লোকটা জানলই না কবিতার প্রশ্ন উত্তর ও বিষয়বস্তু।বস্তু। class 8 লোকটা জানলই না কবিতা।


লোকটা জানলই না প্রশ্ন উত্তর। লোকটা জানলই না কবিতার উৎস। লোকটা জানলই না বিষয়বস্তু। লোকটা জানলই না। লোকটা জানলই না সুভাষ মুখোপাধ্যায়।

                                      লোকটা জানলই না 

                                                                        সুভাষ মুখোপাধ্যায়


সূচিপত্র

ক।কবি পরিচিত 

খ। উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে-কলমে সমাধান


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

 ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

 আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক) কবি পরিচিতি: 

 বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি নদিয়া

 জেলার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ক্ষিতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, মাতার নাম

 যামিনী দেবী। তিনি ভবানীপুর মিত্র ইন্সটিটিউশন থেকে ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায়

 পাস করেন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে তিনি দর্শনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন

 করেন।তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'পদাতিক' ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। কবিতার পাশাপাশি

 তিনি অনেক গদ্যগ্রন্থও রচনা তিনি বেশ কিছুকাল ‘পরিচয়' পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব

 পালন করেন। তারপর তিনি সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে 'সন্দেশ' পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্বও

 সামলেছেন। তিনি তাঁর সাহিত্যচর্চার জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৪), জ্ঞানপীঠ

 পুরস্কার (১৯৯১) সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-

পদাতিক,চিরকুট,অগ্নিকোণ,ফুল ফুটুক,যত দূরেই যাই,এই ভাই,কাল মধুমাস,ছেলে গেছে

 বনে,বাঙালির ইতিহাস,দেশ-বিদেশের রূপকথা,নারদের ডায়েরি, ইত্যাদি। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে

 এই বিখ্যাত কবির জীবনাবসান হয়।


 খ)উৎস:

পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘লোকটা জানলই না' কবিতাটি 'তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতা'

 থেকে নেওয়া হয়েছে।


গ)সারসংক্ষেপ: 

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রচিত ‘লোকটা জানলই না' কবিতায় নিজের অর্থসম্পদ রক্ষা

 করতে ব্যস্ত একটি মানুষের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সারাক্ষণ জীবনের লাভ-ক্ষতির

 হিসাব করতে গিয়ে তিনি নিজের অনুভূতিগুলি হারিয়ে ফেলেছেন। এভাবেই বাঁ-দিকের বুক-

পকেট অর্থাৎ যাবতীয় বিষয়সম্পদ সামলাতে সামলাতেই তাঁকে একদিন পৃথিবী ছেড়ে বিদায়

 নিতে হয়। অথচ বুক-পকেটে থেকে আরেকটু নীচে হাত দিলেই তিনি পেয়ে যেতেন তাঁর

 হৃদয়কে। নিজের অজান্তেই তিনি নিজের চারিদিকে প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন। সারা জীবন

 অর্থচিন্তায় ব্যস্ত ছিলেন বলে বাইরের প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ নিয়ে তাঁর মনে কোনো

 ছাপ ফেলতে পারেনি। প্রচুর ধনসম্পদের অধিকারী হয়েও জীবনের প্রকৃত অর্থ তিনি বুঝতে

 পারেননি। এভাবেই চলতে চলতে একদিন সব আর্থিক হিসাব-নিকাশ রেখে তাঁকে পৃথিবী

 ছেড়ে চলে যেতেই হবে। কিন্তু মানুষটি নিজের এই দুর্ভাগ্যের কথা কোনোদিনই জানতে

 পারলেন না।

 তাই এই কবিতায় এক আধুনিক মানুষের জীবনের শোচনীয় পরিণামের কথাই কবি

 বলেছেন। ক্ষমতা ও অর্থের প্রতি আকর্ষণ কীভাবে মনুষ্যত্বকে গ্রাস করে চলেছে, মানুষের

 সঙ্গে মানুষের ব্যবধান ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে, জীবনের সুন্দর দিকগুলিকেও হৃদয় থেকে

 কীভাবে মুছে ফেলছে-এই কবিতায় সে-কথাই প্রকাশিত হয়েছে।


ঘ)নামকরণ:

যে-কোনো সাহিত্যসৃষ্টির ক্ষেত্রেই নামকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কবি সুভাষ

 মুখোপাধ্যায়ের রচিত 'লোকটা জানলই না' কবিতায় একশ্রেণির মানুষ টাকাপয়সা রোজগার

 করেই সারাটা জীবন কাটায়। আর অন্য কোনো দিকে তাদের কোনো আকর্ষণ থাকে না। এই

 কবিতার লোকটিও তাই। তিনি সারাজীবন ধরে ধনসম্পদ উপার্জন করতে ও সামলাতে গিয়ে

 জীবনের সুন্দর দিকগুলির খোঁজই পাননি। তাঁর হৃদয় বা মন কীসে সত্যিকারের সুখী হতে

 পারে, তা তিনি সারাজীবনেও বুঝে উঠতে পারেননি। তাঁর ইহকাল পরকাল অর্থাৎ বর্তমান ও

 ভবিষ্যৎ ব্যর্থ। অথচ মানুষটিকে একদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে।তিনি জানতেও

 পারেননি সত্যিকারের বাঁচা কাকে বলে। মানবিক গুণগুলির হদিশ পাননি তিনি। অর্থের

 পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনকে উপভোগ করতেই পারেননি। সারা কবিতায় লোকটার এই

 অজ্ঞতার কথাই বলা হয়েছে। তাই কবিতার নামকরণ 'লোকটা জানলই না' যথার্থ ও সার্থক

 হয়েছে।


ঙ)হাতে কলমে সমাধান: 

১) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

১.১) কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?

উত্তর: সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম পদাতিক 

১.২)তাঁর লেখা দুটি গদ্য গ্রন্থের নাম লেখ।

উত্তর: তাঁর লেখা দুটি গদ্যগ্রন্থের নাম হল- কাঁচা-পাকা এবং ঢোলগোবিন্দের আত্মদর্শন।


২) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

২.১) “বাঁ দিকের বুক পকেটটা সামলাতে সামলাতে..”-এখানে 'বাঁ দিকের বুক-পকেট' বলতে

 কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তর: কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত 'লোকটা জানলই না' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

টাকাপয়সা যাতে না হারিয়ে যায় সেইজন্য মানুষ তার পকেট সামলায়। একইভাবে এই

 কবিতার লোকটিও সঞ্চিত ধনসম্পদ সামলাতে সামলাতেই সারাটা জীবন কাটিয়ে

 দিয়েছেন। অন্যদিকে মানুষ যখন পকেট সামলায়, তখন তার মনেই পড়ে না যে, বাঁ-দিকের

 বুক পকেটের নীচেই আছে তার হৃদয় যা টাকাপয়সার চেয়ে বেশি মূল্যবান। এই লোকটিও

 টাকাপয়সা সামলাতে গিয়ে নিজের হৃদয় কীসে প্রকৃত সুখী হতে পারে তা কোনোদিনই

 জানতে পারেননি।

২.২) “ইহকাল পরকাল”—এই শব্দদ্বয় এখানে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর: সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রচিত 'লোকটা জানলই না' কবিতায় 'ইহকাল পরকাল' শব্দ দুটি

 রয়েছে। ইহকাল ও পরকাল' শব্দ দুটির অর্থ: 'ইহ' শব্দের মানে পৃথিবী। তাই 'ইহকাল' মানে

 মানুষ পৃথিবীতে যতদিন বাস করে সেই সময়কাল। 'পরকাল' মানে মৃত্যুর পরের সময়।

 অর্থাৎ যে কাল বা সময় কেমন হবে, তা মানুষের জানার বাইরে।যে লোকটা সারাজীবন শুধু

 টাকাপয়সার হিসেব করে চলেন তাঁর চোখ বাইরের পৃথিবী আর তার সৌন্দর্যকে দেখতে পায়

 না। তাই কবি বলেছেন তাঁর ইহকাল নষ্ট হল। আবার একইসঙ্গে কবি লোকটার পরকাল নষ্ট

 হওয়ার কথাও বলেছেন। কারণ শাস্ত্রে বলে, কেউ ইহকালে ভালো কাজ না করলে, তার

 পরকালও সুখের হয় না। তাই ইহকাল পরকাল' দুটি বিপরীতার্থক শব্দকে পাশাপাশি বসিয়ে

 কবি লোকটির জীবনের ব্যর্থতাকেই বুঝিয়েছেন।


২.৩)কবিতায় লোকটির দু-আঙুলের ফাঁক দিয়ে কী খসে পড়ল?

উত্তর:কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত 'লোকটা জানলই না' কবিতায় মানুষটির দু-আঙুলের

 ফাঁক দিয়ে খসে পড়ল তাঁর জীবন। অর্থের পেছনে ছুটতে গিয়ে লোভের ফাঁদে জড়িয়ে

 পড়েছিলেন যে, মৃত্যুর ডাক এসে গেছে সে খেয়ালও তাঁর ছিল না। তাঁর আকস্মিক ও করুণ

 মৃত্যুকেই কবি দু-আঙুলের ফাঁক দিয়ে জীবন খসে পড়ার সাথে তুলনা করেছেন।


২.৪:'আলাদিনের আশ্চর্য-প্রদীপ' আসলে কী? তাকে এরকম বলার কারণ বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রচিত 'লোকটা জানলই না'কবিতায় লোককথা গল্প আরব্য

 রজনী। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপে বসবাসকারী দৈত্যের সহায়তায় তার ভাগ্য খুলে যাওয়ার

 গল্পটি পাঠকের কাছে খুব জনপ্রিয়। ‘লোকটা জানলই না' কবিতায় কবি মানুষের হৃদয়ের

 অসাধ্যসাধন করার ক্ষমতা দেখে তাকে 'আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ' আখ্যা দিয়েছেন।

** আরব্য রজনীর আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ যেমন অসাধ্য সাধন করতে পারত,

 সবরকমের অসম্ভবকে সম্ভব করার ক্ষমতা রাখত, মানুষের হৃদয় ও তেমনই। মানুষ নিজের

 হৃদয়ের স্পর্শে অন্য মানুষের দুঃখ দূর করতে পারে, সমাজকে বাসযোগ্য করে তুলতে

 পারে।তাই কবি হৃদয়কে আলাদানিরে আশ্চর্য প্রদীপ' বলে সম্বোধন করেছেন।


৩)নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর কয়েকটি বাক্যে লেখো।

৩.১)“লোকটা জানলই না” পঙক্তিটি দু-বার কবিতায় আছে- একই পক্তি একাধিকবার

 ব্যবহারের কারণ কী?

উত্তর:কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত 'লোকটা জানলই না' নামক কবিতায় “লোকটা জানলই

 না” পঙ্ক্তিটি দু-বার ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথমবার কারণ- মানুষটি হৃদয়ের সন্ধান পাইনি।

 দ্বিতীয় কারণ- নিজের অজান্তেই  তিনি অমূল্য জীবন হারিয়ে ফেললেন।


৩.২) কৰি ‘হায় হায়' কোন প্রসঙ্গে বলেছেন? কেন বলেছেন? 

উত্তর:সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রচিত 'লোকটা জানলই না’ কবিতায় একজন অর্থসর্বস্ব মানুষের

 কথা বলা রয়েছে। তার সম্বন্ধে আক্ষেপ প্রকাশ করতে গিয়ে কবি হায়-হায়' শব্দবন্ধটি ব্যবহার

 করেছেন।

** জামার বাঁ-দিকের বুক-পকেটে,অর্থাৎ সারাজীবন সঞ্চিত অর্থ সামলাতে গিয়ে জীবনের

 কোনো উদ্দেশ্যই পূর্ণ করতে পারেননি। এই অমূল্য জীবন উপভোগ না করে তিনি

 টাকাপয়সাকেই শুধু আঁকড়ে ধরেছেন। এইভাবে ইহকাল ও পরকাল দুই-ই তিনি নষ্ট

 করেছেন। প্রচুর অর্থ উপার্জন বা সঞ্চয় করলে তা তাঁর কোনো কাজে আসেনি।এভাবে

 জীবন কাটালে মৃত্যুর পর কেউ মানুষকে মনে রাখে না। কবিতায় মানুষটির জীবনের কথা

 ভেবে কবি 'হায়-হায়' করে উঠেছেন।


৩.৩) কবিতাটির নামকরণ যদি হত ‘হৃদয়’ বা ‘আলাদিনের আশ্চর্য- প্রদীপ' তাহলে তা কতটা

 সার্থক হত?

উত্তর:সুভাষ মুখোপধ্যায় রচিত 'লোকটা জানলাই না' কবিতার মূল বক্তব্য হল সাধারণ

 মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাপন,চিন্তার বাইরেও যে উপভোগ করার মতো পৃথিবী আছে, তা

 সে ভুলে যায়। অর্থের অহংকারে মানুষ ভুলে যায় তার হৃদয়ের কথা।এই প্রসঙ্গে কবি

 লোকটির হৃদয়ের কথা বলেছেন। অর্থের পিছনে ব্যয় হয়ে যায় অনেকখানি সময়, অথচ

 হাতের কাছে ছিল হৃদয় তাকে ভুলে থাকে মানুষ। হৃদয় যে অসাধ্যসাধন করতে পারে, সে

 কথা মনে করেই কবি তাকে 'আলাদিনের আশ্চার্য প্রদীপ' বলে উল্লেখ করেছেন। 

 কবিতাটির নাম 'হৃদয়' বা ‘আলাদিনের আশ্চর্য-প্রদীপ' অনায়াসেই হতে পারত। কিন্তু এই

 দুটি নামের মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ের গুরুত্ব বোঝানো সম্ভব হলেও কবিতায় মানুষটির

 জীবনের ব্যর্থতার দিকটি তুলে ধরা সম্ভব হত না। তাই এই কবিতার জন্য ‘লোকটা জানলই

 না' নামকরণটিই সঠিক বলে আমার মনে হয়।


CONTENTS:

আরো পড়ুন:

 বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চন্দ্রগুপ্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর Click Here

বনভোজনের ব্যাপার গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

সবুজ জামা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


the wind cap lesson 1 part 1 Click Here 

the wind cap lesson 1 part 2 Click Here

the wind cap lesson 1 part 3 Click Here


Clouds Lesson 2 part 1 Click Here

Clouds Lesson 2 part 2 click Here 


একটি চড়ুই পাখির কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কার দৌড় কতদূর গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

গাছের কথা প্রশ্ন উত্তর click Here 

ঘুরে দাঁড়াও কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

মাসি পিসি কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

পরাজয় গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-1 click here


টিকিটের অ্যালবাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর part -1 click here

লোকটা জানলই না কবিতা প্রশ্ন উত্তর click Here 


Midnight Express Lesson-11 part-1 question answer Click Here 

Midnight Express lesson-11 part-2 question answer click Here 

Midnight Express Lesson-11 part-3 question answer click Here 









Post a Comment

0 Comments