এক ভুতুড়ে কান্ড গল্পের প্রশ্ন উত্তর। এক ভুতুড়ে কান্ড শিবরাম চক্রবর্তী। এক ভুতুড়ে কান্ড প্রশ্ন উত্তর class 6। এক ভুতুড়ে কান্ড সারাংশ।

 

এক ভুতুড়ে কান্ড গল্পের প্রশ্ন উত্তর। এক ভুতুড়ে কান্ড শিবরাম চক্রবর্তী। এক ভুতুড়ে কান্ড প্রশ্ন উত্তর class 6। এক ভুতুড়ে কান্ড সারাংশ।

                                    এক ভূতুড়ে কান্ড 

                                                                  শিবরাম চক্রবর্তী


সূচিপত্র:

ক।কবি পরিচিতি

খ) উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে-কলমে সমাধান

e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

 ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

 আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক) লেখক পরিচিতি:

১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের মালদহ জেলার চাঁচলে জন্মগ্রহণ করেন শিবরাম চক্রবর্তী। ছাত্র অবস্থায়

 কলকাতায় আসেন এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অনুপ্রেরণায় স্বদেশি আন্দোলনে

 যোগদান করেন। তিনি ‘বিজলী, ‘যুগান্তর’ প্রভৃতি সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

 সাহিত্যচর্চাই ছিল তাঁর একমাত্র জীবিকা।তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হল- হর্ষবর্ধন,গোবর্ধন,

 ইতু, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে,‘হাসির টেক্কা,‘হর্ষবর্ধন ও গোবর্ধন,মস্কো বনাম পন্ডিচেরি,ঈশ্বর

 পৃথিবী ভালোবাসা' প্রভৃতি। তাঁর পোশাকি নাম চঞ্চল কিন্তু শিবরাম নামেই তিনি

 সাহিত্যজগতে পরিচিতি। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ২৮ আগস্ট তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।


উৎস: 

শিবরাম চক্রবর্তীর রচিত'এক ভূতুড়ে কান্ড, গল্পটি 'হিপ হিপ হুররে,গল্প সংকলন থেকে

 নেওয়া হয়েছে।


 বিষয় সংক্ষেপ:

লেখক ভূতকে কোনোদিন দেখেননি আর দেখতেও চান না। তবে অদ্ভুত এক কাণ্ড

 ঘটেছিল লেখকের জীবনে। ঘটনা ঘটেছিল রাঁচিতে।

একদিন একটা সাইকেলে চেপে লেখকযাচ্ছিলেন হুডুর দিকে। সাত মাইল মতো যাওয়ার

 পরেই সাইকেলের টায়ার গেল ফেটে।তখন সন্ধে নেমে এসেছে। নির্জন স্থান, আরও পাঁচ

 মাইল গেলে তবেই গ্রাম মিলবে। এদিকেআবার বাঘের ভয়ও আছে। কী করবেন ভেবে স্থির

 করতে পারছিলেন না লেখক। আরওআধঘণ্টা সময় কেটে গেল। আকাশে বাঁকা চাঁদ দেখা

 দিয়েছে। তবে তিনি আশাবাদী হঠাৎইদেখতে পেলেন দূর থেকে একটা লরি আসছে, লেখক

 ড্রাইভারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যটর্চটাকে ঘোরাতে লাগলেন প্রাণপণে, কিন্তু তাঁকে হতাশ

 করে লরি যেমনভাবে এসেছিল,তেমনই এগিয়ে গেল রাঁচির দিকে। আবার কিছুক্ষণ পরেই

 একটি অস্টিন গাড়ি তাঁর চোখেপড়ল।গাড়িটি খুব ধীর গতিতে এগিয়ে আসছে। কিন্তু সেটি

 না দাঁড়ানোযর ফলে লেখকজীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত গাড়িতে উঠে বসলেন। চালককে

 বলতে গেছেন কোথায় তাঁকেনামতে হবে, লেখকের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! তিনি

 দেখেন চালকহীন গাড়ি, ইঞ্জিনওবন্ধ, অথচ গাড়ি এগিয়ে চলেছে পথে। ভয়ে তার পাগল

 হওয়ার দশা। এভাবে প্রায় দু-ঘণ্টাচলার পর গাড়ি একটি লেবেল ক্রসিংয়ের কাছে চলে

 এসেছে। রেলগাড়ির আওয়াজও কানেআসছে, কিন্তু তাঁর গাড়ি কিছুতেই থামছে না।

 কোনোরকমে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়েছেন,সেই মুহূর্তেই গর্জন করতে করতে ট্রেনটি

 সামনে দিয়ে চলে গেল। কিছুক্ষণের জন্য লেখকজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। তারপর

 দেখলেন তিনি ঠিকই আছেন আর মোটরটিও ছবিরমতো সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ঘটনাটিকে

 যখন রহস্যজনক মনে হচ্ছে, তখন মোটরগাড়ির পিছন থেকে একটা চশমাপরা লোক

 বেরিয়ে এসে লেখককে বলেন যে, আট মাইল দূর থেকে তিনি মোটরগাড়িটিকে ঠেলতে

 ঠেলতে নিয়ে আসছেন, পথে কোনো মানুষকেদেখলেন না যে তাঁকে সাহায্য করতে পারেন।

 লোকটি লেখককে গাড়িটি ঠেলে দেওয়ারজন্য অনুরোধ করেন। রেললাইনটি পেরোলেই

 তাঁর বাড়ি এক মিনিটের পথ। সমস্ত ঘটনাটিলেখকের কাছে রহস্য মনে হয়।


নামকরণ: 

সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল নামকরণ। নামকরণের মাধ্যমে রচনার বিষয়বস্তু

 সম্পর্কে আগাম ধারণা করা যায়।

একদিন লেখক একটা সাইকেলে চেপে হুডুর দিকে যাচ্ছিলেন। প্রায় সাত মাইল যাওয়ার পরে

 সাইকেলের টায়ার গেল ফেটে। এদিকে প্রায় সন্ধ্যা লেগে গেছে। সামনে আরও মাইল

 পাঁচেক গেলে গ্রামে পৌঁছোনো যাবে। এইভাবে তিনি ভাবতে ভাবতে আকাশে বাঁকা চাঁদ

 দেখতে পেলেন। একদিকে অন্ধকার গাঢ় হয়ে আসছে, অন্যদিকে জনহীন অঞ্চলে বাঘের

 ভয় রয়েছে। ভাবতে ভাবতেই দেখলেন একটি লরি আসছে কিন্তু চালক লেখকের টর্চের

 ইশারা উপেক্ষা করেই চলে গেল। এরপরে একটি অস্টিন মোটর এগিয়ে এল। কিন্তু থামার

 কোনো লক্ষণ নেই, চলন্ত মোটরেই উঠে বসলেন তিনি, কিন্তু চালককে গন্তব্যস্থানের কথা

 বলতে গিয়েই তিনি চমকে উঠলেন, দেখলেন চালক নেই। ইঞ্জিন বন্ধ অথচ গাড়ি চলছে

 সঠিক পথেই অতি ধীরগতিতে। তার তো দম বন্ধ হবার জোগাড়।তিনি বুঝলেন ভূতুড়ের

 পাল্লায় পড়েছেন। যাই হোক, তিনি বসে রইলেন। প্রায় দু-ঘণ্টা পরে মোটর একটি লেবেল

 ক্রসিংয়ের সামনে এসেছে, লেখক বুঝতে পারলেন এক্ষুনি ট্রেন আসবে। অথচ মোটর

 থামার নাম নেই। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে তিনি কোনোক্রমে দরজা খুলে বাইরে এলেন। জোর

 বেঁচে গেছেন।তিনি হতবাক হয়ে দেখলেন একটি চশমা পরা লোক মোটরের পিছন থেকে

 বেরিয়ে এসে তাঁকে অনুরোধ করছে মোটরটি একটু ঠেলে দিতে। আট মাইল রাস্তা সে

 মোটরটিকে ঠেলে নিয়ে এসেছে। রেললাইনের ওপারেই তার বাড়ি।এমন ঘটনায় লেখক

 বিস্মিত হলেন। তিনি বুঝতে পারেন না কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল। লোকটিকে তো আগে

 দেখা যায়নি। সমগ্র ঘটনাটিই কেমন অদ্ভুতভাবে ঘটে গেল, সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে এই ঘটনার

 বিচার করা যায় না।তাই গল্পের ঘটনাপ্রধান নামকরণ ‘এক ভূতুড়ে কাণ্ড' সার্থক ও যথার্থ

 হয়েছে।


ঙ) হাতে-কলমে সমাধান:

১) নিচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও। 

১.১) শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম কী?

উত্তর: শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম চঞ্চল 


১.২) তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর: তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম হল-'বাড়ি থেকে পালিয়ে,এবং 'হর্ষবর্ধন ও

 গোবর্ধন,।


৫)নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও:

৫.১)সাইকেল ঘাড়ে করে যেতে হলেই হয়েছে!'—লেখকের গন্তব্য কোথায়?সাইকেল ঘাড়ে

 করে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে কেন?


উত্তর:শিবরাম চক্রবর্তীর রচিত 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে, লেখকের গন্তব্য ছিল হুড়ুর দিকে।

একদিন লেখক একটি সাইকেলে চেপে হুড়ুর দিকে যাচ্ছিলেন। মাইল সাতেক যাওয়ার পরেই

 সাইকেলের টায়ার গেল ফেটে। তখন সন্ধে হয় হয় অবস্থা।গন্তব্যস্থল তখনও প্রায় পাঁচ

 মাইল। এদিকে নির্জন স্থান, তার উপরে বাঘের ভয়ও আছে। এই কারণেই সাইকেল ঘাড়ে

 করে যাওয়ার প্রসঙ্গটি এসেছে।


৫.২)‘যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে হয়’– প্রবাদটির মর্মার্থ কী?একই ভাব বোঝাতে

 তুমি আর-একটি প্রবাদ উল্লেখ করো।


 উত্তর:উপরে উক্ত প্রশ্নটির একটি জনপ্রিয় বাংলা প্রবাদ এর মর্মার্থ হল–বিপদের সম্ভাবনার

 স্থানে গিয়েই যত বিপত্তি দেখা দেয়। এই ভাবটিই প্রকাশ করে, এমন আর-একটি জনপ্রিয়

 বাংলা প্রবাদ হল-'যেদিকে যমালয়, সেদিকের পথ অল্প হয়।'


৫.৩)'চিরদিনই আমি আশাবাদী'-এই আশাবাদের গুণে লেখক কীভাবে পুরস্কৃত হলেন?

উত্তর:শিবরাম চক্রবর্তী রচিত এক ভুতুড়ে কান্ড গল্পে উক্তিটি করেছেন লেখক।তিনি একদিন

 হুড্র যাওয়ার পথে সাইকেলের টায়ার ফাটায় বিপদে পড়েন। নির্জন জংলি অঞ্চল,অন্ধকার

 ঘন হয়ে আসছে, কী করবেন বুঝতে পারছেন না। তবে কিছুক্ষণ পরেই একটি ভূতুড়ে

 মোটর গাড়িতে তিনি উঠে পড়েন এবং শেষপর্যন্ত লেবেল ক্রসিংয়ের সামনেও এসে পড়েন।

 ভূতের ভয়টয় বা রহস্যজনক যাই ঘটুক-না-কেন তাঁর আশা শেষপর্যন্ত ভূতের মাধ্যমেই

 তিনি এভাবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।


৬)নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো:

৬.১) 'অনর্থক কেবল টর্চটাকে আর নিজেকে টর্চার করা’-কোন্ ঘটনা প্রসঙ্গে উদ্ধৃতিটির

 অবতারণা?টর্চ” আর টর্চার' শব্দের প্রয়োগে যে শব্দ নিয়ে খেলা তৈরি হয়েছে, গল্প থেকে

 খুঁজে এমন কয়েকটি উদাহরণ দাও।তুমি নিজেএজাতীয় কয়েকটি বাক্য লেখো।


 উত্তর: উপরিউক্ত প্রশ্নটির উক্তিটি করেছেন ‘এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পের লেখক শিবরাম

 চক্রবর্তী। তিনি একদিন হুডু যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাইকেলে চেপে যাত্রা করেন কিন্তু সাত

 মাইল যাওয়ার পর সাইকেলের টায়ার ফেটে যায়। একে জনহীন জংলি অঞ্চল, তার উপরে

 অন্ধকার ঘন হয়ে এসেছে। কী করবেন বুঝতে পারছেন না,এমন সময় একটি লরিকে

 সামনে এগিয়ে আসতে দেখে আশা করেন সেটি তাঁর কাছে এসে থামবে। তাই টর্চের আলোর

 সাহায্যে লরির চালককে সচেতন করতে চাইলেন কিন্তু চালক তাঁকে হতাশ করে সামনে

 এগিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল।এই ঘটনা প্রসঙ্গেই লেখক মন্তব্যটি করেছেন।


**পাঠ্যাংশের শব্দ নিয়ে খেলার উদাহরণ-

১)'আমার হার্ট খুব উইক।আর শুনেছি ওরা ভারি উইকেড।' 

২)'ভূত কিনা ঠিক জানি না, কিন্তু অদ্ভুত একটা কিছু..।' 

৩)'.. তখন হুঁশ হল আমার। হুসহুস করে তেড়ে আসছিল একটা আওয়াজ।'

৪) 'এই ঘোরালো আবহাওয়ার মধ্যে আমার আলোর ঘূর্ণিপাক লরির ড্রাইভার দেখতে পেলে হয়।'

৫)'আলস্যের সঙ্গে আমি কোনোদিনই পারিনি, চেষ্টা করলে হয়তো পারা যায়।'

**এমন আরো কয়েকটি বাক্য-

১) হাবিল দার রহমত খাঁ খাঁকিপোশাক পরেছেন।

২) শিশুদের হাম তো হামেশাই হয়।

৩) তিনি জ্বরে জর্জরিত হচ্ছেন।


৬.২)গল্প অনুসরণে সেই নির্জন বনপথে লেখকের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।

উত্তর শিবরাম চক্রবর্তীর রচিত‘এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে দেখা যায়,গল্পকথক একটা সাইকেল

 চেপে রাঁচি থেকে হুড়ুর দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাইল সাতেক যেতে না যেতেই তাঁর

 সাইকেলের টায়ার পামচার হয়ে যায়। সন্ধে হয়ে গেছে, নির্জন স্থান, আরও পাঁচ মাইল গেলে

 তবেই গ্রাম মিলবে। এদিকে বাঘেরও ভয় আছে। কী করবেন ভাবতে ভাবতেই আধ ঘণ্টা

 সময় কেটে গেল। আকাশে বাঁকা চাঁদ দেখা দিয়েছে। তিনি দেখলেন, দূর থেকে একটা লরি

 আসছে। লরির চালকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তিনি প্রাণপণে টর্চ লাইট ঘোরাতে লাগলেন।

 কিন্তু লরিটি যেমনভাবে আস ছিল, তেমন করেই চলে গেল রাঁচির দিকে।

আবার কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কথক দেখলেন, একটি বেবি অস্টিন আসছে ধীর গতিতে।

 তিনি ইঙ্গিতে গাড়িটাকে থামানোর চেষ্টা করেও যখন সেটি থামল না, তখন তিনি জীবনের

 ঝুঁকি নিয়েই গাড়ির দরজা খুলে ঢুকে পড়লেন ভিতরে। এদিকে সাইকেলটি রাস্তার পাশেই

 পড়ে থাকল। গাড়িটা কিছুদূর যাওয়ার পর যখন তিনি কোথায় নামবেন বলতে গেলেন

 চালককে,তখন তিনি হঠাৎ ভয় পেয়ে গেলেন এবং দেখলেন গাড়ি র চালক নেই ইঞ্জিন বন্ধ

 তবুও গাড়ি চলছে। যখন গাড়িটি দু'ঘণ্টা চলার পরও একটা লেভেল ক্রসিং এর মুখে এসেও

 গাড়িটা থামছে না তখন তিনি গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিলেন।আর একটা ট্রেন হুস হুস করতে

 করতে চলে গেল।

গাড়িটিকে যখন ভৌতিক বলে কথক মনে করছিলেন, তখন হঠাৎ দেখলেন, গাড়িটার পিছন

 থেকে হাঁফাতে হাঁফাতে বেরিয়ে সামনে এসে দাঁড়াল একটা লোক। যে নাকি আট মাইল দূর

 থেকে ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় গাড়িটাকে ঠেলতে ঠেলতে এতদূর এনেছে। একটু হাত

 লাগানোর মতো একটা লোকও সে পথে পায়নি। কথক যদি তাকে একটু সাহায্য করে,এই

 তার অনুরোধ।


৬.৩) ‘বাঘের দৃষ্টিভঙ্গি ওরকম উদার হতে পারে না।’-কোন উদার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা

 হয়েছে? লেখকের কাছে সেই দৃষ্টিভঙ্গি' কতটা উদারতা নিয়ে এসেছিল, তা বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: শিবরাম চক্রবর্তীর রচিত‘এক ভূতুড়ে কাণ্ড'  গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য

 অংশে,একদিন লেখক একটি সাইকেলে চেপে হুড্রর দিকে যাচ্ছিলেন, কিন্তু মাইল সাতেক

 যেতেই সাইকেলের টায়ার পামচার হয়ে যায়। তিনি অন্ধকার নির্জন স্থানে একটু ভয় পেয়ে

 গেলেন। তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না কি করলে কি হবে। তিনি আশাবাদী হঠাৎ একটি

 লরিও দেখতে পেলও লরিটি টর্চের ইঙ্গিত উপেক্ষা করে চলে গেল রাঁচির দিকে। তারপর

 তিনি জমাট কুয়াশায় দেখতে পেলেন দুটি হলদে রঙের চোখ কুয়াশা ভেদ করে এগিয়ে

 আসছে। লেখক প্রথমে ভাবলেন বাঘ বুঝি ! তারপর বুঝলেন বাঘ হলে দুটি চোখের মাঝে

 ফারাক অতটা হবে না এবং অবশ্যই হিংস্রতার প্রকাশ ঘটত চোখে। আসলে সেটি ছিল

 একটি মোটরের হেডলাইটের আলো। সেই আলোকেই লেখকের উদার বলে মনে হয়েছে।

** চলন্ত মোটরেই চড়ে বসেন লেখক। পরে বুঝতে পারেন সেটি একটি ভূতুড়ে গাড়ি।দু-ঘণ্টা

 তাতে চড়ে লেভেল ক্রসিং -এর কাছে চলে আসেন অর্থাৎ প্রায় সাত মাইল পথ তিনি

 মোটরটির উদারতায় অতিক্রম করেন। লেখক ভয় পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু ভূতুড়ে মোটর

 লেখকের ক্ষতি না করে উপকারই করেছিল। এভাবেই লেখক মোটরের উদারতার পরিচয়

 পান।

৬.৪) 'এই হয়তো সশরীরে রাঁচি ফেরার শেষ সুযোগ। কোন্ সুযোগের কথা বলা হয়েছে?

লেখক কীভাবে সেই সুযোগকে কাজে লাগালেন?

উত্তর: শিবরাম চক্রবর্তীর রচিত 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য

 অংশে,একদিন লেখক একটি সাইকেলে করে হুডুর দিকে যাচ্ছিলেন, কিন্তু সাত মাইল মতো

 পথ যাবার পর তাঁর সাইকেলের টায়ার গেল ফেটে। চারিদিক নির্জন বনপথ অন্ধকার,

 বাঘেরও ভয় আছে। সামনে আরো পাঁচ মাইল মতো গেলে গ্রাম পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু

 সাইকেল বয়ে পায়ে হেঁটে যেতে মন চাইছিল না। ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় পেরিয়ে

 গেল। একটি লরিকে আসতে দেখলেন কিন্তু সেটি লেখকের টর্চের ইশারা উপেক্ষা করেই

 রাঁচির দিকে চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে আর-একটি মোটরকে ধীর গতিতে তাঁর দিকে এগিয়ে

 আসতে দেখলেন। মোটরটিও তাঁর হাঁক-ডাক উপেক্ষা করেই এগোতে লাগল, তখন লেখক

 গাড়িটির হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে তাতে ঢুকে বসলেন।

**তারপর তিনি গাড়িতে বসে গাড়ির চালককে দেখতে না পেয়ে,ইঞ্জিন বন্ধ -এই সব কিছু

 দেখে তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। লেখক বুঝলেন ভূতুড়ে গাড়িতে উঠে পড়েছি।তবু নামলেন

 না। বিবেচনা করে দেখলেন হেঁটে যাওয়ার থেকে ভূতুড়ে গাড়িটাতে আরামে তো যেতে

 পারছেন এবং ঘণ্টা দুয়েক চলার পরে গাড়িটা লেভেল ক্রসিংয়ের মুখে পৌঁছে গেল। কিছুটা

 ঝুঁকি নিয়েই তিনি শেষপর্যন্ত নিরাপদেই হুডু থেকে ফিরে আসেন। এভাবেই লেখক

 রাঁচিতেফেরার সুযোগকে কাজে লাগান।


৬.৫)'আমি হাঁ করে তাকিয়ে থাকলাম'-লেখক কেন তার কথা অসমাপ্ত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে

রইলেন?

উত্তর:শিবরাম চক্রবর্তীর রচিত'এক ভুতুড়ে কাণ্ড' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।আলোচ্য অংশে,

 লেখকের জীবনে একদিন 'এক ভুতুড়ে কাণ্ডই' ঘটেছিল। আলোচ্য গল্পে তাঁর কথাই তিনি

 বলেছেন।

একদিন একটি সাইকেলে চেপে তিনি রাঁচি থেকে হুজুর দিকে যাচ্ছিলেন। সাত মাইল পথ

 যাওয়ার পরেই সাইকেলের টায়ার ফেঁসে গেল। এক নির্জন অন্ধকার পথ। বাঘের ভয়ও

 থাকতে পারে এই সব মিলে লেখকের মনের মধ্যে খুব ভয় হলো।ভাবতে ভাবতে আকাশে

 চাঁদ দেখা দিয়েছে। একটি লরি লেখককে সঙ্গে না নিয়েই রাঁচির দিকে চলে গেল। একটু

 পরেই দেখলেন হলুদ দুটি চোখ আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে। প্রথমে বাঘ বলে মনে হলেও

 কাছে আসতেই বুঝলেন একটি অস্টিন গাড়ি। কিন্তু লেখকের হাঁক ডাকেও গাড়িটি থামল

 না। তখন  লেখক চলন্ত গাড়িতে উঠে বসলেন,কারণ তাঁর মনে হয়েছিল সেটাই হয়তো

 রাঁচিতে ফেরার শেষ সুযোগ। ছোট্ট গাড়িতে আরাম করে বসে ড্রাইভারকে উদ্দেশ করে

 লেখক যখন বলতে যাবেন-- “আমায় লালপুরার মোড়টায় নামিয়ে দেবেন, তাহলেই হবে।

 ডাক্তার যদুগোপালের বাড়ির ..'তখনই দেখলেন চালকের আসন খালি, কেউ নেই সেখানে।

 সেই শীতেও তাঁর গা দিয়ে ঘাম ঝরতে লাগল। তাঁর জামার কলার যেন গলায় চেপে বসছে।

 তিনি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেলেন। তাই কথা অসমাপ্ত রেখেই তিনি তাকিয়ে ছিলেন হাঁ করে।


৬.৬)'বে-ড্রাইভার গাড়ি যেমন চলছিল তেমনি চলতে লাগল-'বে-ড্রাইভার গাড়ি চলার প্রকৃত

 কারণটি কীভাবে গল্পে উম্মোচিত হল?

উত্তর: শিবরাম চক্রবর্তীর রচিত 'এক ভূতুড়ে কাণ্ড' গল্পে,এক শীতের রাতে জঙ্গুলে বিপদের

 হাত থেকে বাঁচতে লেখক চড়ে বসেছিলেন ধীরগতির এক বেবি অস্টিন গাড়িতে। গাড়ির

 গতি ছিল খুবই কম। লেখক দেখেছিলেন গাড়িটি চালকবিহীন। অবশেষে বে-ড্রাইভার

 গাড়িটি পৌঁছেছিল একলেভেল-ক্রসিং-এ। দুরের ট্রেনের শব্দ ক্রমে কাছে আসছে। অস্টিন

 এগিয়েই চলেছে, এমনঅবস্থায় ট্রেনের ধাক্কা থেকে নিজেকে বাঁচাতে লেখক চালকহীন

 গাড়িটি থেকে কোনো মতেদরজা খুলে নেমে পড়েন। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর লেখক

 দেখেন তিনি এবং গাড়িদুজনেরই কিছু হয়নি। ঠিক লেভেল ক্রসিং-এর মুখে চালকহীন

 গাড়িটির থেমে যাওয়ালেখকের কাছে খুবই রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছিল। এমন সময় তিনি

 দেখলেন–চশমাপরিহিত এক ব্যক্তি গাড়ির পিছন দিক থেকে হাঁফাতে হাঁফাতে তাঁর সামনে

 এসে দাঁড়াল।তিনি লেখকের কাছে একটু সাহায্য প্রার্থনা করে জানালেন-আট মাইল দূর

 থেকে তিনিএতক্ষণ গাড়িটি ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে আসছেন, কারণ গাড়িটির ইঞ্জিন খারাপ

 হয়ে গেছে।এই হল বে-ড্রাইভার গাড়িটির গড়িয়ে চলার আসল কারণ।


Contents:

আরো পড়ুন:

ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


It all began with drip drip part 1 Click Here

It all began with drip drip part 2 Click Here

It all began with drip drip part3 Click Here

 

the adventurous clown part 1 Click Here

the adventurous clown Part 2 Click Here

the adventurous clown part 3 Click Here


The rainbow poem Lesson 3 part 1 Click Here


The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here

The Shop That Never Was Lesson-4 part-2

Click Here 

The Shop That Never Was Lesson -4 part-3

Class Here 



মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

মাটির ঘরের দেওয়াল চিত্র প্রশ্ন উত্তর click Here 

পিঁপড়ে কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

ফাঁকি গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

এক ভুতুড়ে কান্ড গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 


Land of the pharaohs part 1 click Here 

Land of the pharaohs part 2 click Here










 

Post a Comment

0 Comments