একটি চড়ুই পাখি
তারাপদ রায়
সূচিপত্র:
ক। কবি পরিচিতি
খ। বিষয়সংক্ষেপ
গ। নামকরণ
ঘ। হাতে কলমে সমাধান
e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট
ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য
আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কবি পরিচিতি:
বিশিষ্ট কবি ও তারাপদ রায় ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অধুনা বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে
জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকার বিন্দুবাসিনী ইংলিশ হাই স্কুলে পড়াশোনো শেষ করে ১৯৫১
খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় আসেন। সেন্ট্রাল কলকাতা কলেজ,আজ যেটি মৌলানা আজাদ
কলেজ নামে পরিচিত, সেখানে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন। এই সময় তিনি হাবড়ার
একটি বিদ্যালয়ে পড়াতেন।
১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ‘তোমার প্রতিমা' নামে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও তিনি লিখেছেন
‘ছিলাম ভালোবাসার নীল পাতাতে স্বাধীন,কোথায় যাচ্ছেন তারাপদবাবু, নীলদিগন্তে এখন
ম্যাজিক', ‘পাতা ও পাখিদের আলোচনা, ভালোবাসার কবিতা, ‘দারিদ্র্যরেখা, জলের মতো
কবিতা,কবি ও পড়শিনী' ইত্যাদি। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘শিরোমণি’ ও ‘কথা’ পুরস্কারে ভূষিত
হন। বাংলা শিশুসাহিত্যে পরিচিত ডোডো ও তাতাই তাঁর সৃষ্টি। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫ আগস্ট
এই বিখ্যাত কবির মৃত্যু হয়।
বিষয় সংক্ষেপ:
আধুনিকতাকে অনেকেই জীবনমুখিনতা বলে প্রকাশ করতে চান। জীবনের সঙ্গেই
ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে প্রকৃতি এবং ঈশ্বরসৃষ্ট প্রাণীকুল। অনেকসময় অতি সামান্যও
আমাদের জীবনে অসামান্য হয়ে ওঠে। বাংলার চিরপরিচিত সাধারণ চড়ুইপাখি কবির মনের
গভীরে রেখাপাত করে। তার চাঞ্চল্য, অস্থিরতা, বুদ্ধিমত্তা আর চাতুর্য কবিকে বিচলিত করে
তোলে।‘বাসা' কথাটির মধ্যে কোথাও একটা নিরাপদ আশ্রয়ের কথা লুকিয়ে থাকে। ঝড় ও
বাতাসে পাখির নীড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হয়তো সেই চিন্তা করেই চড়ুই ইট, কাঠ,
পাথরের তৈরি শক্তপোক্ত অট্টালিকায় বাসা তৈরি করে, আবার ইচ্ছামতো এ-বাড়ি ও-বাড়ি
উড়ে যায়।
কবিদেখেছেন চড়ুই-এর বাসা প্রস্তুতির দক্ষতা। সারাদিন সে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়ায় আর
সন্ধেবেলা খড়কুটো ও ধান বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে। তার সঙ্গে আনন্দের সুরই ধ্বনিত
হয়, যাকে কবি সংগীত বলেছেন। কখনও তার দৃষ্টিতে কবি দেখেন অসীম কৌতূহল। কবি
বাইরে গেলেই হয়তো সে ভাবে এই ঘরের সব কিছুই তার; টেবিলে ফুলদানি, বইখাতা সব
কিছুই একদিন বিধাতার কৃপায তার হয়ে যাবে।
কল্পনাপ্রবণ কবি আবার কখনও চড়ুই-এর দৃষ্টিতে তাচ্ছিল্যের ভাবটিও লক্ষ করেছেন।
কার্নিশে এসে হয়তো সে ভাবে মায়ার টানেই এই ভাঙাচোরা ঘরে সে আছে। কোনো সময় ও-
পাড়ার পালেদের, বোসেদের বাড়িতে সে আশ্রয় নিতে পারে। তবু কোনো এক অজানা বন্ধনে
কবির সঙ্গে সে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। কবির মনে হয় তার একাকিত্ব নিরসনের জন্য
চড়ুইপাখিটি নির্জন রাতে কবির একমাত্র সঙ্গী হয়ে রয়ে গিয়েছে।
নামকরণ:
মানব জীবনের সহজ সত্যটি কবি একটি চড়ুইপাখির মধ্যে তুলে ধরতে চেয়েছেন। আমাদের
প্রত্যেকেরই আত্মীয়স্বজনে পূর্ণ গৃহটির প্রতি অদম্য আকর্ষণ আছে। দিনান্তে বিশ্রাম গ্রহণের
জন্য আমরা এই আনন্দঘন স্থানটিতে পারিবারিক মিলনের জন্য ফিরে আসি।প্রাণীকুলের
মধ্যেও এই সহজাত ভাবনার প্রকাশ ঘটে।গৃহ অর্থ-নিরাপদ আশ্রয়, কিন্তু নির্জন গৃহ
মানুষকে গভীর একাকিত্বের মধ্যে ঠেলে দেয়। এই কবিতায় কবি জীবনের একাকিত্ব দূর
করতে এই চড়ুইপাখির বিশেষ ভূমিকা আছে, তাই তার থাকা বা না থাকা দুটি বিষয়ই কবিকে
ভাবিয়ে তুলেছে। বহু মানুষের সঙ্গে এই চড়ুইপাখিটির অদ্ভুত সাদৃশ্য আছে। কবি বলেছেন
ইচ্ছামতো সে এই বন্ধন ছিন্ন করে ভাঙা ঘর ছেড়ে পালেদের, বোসেদের গৃহে আশ্রয় নিতে
পারে এমনই তার মনোভাব। মানুষের ক্ষেত্রেও আজকাল পুরোনো ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি
খুব একটা সম্ভ্রম নেই। আধুনিকতার স্রোতে ভাসতে ভাসতে সেও এর সম্পন্ন জীবনের
সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে, যার পরিসমাপ্তি দুঃখজনক হয়ে ওঠে। জীবন আর-একটা জীবনের
হাত ধরেই সম্পূর্ণ হয়। একাকিত্ব বড়ো বেদনাদায়ক। কবির জীবনে শূন্য ঘরে নির্জন রাতে
এইচিরপরিচিত চড়ুইপাখি পূর্ণতা এনেছে।গল্পের বা কবিতার নামকরণ বিষয়, চরিত্র,
গূঢ়ার্থের উপর নির্ভরকরে। এক্ষেত্রে একটি চড়ুইপাখির চাঞ্চল্য, তার সারাদিনের কর্মকাণ্ড
নির্জন রাতে একাকী কবিকে আশ্বস্ত করে। সেই চিন্তাধারা থেকে কবিতার শিরোনামটি যথার্থ
বলা যায়।
হাতে কলমে সমাধান:
নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১) তারাপদ রায় কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:তারাপদ রায় ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
২) তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর:তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ-তোমার প্রতিমা’ এবং ‘নীল দিগন্তে এখন ম্যাজিক'।
২) নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :
১) কবিতায় চড়ুইপাখিটিকে কোথায় বাসা বাঁধতে দেখা যায়?
উত্তর:কবিতায় চড়ুই পাখিটিকে কবির ঘরে বাসা বাঁধতে দেখা যায়।
২) চড়ুইপাখি এখান সেখান থেকে কী সংগ্রহ করে আনে?
উত্তর: চড়ুইপাখি এখান সেখান থেকে এ-বাড়ির খড়কুটো ও-বাড়ির ধান সংগ্রহ করে আনে।
৩) কবির ঘরের কোন্ কোন্ জিনিস চড়ুইপাখিটির চোখে পড়ে?
উত্তর: কবির ঘরের টেবিলের ফুলদানি, বইখাতা ইত্যাদি চড়ুইপাখিটির চোখে পড়ে।
৪) ইচ্ছে হলেই চড়ুই পাখি কোথায় চলে যেতে পারে?
উত্তর: ইচ্ছে হলেই চড়ুইপাখি এ-পাড়ায় ও পাড়ায় পালেদের ও বোসেদের বাড়ি চলে যেতে
পারে।
৩) নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১) চতুর চড়ুই এক ঘুরে ফিরে আমার ঘরেই বাসা বাঁধে।'চড়ুইপাখিকে এখানে 'চতুর' বলা হল
কেন ?
উত্তর: কবি তারাপদ রায় রচিত 'একটি চড়ুই পাখি’ কবিতা থেকে সংকলিত। 'বাসা' কথাটির
মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ের বিষয়টি লুকিয়ে আছে। এখানে পাখিটি জনহীন পরিবেশে কবির
ভাঙাচোরা ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। সে যেন জানে একাকিত্ব কবিকে এমনভাবে গ্রাস করেছে
যে, চাইলেও কবি তাকে তাড়িয়ে দেবেন না। তার বৃদ্ধির ক্ষিপ্রতার জোরেই সে যেন
কবিমনকে বুঝতে পেরেছে। আরও বুঝেছে সে-ই কবির একাকী ঘরে একমাত্র নির্ভরযোগ্য
জীবনীসত্তা। সেই অর্থেই ‘চতুর’ কথাটি ব্যবহৃত।
২) কবিতায় বিধৃত চিত্রকল্পগুলি দৃষ্টান্তসহ আলোচনাকরো।
উত্তর: কবিতা বা গদ্যের ভাষায় শব্দের মাধ্যমে চিত্রাঙ্কনকেই বলা হয় চিত্রকল্প। আধুনিক
কবি তারাপদ রায় রচিত 'একটি চড়ুই পাখি’ কবিতায় কবি বেশ কিছু চিত্রকল্পের সাহায্য
নিয়েছেন, অর্থাৎ কথার মাধ্যমে চিত্র এঁকে যেতে চেয়েছেন। 'সন্ধ্যা ফেরে’-- সন্ধ্যার আগমন
অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ছড়ায় শব্দের চিত্রকল্পসমূহ টুকরো’-চড়ুই-এর সংগৃহীত ধান ও
খড়ের ঘর্ষণে অনুরণিত শব্দকে এই চিত্রকল্পে কবি তুলে ধরেছেন। 'রাত্রির নির্জন ঘরে’–
রাতের একাকী নির্জনতাকে গভীর করে তুলতেই এর ব্যবহার।
৩) হয়তো ভাবে..'চড়ুইপাখি কী ভাবে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর: কবি তারাপদ রায় রচিত 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় একটি নির্জন কক্ষে কবির বাস।
পাখিটি মনে করে বিধাতার কৃপায় কবির অনুপস্থিতিতে এই কক্ষের সব কিছুই তা
ভাবনারহয়ে যাবে। যেমন—টেবিলে রাখা ফুলদানি,বইখাতা আর যাবতীয় সামগ্রী।
৪) ‘আবার কার্নিশে বসে চাহনিতে তাচ্ছিলা মজার, -তাচ্ছিল্যভরা মজার চাহনিতে তাকিয়ে
চড়ুই কী ভাবে?
উত্তর:কবি তারাপদ রায় রচিত ‘একটি চড়ুই পাখি' কবিতায়একটি চড়ুইপাখি কবি-কথকের
সুখ-দুঃখের দোসর হতেই যেন বাসা বেঁধেছিল কবি-কথকের নির্জন, নিরুপদ্রব, একাকী
ঘরটুকুতে, কিন্তুচতুর চড়ুই প্রায়ই তাচ্ছিল্যভরা মজার চাহনিতে তাকিয়ে যেন অবজ্ঞার সঙ্গে
এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করে যে, নিতান্ত দয়ার শরীর বলেই কবির নিঃসঙ্গতা অনুভব করে
সে অন্যত্র চলে যায়নি।
৫) ‘তবুও যায় না চলে এতটুকু দয়া করে পাখি' পঙ্ক্তিটিতে কবি মানসিকতার কীরূপ
প্রতিফলন লক্ষ করা যায়?
উত্তর: কবি তারাপদ রায় রচিত ‘একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় কবি বড়োই নিঃসঙ্গ, সারাদিন
একাকী গৃহকক্ষে তার দিনযাপন। দিনাবসানে পাখিটি যখন ধান ও খড়ের টুকরো নিয়ে ফিরে
আসে তার সংগৃহীত জিনিসের গোছগাছ আর কিচিরমিচির শব্দে, মুহূর্তের মধ্যে কবির
নির্জন কক্ষ এক অজানা সুরের মূর্ছনায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। কবিমনও আলোড়িত হয়।
স্বাধীনচেতা চড়ুই ইচ্ছে করলেই পারে অন্যত্র বাসা বাঁধতে। কিন্তু কবি কথকের প্রতি অদ্ভুত
এক সমানুভূতির সূত্র ধরেই তার সুখ-দুঃখের দোসর হয়ে, নির্জন ঘরে তার একাকিত্ব অনুভব
করেই কৃপাবশত সে এখানে থেকে যায়।
৬) ছোটো চড়ুইপাখির জীবনবৃত্ত কীভাবে কবিতার ক্ষুদ্র পরিসরে আঁকা হয়েছে তার পরিচয়
দাও।
উত্তর : আধুনিক কবি তারাপদ রায় রচিত 'একটি চড়ুই পাখি’ কবিতায় কবি বাংলার
অতিপরিচিত চড়ুইপাখির বুদ্ধিমত্তা, চাতুর্য, স্বাধীনভাবে বিচরণের চিত্রটি অতি সুন্দরভাবে
পরিবেশন করেছেন। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কবিজীবনের নিঃসঙ্গতা মোচনে পাখিটি
কীভাবে সাহায্য করেছে। সবসময় সে যেন কবিমনকে ভরিয়ে রাখতে চেয়েছে। দিনাবসানে
সে কবির কক্ষটিতে ফিরে আসে খড়কুটো ও ধান সংগ্রহ করে। একদিকেকবির অগোচরে
সে কবির কক্ষেও যেমন স্থান করে নিয়েছে, তেমনি কবির মনেও স্থান করে নিতে পেরেছে।
স্বাধীন বা মুক্ত মনোভাবের জন্য সে ইচ্ছামতো এ পাড়ায় ও পাড়ায় পালেদের, বোসেদের
বাড়ি চলে যেতে পারে। নেহাতই একটা বন্ধনকে সে ছিন্ন করতে না পেরে একই জায়গায়
স্থির হয়েছে।
৭) ‘কৌতূহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে’- চড়ুইপাখির চোখ ‘কৌতূহলী' কেন? তার
চোখে কবির সংসারের কোন্ চালচিত্র ধরা পড়ে?
উত্তর: চড়ুইপাখি কৌতূহলী কারণ তার ধারণা অনুযায়ী সাধারণত অট্টালিকা জনপূর্ণ হয়।
কিন্তু এই বাড়িতে কোথাও একটা শুন্যতাও আছে যা তাকে বিস্মিত করে তোলে। আধুনিক
জীবনের নিঃসঙ্গতা, আত্মকেন্দ্রিকতা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে ঘরটিতে। তাই
চড়ুইটির মনে হয়। কবির অনুপস্থিতিতে বিধাতার কৃপায় কক্ষের সর্বস্ব তারই হয়ে যাবে।
সাংসারিক জীবনের টানাপোড়েন অনেকসময় মানুষকে বিপর্যস্ত করে দেয়, কিন্তু এখানে
নিঃসঙ্গ এক মানুষের একাকিত্ব বড়ো বেশি করে পাঠকের হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। এই
একাকিত্ব কখনও এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে, একটি চড়ুইপাখির এই কক্ষে থাকা না থাকা
কবিমনকে উতলা করে তোলে। আর চড়ুই যেন কোনো এক আত্মিক টানে কবিকে একলা
রেখে যেতে পারে না। ইচ্ছা করলেই সে পারে তার বাসা বদল করতে। অসহায় কবির গভীরে
এই একাকিত্ব কবিতাটিকে বেদনার্ত করে তুলেছে।
৮) রাত্রির নির্জন ঘরে আমি আর চড়ুই একাকী' পঙক্তিটিতে 'একাকী' শব্দটি প্রয়োগের
সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: কবি তারাপদ রায় রচিত ‘একটি চড়ুই পাখি কবিতায় কবির জীবনে একাকিত্ব কোথায়
যেন এক গভীর বেদনার সৃষ্টি করেছে। আধুনিক 'একাকী' শব্দ জীবনের সবচেয়ে বড়ো ব্যাধি
আত্মকেন্দ্রিকতা আরপ্রয়োগের সার্থকতাতার থেকে বহু মানুষের জীবনে একাকিত্বের ক্ষত
সৃষ্টি হয়। এই জনহীনকক্ষে কবি আর সঙ্গী চড়ুইটিও সঙ্গীবিহীন। সেই অর্থেই ‘একাকী' শব্দ
নিঃসঙ্গ জীবনের বেদনাকে আরও গাঢ় করে তুলেছে।
৯)'একটি চড়ুইপাখি ছাড়া কবিতাটির অন্য কোনো নামকরণ করো। কেন তুমি এমন নাম
দিতে চাও, তা বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: একটি চড়ুই পাখি' ছাড়া ‘একলা ঘরে আমি ও চড়ুই' - এই নামকরণ কবিতায় প্রয়োগ
করা যায়। মূলত কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে দুটি প্রাণী রয়েছে। কবিতানুযায়ী এরা দুজনেই একা।
তবে কবির একাকিত্ব গভীর। আমরা মনে করি কোনো মানুষ এক মুহূর্তে অন্য মানুষের
সহযোগিতা, সহৃদয়তা, ভালোবাসা পেলে তার অন্তর আনন্দে পূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষত
জীবনের শেষ লগ্নে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই একাকিত্ব প্রবল হয়ে ওঠে; তখন একটা চড়ুই
পাখির কক্ষে আনাগোনা,বাসা প্রস্তুতও কবিমনকে ভরিয়ে তোলে। একা থাকার কষ্ট
খানিকটা তিনি ভুলে থাকেন।তাই একলা ঘরে কবি ও চড়ুই-এর অবস্থান বোঝাতে এই
ধরনের নামকরণ করা যায়।
CONTENTS:
আরো পড়ুন:
বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
চন্দ্রগুপ্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর Click Here
বনভোজনের ব্যাপার গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
সবুজ জামা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
the wind cap lesson 1 part 1 Click Here
the wind cap lesson 1 part 2 Click Here
the wind cap lesson 1 part 3 Click Here
Clouds Lesson 2 part 1 Click Here
একটি চড়ুই পাখির কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here
0 Comments