কুমোরে-পোকার বাসা বাড়ি গল্প। কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি প্রশ্ন উত্তর।

 





                                         কুমোরে -পোকার বাসাবাড়ি
                                                                                       গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য




১। সূচিপত্র

ক। কবি পরিচিতি

খ। কবিতার উৎস

গ। কবিতার পূর্বকথা

ঘ। কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ

ঙ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

চ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ)প্রতিটি প্রশ্নের মান-১



e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st- ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

 ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্যগুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য

 আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক।কবি পরিচিতি:

পতঙ্গ বিজ্ঞানী নামে পরিচিত গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের

 ফরিদপুর জেলার লোনসিং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম অম্বিকা চরণ ভট্টাচার্য

 এবং মাতা হলেন শশীমুখী দেবী।তিনি ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা

 ছিল। সেই জন্যই তিনি তাঁর রচনার মূল উপাদান হয়ে উঠেছে প্রকৃতি ও প্রাণী জগত।

 জীবজগতের নানা তথ্য সহজ ভাবে এবং সরল ভাষায় তিনি প্রকাশ করেছেন। তিনি তার

 অসাধারণ ভাবনা-চিন্তার কারণে তার রচিত বিজ্ঞানভিত্তিক রচনাবলী বাংলা সাহিত্যের

 অমূল্য সম্পদ। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার অর্জন করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ

 গুলি হল-'বাংলার মাকড়সা,বাংলার কীটপতঙ্গ,করেদেখা,পশুপাখি জীবজন্তু,ইত্যাদি। ১৯৮১

 খ্রিস্টাব্দে তিনি পরলোক গমন করেন।


খ। উৎস:

বিজ্ঞানী গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের রচিত-'বাংলার কীটপতঙ্গ,প্রবন্ধ থেকে'কুমোরে-পোকার

 বাসাবাড়ি নামক রচনাটি গৃহীত হয়েছে।


গ। পূর্বকথা:

বাংলার এক খুব পরিচিতি একটি পোকা হল-কুমোরে -পোকা। আমাদের পাঠ্যগ্রন্থে লেখক

কোমরে-পোকার বাসা নির্মাণের কৌশল, ডিম পাড়ার অনুকূল পরিবেশের বর্ণনা দিয়েছেন।

অতি নগণ্য কীটপতঙ্গ হয়েও তারা নিজেদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন,সেই কথাই লেখক

পাঠ্য প্রবন্ধে আলোচনা করেছেন।


ঘ। বিষয় সংক্ষেপ:

কালো লিকলিকে কুমোরে-পোকারা ঘরের আনাচে কানাচে,নরম মাটির দেওয়ালের গোড়ায়

  তারা বাসা তৈরি করে। ডিম পাড়ার সময় হলে,তারা বাসা তৈরীর জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে

 বেড়াত। জায়গা বা স্থান ঠিক হলে,জায়গার বেশ কিছু দূর থেকে তারা মুখে করে কাদামাটি

 নিয়ে আসে। পুকুর,নালা বা ডোবা যত দূরেই থাকুক না কেন, তারা সেখান থেকেই ভিজে

 মাটি নিয়ে এনে বাসা তৈরি করে। কখনো কখনো তারা দেড়-দুশো গজ দূর থেকেও মাটি

 নিয়ে আসে। একটি কুঠুরি তৈরি হলে তার মধ্যে উপযুক্ত খাদ্য পোকামাকড় ভর্তি করে তাতে

 একটি মাত্র ডিম পেড়ে কাদা মাটি দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেয়।তারই গা ঘেঁসে নতুন আরেকটি

 কঠুরি নির্মাণ করতে থাকে।

কুমোরে-পোকারা যখন মুখ দিয়ে মাটি খুঁড়ে তোলে, তখন তীক্ষ্ণ স্বরে একটানা গুনগুন শব্দ

 করে। মুখ দিয়ে চেপে চেপে দেওয়ালের গায়ে মাটিকে বসিয়ে দেয়। পুকুরের ধারে মাটি

 তোলার সময় মাছির মত ক্ষুদ্র পোকা দেখতে পেলে কুমোরে-পোকারা তাদের আক্রমণ

 করে। প্রায় সওয়া ইঞ্চি লম্বা হলে গাঁথুনি শেষ করে।এক-একটি কুঠুরি বানাতে প্রায় দু-তিন

 দিন সময় লাগে।তাদের কুঠুরির আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো মাকড়সারদের শিকার করে

 তাদের অসাড় দেহ কুঠুরির মধ্যে রেখে দেয়। ডিম পেড়েই তারা নতুন শিকারের সন্ধানে বের

 হয়। সারাদিনের ১০-১৫ টা মাকড়সা এনে কুঠুরির মুখ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়।এক-

একটি বাসায় প্রায় ৪-৫টি কঠুরি তৈরি করে তারা। ডিম পড়া শেষ হলেই,তারা সেই বাসা

 ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়,এবং বাচ্চাদের খাদ্য সঞ্চিত রাখা পর্যন্তই তাদের দায়িত্ব।


ঙ। নামকরণ:

সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল নামকরণ। বিজ্ঞানী গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য রচিত

 কুমোরে-পোকার বাসা বাড়ি নামক রচনায় কুমোরে- পোকাদের জীবন সংক্রান্ত টুকরো ছবি

 পাওয়া যায়। আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক আলোচনা করেছেন--কীভাবে কুমোরে-পোকারা

 তাদের বাসস্থান বা কুঠুরি তৈরি করে,তারা কোথা থেকে মাটি সংগ্রহ করে,কীভাবে বাসাকে

 সুরক্ষিত করতে হবে,কীভাবে বাসায় খাদ্য বা আহার মজুদ রাখতে হবে,তা তারা সুন্দরভাবে

 করতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক হলে তারা বাসায় ডিম পাড়ে তারপর বাসার মুখ বন্ধ করে

 অন্য জায়গায় চলে যায়।আলোচ্য রচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে কুমোরে- পোকাদের বাসা

 নির্মাণের কাহিনী।তাদের বাসা নির্মাণের যে পরিশ্রম এবং কৌশল তা তিনি প্রকাশ করেছেন।

 সবদিক বিচার করে আলোচ্য রচনাটির নামকরণ সার্থক হয়েছে।


চ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১। কুমোরে-পোকা বাসা নির্মাণের জন্য কত দূর থেকে মাটি সংগ্রহ করে আনে?

ক)২০-৩০ গজ

খ) ৪০-৫০ গজ

গ) ৫০-৬০ গজ

ঘ) ৬০-৭০ গাছ

উত্তর:(খ) ৪০-৫০ গজ


২। কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধে-

ক) গাছের ডালে

খ) বাড়ির দেওয়ালে

গ) বাড়ির ছাদে

উত্তর:(খ) বাড়ির দেওয়ালে


৩।কুমোরে পোকার গায়ের রং-

ক) লাল

খ) সাদা

গ) কালো

ঘ) সবুজ

উত্তর:(গ) কালো


৪।কুমোরে পোকার শরীরে মধ্যস্থলের বোঁটার মতো সরু অংশের রং-

ক) সবুজ

খ)সাদা

গ) নীল

ঘ) হলুদ

উত্তর:(ঘ) হলুদ


৫। বাচ্চাদের জন্য খাদ্য সঞ্চিত রেখেই তার দায়িত্ব শেষ,-তার বলতে-

ক) ঘাসফড়িং

খ) পিঁপড়ে

গ) হাস

ঘ) কুমোরে-পোকা

উত্তর:(ঘ)কুমোরে-পোকা


৬।কুমোরে-পোকার বাচ্চারা খাবার-

ক) মশা

খ) মধু

গ) মাকড়সা

ঘ) মাছি

উত্তর:(গ) মাকড়সা


ছ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১। সাধারণত আশেপাশের কত দূরত্ব থেকে কুমোরে- পোকা মাটি সংগ্রহ করে আনে?

উত্তর: কুমোরে-পোকা সাধারণত আশেপাশে ৪০ গজ দূরত্ব থেকে মাটি সংগ্রহ করে আনে।


২। কুমোরে-পোকার বাসা তৈরীর প্রধান উপাদান কি?

উত্তর: কুমোরে-পোকার বাসা তৈরির প্রধান উপাদান হল- কাদামাটি।


৩। কুমোরে-পোকা কখন বাসা তৈরি করে?

উত্তর:ডিম পাড়ার সময় হলে কুমোরে-পোকা বাসা তৈরি করে।


৩। আমরা সাধারণত কোথায় কুমোরে-পোকা দেখতে পায়?

উত্তর: সাধারণভাবে আমাদের ঘরের আনাচে- কানাচে বা দেয়ালের গায়ে আমরা লম্বাটে

কুমোরে- পোকা দেখতে পায়।


৪। কুমোরে-পোকা একটি কঠুরিতে ক-টি করে ডিম পাড়ে?


উত্তর:কুমোরে-পোকা একটি কুঠুরিতে একটি মাত্র ডিম পাড়ে।


৫। কুমোরে-পোকা কাদের শিকার করে?

উত্তর:কুমোরে-পোকা ছোট ছোট মাকড়সারদের শিকার করে।


৬।কুমোরে-পোকারা মাকড়সার শরীরে কীভাবে বিষ ঢালে?

উত্তর: কোমরে-পোকারা মাকড়সার শরীরে হুল ফুটিয়ে বিষ ঢেলে দেয়।



১। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


১.১। গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য বাংলা ভাষায় কী ধরনের লেখালেখির জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন?

উত্তর: গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়করচনাকীটপতঙ্গবাপোকামাকড়দের

ওপর লেখালেখির জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।


১.২। তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর: তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম হল-'বাংলার কীটপতঙ্গ,।


২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।


২.১। কুমোরে-পোকার চেহারাটি কেমন?

উত্তর:গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যেরচিত'কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি,গদ্যাংশেকুমোরে-পোকার

দেহ লিকলিকে সরু। এদের সমগ্র শরীরটি আগাগোড়া মিশমিশে কালো,কেবল বোঁটার মতো

মাঝের অংশটি হলুদ রঙের।


২.২। কুমোরে-পোকা কী দিয়ে বাসা বানায়?

উত্তর:কুমোরে-পোকা ভিজে মাটি অর্থাৎ নরম কাদামাটি দিয়ে বাসা বানায়।


২.৩। কোন অদৃশ্য স্থানে কুমোরে-পোকা বাসা বাঁধছে তা কীভাবে বোঝা যায়?

উত্তর: কুমোরে-পোকা কোথাও বাসা বাঁধার সময় তীক্ষ্ণ স্বরে গুনগুন করে। এই গুনগুন শব্দে

বোঝা যায় কোমরে পোকা বাসা বাঁধছে।


২.৪। মাকড়সা দেখলেই কুমোরে-পোকা কী করে?

উত্তর: গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের রচিত কুমোরে- পোকার বাসাবাড়ি,গদ্যাংশে মাকড়সা

দেখলেই কুমোরে-পোকা ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে কিন্তু তাকে মেরে ফেলে না।

শরীরে হুল ফুটিয়ে বিষ ঢেলে তাকে অসার করে রেখে দেয়।এক থেকে একাধিকবার এই হুল

ফুটিয়ে থাকে তারপর অসার মাকড়সাটিকে মুখে করে বাসায় নিয়ে আসে।


৩। নিচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে করো।

লম্বাটে,স্থান,নির্বাচিত,নির্মাণ,সঞ্চিত।


উত্তর: লম্বাটে-বিশেষণ, লম্বা-বিশেষ্য


স্থান-বিশেষ্য, স্থানীয়-বিশেষণ


নির্বাচিত-বিশেষণ,নির্বাচন-বিশেষ্য


নির্মাণ-বিশেষ্য,নির্মিত-বিশেষণ


সঞ্চিত-বিশেষণ,সঞ্চয়-বিশেষ্য



Contents:

আরো পড়ুন:

ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here

কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


It all began with drip drip part 1 Click Here

It all began with drip drip part 2 Click Here

It all began with drip drip part3 Click Here

 

the adventurous clown part 1 Click Here

the adventurous clown Part 2 Click Here

the adventurous clown part 3 Click Here



The rainbow poem Lesson 3 part-1 Click Here

The Shop That Never Was Lesson 4 Part-1 Click Here


মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here


















Post a Comment

0 Comments