শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস গল্প। শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস class 6 question answer। শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস class 6 প্রশ্ন উত্তর। শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায়।

 

শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস গল্প। শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস class 6 question answer। শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস class 6 প্রশ্ন উত্তর। শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায়।



                                                 শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস 

                                                  আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায়



সূচিপত্র:

ক।কবি পরিচিত 

খ। উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে-কলমে সমাধান


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

 ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

 আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক) কবি পরিচিতি: 

নদীয়া জেলার রানাঘাটে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন।

 কলকাতার সেন্ট পলস কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি শিক্ষা অর্জন করেন।

ছাত্রাবস্থা থেকেই দেশের জাতীয় রাজনীতিতে তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র

 বসু ছিলেন তাঁর আদর্শ দেশনেতা। খেলাধুলার প্রতি কিশোর বয়স থেকেই তাঁর ঝোঁক ছিল।

 ফুটবল বিশেষজ্ঞ ও আকাশবাণীতে ফুটবলের ইংরেজি ভাষ্যকার হিসেবে তিনি কাজ

 করেছেন বহুদিন। তাঁর লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল-'স্বাধীনতার রূপকার নেতাজি সুভাষ’

 ও ‘ইতিহাসের পাতা থেকে’। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়।


খ) উৎস:

লেখক অসিত কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' রচনাটি 'ইতিহাসের পাতা

 থেকে' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।


গ) বিষয় সংক্ষেপ: 

স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন যতীন্দ্রনাথ দাশ। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭ অক্টোবর উত্তর কলকাতার

 শিকদার বাগান অঞ্চলে যতীন্দ্রনাথের জন্ম হয়। পিতামহ মহেন্দ্রনাথ দাশ ও পিতা

 বঙ্কিমবিহারী দাশের কাছ থেকেই তিনি স্বাদেশিক চেতনা লাভ করেছিলেন। একবার তাঁর

 পিতা বঙ্কিমবাবু গঙ্গাস্নান করে সপরিবারে গাড়ি চেপে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন রেড রোডের

 কাছে কয়েকজন ব্রিটিশ তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে নিজেরা সেই গাড়ি করে চলে যান। এই

 অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে দারিদ্র্যের সঙ্গে জীবন

 কাটান। যতীন দাশ ছাত্রাবস্থাতেই অনুভব করেছিলেন সবার আগে দেশের স্বাধীনতা,তারপর

 অন্য কথা। ১৯১৯-২০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১৫-১৬ বছর বয়সে বিলাতি কাপড়ের দোকানে

 পিকেটিং করতে গিয়ে ধরা পড়ায় তাঁর ছয় মাসের কারাবাস হয়। শেষ পর্যন্ত জেলের খাদ্য

 সহ্য না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই সময়েই বিপ্লবী দেবেন

 বসুর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ঘটে এবং দেবেন বসুই তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন বিপ্লবী শচীন

 সান্যালের সঙ্গে। এই সময় তাঁর ছদ্মনাম হয় 'রবিন'। একটু সিনিয়ার হলেই তাঁর দ্বিতীয়

 ছদ্মনাম হয় 'কালীবাবু'। বিপ্লবী শচীন সান্যালের কাছেই তিনি বোমা তৈরির কায়দা রপ্ত

 করেন। যতীন দাশের খিদিরপুরে একটি পিস্তল ও বোমা তৈরির গোপন কারখানা গড়ে

 উঠেছিল। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ নভেম্বর  পুলিশ অভিযান চালায়, কিন্তু বিপ্লবী যতীন দাশ

 সেখানে না থাকায় পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। তবে ওই বছরই ২৫ ডিসেম্বর গিরীশ মুখার্জি

 রোডের বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এরপর তাকে

 ময়মনসিংহ জেলে পাঠানো হয়। বিপ্লবীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে জেলের মধ্যে

 তিনি অনশন শুরু করেন। অবশেষে গোয়েন্দা বিভাগের ডিআইজি সাহেবের হস্তক্ষেপে ২১

 দিন পরে অনশন তুলে নিলে তাকে পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালা জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

 ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি মুক্তি পান।

১৯২২-২৫ খ্রিস্টাব্দের সাউথ ক্যালকাটা ন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যতীন দাশ ছাত্রদের

 ড্রিল শেখাতেন। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে

 কংগ্রেসের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে বিপ্লবী যতীন দাশ সুভাষচন্দ্রের  মতাদর্শকেই সমর্থন

 করেছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসু ও জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে 'ভারতীয় স্বাধীনতা সংঘ'

 প্রতিষ্ঠিত হয় এই সময়। বিপ্লবী ভগৎ সিংও কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে পাঞ্জাবে 'হিন্দ নও-

জোয়ান' সভা নামক একটি বিপ্লবী দল গঠন করেন। এই সময় সাইমন কমিশনবিরোধী

 আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রায়ের মৃত্যু

 হয়। এর প্রতিশোধ নিতে বিপ্লবী ভগৎ সিং পাঞ্জাবের পুলিশের প্রধান সন্ডার্সকে হত্যা করে

 কলকাতায় পালিয়ে আসেন এবং এখানে বিপ্লবী যতীন দাশের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ভগৎ

 সিং-এর অনুরোধে যতীন দাশ আগ্রায় গিয়ে ভগৎ সিং-এর দলের ছেলেদের বোমা বানানোর

 ট্রেনিং দেন। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৮ এপ্রিল দিল্লির কেন্দ্রীয় আইন সভায় ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর

 দত্ত বোমা ছোঁড়েন। সেই সূত্র ধরেই বহু বিপ্লবীর সঙ্গে পুলিশ যতীন দাশকেও গ্রেফতার করে

 ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুন। বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে লাহোর মামলা শুরু হয় ২৫ জুন। জেলের

 মধ্যে পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে ১৬ জন বিপ্লবীর সঙ্গে যতীন দাশও অনশন শুরু

 করেন। তিনি মনে মনে স্থির করেন, তাঁর পক্ষে অনশনই হবে দেশমাতার মুক্তির জন্য।

 ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই অনশন শুরু করেছিলেন বিপ্লবীরা। ২০ জুলাই জেল সুপার

 জোর করে নলের সাহায্যে তাঁকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করলে তাঁর ফুসফুসে দুধ ঢুকে যায়,

 এর ফলে তিনি জ্ঞান হারান। ৪৮ ঘণ্টা পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি অনুভব করেন যে তিনি কথা

 বলতে পারছেন না। 

 ৩১ আগস্ট দেখা গেল তাঁর সমস্ত শরীর পক্ষাঘাতে বিকল হয়ে গেছে।১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩

 নভেম্বর দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে বিপ্লবী যতীন দাশ চিরনিদ্রায় ঢলে পড়েন।তাঁর মৃত্যুসংবাদে

 সারা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। লাহোর থেকে মৃতদেহ হাওড়ায় পৌঁছোতে তিন

 দিন সময় লেগেছিল। কারণ, বীর বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় প্রতি স্টেশনেই উপস্থিত

 ছিলেন দেশবাসী। হাওড়া স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন-নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ড. বিধানচন্দ্র

 রায়, শরৎচন্দ্র বসু, শ্রীমতী বাসন্তী দেবী, শ্রীমতী কমলা নেহরু প্রমুখগণ।


ঘ) নামকরণ: 

 নামকরণের মাধ্যমেই রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগাম ধারণা পাওয়া যায়।বিপ্লবী

 যতীন্দ্রনাথ দাশের মনে স্বাধীনতার চিন্তাভাবনা শিশুকাল থেকেই জাগরিত ছিল তাঁর পিতামহ

 ও পিতার সূত্র ধরেই। এর পরে কলেজে পড়ার সময়েই তিনি অনুভব করেন,‘সবার আগে

 দেশের স্বাধীনতা'। ছাত্রাবস্থাতে বিলেতি দ্রব্য বিক্রয়ের পিকেটিং করে কারাবাস করেন তিনি।

 বিপ্লবী দেবেন বসুর হাত ধরে সক্রিয় আন্দোলনে যুক্ত হন তিনি। সেই সূত্রেই তিনি পরিচিত

 হন বিপ্লবী। শচীন সান্যালের সঙ্গে এবং তাঁর কাছ থেকেই বোমা তৈরির কৌশল শিখেছিলেন

 যতীন দাশ।১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর গিরীশ মুখার্জি রোডের বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে

 গ্রেফতার করে, দীর্ঘ কারাবাসের পরে মুক্তি পান আগস্ট মাসে। স্বাধীনতা আন্দোলনে

 নেতাজির কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বিপ্লবী ভগৎ সিং-এর আগ্রহে যতীন দাশ

 আগ্রায় গিয়ে বোমা তৈরির কৌশল শিখিয়ে আসেন সেখানকার বিপ্লবীদের।

১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুন লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং লাহোর

 জেলে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়। বিপ্লবীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের

 ১৩ জুলাই বিপ্লবী যতীন দাশ আমরণ অনশন শুরু করেন। ৬৩ দিন অনশনের পর

 যতীন্দ্রনাথ দাশ চিরবিদায় নেন। তাঁর প্রতি সারা দেশ শ্রদ্ধায় মাথা নত করে।সুতরাং সমগ্র

 রচনাটির বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে বীর-বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ দাশ-এর জীবনের বীরত্বের কাহিনি

 নিয়ে। তাই কাহিনিটির চরিত্রপ্রধান নামকরণ সার্থক ও যথার্থ হয়েছে।


ঙ) হাতে-কলমে সমাধান:

১) নিচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও। 


১.১) আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় কোন খেলার ধারাভাষ্যকার ছিলেন?

উত্তর: আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় ফুটবল খেলার ধারাভাষ্যকার ছিলেন।


১.২)তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর :তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম হল-“স্বাধীনতার রূপকার নেতাজি সুভাষ’।


২) নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও:

২.১)যতীন দাশ কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

 উত্তর: ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭ অক্টোবর, যতীন দাশ উত্তর কলকাতার শিকদার বাগান অঞ্চলে

 জন্মগ্রহণ করেছিলেন।


২২) যতীন দাশের পিতার নাম কী ছিল?

উত্তর: বীর-বিপ্লবী যতীন দাশের পিতার নাম ছিল বঙ্কিমবিহারী দাশ।


২.৩)যতীন দাশের পিতা কোথায় চাকরি করতেন?

উত্তর:স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী যতীন দাশের পিতা বঙ্কিমবিহারী দাশ মিউনিসিপ্যাল

 কর্পোরেশনের স্থায়ী পদে চাকরি করতেন।


 ২.৪) যতীন দাশের ছদ্মনাম কী ছিল?

উত্তর: যতীন দাস বিপ্লবী দলে যোগদানের পর প্রথম দিকে ছদ্মনাম ছিল রবিন,পরে দলে

 একটু সিনিয়র হলে তাঁর দ্বিতীয় ছদ্মনাম হয়-কালীবাবু।


২.৫) 'হিন্দ নওজোয়ান সভা' কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: বীর সন্তান বিপ্লবী ভগৎ সিং পাঞ্জাবে ‘হিন্দ নওজোয়ান সভা' প্রতিষ্ঠা করেন।


২.৬ মি. প্যাটি কে ছিলেন?

উত্তর:মি.প্যাটি ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান।


২.৭ লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের কোন জেলে বদলি করা হয়?

উত্তর:লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের ‘লাহোর সেন্ট্রাল জেলে' বদলি করা হয়।


২.৮)কারা যতীনের জামিনের প্রস্তাব ঘৃণাভরে অগ্রাহ্য করে?

উত্তর: স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন দাশের পিতা বঙ্কিমবিহারী দাশ ও ছোটোভাই কিরণচন্দ্র দাশ

 তাঁর জামিনের প্রস্তাব ঘৃণাভরে অগ্রাহ্য করেন।


১০ নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও:

১০১) যতীন দাশের পিতা মিউনিসিপ্যালকর্পোরেশনের স্থায়ী চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন

 কেন? এর ফল কী হয়েছিল?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' গল্পে-১৯০১ খ্রিস্টাব্দের বিপ্লবী

 যতীন দাশের পিতা বঙ্কিমবিহারী দাশ গঙ্গাস্নান করে সপরিবারে ফিটন গাড়িতে চেপে বাড়ি

 ফিরছিলেন। পথে রেড রোডে কয়েকজন ব্রিটিশ সৈন্য তাদের জোর করে নামিয়ে দিয়ে

 নিজেরা গাড়িটি চেপে চলে যায়। বঙ্কিমবাবুকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি

 ফিরতে হয়েছিল। এই অপমানের প্রতিবাদেই যতীন দাশের পিতা বঙ্কিমবাবু মিউনিসিপ্যাল

 কর্পোরেশনের স্থায়ী চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন।

এর ফলে তাদের পরিবারে হঠাৎ দারিদ্র্য নেমে আসে। তখন সংসার চালানোর জন্য তিনি

 স্টেশনারি দোকান খোলেন তবুও তাকে আজীবন অনেক দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল।


১০.২) ...তোমার মতো মহান বিপ্লবীর জন্যও একটা কাজ আমায় অবশ্যই করতে হবে'-কে,

 কাকে এ কথা বলেছিলেন?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' গল্পে-বিপ্লবী ভগৎ সিং-কে

 বিপ্লবী যতীন দাশ এ কথা বলেছিলেন। ভগৎ সিং চেয়েছিলেন, যতীন দাশ যেন তাঁর প্রতিষ্ঠিত

 'নওজোয়ান সভা'র ছেলেদের জন্য কিছু করেন। তাঁর এই ইচ্ছায় যতীন দাশ আগ্রায় গিয়ে

 ভগৎ সিং-এর দলের ছেলেদের বোমা বানানো ট্রেনিং দেন।


১০.৩)কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশনে কী ঘটেছিল?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' গল্পে-১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৮

 এপ্রিল বিপ্লবী ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্তকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক

 সভার অধিবেশনের পাশেই একটি শক্তিশালী বোমা ফাটান। এই ঘটনায় দুই বিপ্লবীকে দোষী

 সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ হয় না।

 ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মি. প্যাটি এই ঘটনার পিছনে ভারতব্যাপী এক গভীর

 ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে মনে করছেন। তিনি ব্যাপক তদন্ত করে ত্রিশ জনকে গ্রেফতার

 করে একটি তালিকা তৈরি করেন। এই তালিকার মধ্যে আরেকটি নাম পাওয়া যায় যার নাম-

 যতীন দাস। এরপর লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত যতীন দাশকে ব্রিটিশ সরকার ১৯২৯

 খ্রিস্টাব্দের১৪ জুন কলকাতার রাজপথ থেকে গ্রেফতার করে।


১০.৪) ১৪ জুন ১৯২৯ যতীন দাশকে কেন গ্রেফতার করা হয়?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' গল্পে-১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ৮

 এপ্রিল কেন্দ্রীয় আইনসভায় বোমা ফাটান বিপ্লবী ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত। এই ঘটনার

 পিছনে সারা ভারতব্যাপী এক বিশাল পরিকল্পনা আছে সন্দেহ করে গোয়েন্দা প্রধান তদন্ত

 করে ৩০টি নামের তালিকা তৈরি করে, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন যতীন দাশ। তাই দেরি না

 করে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আসামি হিসেবে ১৪ জুন ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে

 কলকাতার রাজপথ থেকে যতীন দাশকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।


১০.৫) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই অনশন শুরু হয় কেন?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' গল্পে-১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫

 জুন তারিখে 'লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা'-র আসামি হিসেবে বিপ্লবী যতীন দাশ ও তাঁর ১৫ জন

 স্বাধীনতা সংগ্রামীকে লাহোর সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। আর এরই মধ্যে ১৯২৯

 খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই ভগৎ সিংকেও সেখানে নিয়ে আসা হয়। যতীন দাশ পরের দিনই

 গোপনে ভগৎ ও বটুকেশ্বরের সঙ্গে দেখা করে সেখানে তাদের উপর পুলিশি নির্যাতনের

 কথা তাদের জানান। এ ব্যাপারে তাঁরা ১৬ জন একসঙ্গে অনশন করবেন ঠিক করেছেন,

 সে-কথাও তাঁদের জানান। তখন ভগৎ ও বটুকেশ্বরও এই অনশনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা

 প্রকাশ করেন। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ রবিবার তাঁরা লাহোর সেন্ট্রাল জেলে সমবেত অনশন শুরু

 করেন।

১০.৬ অনশন করার আগে যতীন তাঁর সহযোদ্ধাদের কী অঙ্গীকার করান?তিনি অনশন ভঙ্গ

 করবেন না কেন?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' গল্পে,১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩

 জুলাই যতীন দাশ এবং তাঁর সহযোদ্ধারা লাহোর সেন্ট্রাল জেলে অনশন শুরু করেন।

 উদ্দেশ্য, জেলের মধ্যে বন্দি আসামিদের উপর পুলিশের অমানবিক ও অমানুষিক

 অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। অনশন শুরুর দু-একদিন আগে যতীন দাশ তাঁর

 অনশনকারী সহযোদ্ধাদের দিয়ে এক অঙ্গীকার করিয়ে নেন- যতক্ষণ না তাঁদের দাবিগুলি

 না মানা হয়, ততক্ষণ তাঁরা কেউই অনশন ভঙ্গ করবেন না।

বিপ্লবী যতীন দাশের সিদ্ধান্ত দৃঢ় ছিল তাই “তাঁর পক্ষে এই অনশনই হবেই।বলা যেতে পারে

 ছেলেবেলা থেকে মনে মনে এ ছিল তাঁর স্বপ্ন। পরাধীন ভারত মাতাকে দেখে তিনি এভাবেই

 পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে চেয়েছিলেন।


১০.৭) জেলে অনশনের সময় যতীন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কেন?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' গল্পে-১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩

 জুলাই বিপ্লবী যতীন দাশ লাহোর সেন্ট্রাল জেলে অনশন শুরু করেন। এরপর ২০ জুলাই

 ভোরবেলা জেল সুপার জেল-ডাক্তার ও আটজন দশাসই চেহারার পাঠানকে সঙ্গে নিয়ে

 প্রবেশ করেন যতীন দাশের সেলে। এরপর রীতিমতো হামলা লেগে যায় ওই আটজন

 শক্তিশালী পাঠান, আটদিনের না খেয়ে থাকা দুর্বল যতীনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এই

 সুযোগে জেল-ডাক্তার একটা সরু নল যতীনের নাক দিয়ে প্রবেশ করিয়ে ঢালতে শুরু করে

 দুধ। যতীন সেই দুধ তার শরীরে না ঢুকতে দেওয়ার জন্য জোরে জোরে কাশতে শুরু করেন।

 এর ফলে দুধের ওই নলটির মুখ খাদ্যনালী থেকে সরে গিয়ে ঢুকে যায় শ্বাসনালীতে। কিছুটা

 দুধ গিয়ে যতীনের ফুসফুসে প্রবেশ করে। তখন যতীন দাশ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। 


১০.৮) জেলে যতীন দাশের পাশে স্লেট-পেনসিল রাখা হয়েছিল কেন ?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' গল্পে-২০ জুলাই ১৯২৯

 খ্রিস্টাব্দে জেলের ডাক্তার জোর করে যতীন দাশকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে যতীন দাশের

 ফুসফুসে দুধ ঢুকে যাওয়ায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ৪৮ ঘণ্টা পরে তাঁর জ্ঞান ফিরলেও,

 সকলেই বুঝতে পারে যে তিনি আর কথা বলতে পারবেন না।তাই তাঁর পাশে শ্লেট-পেনসিল

 রাখা হয়, যদি তিনি কিছু বলতে চান তবে তা লিখে প্রকাশ করতে পারবেন।


১০.৯)কিরণ দাশকে লাহোর সেন্ট্রাল জেলে আনা হয়েছিল কেন?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস'গল্পে-জেলের মধ্যে যতীন দাশ

 বাক্শক্তি হারিয়ে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তখন তাঁকে দেখাশোনা জন্য বড়োলাট লর্ড

 আরউইন বিপ্লবী যতীন দাশের ছোটো ভাই কিরণ দাশকে লাহোর সেন্ট্রাল জেলে

 আনিয়েছিলেন।


১০.১০) যতীন দাশের সহযোদ্ধারা পথ অবরোধ করে শুয়েছিলেন কেন?

উত্তর:আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায়ের রচিত 'শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস' রচনায়-যতীন দাশের

 অনশনের ৫৬ দিনের দিন জেল-সুপার অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশবাহিনী নিয়ে বিপ্লবী যতীন

 দাশকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু যতীন দাশ তখন খুবই অসুস্থ, আর সহযোদ্ধারা

 চাইছিলেন যে যতীন দাশের অসুস্থ দেহ পুলিশ যেন স্পর্শও করতে না পারে। তাই যতীন

 দাশের সহযোদ্ধারা ব্যারিকেড করে পথ অবরোধ করে শুয়েছিলেন।


Contents:

আরো পড়ুন:

ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


It all began with drip drip part 1 Click Here

It all began with drip drip part 2 Click Here

It all began with drip drip part3 Click Here

 

the adventurous clown part 1 Click Here

the adventurous clown Part 2 Click Here

the adventurous clown part 3 Click Here


The rainbow poem Lesson 3 part 1 Click Here


The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here

The Shop That Never Was Lesson-4 part-2

Click Here 

The Shop That Never Was Lesson -4 part-3

Class Here 



মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

মাটির ঘরের দেওয়াল চিত্র প্রশ্ন উত্তর click Here 

পিঁপড়ে কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

ফাঁকি গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

এক ভুতুড়ে কান্ড গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

বাঘ কবিতার প্রশ্ন উত্তর  click Here 

বঙ্গ আমার জননী আমার কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাস গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 


Land of the pharaohs part 1 click Here 

Land of the pharaohs part 2 click Here 


Post a Comment

0 Comments