বৃষ্টির সঙ্গে কলকাতার বৃষ্টির তুলনা করে বোঝাতে চেয়েছেন, ইট-

কাঠের এই শহরে বৃষ্টির কোনো সৌন্দর্যই নেই। শান্তিনিকেতনে বৃষ্টির সময় প্রকৃতির যে

 পরিবর্তন হয় তা তাঁর মনে গান জাগিয়ে তোলে। কিন্তু শহরের এই সংকীর্ণ স্থানে নববর্ষা

 নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পায় না। তাই শান্তিনিকেতনে বর্ষার গান মানিয়ে যায় কিন্তু

 কলকাতা শহরে বেমানান লাগে।

দ্বিতীয় চিঠিতে আত্রাই নদীর উপরে বোটে করে ভেসে চলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে।

বর্ষার ঘন মেঘ তখন আকাশকে ঢেকে রেখেছে। ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। নদী জলে

 পরিপূর্ণ এবং গ্রামের আঙিনা পর্যন্ত তার বিস্তার। এ সময়ে বৃষ্টি নামে, আবার সেই বৃষ্টিতে

 এসে লাগে সূর্যের আভা।ঠিক তখনই লেখকের মনের মধ্যে গান জেগে ওঠার পরিস্থিতি

 তৈরি হয়। দু-চোখ তখন চারপাশে তাকিয়ে থাকতে চায়। নদী আর আকাশের মাঝখানে

 রবীন্দ্রনাথের মন নিজেকে মেলে ধরার সীমা খুঁজে পায়।


নামকরণ:

নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভানুসিংহের পত্রাবলি' নামক রচনাটিতে দুটি রচনা স্থান

 পেয়েছে। দুটিই আসলে চিঠি। প্রথম চিঠিতে লেখক রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় আসার ফলে তাঁর

 তীব্র মন খারাপের কথা উল্লেখ করেছেন। এই শহরে ইট-কাঠের জঙ্গলে বৃষ্টির সৌন্দর্য ঠিক

 মতো না দেখতে পাওয়ার আক্ষেপ তাঁর চিঠিতে প্রকাশ পেয়েছে।এখানে লেখকের

 কবিমনের পরিচয় পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ দুঃখ করে লিখেছেন, বর্ষার গান শান্তিনিকেতনেই

 মানায়, সে গান কলকাতা শহরের তেমনভাবে মানায় না ।

দ্বিতীয় চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ আত্রাই নদীর উপরে বোটে করে ভেসে চলার সময়ে প্রাকৃতিক

 সৌন্দর্যকে যেভাবে উপভোগ করেছেন, তার বর্ণনা দিয়েছেন। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ,ঝোড়ো

 বাতাস আর নদীর জলের আনন্দ কবিকে মুগ্ধ করেছে।এই যাত্রাকালে তাঁর মনের মধ্যে গান

 তৈরির আবহ সৃষ্টি হয়।সম্পূর্ণ বিপরীত দু-রকম মনোভাব দুটি চিঠিতে প্রকাশিত হলেও

 মূলত রচনার দিকে তাকিয়েই 'ভানুসিংহের পত্রাবলি'  সার্থক হয়েছে।


ঙ) হাতে-কলমে সমাধান:

১) ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লিখ।


১.১)বর্ষামঙ্গল-আষাঢ়/অগ্রহায়ণ/শ্রাবণ মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তর: শ্রাবণ।


১.২) শান্তিনিকেতন-বীরভূম / বাঁকুড়া / পুরুলিয়া জেলায় অবস্থিত।

উত্তর: বীরভূম।


১.৩) কবি-আত্রাই/পদ্মা/শিলাবতী নদীর ওপর বোটে করে ভেসে চলেছেন।


উত্তর: আত্রাই।


১.৪)পৃথিবীর মনের কথাটি কবি শুনতে পান-জলের ওপর/নদীর ওপর/ মাটির ওপর।


উত্তর: নদীর ওপর।


১.৫)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি পত্রসাহিত্যের উদাহরণ হল-শেষের কবিতা/গীতাগুলি/

ছিন্নপত্র।

উত্তর:ছিন্নপত্র।


২.)সংক্ষেপে উত্তর দাও।

২.১)'কলকাতা শহরটা আমি মোটেই পছন্দ করিনে।'-কবির এই অপছন্দের কারণ কী?

উত্তর:কবি রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী।শহর কলকাতায় প্রকৃতিকে তিনি কিছুতেই খুঁজে

 পেতেন না।কলকাতায় থাকলে রবীন্দ্রনাথের মনে হত যেন ইট কাঠে তাকে একেবারে গিলে

 ফেলেছে। কলকাতা শহরের বর্ষার রূপকে করি একেবারেই পছন্দ করতেন না। কলকাতার

 বর্ষার মধ্যে বর্ষার গান, সবুজের কোনো কিছুই নেই। তাই সব মিলিয়ে কলকাতা শহরটাকে

 রবীন্দ্রনাথ একেবারেই পছন্দ করতেন না।

 

২.২)“সে গান কী কলকাতা শহরের হাটে জমবে। কোন গানের কথা বলা হয়েছে? সে গান

কলকাতার হাটে জমবে না-কবির এমন ভাবনা কেন? 

উত্তর: আলোচিত গদ্যাংশে বর্ষামঙ্গাল গানের কথা বলা হয়েছে। বর্ষা ঋতুকে স্বাগত

 জানানোর অনুষ্ঠানে যে গান গাওয়া হয়, তা-ই হল বর্ষামঙ্গল। অথচ বর্ষায় গ্রামবাংলার সর্বত্র

 যে প্রাকৃতিক শোভা দেখা যায়, কলকাতায় সেই সুন্দর রূপটিকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

 শান্তিনিকেতনের বর্ষায় তৈরি বর্ষামঙ্গল গান কলকাতার ব্যস্ত, হট্টগোলে পরিপূর্ণ জীবনে

 কতটা জনপ্রিয় হবে—সেই সংশয়ই প্রকাশ পেয়েছে কবির এই ভাবনায়।


২.৩) “তোমাদের ওখানে এতদিনে বোধহয় বর্ষা নেমেছে।”-কার উদ্দেশে কবি একথা

লিখেছেন?ওখানে' বলতে কোন জায়গার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক ফণিভূষণ অধিকারীর কিশোরী কন্যা

রাণু অধিকারীর উদ্দেশে কবি একথা লিখেছেন।

'ওখানে' বলতে শান্তিনিকেতনের কথা বলা হয়েছে।


 ২.৪) “শান্তিনিকেতনের মাঠে যখন বৃষ্টি নামে..' – তখন কবির কেমন অনুভূতি হয়?

উত্তর:শান্তিনিকেতনের মাঠে যখন বৃষ্টি নামে তখন তার ছায়ায় আকাশের আলো করুণ হয়ে

আসে, ঘাসে ঘাসে পুলক লাগে। গাছগুলো যেন ‘কথা কইতে চায়'। এই পরিবেশে সাড়া দিয়ে

কবির মনের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গান জেগে ওঠে। সেই গানই হল বর্ষামঙ্গলের গান।


২.৫)“আজ সকালেই সে পালাবে স্থির করেছে” – 'আজ' বলতে যে দিনটার কথা বলা হয়েছে

তার সাল ও তারিখ কত? 'সে' বলতে কার কথা বলা হয়েছে? সে কোথায় পালাবে এবং কেন ?

উত্তর: 'আজ' বলতে যে দিনটার কথা বলা হয়েছে সেই দিনটার তারিখ ২৯ আষাঢ়, ১৩২৯

 বঙ্গাব্দ। 'সে' বলতে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ অনুমান করেছিলেন যে 'সে' অর্থাৎ দিনেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে পালাবেন। এর

কারণ হল, শহর কলকাতার ইট-কাঠে ভরা দমবন্ধ করা পরিবেশ দিনেন্দ্রনাথের একেবারেই

ভালো লাগত না।


২৬)“সমস্তটার ওপর বাদল-সায়াহ্নের ছায়া।”—কবির চোখ দিয়ে দেখে এই ‘সমস্তটা'র বর্ণনা দাও।

উত্তর: আত্রাই নদীর ওপরে বোটে করে ঘোরার সময় কবি রবীন্দ্রনাথ বর্ষাকালের প্রকৃতিকে

 দেখছেন। দেখছেন, বর্ষার মেঘ ঘন হয়ে আকাশকে ঢেকে দিয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস

 বইছে। সেই বাতাসে নৌকা পাল তুলে দিয়েছে। খরস্রোতা আত্রাই নদী বর্ষায় খরস্রোতা

 আত্রাই নদী জলে পরিপূর্ণ। শৈবাল দলে দলে সেই স্রোতে ভেসে চলেছে। নদীর পাড়ে যে

 গ্রামগুলো দেখা যাচ্ছে সেই গ্রামের ঘরগুলোর উঠোন অবধি জল উঠেছে। গাছে ঢাকা

 গ্রামখানি গ্রামের মধ্যে রয়েছে ঘন বাঁশের ঝাড় আর আমগাছ, কাঁঠাল গাছ, তেঁতুল গাছ, কুল

গাছ, শিমুল গাছ। বোট থেকে এইসব গাছ দেখে কবির মনে হয়েছে এই গাছগুলো যেন

গ্রামটাকে ঢেকে রয়েছে।মাঝে মাঝে নদীর তীরে কাঁচা ধানের খেতে জল উঠেছে। সেই কচি

ধানগাছগুলো জলের ওপরে মাথা তুলে রয়েছে। এ ছাড়াও নদীর দুই তীরে ঘন সবুজের

সমারোহ দেখা যাচ্ছে। তারই মাঝখান দিয়ে আত্রাই নদী 'তার গেরুয়া রঙের জলধারা বয়ে

নিয়ে চলেছে অত্যন্ত ব্যস্ততার সঙ্গে। আর বৃষ্টিভেজা এই পরিবেশের ওপর সন্ধ্যার ছায়া

নামছে একটু একটু করে।


২.৭)“কলকাতায় না এলে আরো জমত।”—কী জমত?কবির কলকাতায় আসার সঙ্গে তা না

 জমে ওঠার সম্পর্ক কী?

উত্তর: কলকাতায় না এলে কবি রবীন্দ্রনাথের গানের খাতায় আরও গান জমে উঠত। কবি

 যখন শান্তিনিকেতনে থাকতেন, তখন সেখানকার প্রকৃতির সঙ্গে তিনি আন্তরিকভাবে

 একাত্ম হয়ে পড়তেন। শান্তিনিকেতনে যখন বৃষ্টি নামত তখন কবির মনে হত সেই বৃষ্টির

 ছায়ায় আকাশের আলো করুণ হয়ে আসে। এই পরিবেশে ঘাসের মধ্যেও বৃষ্টির আনন্দ

 ছড়িয়ে পড়ে। গাছগুলো যেন বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার আনন্দে শামিল হয়ে কথা বলতে চায়।

 এই সময় কবির মনেও জেগে উঠত বর্ষামঙ্গলের গান। শহর কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ

 শান্তিনিকেতনের মতো বর্ষার শোভা খুঁজে পান না। তাই তখন তাঁর মনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে

 গান জেগে ওঠে না। সেই জন্যই কবি বলেছিলেন, বর্ষাকালে কলকাতায় না এসে তিনি যদি

 শান্তিনিকেতনেই থাকতেন তাহলে তাঁর গানের খাতায় আরও বেশি গান জমে উঠত।


২.৮)“খাতার দিকে চোখ রাখবার এখন সময় নয়।”-কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?

খাতার দিকে চোখ রাখবার সময় কবির নেই কেন?

উত্তর:কবি এক বর্ষাভেজা গোধূলি বেলায় আত্রাই নদীর ওপর বোটে করে ভেসে চলেছেন।

প্রকৃতির সঙ্গে কবির মিশে যাওয়ার সেই সময়ের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ আত্রাই নদীর ওপরে বোট থেকে বর্ষায় ভেজা চারপাশের পরিবেশকে দেখছিলেন।

 বোটের ওপরে এসে কবির মনে হয়েছিল পৃথিবীর মনের কথাটি তিনি যেন শুনতে পাচ্ছেন।

 একদিকে নদী, অন্যদিকে আকাশ—এই দুইয়ের রঙে, আলোছায়ায় মেশা সৌন্দর্যকে কবি

 মুগ্ধ হয়ে দেখতে ভালোবাসতেন। তাই তিনি বোটের ওপর থেকে দুচোখ ভরে আকাশ আর

 নদীর সৌন্দর্য দেখে নিতে চাইছিলেন। সেই কারণে সেই মুহূর্তে তাঁর মন খাতার দিকে ছিল না


৩) দু-চার কথায় পরিচয় দাও: শান্তিনিকেতন, দিনু, বর্ষামঙ্গল, আত্রাই।

উত্তর: বীরভূম জেলার বোলপুরের একটি ছোটো শহর শান্তিনিকেতন।এই শান্তিনিকেতনে

 রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন ভারতের তপোবনের আদর্শে প্রথমে ব্রহ্মচর্যাশ্রম স্থাপন করেন। পরে

 ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে এটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। শান্তিনিকেতনের আগের

 নাম ছিল ভুবনডাঙা। রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথকে এই জমি উপহার দেন লর্ড

 সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিনহা।


দিলু:

রবীন্দ্রনাথের বড়ো দাদা বিজেন্দ্রনাথের পৌর হলেন দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। দিনু ঠাকুর নামেই

 তিনি বেশি পরিচিত। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে তাঁর জন্ম। পিতা

 দ্বিপেন্দ্রনাথ ঠাকুর। 'ফাল্গুনী নাটকের উৎসর্গপত্রে রবীন্দ্রনাথ তাকে আমার সকল গানের

 কান্ডারী বলে সম্মানিত করেছেন। রবীন্দ্রনাথ গানে সুর বসিয়েই সঙ্গে সঙ্গে সেই সুর

 দিনেন্দ্রনাথকে শিখিয়ে দিতেন। রবীন্দ্রসংগীতের প্রধান স্বরলিপিকার দিনেন্দ্রনাথ

 পরবর্তীকালে শান্তিনিকেতনের সংগীতভবনের অধ্যক্ষ হন। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরলোক

 গমন করেন।


বর্ষামঙ্গল: 

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ তাঁর অন্যতম প্রিয় ঋতু বর্ষাকে বরণ করে নিতেন যে উৎসবের

 মাধ্যমে, সেই অনুষ্ঠানই বর্ষামঙ্গল নামে পরিচিত। বর্ষার জল লাভেই শান্তিনিকেতনের

 লালমাটি পুষ্ট হয়ে উঠত। বর্ষাই আমাদের দেশকে শস্যশ্যামলা করে তোলে, তাই উৎসবটির

 'বর্ষামঙ্গল' নামকরণ। রবীন্দ্রনাথ নিজে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ভাদ্র তাঁর জোড়াসাঁকোর

 ঠাকুরবাড়িতে বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠানটি উদ্‌যাপন করেন। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ

 নিজেই বর্ষার কবিতা আবৃত্তি করতেন ও গান গাইতেন।


আত্রাই: 

'আত্রাই' বা আত্রেয়ী নদীটির উৎপত্তি পশ্চিমবঙ্গে হলেও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়েও এই

নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। মহাভারতেও এই প্রাচীন নদীটির উল্লেখ আছে। বাংলাদেশে এটি

পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়েছে।


 8) একটি বর্ষণমুখর দিনের অভিজ্ঞতা বিষয়ে একটি ছোটো অনুচ্ছেদ রচনা করো। 

উত্তর: গত বছর বর্ষাকালে পলাশপুরের এক ক্লাবের সঙ্গে ভাগ্যবান সংঘের ফাইনাল খেলা

 ছিল। ভোরবেলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। আকাশ মেঘলা, মাঠ ভেজা। দুপুর দুটোয় নির্দিষ্ট সময়ে

 খেলা আরম্ভ হল। ভেজা মাঠে বলের গতি খুব বেশি উঠল না। ভাগ্যবান  টিমের ফরোয়ার্ড

 রাজেন, বিমলরা বিপক্ষের জালে বল ঢোকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও গোলশূন্য থাকল।

 দ্বিতীয়ার্ধে মুষলধারায় বৃষ্টি নামল। এত বৃষ্টি যে বল ভালো করে দেখাই যাচ্ছিল না। গোলশূন্য

 ভাবে দ্বিতীয়াধটাও শেষ হল। ট্রাইব্রেকার যখন শুরু হল তখন বৃষ্টির বেগটা কমে এল।

 ট্রাইবেকারে বিপক্ষের শেষ দুটো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দিতেই আমরা চ্যাম্পিয়ন। সেই

 জল- কাদায় ভেজা জামাকাপড়েই আমরা সবাই মিলে একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে

 জয়োল্লাস করতে লাগলাম, “হিপ হিপ হুররে।” পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষ হতেই আবার

 শুরু হল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে জয়ের ট্রফি নিয়ে হইচই করতে

 করতে আমরা সন্ধের একটু আগে যে যার বাড়িতে ফিরে এলাম।


CONTENTS:

আরো পড়ুন:

ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাগলা গনেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

বঙ্গভূমির প্রতি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

একুশের কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

আত্মকথার প্রশ্ন উত্তর Click Here

খোকনের প্রথম ছবি প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন উত্তর Click Here


মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর প্রথম Part Click Here

মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় Part Click Here

স্মৃতিচিহ্ন কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

নোট বই কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

চিরদিনের কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

ভানুসিংহের পত্রাবলী প্রশ্ন উত্তর click Here 














Post a Comment

0 Comments