স্মৃতিচিহ্ন কবিতার সারসংক্ষেপ।class 7 স্মৃতিচিহ্ন প্রশ্ন উত্তর। স্মৃতিচিহ্ন কামিনী রায়। স্মৃতিচিহ্ন class 7। স্মৃতিচিহ্ন কবিতার হাতে কলমে।

 




                                             স্মৃতিচিহ্ন

                                                                     কামিনী রায়


সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ) উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে কলমে সমাধান


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক) কবি পরিচিতি:

কামিনী রায়:

বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত মহিলা-কবি কামিনী রায় বরিশাল জেলার বাসণ্ডা

গ্রামে ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের ১২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম চণ্ডীচরণ রায়।

কামিনী রায় শৈশবকাল থেকেই কবিতা রচনা শুরু করেন। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বেথুন

কলেজ থেকে সংস্কৃতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। তিনিই ভারতের প্রথম মহিলা যিনি

অনার্স-সহ গ্র্যাজুয়েট হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। পরে তিনি ওই কলেজেই

 শিক্ষিকারপদে নিযুক্ত হন। মাত্র পনেরো বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'আলো ও ছায়া'

প্রকাশিতহয়। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল-‘পৌরাণিকী,দীপ ও

ধূপ,জীবনপথে,মাল্যও নির্মাল্য,অশোক সঙ্গীত' প্রভৃতি। তাঁর 'আলো ও ছায়া' কাব্যগ্রন্থের

ভূমিকা লিখেদিয়েছিলেন সেকালের বিখ্যাত কবি হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত্রাক্ষর ছন্দে

রচিত তাঁরদুটি দীর্ঘ কবিতা হল ‘মহাশ্বেতা’ও ‘পুণ্ডরীক'। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা

বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক' প্রদান করে সম্মানিত করেন। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের

২৭ সেপ্টেম্বর এইমহান কবির মৃত্যু হয়।


খ) উৎস:

‘স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি কমিণী রামের ‘নির্মাল্য' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।


গ) সারসংক্ষেপ:

সাম্রাজ্যলোভী শাসকরা নিজেদের নাম চিরকাল স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিভিন্ন সৌধ

নির্মাণ করতেন। কিন্তু কালের নিয়মে তাঁদের নির্মাণ করে যাওয়া প্রাসাদগুলি থেকে একের

পর এক পাথর খসে পড়ছে। এভাবে তাঁদের নামগুলোও হারিয়ে যেতে চলেছে চিরদিনের

জন্য। সময়ের স্রোতে শুকনো ঘাসের মতোই ভেসে চলেছে তাঁদের খোদাই করে যাওয়া

নামগুলো।অন্যদিকে,যেসব, মহৎ ব্যক্তি মানুষের জন্য ভালো কিছু করেছেন, তাঁদেরই স্থান

মানুষের মনে চিরকালের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁদের কোনো সম্বল ছিল না, তাঁরা সাধারণ

মানুষ। কিন্তু তাঁদের নাম ইতিহাসে চিরকালের জন্য অমর হয়ে রয়েছে।


ঘ) নামকরণ:

সাহিত্যের ক্ষেত্রে নামকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নামকরণের মধ্যে দিয়েই কবি তাঁর

 সাহিত্যসৃষ্টির সঙ্গে পাঠকদের পরিচয় করান। অত্যাচারী শাসক দল নানান জাতির উপর

 বিভিন্ন সময়ে তারা আক্রমণ করেছে এবং সে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। নিজেদের জয়

 বা কীর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁরা বিভিন্ন সৌধও প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু কালের নিয়মে

 সবই অতল অন্ধকারে চলে গেছে। সেইসব স্মৃতিসৌধ বা অট্টালিকার পাথরে খোদাই করা

 নাম কেউ মনে রাখেনি। অপরপক্ষে, মানুষের হৃদয়ে তাঁরাই স্থান পেয়েছেন যাঁরা মানুষের

 জন্য ভালো কাজ করেছেন। তাঁদের অনেক সম্পদ ও সম্বল না থাকলেও সময় তাঁদের

 পরিচয় মুছে দিতে পারেনি। কাজেই ইটপাথরে গড়া সৌধ কাউকে চিরস্মরণীয় করে রাখে

 না। মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজের মধ্য দিয়েই মানব-হৃদয়ভূমি বা মানুষের হৃদয়

 অধিকার করতে হয়। এইভাবে একদিকে মানব স্মৃতিতে নিজেদের উজ্জ্বল করে রাখার জন্য

 শাসকশদল অর্থহীন চেষ্টা ও ব্যর্থ স্মৃতিচিহ্নের আয়োজন,অন্যদিকে,নিজেদের ভালো

 কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের মনে স্মৃতিচিহ্ন এঁকে দেওয়া—এই দ্বিমুখী তাৎপর্যে কবিতার

 ‘স্মৃতিচিহ্ন’ নামকরণটি সার্থক ও যথাযথ হয়ে উঠেছে।


ঙ) হাতে-কলমে সমাধান:

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ।


ক) মহৎ মানুষদের জীবনকথা আমরা পাঠ করে থাকি কেন?

উত্তর:‘মহৎ’শব্দের অর্থ উদার। যেসব মানুষ অন্য মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে

থাকেন, তাঁরাই মানবসভ্যতার ইতিহাসে মহৎ মানুষ হিসেবে বিবেচিত হন। বিদ্যাসাগর,

গৌতম বুদ্ধ, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ আমাদের দেশের মহৎ মানুষ। নিজেদের মনকে  মহৎ

করে তোলার জন্য এবং মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে নিয়োগের উৎসাহ লাভের

জন্য এই মহৎ মানুষদের জীবনকথা পাঠ প্রয়োজনীয়।


খ) অত্যাচারী কোন কোন সাম্রাজ্যলোভী জাতির কথা তুমি ইতিহাস পড়ে জেনেছ?

উত্তর:এশিয়ার শক, হুন, পাঠান, মোগল; ইউরোপের ইংরেজ, ফরাসি, ডাচ, জার্মান প্রভৃতি

সাম্রাজ্যলোভী জাতির কথা ইতিহাস পড়ে জেনেছি।


গ) অতীত ইতিহাসের ধূসর হয়ে আসা কোন্ স্মারক/সৌধ/মিনার তুমি দেখেছ  ?

উত্তর:অতীত ইতিহাসের ধূসর হয়ে আসা সৌধগুলির মধ্যে গৌড়ের রাজপ্রাসাদ আমি

দেখেছি।এ ছাড়া কুতুব মিনার,শহিদ মিনার, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল ইত্যাদিও দেখেছি।


ঘ) তোমার দৃষ্টিতে কাদের কথা সমাজের সকলের চিরকাল মনে রাখা উচিত?

উত্তর:মহাপুরুষরা মানুষের উপকারের ও সমাজ সংস্কারের জন্য নানা কাজ করে গেছেন।

সেই কাজের সুফল আমরা এখনও ভোগ করে চলেছি। তাঁদের কথা সমাজের চিরকাল মনে

রাখা উচিত। এ ছাড়া, মনে রাখা উচিত শ্রমজীবী মানুষদের কথাও। সমাজের কল্যাণের জন্য

তাদের ভূমিকার কোনো তুলনা নেই।


ঙ) মানুষ নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় কেন ?

উত্তর:আগামী যুগে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছা প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই থাকে। তাই মানুষ

চায় সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তার নামটাও চিরকালের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকুক।

সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা এই কারণেই সৌধ নির্মাণ করেন এবং নিজেকে ইতিহাসের পাতায়

উজ্জ্বল করে রাখতে চান। তবে শেষ অবধি মানুষ তাঁদেরই মানুষ মনে রাখে যাঁরা সমাজের

জন্য ভালো কাজ করেন।


১) নীচের বিবৃতি গুলির মধ্যে যেগুলি ঠিক তাদের পাশে ✓ চিহ্ন আর যেগুলি ভুল তাদের পাশে  × চিহ্ন দাও ।

১.১) ইট-পাথরে গড়া সৌধ কাউকে চিরস্মরণীয় করে রাখে না।

উত্তর: (✓)

১.২) যাঁরা নিজেদের সৌধ গড়ে কীর্তিকে অমর করে রাখতে চান তাঁরা বরেণ্য।

উত্তর:(×)

১.৩) সাধারণ মানুষের মনে যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁদের নাম ভেসে যায়।

উত্তর:(×)


১.৪) এমন বহু সহায়-সম্বলহীন, দরিদ্র মানুষ আছেন, মহাকাল যাঁদের স্মৃতি মুছে দিতে পারেনি।

উত্তর:(✓)

১.৫)‘মানব-হৃদয়-ভূমি’ অধিকার করতে হলে মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে হবে।

উত্তর:(✓)

১) নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও।


৯.১)‘স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি কার রচনা ?

উত্তর:‘স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি মহিলা-কবি কামিনী রায়ের রচনা।


১.২)কবিতাটি তাঁর কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?

উত্তর:কবিতাটি কামিনী রায়ের ‘নির্মাল্য' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।


১.৩)কবিতাটি কী জাতীয় রচনা?

উত্তর:‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতাটি একটি নীতিমূলক রচনা।


১.৪)কবিতায় কবি কাদের ‘মুঢ়’ ও ‘ব্যর্থ মনস্কাম' বলেছেন?

উত্তর:যে শাসকেরা ইট-পাথরের অট্টালিকা তৈরি করে ভেবেছিলেন নিজেদের অমর করে

রাখবেন, কবি তাদেরকেই ‘মূঢ়’ ও ‘ব্যর্থ মনস্কাম’বলেছেন।


১.৫)তাদের স্মৃতি কীভাবে লুপ্ত হয়ে যায়?

উত্তর:কবি উপলব্ধি করেছেন  সাম্রাজ্যলোভী শাসকরা মানুষের মঙ্গলের জন্য এমন কোনো

স্মরণীয় কাজ করে যাননি, যা মানুষ চিরকাল মনে রাখবে। তাই ওই অট্টালিকা বা সৌধগুলি

শাসকদের বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবহেলিত হতে থাকে এবং একসময় তা কালের

নিয়মে ধ্বংস হয়ে যায়।


৯.৬)কারা মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে?

উত্তর:যেসব মহান ব্যক্তি মানুষের মঙ্গলের জন্য সমাজ সংস্কার মূলক কাজ করে গেছেন,

তাঁরাই মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেন।


১.৭) 'কাল'-কে কবিতায় কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর:‘কাল' কথাটির অর্থ হল- সময়। কবি কামিনী রায় এই কবিতায়'কাল’-কে

নিত্যপ্রবহমান জলের স্রোতের সঙ্গে তুলনা করেছেন।


১.৮)কবিতায় শুষ্ক তৃণ' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর: কবিতায় ‘শুষ্ক তৃণ' বলতে কবি সাম্রাজ্যলোভী শাসকদের নাম বা স্মৃতিকে বুঝিয়েছেন।


১০) তিন-চারটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।


১০.১)'ওরা ভেবেছিল মনে..'–কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা কী ভেবেছিল?

উত্তর: ‘স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় 'ওরা' বলতে অতীতের সাম্রাজ্যলোভী শাসকদের কথা বলা

হয়েছে।সাম্রাজ্যলোভী শাসকরা নিজের ক্ষমতাবলে সাম্রাজ্যের সীমানা বাড়িয়েছেন এবং

নির্মাণ করেছেন সুন্দর প্রাসাদ । এইসব শাসকরা মনে করেছে, তারা যখন পৃথিবীতে থাকবে

না, তখন এই অট্টালিকা বা প্রাসাদগুলি চিরকাল তাদের বিজয়কীর্তিরূপে মানুষ স্মরণ করে

রাখবে।


১০.২) ‘মূঢ় ওরা’—কবিতায় তাদের মূঢ় বলার কারণ কী ?

উত্তর:‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতায় কবি অতীতের সাম্রাজ্যলোভী শাসকদের ‘মূঢ়’ বলেছেন। কারণ,

ওই শাসকরা ক্ষমতাবলে সাম্রাজ্য জয় করলেও সাধারণ মানুষের মঙ্গলের কথা ভাবেননি।

ক্ষমতার বলে নির্মিত তাদের অট্টালিকাগুলি মানুষের মনকে এতটুকুও স্পর্শ করেনি। তাই

শাসকদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অবহেলাতে অট্টালিকাগুলিও আস্তে আস্তে ধ্বংস

হয়ে গেছে। ওই শাসকরা ‘মূঢ়’, কারণ তাঁরা বুঝতে পারেননি যে, কেবল ইট-পাথরের

স্মৃতিচিহ্ন নির্মাণ করে মানুষ অমরত্ব লাভ করতে পারে না। কালের নিয়মে তাঁদের সব

স্মৃতিস্তম্ভই একদিন ধুলোয় মিশে যাবে।


 ১০.৩)'কেবা রক্ষা করে,—কী রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে ? তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না

কেন?

উত্তর: সাম্রাজ্যবাদী শাসকদলের নির্মিত অট্টালিকা বা বিজয়স্তম্ভগুলিকে রক্ষা করার কথাই

বলা হয়েছে।সাম্রাজ্যবাদী শাসকদল নানান অট্টালিকা তৈরি করে ভেবেছিলেন যে, সেগুলি

চিরকাল তাঁদের নাম স্মরণীয় করে রাখবে। কিন্তু শাসকদল বুঝতে পারেনি যে, মানুষের মনে

জায়গা না পেলে নিজেদের অমর করে রাখা যায় না। তাই অহংকারী শাসকদের

কীর্তিস্তম্ভগুলি কালের স্রোতে ধ্বংস হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক ছিল।


১০.৪)'দরিদ্র আছিল তারা'–কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের রাজত্ব কীভাবে অক্ষুণ্ণ রয়েছে

বলে কবি মনে করেন?

উত্তর:যেসকল মহান মানুষেরা তাদের ক্ষমতা বা সাধ্যের মধ্যে মানুষের জন্য ভালো কাজ

করে নিজেদের অমর করে গেছেন, সেইসকল মানুষের কথায় বলা হয়েছে।মানুষকে

নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা, মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া, মানুষের জন্য ভালো কিছু

করে যাওয়ার মধ্যেই শাসকদের নাম অমর হয়ে থাকে।


১০.৫)কালস্রোতে কাদের নাম ধুয়ে যায়?সেই স্রোত কাদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না?

উত্তর:মানবসভ্যতার ইতিহাসে সাম্রাজ্যলোভী শাসকদের নাম কালস্রোতে ধুয়ে যায়। এর

কারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য কোনোরকম কাজ তারা করেননি।মানুষ তাঁদেরই চিরকাল

মনে রাখে, ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। যাঁরা তাঁদের ক্ষমতার মধ্যেও মানুষের জন্য ভালো কাজ

করে গেছেন। সময়ের স্রোত বা কালস্রোত সেইসব মহান মানুষের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে

না।


১০.৬) 'মানব হৃদয়-ভূমি করি, অধিকার'–কারা, কীভাবে মানব হৃদয়- ভূমি অধিকার করে?

উত্তর: ‘মানব হৃদয়-ভূমি' বলতে কবি মানুষের হৃদয়কে বুঝিয়েছেন। মহান মানুষেরা

নিঃস্বার্থভাবে সাধারণের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যান। এই ভালো কাজের মধ্য দিয়ে মহান

মানুষেরা সাধারণ মানুষের মন বা মানব হৃদয়-ভূমি চিরকালের জন্য অধিকার করে নেন।


১০.৭)কবিতায় কবি কোন ‘স্মৃতি’-কে কেন অবিনশ্বর ও ‘নিত্য সমুজ্জ্বল’ বলেছেন?

উত্তর: ‘অবিনশ্বর' শব্দটির অর্থ হল অমর, অক্ষয়, শাশ্বত, যার মৃত্যু বা ক্ষয় নেই। পাশাপাশি

‘নিত্য সমুজ্জ্বল' কথাটির অর্থ হল প্রতিদিন অত্যন্ত উজ্জ্বল হয়ে থাকা। মহান মানুষেরা

মানবজাতির মঙ্গল'করার জন্য এমন কিছু কাজ করে যান, যা হয়ে ওঠে অবিনশ্বর কীর্তি।

এই কারণেই কবি কামিনী রায় মহান মানুষের মহৎ কাজের স্মৃতিকে ‘নিত্য সমুজ্জ্বল'

বলেছেন।


১০.৮) তোমার দৃষ্টিতে মানুষের স্মরণীয় হয়ে থাকার শ্রেষ্ঠ পন্থাটি কী?

উত্তর: কবি কামিনী রায় তাঁর ‘স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটিতে চিরকালীন জীবনসত্যকে প্রকাশ

 করেছেন। এই জীবনসত্যটি হল, মানুষ কেবল অমরত্ব লাভ করে তার জনকল্যাণ কাজের

জন্যই। ক্ষমতার দম্ভ, সম্পদের অহংকার মানুষকে কখনোই অমরত্ব দান করতে পারে না।

মানুষকে ভালোবাসলে, সম্মান দিলে, মানুষের জন্য নিজের জীবন দান করলে, মানুষের

মঙ্গলের জন্য কাজ করলে তবেই মানুষ তাঁদের চিরকাল মনে রাখবে।

CONTENTS:

আরো পড়ুন:

ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাগলা গনেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

বঙ্গভূমির প্রতি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

একুশের কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

আত্মকথার প্রশ্ন উত্তর Click Here

খোকনের প্রথম ছবি প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন উত্তর Click Here


মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর প্রথম Part Click Here

মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় Part Click Here

স্মৃতিচিহ্ন কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 














 


Post a Comment

0 Comments