মাটির ঘরে দেওয়াল চিত্র সারাংশ। ষষ্ঠ শ্রেণির মাটির ঘরের দেওয়াল চিত্র। মাটির ঘরের দেয়াল চিত্র class 6। মাটির ঘরে দেওয়াল চিত্র তপন কর।

 




                                মাটির ঘরে দেওয়াল চিত্র 

                                                             তপন কর


সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ) উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে-কলমে সমাধান


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।



ক) কবি পরিচিতি:

তপন কর 

হাওড়া জেলার কুলগাছিয়ায় ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তপন কর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব কাল

 কেটেছে সেখানেই। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে সরকারি চারু ও কারু মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক

 পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে

 স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।বর্তমানে তিনি সরকারি বিদ্যালয়েরশিল্প-শিক্ষক। তাঁর লেখা

 উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-অসামান্য মানভূম,ছবি আঁকতে শেখা, ইত্যাদি। তাঁর শিল্প-বিষয়ক রচনায়

 মানুষের জীবন, প্রকৃতি সুন্দরভাবে স্থান করে নিয়েছে।


খ) উৎস: 

উত্তর: 'মাটির ঘরের দেয়াল চিত্র,রচনাটি লেখকের 'মাটির ঘরের দেওয়াল চিত্র, নামক প্রবন্ধ

থেকে সংকলন করা হয়েছে।


গ) বিষয় সংক্ষেপ: 

গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে যে শিল্পকলা রয়েছে লেখক সেই দিবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বাংলার

 মাটির ঘরের দেয়াল জুড়ে নান চিত্রকলা ফুটে থাকে।পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান,

 বীরভূম প্রভৃতি জেলায় দেয়াল চিত্রের নানান বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। সাঁওতাল, কুর্মি, বাউর,

 শবর প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষের দেয়ালচিত্র বিভিন্ন রকমের। সাঁওতালি দেয়ালচিত্র মূলত

 জ্যামিতিক নকশার, অন্যদের চিত্রকলায় আবার পদ্মফুলের প্রাধান্য।এ ছাড়া কোথাও

 কোথাও মোরগঝুঁটি, শালুকলতা কদম-ঝাড়ের ছবিও অঙ্কিত হতে দেখা যায়। শুধু ঘরের

 দেয়াল জুড়েই নয়, বাড়ির বাইরের প্রাচীরের গায়ে নানান সুন্দর দেয়ালচিত্র রচনার প্রথা

 রয়েছে।


ঘ) নামকরণ: 

প্রধানত নামকরণের মাধ্যমেই রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগাম ধারণা করা যায়।নামকরণ

 নানা প্রকারের হতে পারে,যেমন-চরিত্রপ্রধান,কাহিনি কেন্দ্রিক,ব্যঞ্জনাধর্মী ইত্যাদি।

দেয়ালচিত্র মূলত গ্রামাঞ্চলের লোকশিল্প।বাংলার গ্রামাঞ্চলে নরম মাটি খুব সহজেই পাওয়া

 যায়। তাই গ্রামাঞ্চলে বাসগৃহের দেয়াল তৈরিতে মাটিকেই প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার

 করা হয়। আর মাটির দেয়ালকে নানা প্রকার অলঙ্করণ ও রঙে চিত্রিত করার রীতি

 সুপ্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত।মূলত আদিবাসী সমাজেই বাসগৃহের দেয়ালকে বর্ণবাহারে

 চিত্রিত করা হয়। পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,বীরভূম,মানভূম প্রভৃতি অঞ্চলে এই রীতি জনপ্রিয়।

লেখক তপন কর ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র' রচনায় দেখিয়েছেন যে দেয়ালচিত্র অঙ্কনের

 মাধ্যমে আদিবাসীরা তাদের গৃহসৌন্দর্যকে কীভাবে বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করেন।এক্ষেত্রে

 কোন্ কোন্ রং বা উপকরণ ব্যবহার করা যায় তার পরিচয়ও আলোচ্য রচনায় পায়।

 দেয়ালচিত্রের বিষয়-বৈচিত্র্যের প্রতি সুন্দরভাবে আলোকপাত করেছেন। দেয়ালচিত্রের

 মাধ্যমে আদিবাসী সমাজের শিল্পকলার দিকটিও আমরা জানতে পারি। সমগ্র রচনাটিই

 আলোচিত হয়েছে মাটির ঘরের দেয়ালচিত্রকে অবলম্বন করে। তাই আলোচ্য রচনাটির

 বিষয়ধর্মী নামকরণ সম্পূর্ণ সার্থক।


ঙ) হাতে-কলমে সমাধান:

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :


১.১)লেখক তপন করের লেখা একটি বই-এর নাম লেখো।

উত্তর:লেখক তপন করের লেখা একটি বই-এর নাম ‘অসামান্য মানভূম'।


১.২) পাঠ্য রচনাংশটি কোন বিষয়ে লেখা?

উত্তর:পাঠ্য রচনাংশটি গ্রামবাংলার মাটির ঘরের দেয়ালে যে চিত্র অঙ্কন করা হয়, সেই বিষয়ে লেখা।


ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখো :

২.১) দেয়াল চিত্র এঁকে থাকেন সাধারণত গ্রামের-

 ক)পুরুষেরা

খ) মেয়েরা

গ) বালকেরা

উত্তর:(খ) মেয়েরা


২.২) মূলত-

ক)বৃত্তাকার

খ)সরলরৈখিক

গ) জ্যামিতিক- আকার আশ্রিত বর্ণসমাবেশেই রচিত হয় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রণ।

উত্তর:(গ) জ্যামিতিক।


২.৩) সাধারণত মাটি থেকে-

ক)ছয় ফুট

খ)চার ফুট

গ)আট ফুট-পর্যন্ত উচ্চতায় চিত্রণটি বিস্তৃত হয়।

উত্তর:(ক) ছয় ফুট


২.৪)

ক)শালুকটিকে

খ)পদ্মটিকে

গ) গোলা পটিকে- মানভূম দেয়ালচিত্রের প্রতীক বলা হয়।

উত্তর:(খ) পদ্মটিকে


৬)নীচের বাক্যগুলি জুড়ে একটি বাক্যে পরিণত করো :


৬.১)এই মাটির রং ঈষৎ হরিদ্রাভ। এই মাটির রং ঈষৎ সাদাটে।

উত্তর:এই মাটির রং ঈষৎ হরিদ্রাভ এবং সাদাটে।


৬.২) দূর থেকে দৃশ্য হিসেবে মানানসই হওয়া চাই। এইভাবেই দেয়ালগুলি নির্বাচন করা হয়।

উত্তর:দেয়ালগুলি এমনভাবে নির্বাচন করা হয় যাতে দূর থেকে দৃশ্য হিসেবে মানানসই হয়।


৬.৩)ঘরের চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে থাকে একটি বেদি। তার রং কালো।

উত্তর: ঘরের চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে থাকে একটি কালো রঙের বেদি। 


৬.৪)বাংলার কৃষিজীবী সমাজের কিছু প্রাচীন উৎসব আছে। এগুলি হল গো-বন্দনা,

কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুটা প্রভৃতি।

 

উত্তর:বাংলার কৃষিজীবী সমাজের কিছু প্রাচীন উৎসব হল গো-বন্দনা, কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুটা

প্রভৃতি।


৭। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:


৭.১) তোমার জানা কোন্ অঞ্চলের লোকসমাজে দেয়ালে ছবি আঁকার চল আছে?

 উত্তর:বাঁকুড়া জেলার মুরাবাড়ি গ্রামে আমি দেয়ালচিত্র দেখেছি। 


৭.২) মানভূম জেলাসংলগ্ন আর কোন্ কোন্ জেলায় দেয়াল চিত্রণ হয়ে থাকে?

উত্তর:মানভূম জেলাসংলগ্ন মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান জেলা এবং বীরভূম জেলায়ও

দেয়ালচিত্রণ হয়ে থাকে। 


৭.৩) মানভূম জেলায় কোন্ কোন্ আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস?

উত্তর: মানভূম জেলায় সাঁওতাল, হো, অসুর, মুন্ডা, ওঁরাও, খেড়িয়া, শবর, কোল, বীরহড়

প্রভৃতি আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস।


৭.৪) মাটির দেয়ালচিত্রগুলি সাধারণত কোন্ কোন্ উৎসবে আঁকা হয়?

উত্তর: মাটির দেয়ালচিত্রগুলি সাধারণত আশ্বিন মাসের দুর্গাপুজো ও কার্তিকের অমাবস্যা বা

দীপাবলি—এই দুটি উৎসবে আঁকা হয়।


৭.৫) দেয়ালচিত্র করার জন্য কী কী উপাদান ব্যবহৃত হয়?

উত্তর:সাধারণভাবে লালচে ‘গিরিমাটি' অর্থাৎ গেরুয়া রঙের মাটি ব্যবহার করা হয় দেয়ালচিত্র

 আঁকার জন্য। এরপর গিরিফল চুবিয়ে ঘরের দরজার মাথায় এবং দু পাশের দেয়ালে ছাপ

 দেওয়ার রেওয়াজ লক্ষ করা যায়।এ ছাড়াও বেশ কিছু আদিবাসী সমাজে দেয়ালচিত্র আঁকার

 জন্য বিভিন্ন লৌকিক উপাদানও ব্যবহার করে থাকে।


৭.৬)কোন্ তিথিতে কৃষিজীবীরা কীভাবে তাদের গৃহসজ্জা করে তা লেখো।

উত্তর: রাঢ়ববাংলার কৃষিজীবী ও আদিবাসী তথা সাঁওতাল, মাহাত, কুর্মি, বাউরি, শবর, ভুমিজ

 প্রমুখ সমাজের মানুষ কার্তিকের অমাবস্যা তিথি তথা কালীপুজোর দিন তাদের বাড়িঘর

 মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে। ঘর লেপামোছা বা নিকোনোর পর বাড়ির প্রবেশদ্বার

 থেকে উঠোন ধানের গোলা বা মরাই,গোয়ালঘর,মূল বাসগৃহ সর্বত্রই আলপনা দিয়ে

 সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলে। তা ছাড়া লালচে গিরিমাটি বা গৈরিক বর্ণের মাটিতে গিরিফল

 চুবিয়ে গৃহদ্বারের শীর্ষে ও দুই পাশে ছাপ দেওয়ার প্রথাও কৃষিজীবী সমাজে প্রচলিত।


৭.৭)কোন্ কোন্ জাতির দেয়ালচিত্রের সাধারণ লক্ষণ পদ্ম?

উত্তর: সাঁওতাল, কুর্মি, ভূমিজ ও অন্যান্য বেশ কিছু গোষ্ঠীর মানুষদের দেয়ালচিত্রের একটা

সাধারণ লক্ষণ হল 'পদ্ম’।


৭.৮)দুধেমাটির উপর কীভাবে চিত্রণ করা হয় ?

উত্তর:‘দুধে মাটি’ আসলে হালকা রঙের বেলেমাটি। অত্যন্ত মসৃণভাবে নিকোনো দেয়ালে এই

 মাটির গোলা দিয়ে নাতা দেওয়া হয়। এই মাটির রং হালকা হলদে বা সাদাটে। দেয়ালে নাতা

 দেওয়ার পরে মাটির প্রলেপটি ভিজে থাকতে থাকতেই তার উপর হাতের আঙুলের ডগা

 দিয়ে দাগ টেনে ছবি এঁকে দেওয়া হয়। এভাবেই দুধে মাটির উপর চিত্রণ করা হয়।


৭.৯) মোরগঝুঁটির চালচিত্রে আর কী কী নকশা থাকে?

উত্তর:মোরগঝুঁটির চালচিত্রে মোরগঝুঁটির মোটিফের সঙ্গে অন্যান্য মোটিফ বা নকশা

সংযুক্ত করা হয়ে থাকে। মোরগঝুঁটির পাশে উদীয়মান সূর্য, আধফোটা পদ্ম ছাড়া ইস্কাবন,

হরতনের চিহ্ন,সাধারণ লতাপাতা,পাখি ও ময়ূরের ছবিও থাকত।


Contents:

আরো পড়ুন:

ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


It all began with drip drip part 1 Click Here

It all began with drip drip part 2 Click Here

It all began with drip drip part3 Click Here

 

the adventurous clown part 1 Click Here

the adventurous clown Part 2 Click Here

the adventurous clown part 3 Click Here


The rainbow poem Lesson 3 part 1 Click Here


The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here



মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

মাটির ঘরের দেওয়াল চিত্র প্রশ্ন উত্তর click Here 






Post a Comment

0 Comments