দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
সূচিপত্র:
ক।কবি পরিচিত
খ। বিষয়সংক্ষেপ
গ। নামকরণ
ঘ) হাতে-কলমে সমাধান
e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3ndইউনিট,টেস্ট
ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য
আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক) কবি পরিচিতি:
প্রখ্যাত কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই নদীয়ারকৃয়নগরে
জন্মগ্রহণ করেন।কবি হুগলি কলেজ থেকে বিএ এবং প্রেসিডেন্সি কলেজথেকে ইংরেজিতে
এমএ পাস করেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি সাহিত্যসেবায়আত্মনিয়োগ করেছিলেন।তাঁর
উল্লেখযোগ্য নাটক হল- 'সাজাহান,চন্দ্রগুপ্ত,মেবারপতন,প্রতাপ সিংহ' ইত্যাদি। তবে তাঁর
প্রথম পরিচয় হল-তিনি একজন কবি। মাত্রউনিশ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম
কাব্যগ্রন্থ 'আর্যগাথা'। তাঁর অন্যান্যউল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল-
'মন্ত্র,আষাঢ়ে,আলেখ্য,ত্রিবেণী' ইত্যাদি।বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও দ্বিজেন্দ্রলালের কাব্য
প্রশংসা করেছেন। তিনি অনেকহাসির কবিতাও রচনা করেছেন। তবে স্বদেশপ্রেমের দিকটি
তাঁর কবিতায় স্পষ্ট হয়েউঠেছে। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
খ) বিষয়সংক্ষেপ:
'বঙ্গ আমার ! জননী আমার!' কবিতার মাধ্যমে কবি তাঁর জন্মভূমি তথা দেশমাতার
দুঃখদুর্দশার কারণ জানার চেষ্টা করেছেন।বঙ্গজননীর ত্রিশ কোটি সন্তান। আর সেই
সন্তানগণ যখন সমবেতভাবে ‘মা’ বলে‘আমার দেশ' বলে ডেকে ওঠে তখন মাতার মাতার
বুক আনন্দে ভরে ওঠে। তবুও কেনমাতার নয়ন শুষ্ক, কেশ রুক্ষ, বেশ মলিন এবং ধুলায়
ধুলায় তার আসন লুণ্ঠিত হবে-সেবিষয়ে কবি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বঙ্গমাতার সন্তানরা সারা বিশ্বে নিজেদের কীর্তির সাক্ষ্য রেখেছে, তাতে দেশজননীগর্বিতা
হয়েছে। মানুষকে প্রকৃত মুক্তির পথ দেখিয়েছেন ভগবান বুদ্ধ, সেই মহামানবআমাদেরই
দেশজননীর সন্তান। সমগ্র বিশ্বে শান্তির বাণী প্রচার করেছিলেন যেমহামতি সম্রাট অশোক,
তিনি এদেশেরই সন্তান। এদেশের বিজয় সেনা সিংহল জয়করেছিল। তিব্বত, চিন, জাপানে
উপনিবেশ স্থাপন করেছিলেন ভারত সন্তানরা, সেইসন্তানের জননীর এমন মলিন বেশ,
এমন ধুলায় বসে থাকা উচিত নয়।
একদিন নিমাই অর্থাৎ শ্রীচৈতন্যদেব প্রেমের বাণী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এদেশের বুকে।
ন্যায়শাস্ত্র রচনার দ্বারা বিখ্যাত হন পণ্ডিত রঘুমণি। গান শুনিয়েছেন কবি চণ্ডীদাস,জাতির
গৌরব রক্ষার জন্য প্রতাপাদিত্য—এসব সন্তানের জননী বঙ্গমাতা। আরআমরাও ধন্য যে
তাদের দেহের রক্তধারা আমাদের দেহে প্রবাহিত হচ্ছে।যদিও বঙ্গমাতা পরাধীনতার শৃঙ্খলে
আবদ্ধ, তবে সেই শৃঙ্খল ভেঙে পড়বেই।ভারতবাসী আবার স্বাধীনতা অর্জন করবে, নতুন
প্রভাতের উদয় ঘটবে দেশের বুকে,কেটে যাবে সকল অন্ধকার আর দূর হবে মাতার
দুঃখ,দৈন্য,ক্লেশ, ত্রিশ কোটির মিলিত'মা' ডাকে মাতার দুঃখের অবসান ঘটবে।
গ) নামকরণ:
নামকরণ হল সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নামকরণের মাধ্যমে বিষয়বস্তু সম্পর্কে
আগাম ধারণা করা যায়। কবি পরাধীন দেশমাতার দুঃখ-দৈন্যের পরিচয় দিয়েছেন।
দেশমাতার এইরকম করুণদশা দেখে কবি খুব দুঃখিত। কিন্তু মাতাকে উদ্দেশ করে
বলেছেন,তাঁর সন্তানেরাবিশ্বের কাছে তাঁর সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। ভগবান বুদ্ধ,শ্রীচৈতন্য
মানবপ্রেমের মাধ্যমেসকলের আত্মসত্ত্বা জাগ্রত হয়েছেন। ভারতমাতার বীর লঙ্কা জয়
করেছেন। সেই সন্তানদের মাতারএমন মলিন বেশ, রুক্ষ কেশ থাকা উচিত নয়। কবি তাই
দেশজননীকে মনে রাখতে বলেছেন,এই সন্তানেরা যখন 'আমার দেশ' বলে
উচ্চকণ্ঠেমাতাকে আহ্বান করে, তখন মায়ের বক্ষ আনন্দে ভরে ওঠে।কবি মাকে
আরওবলেছেন, তাঁরই সন্তানপ্রতাপাদিত্য বীরবিক্রমে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিয়েছেন,
চণ্ডীদাসপ্রেমের গানে মুগ্ধ করেছেন, রঘুনাথ ন্যায়শাস্ত্র রচনা করেছেন। সেই সন্তানদের
গর্বে মাতো গর্বিতা। বর্তমানে মায়ের আঁচল ধুলায় লুণ্ঠিত, কারণ বিদেশি শক্তি মাকে
শৃঙ্খলেআবদ্ধ করে রেখেছে। কিন্তু এমন অবস্থা চিরকাল থাকবে না। আমাদের
শরীরেজননীর বীর সন্তানদের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। তাই মায়ের দুঃখ-দৈন্য দূর করবেই
তাঁরসন্তানেরা। তাই নতুন প্রভাত উদিত হবে এবং মায়ের সকল কষ্ট, সকল লজ্জা দূর
হয়েযাবে।এইভাবেই সমগ্র কবিতায় দেশজননীর গান করেছেন কবি। তাই
কবিতাটিরবিষয়মুখী নামকরণ 'বঙ্গ আমার! জননী আমার।'-সার্থক এবং যথার্থ হয়েছে।
ঘ) হাতে- কলমে সমাধান:
১) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১.১) দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হল- ‘আলেখ্য’ ও ‘মন্ত্র'।
১.২)কবি দ্বিজেন্দ্রলালের কবিতার মূল সুর কী ছিল?
উত্তর:কবি দ্বিজেন্দ্রলালের কবিতার মূল সুর ছিল স্বদেশপ্রেম।
৮) নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো;
৮.১) কবি দেশকে কী কী নামে সম্বোধন করেছেন?
উত্তর: কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় দেশকে বঙ্গ, জননী, মা-প্রভৃতি বলে সম্মোধন করেছেন।
৮.২) 'কেন গো মা তোর মলিন বেশ ?'- 'মা' বলতে কবি কাকে বুঝিয়েছেন ? তাকে 'মা'
বলা হয়েছে কেন?
উত্তর নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!' কবিতায়,‘মা’
বলতে কবি দেশকমাতাকে বুঝিয়েছেন।
* জন্মদাত্রী মা আমাদের জন্ম দেন, কিন্তু আমরা বেড়ে উঠি দেশের বুকে। দেশের মাটি, জল,
বাতাসআমাদের শরীর মন গঠন করে। তাই দেশকে 'মা' বলা হয়েছে।
৮.৩) ‘মা’-এর বেশ মলিন ও বেশ রুক্ষ কেন?
উত্তর: নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!'কবিতায়- মা বলতে
দেশমাতাকে বোঝানো হয়েছে। ইংরেজ শাসনে দেশ পরাধীন, দেশের বুকে চলছে বিদেশি
শাসকের অমানবিক অত্যাচার। তাই আজ দেশমাতা অর্থাৎ মা-এর মলিন বেশ এবং রুক্ষ
কেশ।
৮.৪) অশোক কোথায় কোথায় তাঁর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন ?
উত্তর অশোক ছিলেন মৌর্য বংশেরশ্রেষ্ঠ সম্রাট। তিনি গান্ধার থেকে জলধি পর্যন্ত তাঁর
প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
৮.৫ 'অর্ধ-জগৎ ভক্তি-প্রণত চরণে যাঁর’– অর্ধ-জগৎ' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কার চরণে
তাপ্রণত হয়েছে?
উত্তর:নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!' কবিতায়-অর্ধ-জগৎ
বলতেকবি প্রায় অর্ধেক বিশ্বকে বুঝিয়েছেন। চিন, জাপান, তিব্বত, কোরিয়া, সিংহল
প্রভৃতিবহু দেশে বৌদ্ধধর্ম মানুষের মনকে জয় করেছিল। অর্ধ-জগৎ বলতে উক্ত দেশগুলির
সমষ্টিকেই কবি বুঝিয়েছেন।
৮.৬) 'যুদ্ধ করিল প্রতাপাদিত্য'—প্রতাপাদিত্য কে ছিলেন? তিনি কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন?
উত্তর: নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!' কবিতায়-ষোড়শ
শতকেঅধুনা বাংলাদেশে বারো জন বিখ্যাত ভূস্বামী ছিলেন, যারা বারো ভূঁইয়া নামে
পরিচিত।এদের মধ্যে শক্তিশালী ছিলেন প্রতাপাদিত্য। তাঁর অধীনে শক্তিশালী সেনাদল ছিল।
* প্রতাপাদিত্য মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন এবং শেষপর্যন্ত
প্রাণদিয়েছিলেন। তিনি নিজের রাজ্যের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন।
৮.৭ ‘ধন্য আমরা’– 'আমরা' বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? আমরা কখন নিজেদের ধন্য
বলে মনেকরতে পারি?
উত্তর: নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!' কবিতায়-'আমরা’
বলতেকবি ভারতবাসীকে বুঝিয়েছেন।আমরা যদি আপন কর্মের মাধ্যমে দেশমাতাকে
গর্বিত করতে পারি বা পূর্বপুরুষদের বীররক্ত যদি আমাদেরশিরায় বহমান থাকে, তবেই
আমরা নিজেদের ধন্য বলে মনে করতে পারি।
৮.৮) নবীন গরিমা কীভাবে ললাটে ফুটে উঠবে?
উত্তর: নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার ! জননী আমার!' কবিতায় কবি
বলেছেন-আঁধার কালিমা জননীকে ঘিরে আছে কিন্তু এই অন্ধকার একদিন দূর হয়ে যাবে।
দেশমাতার ললাটে নতুন প্রভাতের উদয় ঘটবে। নব নব গৌরবে দেশজননী গর্ববোধঅনুভব
করবে।
৮.৯)আমরা কীভাবে বঙ্গজননীর দুঃখ, দৈন্য, লজ্জা দূর করতে পারি?
উত্তর: নাট্যকর দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!' কবিতায়-দেশ
পরাধীনথাকার কারণেই দেশমাতার দুঃখ,দৈন্য,লাঞ্ছনা। আমরা যদি দেশকে বিদেশি
শাসনেরহাত থেকে উদ্ধার করতে পারি, তবে বঙ্গ জননীর দুঃখ-দৈন্য, লজ্জা দূর হবে।
৯)নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও:
৯.১)'যদিও মা তোর দিব্য আলোকে ঘিরে আছে আজ আঁধার ঘোর ?”—কবির কেন মনে
হয়েছে যেবঙ্গ জননীকে আঁধার ঘিরে আছে?
উত্তর: নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!' কবিতায়- বঙ্গমাতা
আজপরাধীন কিন্তু দেশমাতার সন্তানেরা সারা বিশ্বে আপন কীর্তির পরিচয় রেখেছিলেন।
যেমন ভগবান বুদ্ধ , শ্রীচৈতন্য, অশোক,গান্ধার প্রভৃতিএই সন্তানদের কৃতিত্বেদেশজননী গর্ব
অনুভব করতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই সুখের সময় নেই। পরাধীনতারযন্ত্রণায় বিদীর্ণ মায়ের
হৃদয়। পরাধীন দেশের বুকে নেমে আসে অন্ধকার, এই কারণেইকবির মনে হয়েছে বঙ্গ
জননীকে ঘিরে আছে আঁধার।কবি পরাধীন দেশের নাগরিক। তাই পরাধীনতার যন্ত্রণা তাঁর
হৃদয়কে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে।ব্রিটিশ শাসনে ভারতবর্ষ শোষিত, লাঞ্ছিত, নিপীড়িত।
ধুলায় লুণ্ঠিত আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা। দেশমাতার নয়ন তাই কেঁদে কেঁদে শুষ্ক, তাঁর
বসন আজ ছিন্ন, রুক্ষ তাঁরকেশ। এক অন্ধকারময় পরিস্থিতি ঘিরে আছে দেশকে।
৯.২)এই বঙ্গভূমি তোমার কাছে কেন প্রিয় সে সম্পর্কে জানিয়ে বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো।
প্রিয় কমল,
বীরভূম
১৫/০৮/২০২৪
অনেকদিন পরে তোর চিঠি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। তোরা সবাই ভালো আছিস জেনে আরও খুশি
হয়েছি। চিঠিতে তুই জানতে চেয়েছিস জন্মভূমিকে আমি কতটা ভালোবাসি? আজ সে
কথাই তোকে জানাচ্ছি।আমার জন্মভূমি এই বাংলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার জল
বাতাসেই আমার বেঁচে থাকি, আমার বড়ো হয়ে ওঠি। আমার পূর্বপুরুষের স্মৃতি মিশে
আছে এখানেই। তাদের পদধূলি পড়েছে আমার জন্মভূমিতে। বহু বীর বিপ্লবীর
কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বঙ্গভূমি। যেমন— নেতাজি সুভাষচন্দ্র, ক্ষুদিরাম,
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন প্রমুখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এই বাংলারই সন্তান। শ্রীচৈতন্যদেব,
শ্রীরামকৃষ্ণ, রামমোহন, বিদ্যাসাগরের মতো মহান মানুষেরা এই বঙ্গদেশেই জন্মেছেন।
বঙ্গদেশে জন্মাতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। এই সব কারণেই বঙ্গভূমি
আমার অতি প্রিয়।
দেখা হলে আরও অনেক কথা বলব। আমরা সকলে ভালো আছি। তুই ভালো থাকিস। কাকা, কাকিমাকে আমার প্রণাম জানাস।
ইতি
তোর রাজু
তারিখ:২০/০৮/২০২৪
কমল বসু,
প্রযত্নে সুধীর বসু
ডাকটিকিট
৩৪০, নেতাজি কলোনি,
কলকাতা- ৯০।
৯.৩) চিন, জাপান, তিব্বতে বাঙালি সত্যি কি কোনোদিন উপনিবেশ তৈরি করেছিল? শিক্ষক/
শিক্ষিকার কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে নিয়ে লেখো।
উত্তর:নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!' কবিতায় বলেছেন যে-
বঙ্গ-সন্তানগণ চিন, জাপান ও তিব্বতে উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল। ভারতীয়রা কখনোই
চিনেবা জাপানে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি। চিন, জাপান ও তিব্বতে ভারতীয়দের
বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল বহু প্রাচীনকাল থেকেই।ভারতের সঙ্গে ওই দেশগুলির বন্ধুত্বপূর্ণ
সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল কিন্তু তাই বলে ওই দেশগুলিতে কখনোই ভারত উপনিবেশ গড়ে
তোলেনি।
৯.৪)পরাধীন ভারতের মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেএই কবিতায় দেশের প্রতি যে
ভাবাবেগপ্রকাশিত হয়েছে তা তোমার নিজের ভাষায় বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের রচিত 'বঙ্গ আমার! জননী আমার!' কবিতায়-পরাধীন
দেশেরনাগরিক ছিলেন কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। তিনি বুঝেছিলেন স্বাধীনতা না এলে দেশের
উন্নতি ঘটবে না। তাই দেশের পূর্ব গৌরবের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি
দেশবাসীকেস্বদেশপ্রেমে জাগ্রত করে তুলতে চেয়েছেন। জাতির সামনে আদর্শ না থাকলে,
জাতিকখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। কবি তাই আদর্শ মানুষদের কথাই তুলে
ধরেছেনআমাদের সামনে। ভগবান বুদ্ধ,অশোকের কৃতিত্বকে সকলেই স্বীকার করেন;
চণ্ডীদাস,প্রতাপাদিত্য, রঘুমণি, বাঙালিদের কাছে অসামান্য চরিত্র।দেশের জনগণ যদি
এদেরকীর্তির পরিচয় জানতে পারে, তবে অবশ্যই তাদের মনে দেশের প্রতি গৌরব
বোধেরসৃষ্টি হবে। তবেই তারা পরাধীনতার শৃঙ্খলমোচন থেকে মুক্তি পাবে।কারণ তারা
যখনজানবে যে তারা বীর, আদর্শ মানুষদের রক্তই বহন করছে নিজেদের দেহে।
আলোচ্যকবিতায় কবি সেই ভাবাবেগই সঞ্চারিত করেছেন।
Contents:
আরো পড়ুন:
ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here
পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here
কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
It all began with drip drip part 1 Click Here
It all began with drip drip part 2 Click Here
It all began with drip drip part3 Click Here
the adventurous clown part 1 Click Here
the adventurous clown Part 2 Click Here
the adventurous clown part 3 Click Here
The rainbow poem Lesson 3 part 1 Click Here
The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here
The Shop That Never Was Lesson-4 part-2
The Shop That Never Was Lesson -4 part-3
মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
মাটির ঘরের দেওয়াল চিত্র প্রশ্ন উত্তর click Here
পিঁপড়ে কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here
ফাঁকি গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here
আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here
এক ভুতুড়ে কান্ড গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here
বাঘ কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here
বঙ্গ আমার জননী আমার কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here
Land of the pharaohs part 1 click Here
Land of the pharaohs part 2 click Here
0 Comments