নব নব সৃষ্টি সারাংশ। নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর। বড় প্রশ্ন উত্তর। নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধ। নব নব সৃষ্টি গল্পের উৎস।

 


নব নব সৃষ্টি সারাংশ। নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর।

                                                               নব নব সৃষ্টি

                                                                        সৈয়দ মুজতবা আলী



১। সূচিপত্র:

ক। কবি পরিচিতি

খ। সারসংক্ষেপ

গ) নামকরণ

ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ঙ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ)২০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(short question and answer)৬০টি শব্দের মধ্যে প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

ছ। বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়োপ্রশ্নোত্তর১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও।


e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক। কবি পরিচিতি:

জন্ম:

 ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সিলেটের করিমগঞ্জের তার জন্ম হয়। বাবার নাম সেকেন্দার আলী

 এবং মা আমতুন মান্নান খাতুন। বাবার বদলি চাকরি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার

 প্রাথমিক শিক্ষা ঘটে। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন এবং সেখান থেকে

 সংস্কৃত ইংরেজি হিন্দি গুজরাটি আরবি ফরাসি প্রভৃতি ভাষা তিনি শেখেন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে

 শান্তিনিকেতন থেকে তিনি বিএ ডিগ্রি লাভ করেন।


কর্মজীবন:

 তার কর্মজীবন শুরু হয় আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা দিয়ে। তারপর আলিগড়

 বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অধ্যাপক নিযুক্ত হয়ে কাবুলে যান।

কাবুল থেকে হোমবোল্ভ বৃদ্ধি পেয়ে তিনি গবেষণার জন্য জার্মানি যান। তিনি ভাষা

 গবেষণার ডিগ্রি লাভ করে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে আবার তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন।


সাহিত্য জীবন:

শান্তিনিকেতনেপড়তেপড়তেতিনিবিভিন্নপত্রিকায়লেখালেখিশুরুকরেনদেশ,আনন্দবাজার,ব

সুমতি, সত্যযুগ প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত তাঁর লেখা প্রকাশ হত। বহু দেশ ভ্রমণেরঅভিজ্ঞতা

ভ্রমণ কাহিনী ছোট গল্প উপন্যাস দ্বারা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেতিনিতারউল্লেখযোগ্য

গ্রন্থগুলি হল-ভ্রমণ কাহিনী- 'দেশে-বিদেশে,রম্য রচনা-'পঞ্চতন্ত্র,। উপন্যাস-শবনম ছোটগল্প-

চাচাকাহিনী,প্রবন্ধ-চতুরঙ্গ,প্রভৃতি।


সম্মান ও স্বীকৃতি:

তার সাহিত্যের জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।যেমন-১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে

 নরসিংহ দাস পুরস্কার,২০০৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর'একুশে পদক,এ

 ভূষিত করেছেন।


মৃত্যু:

১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে এই মহান সাহিত্যিকের মৃত্যু ঘটে।


খ। বিষয়সংক্ষেপ:

প্রাচীন যুগের অধিকাংশ ভাষাকে লেখক আত্মনির্ভরশীল এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলেছেন।

 হিব্রু,গ্রীক,আবেস্তা,সংস্কৃত এবং কিছুটা পরবর্তী যুগের আরবিও নতুন ভাষার প্রয়োজন হলে

 নিজ ভান্ডারে প্রথমে শব্দের খোঁজ করেছে। এই সমস্ত ভাষা খুব সামান্যই বিদেশী ভাষা

 ব্যবহার করেছে, এই ভাষা গুলি স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিয়ে লেখক কোন আপত্তি প্রকাশ করেননি।

 এই বিচারে লেখক বর্তমান যুগের বাংলা এবং ইংরেজিকে অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল

 বলেছেন। কারণ বাংলা এবং ইংরেজি প্রয়োজন ছাড়াও বিদেশি শব্দ ব্যবহার করে।পাঠান-

 মোগল যুগে আরবি,ফারসি শব্দের খুব বেশি প্রচলনের ফলে এই দুই ভাষা থেকে বাংলা

 ভাষায় প্রচুর শব্দ প্রবেশ করেছে।

লেখক স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে বিদেশী শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করবেই সে বিষয়ে সন্দেহ

 নেই। আলু কফির বা বিলেতি ওষুধের ব্যবহার।যেমন-রোজ বাড়ছে তেমনি বাংলা ভাষাতে

 বিদেশি শব্দ থেকে যাবে এবং আরো নতুন শব্দের প্রবেশ ঘটবে।

হিন্দি ভাষার তরুণ সাহিত্যিকরা হিন্দি ভাষা থেকে আরবি,ফারসি,ইংরেজি ভাষার ব্যবহার বন্ধ

 করার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। তাঁদের এই চেষ্টার ফলাফল ভালো না মন্দ হবে,সে কথা

 ভবিষ্যৎ বলবে। তবে রবীন্দ্রনাথ নজরুল বা বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষায় অনার্সেই বিদেশি

 শব্দের ব্যবহার করেছেন। এমনকি হিন্দি ভাষার বঙ্কিমচন্দ্র হিসেবে পরিচিত মুন্সি প্রেম চন্দও

 হিন্দি ভাষার আরবি ফরাসি শব্দের ব্যবহার করেছেন। শংকর দর্শনের ভাষা সংস্কৃত ভাষা

 হবে। আবার মোগলাই রেস্তোরাঁর ভাষা হুতুম প্যাঁচার নকশায় ব্যবহৃত ভাষার মতোই হবে

। বসুমতি পত্রিকার সম্পাদকীয়তাতে গম্ভীর্য থাকলেও বাঁকা চোখের ভাষাতে রয়েছে চটুলতা।


বাংলা ভাষায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে আরবি ফারসি এবং ইংরেজি

 প্রধান। স্কুল-কলেজ থেকে সংস্কৃত চর্চা বন্ধ করা উচিত নয় কারণ বাংলা ভাষার বর্তমানেও

 সংস্কৃত ভাষার প্রয়োজন আছে। ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রেও সংস্কৃতের মতই একই কথা

 প্রযোজ্য কারণ দর্শন নন্দন শাস্ত্র এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সাহিত্যচর্চাতে ইংরেজি ভাষার বিকল্প

 নেই কারণ রেলের ইঞ্জিন চালাতে হয় কি করে তা জানার জন্য ইংরেজি ভাষারই বেশি

 প্রয়োজন। আরবি এবং ফারসি ভাষা দারুন ভাবে বাংলায় প্রবেশ আর করবে না কারণ তরুণ

 বাঙালিরা এই দুই ভাষার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। তবে যে সব আরবি ফরাসি শব্দ বাংলা ভাষায়

 ইতিমধ্যে ঢুকে গেছে সেগুলি দীর্ঘদিন চালু থাকবে।

প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় মাদ্রাসাগুলিতে আরবি ভাষা পড়ানো হলেও ভারতীয় আর্যরা

 ফরাসি ভাষার প্রতি অনেক বেশি আকৃষ্ট হন। ফরাসি ভাষার জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে উর্দু

 এবং কাশ্মীরি ভাষার জন্ম হয়। উর্দু কবি ইকবাল উর্দু ভাষাকে ফরাসির প্রভাব থেকে মুক্ত

 করার চেষ্টা করেন।

বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্য পদাবলী কীর্তন। এই কাব্যের শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীমতি রাধার চরিত্রে

 খাঁটি বাঙালিয়ানা ফুটে উঠেছে। ভাটিয়ালির নায়িকা, বাউলের ভক্ত,মুর্শিদি গানের ক্ষেত্রেও

 প্রযোজ্য। বাঙালি তার ধর্ম,রাজনীতি,সাহিত্য-সর্বত্রই সত্য-শিব- সুন্দরের আরাধনা করেছেন

 এবং সেই আরাধনায় কেউ বাধা দিলে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। এই বিদ্রোহী মনোভাব বাঙালি

 হিন্দু-মুসলিম উভয় জাতির ক্ষেত্রেই বর্তমান।

গ। নামকরণ:

সাহিত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে নামকরণের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে। নামকরণ নানান ভাবে হতে

 পারে। যেমন-বিষয়কেন্দ্রিক,চরিত্রপ্রদান, ব্যঞ্জনধর্মী ইত্যাদি। লেখক তার নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে

 বলেছেন, কিছু ভাষা আছে যেমন সংস্কৃত হিব্রু গ্রীক আবস্থা এমনকি আরবি ইত্যাদি প্রাচীন

 ভাষাগুলি অনেকটাই আত্মনির্ভরশীল। আবার বাংলা ইংরেজির মত ভাষাগুলি অন্য ভাষা

 থেকেও শব্দ নেই। এই শব্দগুলি স্থায়ীভাবে ভাষায় থেকে যায়রবীন্দ্রনাথ, নজরুল,বিদ্যাসাগর-

সকলেই অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে নিজেদের সাহিত্যে ব্যবহার করেছেন। এইসব শব্দও

 বাংলা ভাষায় কিছুদিন টিকে থাকবে। এখন আরবি থেকে ফরাসিরগ্রহণযোগ্যতা বেশি। উর্দু

 ও হিন্দি সাহিত্যে ফরাসি ভাষার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ইকবালেরমতো কেউ কেউ অবশ্য

 উর্দুকে ফরাসির প্রভাব মুক্ত করতে চেষ্টা করেছেন। আবারপদাবলী কীর্তন-বাঙালি হিন্দুই

 হোক অথবা মুসলমান-তারা সব সময় স্বাধীনভাবে চলতেচায়-এই বিদ্রোহীসত্তা তাদের মধ্যে

 সব সময় কাজ করতে থাকে। সব মিলিয়ে শব্দ ওভাষাধার নেওয়া বা বর্জন করা এই দুই

 বিপরীতমুখী লড়ায়ে সাহিত্য গড়ে ওঠে। তাই'নব নবসৃষ্টি,নামকরণটি সার্থক হয়ে উঠেছে।


ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১। নব নব সৃষ্টি রচনাংশটির রচিয়তা হলেন-

ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

খ) বুদ্ধদেব বসু

গ) সৈয়দ মুস্তাফা আলী

ঘ) বেগম রোকেয়া

উত্তর:(গ) সৈয়দ মুস্তাফা আলী


২। সৈয়দ মুস্তাফা আলীর ছদ্মনাম-

ক) ভানু সিং

খ) ওমর খৈয়াম

গ) মৌমাছি

ঘ) শ্রীপান্থ

উত্তর:(খ) ওমর খৈয়াম


৩। নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধটির মূল গ্রন্থ-

ক) পঞ্চতন্ত্র

খ) চতুরঙ্গ

গ) ঘরে বাইরে

ঘ) দেশে বিদেশে

উত্তর:(খ) চতুরঙ্গ


৩। একটি আত্মনির্ভরশীল ভাষা হল-

ক)বাংলা 

খ)ফার্সি 

গ)ইংরেজি 

ঘ)সংস্কৃত

উত্তর:(ঘ) সংস্কৃত


৪। নতুন শব্দ প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা-

ক) অন্য ভাষা থেকে শব্দ দয়া করে

খ) অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে তাকে বদলে নেয়

গ) নিজের ভান্ডারে খোঁজ করে

ঘ) নতুন শব্দ তৈরি করে নেয়

উত্তর;(গ) নিজের ভান্ডারে খোঁজ করে


৫। প্রাচীন যুগের ভাষা হল-

ক) ইংরেজি

খ) ফার্সি

গ) হিব্রু

ঘ) ফরাসি

উত্তর:(গ) হিব্রু


৬। আত্মনির্ভরশীল নয়,এমন ভাষা হল-

ক) ইংরেজি

খ) হিব্রু

গ) আবেস্তা

ঘ) গ্রীক

উত্তর:(ক) ইংরেজি


৭। আইন-আদালত,খাজনা-খারিজ কোন ভাষার শব্দ?

ক) আরবি-উর্দু

খ) সংস্কৃত- উর্দু

গ) বাংলা-ফার্সি

ঘ) আরবি-ফার্সি

উত্তর:(ঘ) আরবি-ফার্সি


৮।'রান্নাঘর থেকে তাড়ানো মুশকিল,-কী তাড়ানো মুশকিল?

ক) আলু বেগুন

খ) পটল কপি

গ) আলু কফি

ঘ) বেগুন উচ্ছে

উত্তর:(গ) আলু কপি


৯। বিদ্যাসাগর লিখতেন-

ক) সাধু ভাষায়

খ) আরবি ভাষায়

গ) সংস্কৃত ভাষায়

ঘ) অসাধু ভাষায়

উত্তর:(ক) সাধু ভাষায়


১০।'বাঁকা চোখ,-ভাষায় থাকত-

ক) সরলতা

খ) গাম্ভীর্য

গ) চটুলতা

ঘ) বিদ্রুপ

উত্তর:(গ) চটুলতা



CONTENTS:

আরো পড়ুন:

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here

হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here


Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1 Click Here

Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here

All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here

All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here

Autumn poem Lesson 3 Part 1 Click Here


A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here

A Day in the zoo Lesson 4 part 2 Click Here



আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here






























Post a Comment

0 Comments