মরশুমের দিনে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়। প্রশ্ন উত্তর। ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা। অধ্যায় ৯। morsume dine class 6 bengali question and answer।

 


মরশুমের দিনে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়। প্রশ্ন উত্তর। ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা। অধ্যায় ৯। morsume dine class 6 bengali  question and answer।



                                           মরশুমের দিনে

                                                                                 সুভাষ মুখোপাধ্যায়


 সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ। উৎস

ঘ। পূর্ব কথা

ঙ। সারসংক্ষেপ

চ। নামকরণ

ছ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ (MCQ)



e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।



ক। কবি পরিচিতি:


রবীন্দ্রনাথের পরবর্তী সময়ে বাংলা কবিতায় আর একটি স্মরণীয় নাম সুভাষ মুখোপাধ্যায় ।

তাঁর জন্ম ১৯১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি।১৯৪০ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'পদাতিক' প্রকাশিত

হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে- অগ্নিকোণ, চিরকুট, ফুল ফুটুক, যত দূরেই

যাই, কাল মধুমাস, ছেলে গেছে বনে,দিন আসবে, জল সইতে, প্রভৃতি। 'যত দূরেই যাই'

কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। সাহিত্যে

অবদানের জন্য ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর গদ্য রচনা-

‘কাঁচা-পাকা, ঢোল গোবিন্দের আত্মদর্শন,আমার বাংলা' প্রভৃতি। পাঠ্যাংশটি তাঁর 'নারদের

ডায়েরি'নামক বইয়ের ‘মরশুমের দিনে' রচনার সংকলিত অংশ।২০০৩ সালের ৮ জুলাই

তিনি পরলোক গমন করেন।


খ। উৎস: 

পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের রচিত 'নারদের ডাইরি, থেকে 'মরসুমের দিনে,শীর্ষক

রচনাটি নেওয়া হয়েছে।


গ। বিষয়সংক্ষেপ:

‘মরশুমের দিনে’ গদ্যাংশটিতে কৃষি কাজকে কেন্দ্র করে বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য এবং ঋতু

উদ্‌যাপন উৎসবের ছবি বর্ণনা করা হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলায় কৃষিকাজের গুরুত্ব

এবং বাংলার লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

রচনার শুরুতেই গ্রাম বা মফস্সলের সঙ্গে শহরের যে গভীর যোগাযোগ, তা বাস-ডিপোয়

অপেক্ষা করে থাকা যাত্রীদের কথা তুলে ধরার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে । এরপর গ্রামের

প্রসঙ্গে উঠে আসে গ্রামের পালা-পার্বণের কথা, যার পিছনে রয়েছে কৃষিকাজ। ধান কাটার

ভিত্তিতেই গ্রামে ঋতুর হিসাব রাখা হয়। বর্ষায় কৃষিকাজ শুরু হত বলে ‘বর্ষ' বা বছর কথাটি

প্রচলিত হয়। অতীতে ফসল পাকা ও কাটার বিচারে অগ্রহায়ণ মাসে শুরু হত বছর। এমনই

ছোটো ছোটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানিয়ে বাংলার ঋতুচক্রে কৃষির প্রভাব আলোচনা

করেছেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। গ্রীষ্মে বাতাস আগুনের মতো গরম হয়ে ওঠে, রাস্তায়

মরীচিকা দেখা যায়। শরতে নীল আকাশ জুড়ে সাদা মেঘের আনাগোনা চলতে থাকে। ধানের

ওপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস। ধানকাটার পর সুন্দর নীল আকাশ দেখায় তামার হাঁড়ির মতো

সৌন্দর্যহীন। তখন নদী-পুকুর-খাল-বিল শুকিয়ে চারিদিকে শুরু হয় জলের হাহাকার। ফলে,

বৃষ্টির কামনায় গভীর বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয় বসুধারা বা ক্ষেত্রব্রত-র মতো প্রাচীন

ব্রত। কোথাও বা কিশোরীর দল 'মেঘারানির কুলো' নামাবার প্রথা পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

দল বেঁধে তারা বাড়ি বাড়ি গান গেয়ে মেঘকে নানা প্রলোভন দেখায়। এত প্রচেষ্টার পর

মেঘের ঘুম ভাঙে। আকাশ কালো করে হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামে। চাষির মুখে হাসি ফোটে।

ছেলের দল মহানন্দে আম কুড়োতে ছোটে। বৃষ্টি মাথায় করেই কৃষক ধান বোনা, আল বাঁধার

কাজ শুরু করে। এরপর বর্ষাশেষে শুরু হয় ধান কাটার অধীর অপেক্ষায় দিন গোনা। এই

সময় মেয়েরা ভাদুলি ব্রত উদ্‌যাপন করে। এই ভাদুলি ব্রত উদযাপনের মধ্য দিয়ে প্রাচীন

বাংলার বাণিজ্যের ইতিহাস যেমন জানা যায়, তেমনই জানা যায় অন্দরমহলের মেয়েদের

কথা—যারা দুরুদুরু বুকে প্রিয়জনদের ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে থাকত। আলোচ্য

গদ্যাংশে কৃষিপ্রধান বাংলার বিভিন্ন মরশুমের বর্ণনা পাওয়া যায়। বাংলার ঐতিহ্যবাহী

লোকসংস্কৃতির পাশাপাশি বাংলার নারীদের কল্যাণময়ী রূপটিও অপূর্ব দক্ষতার সঙ্গে এই

গদ্যে তুলে ধরা হয়েছে।


ঘ। নামকরণ:

সাহিত্যের যে-কোনো শাখার মতো প্রবন্ধ বা নিবন্ধের ক্ষেত্রেও নামকরণের একটি বিশেষ

ভূমিকা আছে। নামকরণ অর্থাৎ রচনার শিরোনাম নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রচনাটি সম্পর্কে

পাঠকের মনে একটি ধারণা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘মরশুমের দিনে'

গদ্যাংশটিতে বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য ও কৃষিকাজকে কেন্দ্র করে ঋতু উদ্‌যাপনের চিত্র ফুটে

উঠেছে। বর্ষাই এখানে প্রধান ঋতু বা মরশুম। প্রায় সমগ্র রচনাটিতে একটি বিশেষ মরশুম

অর্থাৎ বর্ষা ঋতু এবং বর্ষা সম্পর্কিত বাংলার লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।

তাই বলা যায়, গদ্যাংশটির নামকরণ সার্থক ও যথাযথ হয়েছে।





ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: (M.C.Q)


১)'দিব তোমার মাথায় ছাতি।'–কী বেচে ?

ক) দুল

খ) নোলক

গ) চুড়ি

ঘ) মল

উত্তর:(খ) নোলক



২)বৃষ্টির অভাবে কোথাও কোথাও কোন্ প্রথা প্রচলিত রয়েছে?

ক)মেঘারানির কুলো নামাবার প্রথা

খ) বৃষ্টিরানির প্রথা

গ) বর্ষারানির প্রথা

ঘ) শরৎরানির প্রথা

উত্তর:(ক) মেঘারানীর কুলো নামাবার প্রথা



৩) বসুধারা ব্রত পালন করা হয়—

ক) আকাশের জল চেয়ে

খ)  নদীর জল চেয়ে

গ)  মাটির নীচের জল চেয়ে

ঘ)পুকুরের জল চেয়ে

উত্তর:(ক) আকাশের জল চেয়ে


৪)প্রধানত যে ব্রতের ক্ষেত্রে বুড়িদেরই কেউ মূলব্রতী হয়, তা হল-

ক)  বসুধারা ব্রত

খ) ভাদুলি ব্ৰত

গ) ক্ষেত্ৰব্ৰত

ঘ) পুণ্যিপুকুর ব্রত

উত্তর:(খ) ভাদুনি ব্রত


৫) মেঘারানীর কুলো নামাবার প্রথা পালনের জন্য প্রয়োজন-

ক) কুলো আর পান

খ) কুলো আর সুপারি

গ) কুলো আর জল ঘাট

ঘ) কুলো আর তেল- সিঁন্দুর

উত্তর:(গ) কুলো আর জল ঘট



হাতে কলমে সমাধান:

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


১) সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম কী ?


উত্তর: সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থটির নাম ‘পদাতিক’|


২) তাঁর লেখা একটি গদ্যের বইয়ের নাম লেখো।


উত্তর : ‘ঢোল গোবিন্দের আত্মদর্শন' তাঁর লেখা একটি গদ্যগ্রন্থ।


নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও:


 ১) ধান শব্দটি কোন্ শব্দ থেকে এসেছে? 


উত্তর: ধান শব্দটি এসেছে ‘ধান্য' শব্দ থেকে।


২) 'অগ্রহায়ণ' বলতে কী বোঝায়?


উত্তর : ‘অগ্র' অর্থাৎ আগে আর ‘হায়ণ’ অর্থাৎ ‘বছর', তাই অগ্রহায়ণ শব্দটির অর্থ হল বছরের গোড়া বা আরম্ভ।



১) টীকা লেখো: 


মরীচিকা, বসুধারা ব্রত, মেঘরানির কুলো, ভাঙ্গুলি।


উত্তর:

১.১)মরীচিকা:

ভূমিতে গাছপালা প্রায় থাকে না। যতদূর চোখ যায় শুধু ধু ধু বালির প্রাপ্তর। নির্জন মরুভূমিতে

অনেক সময়ই পথিকের মনে হয় পুরে যেন জল চিকচিক করছে। তার ভূমিতে পথিক

সেখানে পৌঁছে দেখে শুধু বালিই রয়েছে জলের কোনো চিহ্নই নেই। আসলে বালির উপর

সূর্যের আলো পড়ে তা প্রতিফলিত হয়ে যখন পথচারীর চোখে আসে, তখন অনেক সময়ই

সেই জায়গাটা চকচক করে ওঠে। তাই মনে হয় যেন সেখানে জল রয়েছে। একেই বলে

মরীচিকা।


 ১.২) বসুধারা রত: 

গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই রত উদ্‌যাপন করা হয়। বর্ষার

আগমনকে এগিয়ে আনতে,অর্থাৎ বৃষ্টি আগমনে গ্রামবাংলায় বসুধারা ব্রত পালন করা হয়।

সংস্কার অনুযায়ী বসুধারা রত পালন করলে বৃষ্টির শীতল জলধারা পৃথিবীর পুরু বুককে

রসসিক্ত করে বীজবপনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়।


১.৩) মেঘারানির কুলো:

এটিও বাংলার একটি প্রাচীন সংস্কৃতি। বসুধারা রতর মতোই 'মেঘারানির কুলো' নামক

প্রঘাটিও বৃষ্টিকামনায় করা হয়ে থাকে। এই প্রথা অনুযায়ী কুলো, জলঘষ্ট নিয়ে কৃষক

পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েরা দল বেঁধে পাড়ায় পাড়ায় গান গেয়ে বেড়ায়। বিনিময়ে তারা

চাল-তেল-সিঁদুর বা দু- চারটে পয়সা ও পান-সুপারি সংগ্রহ করে। তাদের গাওয়া গানের

মধ্যেই থাকে মেঘের উদ্দেশে নানা প্রলোভন ও প্রতিশ্রুতি, যাতে 'মেঘারানি' সন্তুষ্ট হয়ে

 ষ্টিরূপে পৃথিবীতে নেমে আসে।


 ১.৪) ভাদুলি:

বর্ষার শেষ দিকে ভাদ্র মাসে গ্রামবাংলার মেয়েরা ভাদুলি ৱত পালন করে।বাংলার লৌকিক

দেবী ভাদু-র নামানুসারে এই রতটিকে 'ভাদুলি ব্রত' বলা হয়। এই ব্রতপালনে মেয়েরা মাটিতে

আলপনা দেয়। আলপনায় থাকে সাতসমুদ্র, তেরো নদী, নদীর চড়া, কাঁটার পাহাড়, বন,

ভেলা,মোষ,বাঘ, কাক, তালগাছে বাবুইএর বাসা- এমন সব ছবি।এই ব্রত মনে করিয়ে দেয়

প্রাচীন বাংলার বাণিজ্যে সমৃদ্ধ ইতিহাসকে। ব্রতর ছড়ায় অন্দরমহলের নারীদের সওদাগর

স্বামী, শ্বশুর বা ভাইদের জলযাত্রার শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসার জন্য আকুলতার

হদিস মেলে। ভাদুলি ৱত শুধু বাণিজ্যের ইতিহাসের সাক্ষী নয়। এই ব্রত কল্যাণময়ী ভারতীয়

নারীর সঙ্গেও আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়।



নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:


১) বাস-ডিপোয় অপেক্ষমান যাত্রীদের ছবি কীভাবে পাঠ্যাংশে ধরা পড়েছে ?


উত্তর: বাস-ডিপোটি ছোটো হলেও সেখানে নানান পেশার নানান মানুষের ভিড় আর তাদের

ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। বাসের যাত্রীদের জিনিসপত্র ধরাধরি করে বাসের ছাদে তুলে

দেয় কনডাক্টর আর ক্লিনার। যাত্রীদের কারোর গন্তব্য দূরের শহর বা গঞ্জ, কারোর বা গ্রাম।

গন্তব্যের মতো তাদের উদ্দেশ্যও আলাদা যেমন—কোর্টের মামলা, সরকারি সেরেস্তায়

হাকিমের কাছে দরবার, হাসপাতালে রোগী দেখতে যাওয়া, নিজের দোকানের জন্য মাল

কেনা ইত্যাদি। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বাসের ভেতরে সিটের ওপর নিজেদের জিনিসপত্র

রেখে বাইরে এসে দাঁড়ায়। ডিপোর সামনের চায়ের দোকানে বাসচালক চা পান করে।

শীতের সময় যাত্রীরা তখন ড্রাইভারের দিকে নজর রেখে রোদ পোহায় আর গ্রীষ্মে গায়ে

হাওয়া লাগিয়ে গা জুড়ায়।



২)'গ্রামের সঙ্গে শহরের যে এখনও নাড়ির টান.."এই নাড়ির টানের প্রসঙ্গ রচনাংশে

কীভাবে এসেছে?


উত্তর: মাঠে ফসল পাকলে গ্রামের সঙ্গে শহরের নাড়ির টান স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই সময় মানুষ

শহর থেকে গ্রামে মেয়ে দেখতে, পুজো দিতে আসে। আবার গ্রাম থেকে বহু মানুষ জিনিস

কিনতে, সিনেমা দেখতে বা মামলার তদবির করতে শহরে যায়। এই অবাধ আনাগোনার

ফলে গ্রাম ও শহর—উভয় জায়গারই নানা পেশার মানুষ, যেমন—উকিল, মোক্তার, বামুন-

পুরোহিত, দর্জি, দোকানি আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এইভাবেই গ্রাম ও শহরের মানুষ আর্থিক

দিক দিয়ে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে এগিয়ে চলে। তাই রোজগার বা জীবিকার কথা

বলতে গিয়ে লেখক এই রচনাংশে গ্রাম ও শহরের এই নাড়ির টানের কথা বলেছেন।


৩)'ধানের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু বৃষ্টি”- বৃষ্টির সময়ে ধানখেতের ছবিটি কেমন ? অন্য যে যে

সময়ে ধান চাষ হয়ে থাকে , তা লেখো ।


উত্তর : বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গেই হোগলার তৈরি ‘মাথাল’ -এ মাথা, পিঠ ঢেকে চাষিরা মাঠের

উদ্দেশে রওনা দেয়—ধান বোনা, আল বাঁধার কাজ করার জন্য। বর্ষার আগমনে ধানখেতে

আসে ব্যাপক পরিবর্তন । গ্রীষ্মের প্রখর তাপে যে জমিতে ঘাসের চিহ্নমাত্র ছিল না, সেখানে

বর্ষার জলে বেড়ে ওঠা সবুজ কচি ধানের সমারোহ চোখ জুড়িয়ে দেয় | মনে হয় সমগ্র খেত

জুড়ে যেন সবুজ গালিচা পাতা হয়েছে। বর্ষায় ধানগাছের কচি সবুজ শরীর জেগে ওঠে।

ধানগাছ যাতে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে, সেজন্য মাঝে মাঝে খেত নিড়িয়ে দিতে হয়।

বর্ষাশেষে শুরু হয় পাকা ধান কাটবার প্রস্তুতি।

সারা বছরে ভারতে সাধারণত তিনবার ধান চাষ হয়।


আমন ধান: 

বর্ষাকালে রোপণ করে যে ধান শীতকালে কাটা হয়, তা ‘আমন ধান' নামে পরিচিত।অগ্রহায়ণ

মাসে কাটা হয় বলে এর আর-এক নাম অঘ্রয়ণী। ভারতে এই ধানের উৎপাদন সর্বাধিক।


আউশ ধান:

গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখী বৃষ্টির সময়ে রোপণ করে যে ধান ভাদ্র- আশ্বিন মাসে কাটা হয়, তাকে

বলা হয় আউশ ধান | ভাদ্র মাসে সাধারণত এই ধান কাটা হয়ে থাকে বলে একে ‘ভাদই’ও বলা

হয়।


বোরো ধান: 

শীতকালে রোপণ করে যে ধান গ্রীষ্মকালে কাটা হয়, তাকে বলা হয় বোরো বা বসন্তকালীন

ধান। দেশে সেচের সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতকালে বোরো ধানের উৎপাদন প্রচুর পরিমাণে

বৃদ্ধি পেয়েছে।


১.৪) 'আগে বছর আরম্ভ হত অগ্রহায়ণে'-এর সম্ভাব্য কারণ কী?

উত্তর : আগেকার দিনে বছর শুরুর ক্ষেত্রে দু-রকম ধারার প্রচলন ছিল। তার মধ্যে একটি

ধারা অনুসারে, ফসল ঘরে ওঠার সময়কে নতুন বছরের সূচনালগ্ন হিসেবে বিবেচনা করা

হত। আগেকার দিনে অগ্রহায়ণ মাসে যেহেতু নতুন ফসল ঘরে উঠত, তাই এই ‘অগ্রহায়ণ’

মাসটিকেও বছরের শুরু হিসেবে ধরা হত। অগ্রহায়ণ নামটির মধ্যেই সেই নতুন বছরের

আর নতুন ফসলের কথাটি লুকিয়ে রয়েছে। কারণ ‘অগ্র’ শব্দের অর্থ হল 'গোড়া' বা

‘সূচনাকাল’ আর ‘হায়ণ' শব্দের অর্থ হল 'বছর' বা 'ফসল'।


Contents:

আরো পড়ুন:

ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


It all began with drip drip part 1 Click Here

It all began with drip drip part 2 Click Here

It all began with drip drip part3 Click Here

 

the adventurous clown part 1 Click Here

the adventurous clown Part 2 Click Here

the adventurous clown part 3 Click Here


The rainbow poem Lesson 3 part 1 Click Here


The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here


মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here



Post a Comment

0 Comments