চিঠি স্বামী বিবেকানন্দ প্রশ্ন উত্তর। চিঠি প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর। চিঠি প্রবন্ধের বিষয়বস্তু। চিঠি class 9 mcq। চিঠি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর class 9।




চিঠি স্বামী বিবেকানন্দ প্রশ্ন উত্তর। চিঠি প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর। চিঠি প্রবন্ধের বিষয়বস্তু। চিঠি class 9 mcq। চিঠি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর class 9।



                                                   চিঠি 

                                        স্বামী বিবেকানন্দ


সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ। বিষয় সংক্ষেপ

গ। নামকরণ

ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ঙ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(SAQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

চ। ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

ছ। বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর ১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।



e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


স্বামী বিবেকানন্দ:

ভূমিকা: 

স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন ভারতে নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ এবং ব্রিটিশ শাসনাধীন

ভারতে জাতীয়তাবাদী ধারণার অন্যতম প্রবক্তা। পাশ্চাত্য জগতে ভারতের সনাতন বেদান্ত

ও যোগ দর্শনকে পরিচিত করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অন্যতম ভূমিকা রয়েছে।


 জন্ম ও শৈশব:

১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা পল্লির দত্ত পরিবারে স্বামী বিবেকানন্দ

জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত,মায়ের নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। বিশ্বনাথ দত্ত

ছিলেন সেকালের বিখ্যাত অ্যাটর্নি। শৈশবে বিবেকানন্দ বীরেশ্বর বা বিলে নামে পরিচিত

ছিলেন। তাঁর পোশাকি নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ,সন্ন্যাস গ্রহণের পর তাঁর নাম হয় স্বামী

বিবেকানন্দ। এই নামেই জগৎবাসীর কাছে তিনি পরিচিত। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন

মেধাবী ও প্রখর বুদ্ধির অধিকারী।


 ছাত্রজীবন: 

কলকাতার মেট্রোপলিটন স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রেসিডেন্সি

কলেজে ভরতি হন। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ ছেড়ে দিয়ে ভরতি হন জেনারেল

অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে [বর্তমানে স্কটিশচার্চ কলেজ]। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৮৪

খ্রিস্টাব্দে তিনি বিএ পাস করেন। তিনি আইন পড়তেও শুরু করেছিলেন, কিন্তু পিতার মৃত্যুর

পর আর্থিক অনটন দেখা দেওয়ায় তাঁর আইন পড়া বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রজীবনে তিনি সাধারণ

বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে সংগীত ও ব্যায়ামেও যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করেন।


 আধ্যাত্মিকতা ও কর্মজীবন: 

স্বামী বিবেকানন্দ যখন FA ক্লাসের ছাত্র ছিলেন,তখন শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।

 শ্রীরামকৃয়ের ব্যক্তিত্ব তাঁকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্যত্ব গ্রহণ

 করেন। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামকৃষ্ণের দেহত্যাগের পর গুরুভাইদের সহযোগিতায় তিনি

বরানগরে শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ স্থাপন করেন। ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরিব্রাজকরূপে ভারত

ভ্রমণে বের হন। এই সময় তিনি একদিকে যেমন ভারতবর্ষ ও ভারতবাসীদের প্রত্যক্ষভাবে

জানার চেষ্টা করেন, অন্যদিকে তেমনি নানান শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে

শিকাগো ধর্মমহাসভায় যোগ দেবার জন্য তিনি আমেরিকা যাত্রা করেন। সেখানে হিন্দুধর্ম

বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে তিনি বিদেশিদের শ্রদ্ধা অর্জন করেন। তিনি বেশ কিছুকাল আমেরিকা

ও ইউরোপে অবস্থান করে বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা ও আলোচনার মাধ্যমে ভারতীয় জীবনদর্শন

ও চিন্তাধারা সম্পর্কে বিদেশের মানুষের ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে সচেষ্ট হন।

ইংল্যান্ডে বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা দেবার সময় মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোবলের সঙ্গে

পরিচয় হয় স্বামীজির।মিস নোব্‌ল নিয়মিত স্বামীজির বক্তৃতা শুনতেন এবং নানা প্রশ্ন

করতেন। স্বামীজির জীবনই তাঁকে প্রকৃত জীবনপথের দিশা দেখায়। তিনি সংকল্প করেন

ভারতবর্ষের মানুষের জন্য কাজ করবেন। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে স্বামীজি ফিরে এলেন স্বদেশে।

সে বছর তিনি ‘রামকৃষ্ণ মিশন' এবং ১৮৯৯-এ বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠা করলেন। ১৮৯৮

খ্রিস্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি মিস নোবল এলেন কলকাতায়। এই অগ্রগণ্যা শিষ্যাকে স্বামীজি

নিজে গিয়ে স্বাগত জানালেন। ইনিই পরবর্তীকালে ভগিনী নিবেদিতা নামে পরিচিত হন।


 সমাজসেবা:

স্বামী বিবেকানন্দ সমাজসেবায় যে আদর্শ স্থাপন করেছিলেন তার তুলনা মেলা ভার। তাঁর

রচনা ও বক্তৃতায় দেশের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে সমাজসেবার অনুপ্রেরণা সঞ্চারিত হয়।

তিনি মানুষকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আধ্যাত্মিক মুক্তির পথ অনুসন্ধান করেননি। তিনি

বিশ্বাস করতেন- ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর'।


 সাহিত্যকর্ম: 

স্বামী বিবেকানন্দ বাংলা ও ইংরেজিতে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য

কয়েকটিহল-‘ভাববারকথা,পরিব্রাজক,প্রাচ্যপাশ্চাত্য,বর্তমানভারত,Karmayoga,Rajayoga,J

nanayoga,প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষা ব্যবহারেরক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান

রয়েছে।


 জীবনাবসান:

১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই মাত্র ৩৯ বছর বয়সে স্বামী বিবেকানন্দ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

তাঁর জন্মদিবসটি সারা ভারতে ‘যুব দিবস' হিসেবে পালিত হয়।


উৎস

আলোচ্য পত্রটি স্বামী বিবেকানন্দ ২৯ জুলাই ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে শৈলশহর আলমোড়া থেকে

মিস মার্গারেট নোবেলকে লেখেন। চিঠিটি স্বামী বিবেকানন্দের 'বাণী ও রচনা, গ্রন্থের সপ্তম

খন্ডের 'পত্রাবলী, নামক পত্র সংকলন থেকে গৃহীত হয়েছে। আলোচপত্রটি পত্রাবলী পত্র

সংকলনের ৩৭১ সংখ্যক পত্র।



বিষয়সংক্ষেপ:

১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই তারিখে ভারতের আলমোড়া থেকে মিস মার্গারেট নোবলকে

লেখা চিঠিতে স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে ভারতবর্ষে গঠনমূলক কাজ করতে আসার জন্য

স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ভারতবর্ষের প্রাকৃতিক ও সামাজিক প্রতিকূলতা, শ্বেতাঙ্গদের

প্রতি ভারতীয়দের মনোভাব, কেমন তা ভারতীয়দেরপ্রতি শ্বেতাঙ্গদেরমনোভাব জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গক্রমে এদেশে কাজ করতে আসার পর মিস নোবেলের কর্মপ্রণালী কেমন হবে সে

বিষয়েও চিঠিতে আলোকপাত করেছেন স্বামীজি।

স্টার্ডি সাহেবের চিঠি পড়ে স্বামীজি জেনেছেন মিস নোব্‌ল্‌ ভারতে আসতে এবং ভারতবর্ষের

পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে দৃঢ়সংকল্প। এ ছাড়াও স্বামীজি মিস মুলারের কাছে নোবলের

সম্পর্কে যা শুনেছেন, তাতে তাঁর মনে হয়েছে সমগ্র বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মিস নোবলকে

চিঠি লেখাই ভালো।


স্বামীজির দৃঢ় বিশ্বাস ভারতের কাজে মিস নোবলের এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে। ভারতবর্ষের

 নারীসমাজের উন্নতির জন্য, নারীর প্রয়োজন।মিস নোবলের উপস্থিতি সেই প্রয়োজন

 মেটাবে বলে তিনি আশা করেন। মিস নোবলের শিক্ষা, তাঁর ঐকান্তিকতা,পবিত্র মনোভাব,

 অসীম ভালোবাসা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং সর্বোপরি তাঁর ধমনিতে প্রবাহিত কেল্টিক

 রক্তের জন্য তাঁকেই বিশেষ প্রয়োজন বলে স্বামীজি মনে করেন।

এদেশে কাজের জন্য মিস নোব্‌ল্‌ এসে পৌঁছানোর আগেই স্বামীজি তাঁকে দেশের সামগ্রিক

পরিস্থিতি জানিয়েছেন। নিজের সম্পর্কে বিনয় প্রকাশ করে স্বামীজি তাঁকে একথাও

জানিয়েছেন যে তিনি ভারতবর্ষে আপন প্রভাব অনুযায়ী সর্বান্তঃকরণে নোবেলকে সাহায্য

করবেন। কাজ শুরু করার আগে সে বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার কথা জানানোর সঙ্গে

সঙ্গে স্বামীজি মিস নোবেলকে লিখেছেন যদি মিস নোব্‌ল তাঁর কাজে ব্যর্থ হন কিংবা কাজে

কখনও তাঁর বিরক্তি আসে, তাহলেও তিনি স্বামীজিকে তাঁর পাশেই পাবেন।


প্রসঙ্গত স্বামীজি নোবেলকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অর্থাৎ স্বাবলম্বী হওয়ার কথা

 জানিয়েছেন। এদেশে এসে যেন মিস নোব্‌ল্‌ কখনোই মিস মুলার কিংবা অন্য কারও আশ্রয়

 গ্রহণ না করেন সে বিষয়ে তাঁকে সতর্ক করেছেন স্বামীজি। মিস মুলারের মনোভাবের

 সমালোচনা করে স্বামীজি জানিয়েছেন— দুর্ভাগ্যক্রমে এই ধারণা ছেলেবেলা থেকেই তাঁর

 মাথায় ঢুকেছে যে, তিনি আজন্ম নেত্রী আর দুনিয়াকে ওলটপালট করে দিতে টাকা ছাড়া

 অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই।' এই মনোভাবের কারণেই তাঁর সঙ্গে মানিয়ে চলা অসম্ভব বলে

 স্বামীজি মনে করেন।

প্রসঙ্গক্রমে উঠে এসেছে সেভিয়ার দম্পতির কথা। ভারতবর্ষে এসে নারীকুলের রত্ন, স্নেহময়ী

 মিসেস সেভিয়ার এবং মি. সেভিয়ার ভারতীয়দের ঘৃণা না করে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

 কিন্তু তাঁরা এখনও কোনো কার্যপ্রণালী স্থির করতে পারেননি। মিস নোবল ভারতে এসে তাঁর

 কাজে এঁদের পাশে পেতে পারেন বলে স্বামীজি জানিয়েছেন। আমেরিকার সংবাদে স্বামীজি

 জেনেছেন যে তাঁর দুজন বন্ধু মিস ম্যাকলাউড এবং  মিসেস বুল আসন্ন শরৎকালে ভারত

 পরিভ্রমণে আসবেন। যেহেতু তাঁরা ইউরোপ হয়েই ভারতবর্ষে আসবেন স্বামীজি মিস

 নোবেলকে তাঁদের সঙ্গী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে তাঁর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ক্লান্তি

 দূর হতে পারে বলে স্বামীজি মন্তব্য করেছেন।


পরিশেষে স্বামীজি আবার মিস্টার স্টার্ডির চিঠির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জানিয়েছেন, তাঁর

চিঠিটি অত্যন্ত শুষ্ক এবং প্রাণহীন। লন্ডনের কাজ ব্যর্থ হওয়ায় তিনি যে যথেষ্ট হতাশ, 

পড়ে তা বুঝতে স্বামীজির অসুবিধা হয়নি। এরপর মিস নোবেলকে অনন্ত ভালোবাসাজানিয়ে

স্বামীজি তাঁর চিঠি সমাপ্ত করেছেন।


নামকরণ:

মিস মার্গারেট নো ভারতবর্ষে সামাজিক এবং গঠনমূলক কাজ করতে আসবেন, এ কথা

 জেনে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি নোকে

 উদ্দেশ্য করে পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন। এদেশে তাঁর কাজের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা,

 আবহাওয়ার বিরূপতা, সুখস্বাচ্ছন্দ্যের অভাব ইত্যাদি যে বাধা হয়ে উঠতে পারে বিবেকানন্দ

 সে বিষয়ে মিস নোকে অবহিত করেন। এদেশের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব ইত্যাদিও

 যে তাঁর কাজকে কঠিন করে তুলতে পারে সেকথাও তিনি মিস নোকে জানিয়ে রাখেন। তবে

 তিনি নিজে যে আমৃত্যু তাঁর পাশে থাকবেন সেকথা জানাতে বিবেকানন্দ দ্বিধা করেননি।

 ভারতে কাজের ক্ষেত্রে মিস নোবলের যে নিজের মতো করে পরিকল্পনা করা এবং কারও

 দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া উচিত সেকথাও বিবেকানন্দ জানান। প্রসঙ্গত এদেশের সঙ্গে

 সংযোগ তৈরি হওয়া বিভিন্ন ইউরোপীয় নারীদের সম্পর্কে বিবেকানন্দ নিজের অভিমত

 প্রকাশ করেন। ভারতের মতো দেশে, বিশেষত নারীদের উন্নতির জন্য মিস মার্গারেট

 নোবলের মতো মানুষের যে বিশেষ প্রয়োজন সেকথাও তিনি জানানতাঁরশিক্ষা,ঐকান্তিকতা,

 পবিত্রতা, ভালোবাসা, দৃঢ়তা ইত্যাদি তাঁকে যেভাবে গড়ে তুলেছে, ঠিকসেরকম নারীকেই যে

 ভারতের দরকার তাও বিবেকানন্দ স্পষ্ট করে বলেন। এইভাবে চিঠিরমধ্যে দিয়ে গোটা

 রচনাটিতে তিনি নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাই আঙ্গিকের দিকথেকে রচনার 'চিঠি'

 নামকরণ যথাযথ হয়েছে বলে মনে হয়।


ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১) পাঠ্য চিঠিটি যে-তারিখে স্বামীজি লিখেছিলেন— ক) ২২ জুলাই ১৮৮৭ 

খ) ২৯ জুলাই ১৮৯৭

গ) ১২ এপ্রিল ১৮৯৭

ঘ) ২৬ জুন ১৮৯৭


উত্তর:(খ) ২৯ শে জুলাই ১৮৯৭ 


২)স্বামী বিবেকানন্দ কাকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠিটি লিখেছিলেন? 

ক) মি. ই টি স্টাডিকে 

খ) মিস নোবলকে 

গ) মিসেস সেভিয়ারকে

ঘ) মিসেস বুলকে


উত্তর:(খ) মিস নোবলকে 


৩)চিঠিটি তিনি মিস নোবলকে লিখেছিলেন—

 

ক) আলমোড়া থেকে 

খ) সিকিম থেকে 

গ) দার্জিলিং থেকে

ঘ) কার্সিয়াং থেকে

উত্তর:(ক) আলমোড়া থেকে


৪) মিস নোবল-এর সম্পূর্ণ নাম – 

ক) মিস হেনরিয়েটা নোবল 

খ) মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোব্‌ল

গ) মিস জোসেফাইন নোব্‌ল্‌

ঘ) মিস জোসেফাইন মার্গারেট নোব্‌ল


উত্তর: (খ) মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল


৫) 'সম্পূর্ণ নাম মিস মার্গারেট নোবল'—মার্গারেট নোবল্ এদেশে কী নামে পরিচিত?


ক) ভগিনী নিবেদিতা 

খ) মিস নোবল

গ) নিবেদিতা 

ঘ) মিস মার্গারেট ই নোব্‌ল

উত্তর: (ক) ভগিনী নিবেদিতা


৬)স্বামীজির শিষ্যাদের মধ্যে অন্যতমা ও অগ্রগণ্যা'–কে স্বামীজির শিষ্যাদের মধ্যে অন্যতমা-


ক) মিস মুলার

খ) মিস ম্যাকলাউড

গ) মিসেস সেভিয়ার

ঘ) মিস নোব্‌ল্‌

উত্তর: (ঘ) মিস নোবল


৭)'একখানা চিঠি কাল পেয়েছি।'-এখানে স্বামী বিবেকানন্দ যাঁর চিঠি পাওয়ার কথা বলতে চেয়েছেন,তিনি হলেন-


ক) মিসেস সেভিয়ার 

খ) মিস মুলার

গ) মি. স্টার্ডি 

ঘ) মিস নোব্‌ল্‌

উত্তর: (গ) মি. স্টাডি


৮) মি. স্টার্ডি কোথায় স্বামী বিবেকানন্দকে বেদান্ত প্রচারে সাহায্য করেছিলেন? 

ক) আমেরিকায়

খ) ইংল্যান্ডে 

গ) ইউরোপে 

ঘ) রাশিয়ায়

উত্তর: (খ) ইংল্যান্ডে


৯) ‘তুমি ভারতে আসতে এবং সবকিছু চাক্ষুষ দেখতে দৃঢ়সংকল্প।’-এখানে কার কথা বলা হয়েছে— 

ক) ভগিনী নিবেদিতার কথা

খ) স্বামী বিবেকানন্দের কথা 

গ) মি. স্টাডির কথা 

ঘ) মিসেস সেভিয়ারের কথা 

উত্তর: (ক) ভগিনী নিবেদিতার কথা 


১০) নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন-

ক)সেভিয়ার দম্পতি 

খ)স্বামী বিবেকানন্দ 

গ)মিস নোবেল 

ঘ)জোসেফাইন ম্যাকলাউড

উত্তর:(গ) মিস নোবেল


ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(SAQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১)পাঠ্য ‘চিঠি’টি কত খ্রিস্টাব্দে এবং কোথা থেকে

স্বামী বিবেকানন্দ লিখেছিলেন?


উত্তর:পাঠ্য 'চিঠি'টি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই আলমোড়া থেকে স্বামী বিবেকানন্দ

লিখেছিলেন।


২)আলমোড়া জায়গাটি কোথায় অবস্থিত ?


উত্তর: উত্তরাখণ্ডের বিখ্যাত শৈলশহর হল আলমোড়া।


৩)‘একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।–কার চিঠি স্বামী

বিবেকানন্দ পেয়েছেন এবং তার পরিচয় কী?


উত্তর: স্বামীজি তাঁর ইংরেজ শিষ্য মি. স্টার্ডির কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার কথা বলেছেন। এই

স্টার্ডিই ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারে স্বামীজিকে সাহায্য করেছিলেন।



৪)'একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন-' প্রকৃত সিংহী কাকে বলা হয়েছে এবং কেন ?


উত্তর: স্বামীজির কথায় এক্ষেত্রে প্রকৃত সিংহী হলেন মিস নোবল। তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা,

সাহস এবং অনমনীয় ব্যক্তিত্বের জন্যই তাকে প্রকৃত সিংহী বলা হয়েছে।


৫)'সর্বোপরি তোমার ধমনিতে প্রবাহিত কেল্টিক রক্তের জন্য,স্বামী বিবেকানন্দের এরুপ

বলার কারণ কী?


উত্তর:মিস নোবল ভারতে যে-প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে চেয়েছিলেন তার জন্য দরকার

অনমনীয় দৃঢ়তা, ধৈর্য ও সাহস। স্বামীজির কথায় ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ

সভ্যতার বাহক কেল্টিকদের পক্ষেই তা সম্ভব, তাই কেল্টিক বংশীয় নিবেদিতাই এর যোগ্য।


৬)'তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন। —কাকে উদ্দেশ্য করে স্বামী বিবেকানন্দ একথা বলেছেন?


উত্তর:উদ্ধৃত উক্তিটি স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোব্‌ল্‌ তথা নিবেদিতাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।


৭)‘তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন। —সেইরূপ বলতে কোরূপ বোঝানো হয়েছে?


উত্তর:কুসংস্কার ও অজ্ঞানতায় ভরা ভারতের সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করতে গেলে

যে-ঐকান্তিকতা, শিক্ষা, পবিত্রতা, অসীম ভালোবাসা ও চারিত্রিক দৃঢ়তার প্রয়োজন কেল্টিক

রক্তের অধিকারিণী নিবেদিতার তা ছিল।


৮)'‘তারা শ্বেতাঙ্গদের এড়িয়ে চলে-এখানে 'তারা' বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে এবং কেন তারা এড়িয়ে চলে?


উত্তর:'তারা' বলতে নিরক্ষর ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারতীয়দের কথা বলা হয়েছে। 'তারা'

শ্বেতাঙ্গদের ভয় ও ঘৃণাবোধ থেকে এড়িয়ে চলে।



৯) মিসেস বুলকে স্বামীজি কী নামে সম্বোধন করতেন?

উত্তর:মিসেস বুলকে স্বামীজি ‘মা' বা 'ধীরামাতা' বলে সম্বোধন করতেন।


১০) ‘চিঠিটি বড়ো শুষ্ক এবং প্রাণহীন।— কোন্ চিঠির কথা বলা হয়েছে?


উত্তর: উদ্ধৃতাংশে যে-চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি হল বিবেকানন্দকে লেখা মি.

স্টার্ডির চিঠি। যার বিষয়বস্তু ছিল লন্ডনের বেদান্ত প্রচারের কাজ পণ্ড হওয়া।


১১) মি. স্টার্ডি কীভাবে স্বামীজিকে সাহায্য করেছিলেন?


উত্তর:পাঠ্য চিঠি পড়ে জানা যায়, মি. স্টার্ডি ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে স্বামীজিকে

সাহায্য করেছিলেন।


১২) মিস মুলারের পুরো নামটি কী?

উত্তর: মিস মুলারের পুরো নামটি হল মিস হেনরিয়েটা মুলার।


১৩) 'আমাকে আমরণ তোমার পাশেই পাবে,- কে, কাকে আমরণ পাশে পাবে?

উত্তর: স্বামীজি ভারতে আগত নিবেদিতাকে একথা বলেছেন।মিস নোবেল যদি এই দেশে

কাজ করতে গিয়ে বিফল হন কিংবা তাঁর বিরক্তি আসে তবে শেষ পর্যন্ত স্বামীজি তাঁর পাশে

থাকবে।


চ। ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩


১) 'স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।—স্টার্ডি কে? তাঁর চিঠি থেকে লেখক কী জেনেছেন?


উত্তর:১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই আলমোড়া থেকে স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবলকে

উদ্দেশ্য করে যে পত্র লেখেন, তাতেই স্টার্ডির উল্লেখ পাই। স্টার্ডির সম্পূর্ণ নাম মি. ই টি

স্টার্ডি। তিনি হলেন স্বামী বিবেকানন্দের একজন ইংরেজ ভক্ত। ইংল্যান্ডে বেদান্ত ধর্মপ্রচারের

ক্ষেত্রে তিনি স্বামীজিকে বিশেষ সহায়তা করেছিলেন। ভারতে থাকার সময় স্টার্ডি

আলমোড়াতে তপস্যা করেছিলেন।মি স্টার্ডির চিঠি থেকে স্বামীজি জানতে পারেন যে—তাঁর

অন্যতম ইউরোপিয়ান শিষ্যা মিসনোব্‌ল ভারতে আসতে এবং ভারতবর্ষের সব কিছু চাক্ষুষ

করতে দৃঢ়সংকল্প করেছেন।



২)'একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন।- উদ্ধৃতাংশের উৎস কী? এখানে লেখক কাকে, কেন 

সিংহী  বলে উল্লেখ করেছেন?

উত্তর:উদ্ধৃত অংশটির উৎস হল স্বামী বিবেকানন্দের মিস নোবলকে লেখা “চিঠি' নামক

গদ্যাংশ থেকে।লেখক তাঁর ‘চিঠি’-তে মিস মার্গারেট নোবলকে ‘প্রকৃত সিংহী' বলেছেন।

ভারতের নারীজাতির অশিক্ষা, অজ্ঞানতার বন্ধনদশা থেকে মুক্তির জন্য একজন শক্তিময়ী

নারীর প্রয়োজন বলে মনে করেছেন স্বামীজি। স্টার্ডির পত্র ও মিস মুলারের বক্তব্য থেকে

স্বামীজি মিস নোবল-এর ভারতপ্রেম ও ভারতে আসার দৃঢ়সংকল্পের পরিচয় পেয়েছেন।

তা ছাড়া মিস নোবল-এর শিক্ষা, কর্মের প্রতি দৃঢ় নিষ্ঠা, সর্বোপরি তার ধমনিতে কেল্টিক

রক্তের বহমানতার কারণেই স্বামীজির মনে হয়েছে নিবেদিতাই ভারতের নারীসমাজকে

মুক্তির দিশা দেখাতে পারবেন। তাই স্বামীজি তাঁকে ‘প্রকৃত সিংহী' বলেছেন।


৩)‘তুমি নিজেকে অর্ধ-উলঙ্গ অসংখ্য নরনারীতে পরিবেষ্টিত দেখতে পাবে। —উক্তিটির

তাৎপর্য আলোচনা করো।

উত্তর: ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই আলমোড়া থেকে স্বামী বিবেকানন্দ একটি পত্র লেখেন

 মিস নোব্‌ল্ অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতাকে। ভারতে প্রবেশের পূর্বে তৎকালীন ভারতবর্ষ ও

 ভারতবাসীদের সম্পর্কে নিবেদিতাকে সম্যক ধারণা দেওয়ার জন্যই তাৎপর্য উক্ত পত্রটি

 লেখেন স্বামীজি। ভারতীয়দের দারিদ্র্য, কুসংস্কারাচ্ছন্নতা, অজ্ঞানতা কতটা গভীর—স্বামীজি

 তা জানেন। আধুনিক মনন থেকে তারা বঞ্চিত, জাতধর্মের বাছবিচারে তারা মগ্ন হয়ে আছে।

 বিশেষভাবে ভারতের নারীসমাজ অজ্ঞানতার সমুদ্রে ভাসমান। বহির্বিশ্বের শিক্ষার আলো

 থেকে তারা বঞ্চিত। ভারতবাসীর এমন অসহায়তা ও দুরবস্থার কথাই লেখক তুলে ধরেছেন।


৪)‘কারও কারও সঙ্গে দূর থেকে বন্ধুত্ব করাই ভালো-এ কেন এমন উক্তি করেছেন? 

উত্তর: মিস নোবল অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতাকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে মিস মুলার

 সম্পর্কে উক্তিটি করেছেন স্বামী বিবেকানন্দ।

স্বামীজির মতে, মিস মুলার নিজের ভাবে একজন চমৎকার মহিলা হলেও তাঁর মধ্যে

নেত্রীসুলভ মনোভাব প্রবলভাবে রয়েছে। মুলারের ধারণা টাকা দিয়েই বদলে দেওয়া যায়

পৃথিবীকে, তা ছাড়া তিনি রুক্ষ মেজাজ ও অস্থিরচিত্তের অধিকারী এক মহিলা। তাঁর সঙ্গে

মানিয়ে চলা খুব কষ্টকর। তাই মিস মুলার সম্পর্কে সতর্ক থাকাই ভালো বলে মনে করেন

স্বামীজি। এই কারণেই তিনি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।


ছ। বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর ১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।


১)স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর চিঠিতে ভারতবর্ষ সম্পর্কে কোন কোন বিষয়গুলি মিস নোবলকে

লিখেছিলেন?

অথবা,

স্বামী বিবেকানন্দ রচিত 'চিঠি' রচনার বিষয়বস্তু আলোচনা করো।


উত্তর:১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দ আলমোড়া থেকে মিস নোবলকে

 উদ্দেশ্য করে যে পত্রখানি রচনা করেন তাতে ভারতবাসীর সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশ

, এমনকি ভারতে যেসকল ইউরোপিয়ান সেবার ব্রতে এসেছেন তাঁদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা

 প্রকাশ করেছেন।

স্বামীজির মতে মিস নোব্‌ল্‌ একজন ‘প্রকৃত সিংহী’তাই ভারতের কাজে তাঁর বিরাট ভবিষ্যৎ

আছে। স্বামীজি মিস নোবলকে বারবার পরামর্শ দিয়েছেন—তিনি যেন মিস মুলার বা অন্য

কারও পক্ষপুটে না-থেকে আপন বিচার-বিবেচনায় কাজ করেন। স্বামীজি বলেন–মিস মুলার

নিজের ভাবে চমৎকার হলেও আত্মগৌরবে উদ্ধত, রুক্ষ স্বভাবের মহিলা । তাই তাঁর সঙ্গে

বনিয়ে চলা সম্ভব নয়।

এদেশে কাজের ক্ষেত্রেও মিস নোব্‌ল্‌ নানাবিধ সমস্যার সামনে পড়বেন বলে স্বামীজি

বলেন। পরাধীন ভারতের অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত নরনারীরা সংস্কারের বশে তাঁকে সহজভাবে

হয়তো নেবে না, আবার ভারতীয়দের জন্য কাজ করায় এদেশের ইউরোপিয়ানরা তাঁর

কাজকে খামখেয়ালিপনাবলে ভাববে। তা ছাড়া এখানকার জলবায়ুও তাঁর পক্ষে অনুপযুক্ত

হতে পারে। তবুও যদি তিনিএদেশের জন্য কর্মে প্রবৃত্ত হন, তবে স্বামীজি সর্বতোভাবেই তাঁর

পাশে থাকবেন।স্বামীজি উক্ত চিঠিতে সেভিয়ার দম্পতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন—

তাঁদের সহকর্মীরূপে পেলে মিসনোবল ও সেভিয়ারদের কাজের সুবিধাই হবে। তবে মিস

নোবলকে নিজের পায়েই দাঁড়াতে হবে। মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে শরৎকালে

যদি মিস নোব্‌ল্ ভারতে আসেন তবে তাঁর পথের একঘেয়েমি দূর হবে বলে স্বামীজি চিঠিতে

উল্লেখ করেন।



CONTENTS:

আরো পড়ুন:

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here

হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here


Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1 Click Here

Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here


All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here

All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here


Autumn poem Lesson 3 Part 1 Click Here


A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here

A Day in the zoo Lesson 4 part 2 Click Here


All Summer in a Day Lesson 5 part 1 Click Here


আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

চিঠি প্রবন্ধ স্বামী বিবেকানন্দ click Here 





















Post a Comment

0 Comments