হাট কবিতা যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর। হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর class 6। হাট কবিতার সারাংশ। হাট কবিতা class 6। হাট কবিতা।

 





                                                   হাট 

                                                        যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত


সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ) উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে -কলমের সমাধান




e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট 

ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।



ক) কবি পরিচিতি:

যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত:


কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের পৈতৃক নিবাস নদিয়া জেলার শান্তিপুরের হরিপুর গ্রামে,কিন্তু

১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন বর্ধমান জেলার পাতিলপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে কবি জন্মগ্রহণ

করেন। কবির পিতার নাম দ্বারকানাথ সেনগুপ্ত এবং মাতার নাম মোহিতকুমারী দেবী।

যতীন্দ্রনাথ মাত্র ১২ বছর বয়সে গ্রামের বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতায়

আসেন কাকার বাড়িতে। এখানে তিনি ওরিয়েন্টাল সেমিনারি বিদ্যালয়ে ভরতি হন। ১৯০৩

খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এখান থেকে। এরপর স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে FA

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ভরতি হন শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ১৯১১

খ্রিস্টাব্দে BA পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ইনি পেশায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার।

রবীন্দ্র সমকালীন কবিদের মধ্যে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তছিলেন অন্যতম। বাংলা সাহিত্যে

ইনি দুঃখবাদী কবি বলে পরিচিত। 'কল্লোল'গোষ্ঠীর অন্যতম জনপ্রিয় কবি ছিলেন তিনি। তাঁর

লেখা কাব্যগ্রন্থগুলি হল- 'মরীচিকা,মরুশিখা,মরুমায়া' ত্রিযামা,সায়ম, নিশান্তিকা,। ১৯৫৪

খ্রিস্টাব্দের ১৭ সেপ্টেম্বর কবি পরলোকগমন করেন।


খ) উৎস:

‘হাট’ কবিতাটি কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘মরীচিকা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।


গ)বিষয় সংক্ষেপ: 

কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের উল্লেখযোগ্য একটি কবিতা হল ‘হাট,। আলোচ্য কবিতায় কবি

গ্রামের হাটের যেমন বাস্তব ছবি অঙ্কন করেছেন। তেমনই জীবনের হাটের সঙ্গে গ্রামীণ

হাটের তুলনা তুলে ধরেছেন।

দূরে দূরে অবস্থিত দশ-বারোটি গ্রামের মাঝখানে একখানি হাট রয়েছে। সকাল-সন্ধ্যায় কেউ

যত্ন নিয়ে এখানে ঝাঁট দেয় না বা সন্ধ্যায় প্রদীপও জ্বালায় না। তাই সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই

হাটের বুকে অন্ধকারে নেমে আসে। বিকালবেলায় কেনাবেচা সেরে হাটের মানুষজন

প্রত্যেকে নিজনিজ গৃহে ফিরে যায়। বকেরা ফিরে আসে বাসায়। দূরের গ্রামগুলিতে দ্বীপের

আলো জ্বলে ওঠে কিন্তু অন্ধকারেই ডুবে থাকে হাট।

কোনো এক শ্রেণিহারা ক্লান্ত কাকের পাখায় নিশা নামে। পাকুড় শাখায় বাতাস বাধা পেয়ে,

 যেন নদীর দীর্ঘশ্বাস বয়ে যায়। হাটের দোচালা বন্ধ হয়, জীর্ণ বাঁশের ফাটলে বায়ু প্রবেশ করে

 বিদ্রুপ বাঁশি বাজায় একক কাকের ডাকে রাত্রি নেমে আসে।

দিনের বেলায় নানা মানুষের আগমনে হাটের বুক ভরে ওঠে। কত চরণ-চিহ্ন ধূলার বুকে

অঙ্কিত হয়। আবার পুরোনো চিহ্ন নষ্ট হয়ে যায়। ‘মাল কেনাকেনি,দর জানাজানি ইত্যাদি

নিয়ে নানা কোলাহল সৃষ্টি হয়। কেউ লাভের মুখ দেখে, কেউ বা খালি হাতে বাড়ি ফেরে।

প্রতিদিন কত নতুন মানুষ হাটে আসেন। সকালের ফসল নানা হাতের পরীক্ষা সহ্য করে

অবহেলায় বিক্রিত হয় দিনের শেষে। প্রতিদিন নতুন করে হাট বসে আর ভাঙে।

জীবনের হাটেও একই খেলা চলতে থাকে। কারো জীবন আনন্দে ভরে ওঠে। আবার কেউবা

নিরানন্দময় জীবন অতিবাহিত করেন। এভাবেই উদার আকাশের নীচে চিরকাল এমন খেলা

চলতে থাকে।


ঘ) নামকরণ:

নামকরণ হল এমন একটি মাধ্যম যার মধ্য দিয়ে সাহিত্য পাঠ করার পূর্বেই পাঠক বা পাঠিকা

 সাহিত্য বিষয়টি সম্পর্কে খানিকটা ধারণা করতে পারে। সে কারণে সাহিত্যিকরা নামকরণের

 ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতন ভূমিকা গ্রহণ করেন।

কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত তাঁর ‘হাট’ কবিতার মধ্য দিয়ে একটি গ্রাম্য হাটের চিত্র তুলে

 ধরেছেন। দিনের বেলায় জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে

 চলে মাল চেনাচেনি, দর জানাজানি। কিন্তু বিকেলবেলায় বেচাকেনা শেষ করে যে যার

 বাড়ির পথে পা বাড়ায়, দূরবর্তী গ্রামগুলিতে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে উঠলেও হাটে নেমে আসে

 চির অন্ধকার।

কবি কবিতায় হাটের রূপকের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনের চিরন্তন সত্যকে তুলে ধরেছেন।

হাটের মতোই পৃথিবীর বুকেও বহু মানুষের ভিড়। পৃথিবীতে মানুষ জন্মগ্রহণ করে, বহু বছর

কর্মের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করে বিদায় নেয় পৃথিবী থেকে। হাটে দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের

ক্ষেত্রে কেউ লাভবান হয়ে গাঁটে কড়ি বেঁধে নিয়ে চলে, আবার বিপরীত দিকে কেউ চরম

ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে যায়।পৃথিবীতে কেউ হয় সফল, কেউ হয় বিফল।

উদার উন্মুক্ত পৃথিবীর বুকে এই জীবন নাট্যের খেলা চলতেই থাকে।

কবিতাটিতে বাহ্যিকভাবে হাটের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তবে অন্তর্নিহিত অর্থে হাটের রূপকে

বর্ণিত হয়েছে মানুষের জীবন নাট্যের পরিচয়। এ কারণেই বলা যায়, কবিতাটির নামকরণ

সার্থক হয়েছে।


ঙ) হাতে-কলমে সমাধান

১। নিজের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: 


১.১) কোন সাহিত্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল? 

উত্তর: কল্লোল সাহিত্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে খুবই যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। 


১.২) তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখ। 

উত্তর: তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হল- মরীচিকা ও মরুশিখা,



২।নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো:


২.১) কতগুলি গ্রামের পরে সাধারণত একটি হাট চোখে পড়ে?

উত্তর:দশ-বারোখানি গ্রামের পরে সাধারণত একটি হাট চোখে পড়ে।


২.২) হাটে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে না কেন?

উত্তর: বেচাকেনা সেরে হাট থেকে যে যার মতো নিজের ঘরে ফিরে যায়, তাই জনমানবহীন

হাটে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে না।


২.৩) কার ডাকে রাত্রি নেমে আসে?

উত্তর:একক কাকের ডাকে হাটের মাঝে রাত্রি নেমে আসে।


২.৪) ও পারের লোক কেন এ পারেতে আসে?

উত্তর:ও পারের লোক পসরা অর্থাৎ জিনিসপত্র বিক্রি করতে এপারে আসে।


২.৫) হিসাব নাহিরে—এল আর গেল/কত ক্রেতা বিক্রেতা।- কোনো হিসেব নেই কেন?

উত্তর:সারাদিন নানা স্থান থেকে অগণিত মানুষ হাটে আসেন,কেউ তার হিসাব রাখেন না-

তাই হাটে কত মানুষ এল বা গেল তার হিসাব থাকে না ।



৩)নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো:


৩.১) হাটের স্থান ছাড়িয়ে দূরের গ্রামের ছবি কীভাবে কবিতায় ফুটে উঠেছে?

উত্তর:কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত 'হাট' কবিতায় গ্রামের হাটের বাস্তব চিত্র যেমন

 প্রকাশিত হয়েছে, তেমনই হাটকে কেন্দ্র করে গ্রামের অন্যান্য কয়েকটি ছবিও প্রকাশিত

 হয়েছে। দশ-বারোটি গ্রামের মানুষজনকে একই স্থানে নিয়ে আসে হাট। গ্রামীণ নদীটি বয়ে

 চলেছে হাটেরই পাশ দিয়ে। ওপারের মানুষ সেই নদী পার হয়ে পসরা নিয়ে উপস্থিত হয়

 এপারের হাটে। এপারের মানুষ পণ্য কেনার জন্য উপস্থিত হয় সেখানে। এভাবেই দুই গ্রামের

 মানুষের মধ্যে একপ্রকার আন্তরিক বন্ধন তৈরি হয় হাটকে উপলক্ষ্য করে।


৩.২)প্রকৃতির ছবি কীরূপ অসীম মমতায় কবিতায় আঁকা হয়েছে-তা আলোচনা করো।

উত্তর:কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত 'হাট' কবিতায় গ্রামীণ প্রকৃতির ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

দিনের আলো কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বকেরা ডানায় পড়ন্ত রোদ মেখে বাসায় ফিরতে

 থাকে। দলহারা একক কাকের ডাকে নিশা নামে গ্রামের বুকে। দূরে দূরে অবস্থিত গ্রামের

 কুটিরগুলিতে দ্বীপের আলো জ্বলে ওঠে। অন্যদিকে হাট ডুবে যায় গভীর অন্ধকারে। নদীর

 বুক থেকে বয়ে আসা বাতাস পাকুড় গাছের শাখায় শাখায় বাধা পেয়ে এমন শব্দ তোলে যেন

 নদীর বাতাস প্রশ্বাস ছাড়ছে। হাটের দোচালা বন্ধ হওয়াকে কবি নয়ন বন্ধ করার সঙ্গে তুলনা

 করেছেন। জীর্ন বাঁশের ফাঁকে বায়ু প্রবেশ করে অদ্ভূত শব্দ তোলে। কত চরণচিহ্ন ছিন্ন হয়

 হাটের বুকে।এমনই প্রকৃতির চিত্র কবি প্রকাশ করেছেন আলোচ্য 'হাট' কবিতায়।


৩.৩)'বাজে বায়ু আসি বিদ্রুপ-বাঁশি'—কবির এমন মনে হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে

হয়?

উত্তর:কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত তাঁর 'হাট' নামক কবিতাটিতে একটি হাটের চিত্র তুলে ধরতে

গিয়ে হাটের দোকানের দোচালার কথা বলেছেন এবং সন্ধ্যা নামলে দোকানের দিবসকালীন

ব্যস্ততারযে লেশমাত্র অবকাশ থাকে না, সেই চিত্রটি তুলে ধরেছেন। সন্ধে নামার কালে

হাটের কর্মচঞ্চলতা ক্রমশ স্তিমিত হয়ে আসে। তখন সন্ধ্যার বাতাস যেন দোকানির চালা

ঘরের বাঁশের মধ্য দিয়ে বয়ে যায় দিনের কর্মচঞল রূপটির।


 ৩.৪) 'উদার আকাশে মুক্ত বাতাসে চিরকাল একই খেলা।’-কোন্ প্রসঙ্গে কবি আলোচ্য

পঙক্তিটি লিখেছেন? তিনি এখানে কোন্ ‘খেলা'র কথা বলেছেন ? ‘চিরকাল' চলে বলতে কবি

কী বোঝাতে চেয়েছেন?


উত্তর:কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ‘হাট’ কবিতায় একটি হাটের চিত্র পরিস্ফুট করার ক্ষেত্রে

পঙক্তিটি দুটির অবতারণা করেছেন।

এখানে ‘খেলা' বলতে একদিকে যেমন হাটের প্রতিবার বসা আর ভাঙার কথা বলেছেন,

 তেমনি তারই মধ্য দিয়ে আসলে কবি মানবজীবনের পৃথিবীর বুকে যাওয়া আসার কথাও

 বোঝাতে চেয়েছেন।

হাটের মতোই পৃথিবীর বুকে মানুষ আসে আর যায়। হাটে যেমন চেনা-অচেনা মানুষের ভিড়,

তেমনি মানুষের ভিড় এই পৃথিবীর বুকে। পৃথিবীর উপর প্রতিনিয়ত জীবননাট্যের খেলা

চলেছে, একজন মানুষ অনেকগুলি বছর পৃথিবীর বুকে কাটিয়ে বিদায় নেন পৃথিবী ছেড়ে,

আবার নতুন মানবশিশু যেন তার জায়গা নিয়ে নেয়। একেই চিরকালের খেলা বলে উল্লেখ

করেছেন কবি।


৩.৫) এখন ‘হাট' ও ‘বাজার'-এর মধ্যে কোনো তফাত খুঁজে পাও? এ বিষয়ে তোমার মতামত

জানিয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।

উত্তর :‘হাট’ মূলত গ্রামকেন্দ্রিক অন্যদিকে ‘বাজার’ শহরকেন্দ্রিক। হাট বা বাজার দুটি

জায়গাতেই প্রচুর মানুষ আসেন। অনেকগুলি গ্রামকে চারপাশে রেখে সপ্তাহের কোনো

একটি নির্দিষ্ট দিনে হাটে বসে। কিন্তু শহরের যে প্রান্তেই বাজার থাকুক না কেন তা প্রতিদিনই

বসে। হাটে যে-সমস্ত জিনিসপত্র পাওয়া যায় সেগুলি অধিকাংশই নিত্যপ্রয়োজনীয়

নানারকম সামগ্রী। কিন্তু বাজারে এগুলির সঙ্গে সঙ্গে বিলাস-সামগ্রীও পাওয়া যায়। হাট

যেহেতু প্রধানত গ্রামে দেখতে পাওয়া যায়—তাই হাটে দোচালার দেখা মিললেও হাটের দিন

খোলা পরিবেশের মধ্যেই বেচাকেনা চলে আর শহরের বাজারের অধিকাংশ দোকানই

প্রতিষ্ঠিত এবং পাকা দোকান ।


Contents:

আরো পড়ুন:

ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


It all began with drip drip part 1 Click Here

It all began with drip drip part 2 Click Here

It all began with drip drip part3 Click Here

 

the adventurous clown part 1 Click Here

the adventurous clown Part 2 Click Here

the adventurous clown part 3 Click Here


The rainbow poem Lesson 3 part 1 Click Here


The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here



মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 







Post a Comment

0 Comments