চিঠি
জসীমউদ্দীন
১। সূচিপত্র
ক। কবি পরিচিতি
খ। কবিতার উৎস
ঘ। কবিতার পূর্ব কথা
ঙ। সারসংক্ষেপ
চ) নামকরণ
ছ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
জ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট ফাইনাল
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য আমাদের কাছে
বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক। কবি পরিচিতি:
পল্লীকবি জসিম উদ্দিন ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অম্বিকাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ
করেন। তাঁর বাবা মৌলভী আনসার উদ্দিন আহমেদ ছিলেন পেশায় শিক্ষক। মা ছিলেন আমিনা খাতুন।
ফরিদপুরে স্কুল-কলেজের পাঠ সমাপ্ত করে তিনি কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে
এমএ পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রভারতী
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে'ডিলিট, উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলি হল-
রাখালি,নকশী কাঁথার মাঠ, বালুচর, সজন বাদিয়ার ঘাট,ধানক্ষেত,মাটির কান্না ইত্যাদি। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে
১৪ই মার্চ কবির জীবনাবাসান হয়।
খ। উৎস:
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের রচিত'চিঠি,কবিতাটি 'বালুচর,কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
গ। পূর্বকথা:
প্রকৃতির সঙ্গে মানব জীবনের সম্পর্ক খুব গভীর,যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের ভাবনা চিন্তায়
জড়িয়ে থাকে। সেই প্রকৃতি কখনো কখনো'চিঠি,হয়ে ধরা দেয় কবির কাছে। সেই প্রসঙ্গেই কবি
পাঠ্য'চিঠি, কবিতা আলোকপাত করেছে।
ঘ। বিষয়সংক্ষেপ:
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের রচিত'চিঠি,কবিতায়- কবিকে পাঠানো নানান চিঠিতে,বর্ষার রূপ সম্পর্কে
জানতে পেরেছেন। প্রথমেই ভোরের ছবি ফুটে উঠেছে লাল মোরগের চিঠিতে। চখাচখি কবিকে দিয়েছে
বালুচরের খবর। সেই চিঠিতেই কবি জানতে পেরেছেন বর্ষার ঢেউ বালুচরে কী কী লিখে গেছে? শিল্পী
বাবুইপাখির কারুকার্য করা চিঠিতে কবি তার শিল্পকর্মকে প্রত্যক্ষ করেছেন। ফসল,ক্ষেতেরখবর, কবি
পেলেন কোড়াকুড়ীর চিঠিতে। এই পর্যন্ত যারা যারা কবিকে চিঠি দিয়েছে তারা প্রত্যেকেই পাখি।এবার
কবি চিঠি পেলেন তাঁর খোকা ভাইয়ের কাছ থেকে। আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে যে পাখিরা মেঘেদের পাড়ায়
পাড়ায় যায়, তাদেরই পড়াগুলি বর্ণ হয়ে খোকা ভায়ের চিঠিতে ধরা পড়েছে। এই বর্ণগুলোই চিঠিটি কে
কবির কাছে করে তুলেছে শীতের সোনা রোদের মতো মিঠে। কবি একান্ত নির্জন ঘরে, এই চিঠি পাওয়ার
আনন্দ নুপুরের মত ঝুমুর ঝুমুর বাজছে। এই কবিতায় কবি প্রকৃতি ও মানুষের সুন্দর এবং গভীর
সম্পর্কের কথা শুনিয়েছেন।
ঙ। নামকরণ:
যেকোনো সাহিত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রেই নামকরণের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে। এর কারণ হলো
নামকরণের মধ্যে দিয়েই সাহিত্য স্রষ্টা রচনাটির বিষয়বস্তুর সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটিয়ে দেন।পাঠ্য
চিঠি কবিতাতে চিঠির মাধ্যমে কবি জসীমউদ্দীন পল্লী বাংলার রূপকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
কবিকে পাঠানো কয়েকটি চিঠি বা বার্তার মধ্যে এই রূপের বর্ণনা পেয়েছেন। প্রথমে বিভিন্ন পাখির কাছ
থেকে বার্তা পেয়ে কবির মন আনন্দে ভরে উঠেছে। কবি জানিয়েছেন তিনি চিঠি পেয়েছেন-লাল মোরগ,
চখাচখি,গাঙশালিক,আর বাবুইপাখির কাছ থেকে। তাদের চিঠিতে তিনি জেনেছেন প্রকৃতির নানান
খবর। সবশেষে কবি জানিয়েছেন তাঁর খোকা ভাইয়ের থেকে চিঠি পাওয়ার কথাও। এইসব চিঠি কবির
মনকে আনন্দময় প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম করে তুলেছে। চিঠিপাড়ার আনন্দের কথা এই কবিতায় তাই
ঘুরে ঘুরে ফিরে এসেছে। সে কারণেই বলা যায় কবিতাটির নামকরণ স্বার্থ ও যথাযথ হয়েছে।।
চ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১। ঢেউয়ে ঢেউয়ে কত কী লিখে গেছে-
ক)শীত
খ) বর্ষা
গ) শরৎ
ঘ) বসন্ত
উত্তর:(খ) বর্ষা
২। খুশির নুপুর ঝুমুর-ঝুমুর-
ক) ছুটছে
খ) বাজছে
গ) বলছে
ঘ) শুনছে
উত্তর:(খ) বাজছে
৩। সবুজ পাতার আসরগুলি জলধারায় মেতে-
ক) নাচছে
খ) ভাসছে
গ) কাঁদছে
ঘ) হাসছে
উ:(ক)নাচছে
৪। চিঠি পেলুন কিচিরমিচির-
ক) গাঙশালিকের বাসা থেকে
খ) বাবুই পাখির বাসা থেকে
গ) চড়ুই পাখির বাসা থেকে
ঘ) টুনটুনি পাখির বাসা থেকে
উত্তর:(খ) বাবুই পাখির বাসা থেকে
৫। শিশু ঊষার রঙন হাসি রঙিন করা-
ক) পাতার গায়ে
খ) পাহাড়ের গায়ে
গ) পশুর গায়ে
ঘ) পাখার গায়ে
উত্তর:(ঘ) পাখার গায়
ছ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১। কবি সবার আগে কার চিঠি পেয়েছেন?
উত্তর: কবি সবার আগে লাল মোরগের চিঠি পেয়েছেন।
২। লাল মোরগের পাখার গায়ে কী দেখা যায়?
উত্তর: লাল মোরগের পাখার গায়ে দেখা যায় শিশু ঊষার রঙন হাসি রঙিন হয়ে রয়েছে।
৩। সবুজ পাতারা বর্ষায় কী করে?
উত্তর: সবুজ পাতার দল বর্ষায় জল স্রোতের মধ্যে নাচতে থাকে।
৪। কবি কার চিঠি থেকে বর্ষাকালের ফসলের খেতের কথা জানতে পেরেছেন?
উত্তর: কবি কোড়াকুড়ীর চিঠি থেকে বর্ষাকালের ফসলের খেতের কথা জানতে পেরেছেন।
৫। খোকা ভাইয়ের চিঠিটা হাতে পেয়ে কবির কেমন লেগেছিল?
উত্তর: খোকা ভাইয়ের চিঠিটা হাতে পেয়ে কবির মনে হয়েছিল,সেটা যেন শীতের ভোরের রোদের মতোই মিষ্টি।
হাতে কলমে সমাধান:
১।নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১.১। কবি জসীমউদ্দীনকে বাংলা কাব্যজগতে কোন অভিধায় অভিহিত করা হয়েছে?
উত্তর: কবি জসীমউদ্দীনকে বাংলা কাব্যজগতে'পল্লী কবি, অভিধান অভিহিত করা হয়েছে।
১.২। তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো:
উত্তর: তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত কবিতা বই হল- নকশী কাথার মাঠ এবং রাখালি।
২। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
২.১। কবি কার কার থেকে চিঠি পেয়েছেন?
উত্তর: পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের রচিত চিঠি কবিতায়,কবি প্রথমে লাল মোরগের চিঠি পেয়েছেন।
তারপর একে একে কবিকে চিঠি দিয়েছে চখাচখি, বাবুইপাখি এবং কোড়াকুড়ী। সবশেষে কবি তাঁর
খোপাভাইয়ের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছেন।
২.২। লাল মোরগের পাঠানো চিঠিটি কেমন?
উত্তর:পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের রচিত চিঠি কবিতায়, সদ্য ফোটা ভোরের আলোর বার্তা নিয়ে লাল মোরগ
কবিকে যে চিঠি পাঠিয়েছে,তার মধ্যে রয়েছে,ভোর জাগানো সুর আর ঊষার রঙিন হাসির ছবি।
২.৩। চখাচখি কেমন চিঠি পাঠিয়েছে?
উত্তর: চিঠি কবিতায় চখাচখি নদীর ধারের বালুচরের খবর জানিয়ে কবিকে চিঠি পাঠিয়েছে। বর্ষা এসে
ঢেউয়ের সাহায্যে বালুচরে নানা বার্তা লিখে গেছে।গাঙশালিকের গাঙের পাড়ের মোড়ল হওয়ার কথাও
সেখানে লেখা রয়েছে।
২.৪।গাঙশালিক তার চিঠিতে কী বলেছে?
উত্তর: আলোচ্য কবিতায় গাঙশালিক তার পাঠানো চিঠিতে কবিকে গাঙের পাড়ের মোড়ল হওয়ার
আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
২.৫। বাবুই পাখির বাসার থেকে আসা চিঠিটি কেমন?
উত্তর: পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের রচিত চিঠি কবিতায়,বাবুই পাখির পাঠানো চিঠিটা তার সূক্ষ্ম কারুকার্য
করা বাসার মতোই-ধানের পাতায়, তালের পাতায়,বুনুত করা নকশা আঁকা।
২.৬। কোড়াকুড়ীর পাঠানো চিঠিটির বর্ণনা দাও।
উত্তর: চিঠি কবিতায়,বর্ষাকালের ফসলের খেতে, বৃষ্টির জলে,কচি পাতার নাচন,গুরুগুরু শব্দ মেঘের
ডাক,-যা অনেকটা কান্নার মতো। মন খারাপের গল্প কবি কোড়াকুড়ীর পাঠানো চিঠি থেকে জানতে
পেরেছেন।
২.৭। কার চিঠি পাওয়ায় কবির মনে হয়েছে নিখিল বিশ্ব তাকে চিঠি পাঠিয়েছে?
উত্তর: চিঠি কবিতায় কবির ছোট ভাইয়ের লেখা চিঠিতে সমস্ত প্রকৃতির সুন্দর বর্ণনা রয়েছে যা পড়ে
কবির মনে হয়েছে নিখিল বিশ্বই তাকে চিঠি পাঠিয়েছে।
২.৮। এই কবিতায় কোন ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে?
উত্তর:চিঠি কবিতায় বর্ষাকালের প্রসঙ্গ রয়েছে। তবে কবিতার শেষে ছোট ভাইয়ের সিথির প্রসঙ্গে কবির
মনে শীতকালও উঁকি দিয়েছে।
২.৯।কবিতায় অন্য ঋতুর পটভূমি সত্ত্বেও খোকাব ভাইয়ের চিঠির লেখনখানি শীতের ভোরের রোদের মতো মিঠে মনে হওয়ার তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তর:পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের রচিত চিঠি কবিতায়, শীতকালের ভরে এক চিলতে রোদ ও আমাদের
যথেষ্ট আরাম দেয়। এই রোদের উত্তাপ আরো উষ্ণ হয়ে ধরা দেয় গ্রাম বাংলার দরিদ্র পল্লীবাসীদের
কাছে। অন্যদিকে কবির কাছে খোকা ভাইয়ের পাঠানো চিঠিও পরম আদরের। কবির কাছে সেই চিঠির
মূল্য অসীম।এই চিঠি হাতে পেয়ে কবি অত্যন্ত সুখ অনুভব করেন, যা শীতের ভোরের রোদের মতো।
২.১০।'খুশির নুপুর ঝুপুর-ঝামুর বাজে আমার নিরালাতে,-পংক্তিটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর:'চিঠি,কবিতায় কবি যে জায়গায় থাকেন,তাঁর পরিবেশটি ও নির্জন ছিল। কিন্তু নানা জনের কাছ
থেকে পাওয়া নানান চিঠিতে তিনি প্রকৃতির প্রচুর খবর পেয়েছেন। যদিও তাঁর মনে সবচেয়ে বেশি
আনন্দ পেয়েছে, তাঁর ছোট ভাইয়ের লেখা একখানি চিঠি পেয়ে। তাঁর খুশি আর আনন্দ নুপুরের মতো
ঝুমুর ঝুমুর শব্দ তুলে পরিবেশকে মুখরিত করে তুলেছে।
Contents:
আরো পড়ুন:
ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here
পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here
কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
It all began with drip drip part 1 Click Here
It all began with drip drip part 2 Click Here
It all began with drip drip part3 Click Here
the adventurous clown part 1 Click Here
the adventurous clown Part 2 Click Here
the adventurous clown part 3 Click Here
The rainbow poem Lesson 3 part-1 Click Here
The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here
মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
0 Comments