আশীর্বাদ গল্পের বিষয়বস্তু। আশীর্বাদ প্রশ্ন উত্তর। আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর class 6। Aashirwad class 6। Aashirwad class 6 answer।

 

আশীর্বাদ গল্পের বিষয়বস্তু। আশীর্বাদ প্রশ্ন উত্তর। আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর class 6। Aashirwad class 6। Aashirwad class 6 answer।



                                                 আশীর্বাদ 

                                   দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার


সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ) উৎস

গ। বিষয়সংক্ষেপ

ঘ। নামকরণ

ঙ) হাতে কলমে সমাধান


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার:

কবি পরিচিতি:

পূর্ববঙ্গের ঢাকা জেলার উলাইল গ্রামে প্রখ্যাত মিত্র মজুমদার পরিবারে ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে

দক্ষিণারঞ্জন এর জন্ম। বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে পিতা রমদারঞ্জনের সঙ্গে তিনি মুর্শিদাবাদ

যান। তিনি বহু সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উত্থান'। যদিও

কবি হিসেবে তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু হয়, তবুও তাঁকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ

করত রূপকথা-উপকথা। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রূপকথার গল্পগুলির প্রশংসা করেছেন।

 তাঁরউল্লেখযোগ্যগল্পগ্রন্থগুলিহলঠাকুরমারঝুলি,‘ঠাকুরদাদারঝুলি,দাদামশায়েরথলে,ঠানদিদি

রথলে,প্রভৃতিতাঁরউল্লেখযোগ্যগ্রন্থগুলিহল'খোকাবাবুরখেলা,চারুও হারু,ফার্স্টবয়,উৎপলওর

বি,কিশোরদেরমন,বাংলারসোনারছেলে,পৃথিবীররূপকথা,চিরদিনের রুপকথা,

সবুজলেখা,আমার দেশ,আশীর্বাদ ও আশীর্বাণী’ ইত্যাদি।১৩৫৭ বঙ্গাব্দে ‘বঙ্গীয় শিশুসাহিত্য

পরিষদ' কর্তৃক প্রদত্ত ‘ভুবনেশ্বরী পদক'-এ তিনিসম্মানিত হন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০ মার্চ

এই চিরস্মরণীয় শিশুসাহিত্যিকের মৃত্যু ঘটে।


বিষয় সংক্ষেপ:

প্রবল বর্ষা তাতে আবার বান ডেকেছে। চারিদিকে থৈ থৈ করছে জলে। এই অবস্থায় একটি

 পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নিচে আশ্রয় নিয়েছে। বৃষ্টিতে ঘাসটি কখনো কখনো একেবারে

 নুয়ে পড়ছে। পিঁপড়েটির ভয় হয় এই বুঝি সে জলে ভেসে যাবে।

ঘাস-পাতাটি পিঁপড়েকে প্রাণপণে তাকে আঁকড়ে ধরতে বলে, আর পিঁপড়েকে সাহস জুগিয়ে

 বলে - সে তো সাঁতার জানে,আবার হাঁটতে বা দৌড়োতেও জানে, তাই যেন সে ভয় না পায়।

 পিঁপড়ে পাতাতে দাঁত বসিয়ে ঝুলতে থাকে। এই দেখে ঘাস হেসে বলে ভাগ্য ভালো যে সে

 জিমনাস্টিক জানে। তবে নিজেরা চলাফেরা করতে পারে না বলে দুঃখপ্রকাশ করে। পিঁপড়ে

 জানায় তাকেও ডাঙায় রোদ্দুর আর বর্ষায় কষ্টে কাটাতে হয়। কিন্তু ঘাস পিঁপড়েকে ‘কাজের

 লোক' বলে প্রশংসা জানায়। মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি ওদের কথা শুনছিল। সে পিঁপড়ের

 ভয়কে একটু তিরস্কার করে।

অন্যদিকে বলে,ঘাস কখনও ভয় পায় না। সে রোদে পুড়ে, ধুলোয় মাখামাখি হয়, আবার বৃষ্টির

 জলে স্নান করে নতুনভাবে সেজে ওঠে। আনন্দে সবুজ পাতার হাত ধরে বৃষ্টি তখন গান

 গেয়ে ওঠে। সে-কথা শুনে জলও ঢেউ তুলে বলে বর্ষায় যে ঘাসকে সে ডুবিয়ে দিয়ে ছুটে

 চলে, সেই ঘাসকেও সে দেখে শরতে কাশফুল হয়ে হাসতে। একটু পরে ঘাস মাথা তুলে

 পিঁপড়েকে বন্ধু বলে সাহস দিয়ে বলে বাদল চলে যাবে, জলও আর থাকবে না, শরৎ আসছে,

 তখন পৃথিবী তারও হবে। ঘাসের কথায় পিঁপড়ের চোখে জল এল। সে ভাবে সত্যি কি পৃথিবী

 তার হবে। বলতে বলতে আকাশের দিকে চোখ মেলে সে দেখতে পেল মেঘের ফাঁক দিয়ে

 সূর্য হাসছে। সূর্য তাকে আশীর্বাদ জানায়, যেন শরতের আশীর্বাদ তার উপরেও ঝরে পড়ে।

 পৃথিবী যেন সবারই হয়।


নামকরণ: 

নামকরণ থেকেই রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগাম ধারণা করা যায়। নামকরণ

 কাহিনিপ্রধান,চরিত্রপ্রধান আবার ব্যঞ্জনাধর্মীও হতে পারে।দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের

 ‘আশীর্বাদ’ নামক গল্পটিতে দেখা যায়, পৃথিবীতে প্রবল বর্ষা আর বানের প্রভাবে একটি

 পিঁপড়ের জীবনসংকট দেখা দিয়েছে। সে একটি ঘাসকে আশ্রয় করে কোনোরখম বেঁচে

 আছে। এই সময় পিঁপড়ে ও ঘাসের মধ্যে যে কথোপকথন হয় তাতে বোঝা যায় যে, পিঁপড়ে

 তার করুণ অবস্থার জন্য প্রকৃতির উপর অসন্তুষ্ট। কারণ তাকে রোদে পুড়তে হয় গ্রীষ্মে,

 আবার জলে ভিজতে হয় বর্ষায়। সে প্রকৃতিকে ভয় পায় এই ভেবে যে, প্রকৃতি তার প্রতি

 নির্দয়। কিন্তু ঘাস তাকে সাহস দেয়, ভয় না পেতে বলে। এরপরে বর্ষা এবং জলও তাকে

 সাহস জোগাবার চেষ্টা করে এবং ঘাস যে নির্ভীকভাবে প্রকৃতিতে অবস্থান করে প্রকৃতির

 আশীর্বাদ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে, সে-কথা ঘোষণা করে।

পিঁপড়ে ভাবে তার ভাগ্যে হয়তো শরৎ আসবে না, অর্থাৎ পৃথিবী কখনোই তার কাছে

আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেবে না। ঠিক তখনই সূর্যদেব মেঘের ফাঁক থেকে হাসি মুখে আশীর্বাদ

জানায় এই বলে যে, শরতের আশীর্বাদ ঝরে পড়ুক সকলের উপরই। অর্থাৎ প্রকৃতির

আশীর্বাদ সকলের প্রতিই ঝরে পড়েছে, তবে সেই আশীর্বাদ গ্রহণের যোগ্যতা থাকতে হবে।

এখানেই গল্পের নামকরণটি ব্যঞ্জনাবাহী হয়ে উঠেছে।


হাতে-কলমে সমাধান:

১)নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


১.১)দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত?

উত্তর:শিশুসাহিত্যিক দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত-

রূপকথা, উপকথা ও লোক কথার গল্প।


১.২) তিনি শিশুসাহিত্যের কোন্ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন?

উত্তর:শিশুসাহিত্যে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার শিশুসাহিত্য পরিষদ কর্তৃক ‘ভুবনেশ্বরী

পদক'-এ পুরস্কৃত হয়েছিলেন।


২) নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও:


২.১) বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয়?

উত্তর:বন্যায় প্রকৃতির রূপ বদলে যায়। প্লাবন আসে, বৃষ্টির জলে মাটি ডুবে গিয়ে চারদিকে

জল থইথই করে।


২.২) পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল?

উত্তর:দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘আশীর্বাদ' গল্পে পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে

আশ্রয় নিয়েছিল।


২.৩)বৃষ্টির সময় গাছের পাতা কাঁপছিল কেন?

উত্তর:বৃষ্টির সময় গাছের অর্থাৎ ঘাসের পাতা পাতলা ও দুর্বল বলে বৃষ্টির ফোঁটার আঘাতে

কাঁপছিল।


২.৪) পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কী করল?

উত্তর:পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য তার ধারালো ঠোঁটে পাতার শিরায় কামড় বসিয়ে

ধরল।


২.৫:পিঁপড়ে কখন 'বাপ! বাঁচলেম' বলে উঠল?

উত্তর: যখন বৃষ্টি একটু কম পড়ছিল তখন পিঁপড়ে ঘাসপাতা থেকে কামড় আলগা করে,

নিঃশ্বাস ছেড়ে পিঁপড়ে ‘বাপ! বাঁচলেম' বলে উঠল। 


২.৬) জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল?

উত্তর:ঢেউ তুলে খল খল শব্দে জল হেসে উঠেছিল।


২.৭)'বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের'- কেন এমন হল?

 উত্তর:বর্ষায় চারদিক জলে জলে ভরে গিয়েছিল, পিঁপড়ে ভাবছিল—বুঝি এই জল আর

শুকোবে না, মাটি দেখা যাবে না। তাই দেখে পিঁপড়ের বুকভাঙা নিঃশ্বাস পড়ল।


২.৮) ‘শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে ঝরুক।'— কে এমনটি কামনা করেছিল?

উত্তর:শিশুসাহিত্যিক দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার তাঁর ‘আশীর্বাদ’গল্পের শেষে শরতের

আশীর্বাদ সকলের উপর ঝরে পড়ুক কামনা করেছিলেন।


৩) নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও:

৩.১) পাঠ্যাংশে কোন কোন ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ

থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

উত্তর:প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘আশীর্বাদ' নামক পাঠ্যাংশে

মোট তিনটি ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে। সেগুলি হল-গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ ঋতু।

গ্রীষ্ম -রোদ্দুরে পুড়ে বন্ধুর দল ধুলো হয়ে আছে।'

বর্ষা-বর্ষা খুব নেমেছে।

শরৎ-'শরতে চেয়ে দেখি,তারাই কাশবন হয়ে হাসছে।'


 ৩.২) পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে?

উত্তর:গাছের পাতায় সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে খাদ্য তৈরি হয়। অর্থাৎ খাদ্যের জন্য গাছ

তার পাতার উপর নির্ভরশীল।


 ৩.৩)পিঁপড়ের বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্য লেখো।

উত্তর:সাধারণভাবে পিঁপড়ে মাটিতে বা গর্তে বাস করে। তবে বৃষ্টি হলে বা মাটিতে জল জমে

গেলে পিঁপড়েরা মাটির উপর উঠে আসে এবং গাছের কোটরে পাতায় বাস করে। এ ছাড়া

গৃহস্থালির আনাচে কানাচেও পিঁপড়েরা বাস করে।


৩.৪)বৃষ্টি পাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে?

উত্তর:বৃষ্টি পাতাকে সাহসী মনে করেছে। কারণ পাতা কখনও প্রকৃতিকে ভয় পায় না।

প্রকৃতির সবরকম অবস্থার সঙ্গেই সে মানিয়ে চলতে পারে, তাই সে সাহসী।


৩.৫)সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কী ভাবল?

উত্তর: সবার কথা শুনে পিঁপড়ের নিজের জন্য একটু কষ্ট হল। সে ভাবল পৃথিবী কী আর তার

হবে!


৩.৬)প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে?

উত্তর:শরৎ এলেই প্রকৃতিতে আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নীলাকাশে সাদা মেঘ ভেসে

বেড়ায়, রোদঝলমলে প্রকৃতি থাকে। মাঠে মাঠে কাশফুলের সমারোহ দেখা যায়, আর সূর্য

যেন তার হাসি ছড়িয়ে দেয়।


৪) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:


৪.১) বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয়-সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো।

উত্তর:আমি শহরে থাকি,গ্রামের মতো বর্ষার সুন্দর রূপ এখানে দেখতে পাই না। আমাদের

বাড়ির সামনে একটি বড়ো পুকুর আছে। বর্ষায় সেই পুকুর কানায় কানায় ভরে ওঠে।

অনেকসময় পুকুর উপছে জল বাইরেও ছড়িয়ে যায়। রাস্তাঘাট বর্ষায় খুব খারাপ হয়ে যায়।

চারদিকে নোংরা জলে থইথই করে। কাদা আর নর্দমার ময়লা রাস্তায় উঠে আসে। ফলে

রাস্তায় হাঁটাচলা কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে গাছের পাতাগুলি এই বর্ষায় জল পেয়ে সতেজ ও

সবুজ হয়ে ওঠে। আমাদের বাড়ির পাশে পুকুরের ধার বরাবর কয়েকটি কদম ফুলের গাছ

রয়েছে। বর্ষায় সেই গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে।


৪.২) পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন?

উত্তর:সাধারণত পিঁপড়ে মাটির নীচে গর্তে বাস করে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির ফলে চারদিক জলে

পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তখন মাটিতে থাকা পিঁপড়ের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ জলের স্রোতে তারা

ভেসে যাবে এবং তাদের মৃত্যু ঘটবে। গাছের পাতা জলের উপরে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল।

সেই পাতায় আশ্রয় নিতে পারলেও পিঁপড়ে বেঁচে থাকতে পারবে। তাই পিঁপড়ে গাছের

পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল।


 ৪.৩)পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল?

উত্তর:প্রবল বৃষ্টিতে চারদিক জলে ভেসে যাওয়ায় একটি পিঁপড়ে বাঁচার জন্য একটি ঘাসের

পাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছিল। বৃষ্টির ফোঁটা পাতায় আঘাত করলে পাতাটি জলের মধ্যে প্রায়

নুয়ে পড়েছিল। তখন পিঁপড়েটি খুব ভয় পেয়ে যায়, যদি সে জলে পড়ে যায়। তখন পাতাটি

পিঁপড়েকে বলেছিল তাকে কামড়ে ধরতে। তাহলে পিঁপড়ের আর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে

না এবং পিঁপড়েটি রক্ষা পাবে।


৪.৪)পাতা কী বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল?'কাজে আসে না কোনোটাই'-এখানে

তার কোন কাজে না আসার কথা বলাহয়েছে?

উত্তর:পিঁপড়ে চোখ বুজে পাতাতে দাঁত বসিয়ে কোনোরকমে ঝুলে থাকলে,পাতা তাকে

বলেছিল, ভাগ্যে সে জিমনাস্টিকস জানে। তা ছাড়া সে সাঁতার জানে, আবার হাঁটতে ও

দৌড়োতেও জানে, তাই তার আর জলে বিপদ কীসের!পিঁপড়ে সাঁতার বা দৌড়োতে জানলেও

প্রবল বৃষ্টি এবং বানের জলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষমতা তার নেই। তাই বর্তমানে

বাঁচার ক্ষেত্রে পিঁপড়ের সাঁতার, হাঁটা বা দৌড়োনোর বিদ্যা কোনো কাজে লাগবে না।


৪.৫)‘তাই আজ বেঁচে গেলাম'—বক্তার 'আজ' বেঁচে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর: দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘আশীর্বাদ' গল্পের পিঁপড়েটি প্রশ্নোক্ত কথাটির বক্তা।

প্রবল বৃষ্টিতে চারদিক জলে থইথই। একটি পিঁপড়ে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে একটি

 ঘাসের পাতাকে আশ্রয় করে। বৃষ্টির দাপটে পাতাটি প্রায় নুয়ে পড়লে পাতার শিরায় দাঁত

 বসিয়ে, তাকে আঁকড়ে ধরে কোনোক্রমে বেঁচে যায় পিঁপড়েটি। সে সাঁতার জানে, দৌড়োতে

 পারে। কিন্তু এমন প্রবল বৃষ্টিতে সেই সব বিদ্যা কোনো কাজেই আসে না। পাতাটি ছিল বলেই

 তাকে আঁকড়ে ধরে সে প্রাণে বেঁচেছে আজ।


৪.৬)পিঁপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদে

লেখো।

উত্তর:দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘আশীর্বাদ' গল্পে আমরা দেখি প্রকৃতিতে প্রবল বর্ষণে

চারদিক জলে থইথই। এমন অবস্থায় একটি পিঁপড়ে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টায় আশ্রয় নেয়

একটি ঘাসের পাতায়। পাতাটি জলের উপর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে পিঁপড়েকে বাঁচতে সাহায্য

করে। সে পিঁপড়েকে বলে তাকে কামড়ে আঁকড়ে ধরতে, তাহলে সে পড়ে যাবে না। এই

সময় উভয়ের কথোপকথন থেকে দুজনেরই কষ্টের কথা জানা যায়। পিঁপড়ে জানায় সে

সাঁতার জানে, হাঁটতে বা দৌড়োতে পারে কিন্তু কাজের সময় তা কোনো সাহায্য করে না। সে

ডাঙায় রোদ্দুরে পুড়ে মরে আবার বর্ষায়ও কষ্টের সীমা থাকে না। তখন পাতা তাকে কাজের

মানুষ বলে প্রশংসা করে। পিঁপড়ে বলে দিনের শেষে তাদের গর্তেই যেতে হয়। আর পাতা

ফুল ফোটাতে পারে, হাসতে পারে, কিন্তু পিঁপড়ে তা পারে না। সে দুঃখ করে বলে মাটি তার

আর পৃথিবীটা পাতার। পাতাও তার কষ্টের কথা জানায়, এইভাবে পিঁপড়ে আর পাতার

কথোপকথনের মধ্য থেকে উভয়ের দুঃখের পরিচয় পাওয়া যায়।

Contents:

আরো পড়ুন:

ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


It all began with drip drip part 1 Click Here

It all began with drip drip part 2 Click Here

It all began with drip drip part3 Click Here

 

the adventurous clown part 1 Click Here

the adventurous clown Part 2 Click Here

the adventurous clown part 3 Click Here


The rainbow poem Lesson 3 part 1 Click Here


The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here



মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

মাটির ঘরের দেওয়াল চিত্র প্রশ্ন উত্তর click Here 

পিঁপড়ে কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here 

ফাঁকি গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 

আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here 










Post a Comment

0 Comments