পাগলা গণেশ
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১। সূচিপত্র:
ক। কবি পরিচিতি
খ। পূর্বকথা
গ। বিষয় সংক্ষেপ
ঘ। নামকরণ
ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
চ। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
ছ। ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।৬০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
e-bookap পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর। ফার্স্ট ইউনিট সেকেন্ড ইউনিট থার্ড ইউনিট টেস্ট পরীক্ষা
ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাদের সাহায্য করবে তাই এই সাফল্য আমাদের
কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে
ক। কবিপরিচিতি:শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ছোটোগল্প বচয়িতা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বর্তমান বাংলাদেশেরময়মনসিংহ জেলায়
১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের জন্মগ্রহণ করেন। বাবা রেলে চাকরি করতেন।সসূত্রে তাঁর বাল্য ও কৈশোর
উত্তরবঙ্গ,আসাম,বিহারের বিভিন্ন জায়গায় অতিবাহিত হয়। নিজের এই সমৃদ্ধ অতীত তাঁর রচনায়
প্রভাব ফেলেছে। চলমান জীবনের নিখুঁত উপস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মানসিক জিজ্ঞাসার প্রকাশ তাঁর
রচনাগুলিকে জীবনমুখী করে তোলে।কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করার পরবিদ্যালয়ে
শিক্ষকতাদিয়তাঁর কর্মজীবনেরসূচনাএবংপরেসাংবাদিকতাকেইপেশাহিসেবেগ্রহণ করে'আনন্দবাজার
পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন।অজস্র ছোটোগল্প ও উপন্যাস
রচনাকরেছেনতিনি।'ঘুণপোকাতাঁরপ্রথমউপন্যাসএছাড়াও'উজান,পারাপারমানব জমিন,দূরবীনপার্থিবপ্র
ভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।তাঁর গল্পগ্রন্থ-পাগলা গণেশ‘শ্রেষ্ঠগল্প।শিশু বা কিশোর সাহিত্যেও
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অবদান অপরিসীম।অনেক পুরস্কার তিনি লাভ করেছেন।
সাহিত্যেরপুরস্কারগুলি হল-‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার,আনন্দ পুরস্কার,ও ১৯৮১-তে পাওয়া ‘সাহিত্য অকাদেমি
পুরস্কার।ক্রীড়াপ্রেমিক রচিত গল্প‘ক্রিকেট,ক্রীড়াভূমি,খেলা,খেলার ছল’ ইত্যাদি।
খ। পূর্বকথা:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা মানুষের ব্যবহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।এতে মানুষের বেগ বাড়ছে কিন্তু
আবেগ কমে যাচ্ছে।মানবিক দিক থেকে মৃত্যুমুখী পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে। কারণ মানুষ শুধু
মেধায় বাঁচে না, মনেও বাঁচে। তাই গল্পের পটভূমিতে গণেশ বিজ্ঞানের ছাত্র,অধ্যাপক ও
বিজ্ঞানকর্মে লিপ্ত মানুষ হওয়ার সত্বেও,লক্ষ করেন সংস্কৃতির চর্চা থেমে গেছে। খেলাধুলার
পাঠ চুকে গেছে,মহাকাশের পাড়ি জমাচ্ছে পৃথিবীর মানুষ,মানুষ মৃত্যুঞ্জয় হয়ে উঠেছে। তাই
তিনি হিমালয়ের গুহায় আশ্রয় নিয়ে অবিরাম ছবিআঁকা,গানগাওয়া,ভাস্কর্য করা,কবিতার
চর্চা করতে শুরু করে। আর সঙ্গে সঙ্গে এই বার্তা দিয়ে যান-সৃষ্টিশীলতার মধ্যে প্রকৃত বেঁচে
থাকা সম্ভব।
গ।বিষয় সংক্ষেপ:
পৃথিবীতে এক ধরনের মলম আবিষ্কৃত হয়েছে,যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ছাড়িয়ে উড়ান পথে
মানুষকে নিয়ে যাচ্ছে।নানান ধরনের উড়ান যন্ত্রে উড়ে গিয়ে মানুষ ৩৫৮৯ সালে সূর্যের শেষ
দুটো গ্রহও আবিষ্কার করে ফেলেছে। অনেকে মহাকাশের দূর দিগন্তে পাড়ি দিয়ে একশো-
দেড়শো বছর পরে ফিরছে।পৃথিবীতে মানুষ মৃত্যুহীন হয়ে গেছে। এই মানুষেরা গত দেড়শো
বছরে পৃথিবীতে কোনো শিশুর জন্ম দেখেনি।মানুষ বুঁদ হয়ে আছে কেবল বিজ্ঞান নিয়ে।
পাগলা গণেশ একে বাড়াবাড়ি মনে করেন।তিনি মৃত্যুঞ্জয় টনিক সেবন করে জীবনের শেষ
প্রান্তকে বাঁধ দিয়ে ফেলেছেন। তিনি বেঁচে থাকার দীর্ঘ ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য
হিমালয়ে নির্জনতার সন্ধান করছেন। যদিও হিমালয়ের চূড়াও আজকাল মোটেই নির্জন নয়।
কারণ এভারেস্টের চূড়া চেঁছে বর্তমানে অবজারভেটেরি হয়েছে,রুপকুণ্ডে বায়োকেমিস্ট্রির
ল্যাবরেটরি তৈরি হয়েছে-সর্বত্রই নির্মিত হয়ে গেছে নানা ধরনের গবেষণাগার।
গণেশ কবিতা লিখছেন,গান গাইছেন,ছবি আঁকছেন। আর বিজ্ঞানের অবিরাম সাধনায় যারা
মগ্ন তারা গণেশের এমন কাজকে অকেজো বলে অবহেলা করছে।তাই গণেশ পৃথিবীর
ভারসাম্যের কথা ভাবেন। নিজের পারিবারিক জীবনও তিনি ভুলে গেছেন।বউ-ছেলেমেয়ে
কারো মুখ তিনি মনে করতে পারেন না। বহু বছর ধরে তারাওমহাজ্যোতিষ্কমণ্ডলে এক-
একজন কৃতী বিজ্ঞানী তারাআর আসে না।গণেশ কবিতা লিখছিলেন।লেখা পাতাগুলো তিনি
বাতাসে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। একজন পুলিশ আকাশপথে ধামা থেকে নেমে এসে চিনতে
পেরেছিল-গণেশবাবু তার স্যার,সায়েন্স কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক।পুলিশটি একখানা পাতা
কুড়িয়ে নিয়ে পড়ে কিছু বুঝতে না পারলেও নিজের প্রিয় শৈশবকে ছুঁতে পেরেছিল।নতুন
করে শৈশবকে অনুভব করার আনন্দ খুঁজে পেয়েছিল সে।সে তার মাকে আর বউকেও
এনেছিল।সেদিন একটা নান্দনিক চর্চার ছোটোখাটো আসর হয়েছিল গণেশের ডেরায়।সে
তার পুলিশ বন্ধুদের আনতে শুরু করে। তারপর গণেশের ডেরায় লোক আসা বাড়তে থাকে।
সপ্তাহখানেক পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব এসে গণেশের কাণ্ডটাকে বিজ্ঞানবিরুদ্ধ ঘোষণা
করে জানায় পৃথিবীর লোক গান গাইছে, কবিতা লিখছে, ছবি আঁকছে।গণেশ তখন তৃপ্তির
হাসি হেসে তার প্রসন্নতাকে উজাড় করে দিয়ে বলেন, ‘তাহলে আর ভয় নেই-দুনিয়াটা বেঁচে
যাবে।
ঘ।নামকরণ:
নামকরণের মাধ্যমেই কোনো সাহিত্য বা রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা
পাওয়া যায়। পাগলা গণেশ গল্পটির নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে
পারে,‘পাগল’শব্দের অর্থ উন্মত্ত,বা অবোধ। মনের মানুষকে আমরা ‘পাগল’বা আদর করে
পাগলা বলে থাকি।৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দের নিরিখে কবিতা,গান,ছবি আঁকা, কথাসাহিত্য,নাটক,সিনেমা-এসব
নিয়ে মাথা ঘামানোটা নিতান্তই পাগলামি। দয়া,মায়া,করুণা, ভালোবাসা—সবই সেই যুগে ‘অনাবশ্যক
ভাবাবেগ ছাড়া আর কিছুই নয়।ব্যতিক্রম শুধু গণেশ। দেড়শো বছর আগে যখন শিল্প, সংগীত ও
সাহিত্যচর্চার পাট উঠে যেতে থাকল, তখন তিনি গোটা ব্যাপারটাকেই অপছন্দ করতে শুরু করেন।
বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও একটা সীমা থাকা উচিত বলে মনে করেছিলেন তিনি।প্রতিটি মানুষ তখন বুঁদ
হয়ে আছে বিজ্ঞানে। বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কোনো চৰ্চাই তখন আর নেই, নেই খেলাধুলোর কোনো
আয়োজন,প্রকৃতির রূপ-রং তখন মানুষের মনে আর সাড়া জাগায় না।এই সময়ে গণেশ কালের চাকার
গতি উলটো দিকে ঘোরাতে পারবেন না জেনেই আশ্রয় নেন সভ্যসমাজ থেকে বহুদূরে, হিমালয়ের
একটা গিরিগুহায়। গণেশ সেখানে বসে কবিতালেখেন আর ভাসিয়ে দেন বাতাসে, ছবি আঁকেন,গলা
ছেড়ে গান গেয়ে ওঠেন। তিনি আশা রাখেন,একদিন তাঁর কবিতা কারও কাছে পৌঁছোবে। প্রথমে মানুষ
তাঁকে উপহাস করলেও ক্রমে তাঁর গুণমুগ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাঁর অনুপ্রেরণায় লোকে গান
গাইতেশুরু করে, কবিতা পড়ে,হিজিবিজি ছবি আঁকে। গণেশকে সবাই পাগল ভাবে। অথচ এমানুষটি
একাই প্রাণপণে দুনিয়াকে যান্ত্রিকতার হাত থেকে বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যান। মানুষের জীবন সুন্দর
করে গড়ে তুলতে চান তিনি।তাই ‘পাগলা গণেশ,নামটি অত্যন্ত যথার্থ ও সংগত হয়েছে।
১।সঠিক উত্তরটি খুঁজে নিয়ে লেখো।
১.১।‘পাগলা গণেশ’ একটি (বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/রূপকথা) বিষয়কগল্প।
উত্তর:পাগলা গনেশ হল একটি কল্পবিজ্ঞান বিষয়ক গল্প।
১.২। ‘অবজার্ভেটরি-র বাংলা প্রতিশব্দ (পরীক্ষাগার/ গবেষণাগার/নিরীক্ষণাগার)।
উত্তর:‘অবজার্ভেটরি-র বাংলা প্রতিশব্দ হল-নিরীক্ষণাগার।
১.৩।সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ-
হিমালয়ের গিরিগুহায় /গভীর জঙ্গলে /মহাকাশে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উত্তর:সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
১.৪।গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল--
৩৫৮৯/ ৩৪৩৯ /৩৫০০ সালে ।
উত্তর:গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল৩৪৩৯ সালে।
২।সংক্ষেপে উত্তর দাও।
২.১।সালটা ৩৫৮৯--এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন কোন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা গল্পে বলা হয়েছে?
উত্তর:শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত'পাগলা গণেশ,গল্পে,সালটা ৩৫৮৯,ইতিমধ্যে মাধ্যাকর্ষণ
প্রতিরোধকারী মলম আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। চাঁদ, মঙ্গল ও শুক্রগ্রহে মানুষ ল্যাবরেটরি স্থাপন
করেছে, সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং জানা গেছে সৌরজগতে আর কোনো
গ্রহ নেই। মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কারের কারণে পৃথিবীতে মানুষ আর মারা যায় না। আলোর
চেয়েও দ্রুতগতিসম্পন্ন মহাকাশযান ইতিমধ্যেই আবিষ্কৃত হয়ে গেছে।
২.২।ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না-- অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তাকে সত্যিই তোমার অনাবশ্যক বলে মনে হয় কি?
উত্তর:শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত'পাগলা গনেশ,গল্পে,অনাবশ্যক ভাবাবেগ কবিতা,গান,ছবিআঁকা,
কথাসাহিত্য,নাটক,সিনেমা ইত্যাদির চর্চাকে অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলে ‘পাগলাগণেশ গল্পে বোঝানো
হয়েছে।না, এগুলির কোনোটিকেই আমার অনাবশ্যক বলে মনে হয়না, কারণ এগুলির চর্চা মানুষের
মনকে সতেজ, অনুভূতিশীল ও সৃষ্টিশীল রাখে।
২.৩।চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না।--মানুষের মন থেকে কোন কোন অনুভূতিগুলি হারিয়ে গেছে?
উত্তর:শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত'পাগলা গনেশ,গল্পে, বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে মানুষের
মনে দয়া,মায়া,করুণা,ভালোবাসা’--ইত্যাদির অনুভূতি আর নেই।
২.৪।“ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজনআছে”-ব্যতিক্রমী মানুষটি কে? কীভাবে তিনি ‘ব্যতিক্রম,হয়ে উঠেছিলেন?
উত্তর:শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত'পাগলা গনেশ,গল্পে,‘ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন পাগলা
গণেশ।৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দের দেড়শো বছর আগে যখন মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কৃত হয়,তখন
সকলের মতো গণেশও টনিকটি খেয়েছিলেন।ফলে তিনি অমর হয়ে যান। ফলে
শিল্প,সংগীত,সাহিত্য ইত্যাদি চর্চার ক্রমশ উঠে যেতে থাকে।গণেশের সেটা পছন্দ হল না।
বিজ্ঞানের বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকা দরকার বলেও তাঁর মনে হল।গণেশ দেখলেন
কালের চাকার গতি উলটো দিকে ফেরানো যাবে না, তখন তিনি নিজে এই সভ্যসমাজ ছেড়ে
হিমালয়ের এক গুহায় একাই আশ্রয় নিলেন। সেখানে তিনি তাঁর কবিতাচর্চা,ছবি
আঁকা,গানের চর্চা বজায় রাখলেন। এভাবেই গণেশ একজন ব্যতিক্রমী মানুষ হয়ে উঠলেন।
২.৫।"ও মশাই, এমন বিকট শব্দ করছেন কেন?”—কার উদ্দেশে কারা এ কথা বলেছিল? কোন কাজকে তারা “বিকট শব্দ’ মনে করেছিল?
উত্তর:শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত'পাগলা গনেশ,গল্পে,হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় নেওয়ায়
গণেশ একদিন সন্ধ্যাবেলায় গলা ছেড়ে গান গায়ছিলেন। হঠাৎ দুটো পাখাওয়ালা লোক লাসা
থেকে ইসলামাবাদ উড়ে যেতে যেতে নেমে এসে গণেশকে উদ্দেশ্য করে রীতিমতো ধমক
দিয়ে মন্তব্যটি করেছিল।
গণেশ কবিতা লেখে এবং জোরে গান গাওয়ায় তারা তাঁর আওয়াজকে বিকট শব্দ বলে মনে
করেছিল।
২.৬।'গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলেগেছেন? তাঁর ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর:শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত'পাগলা গনেশ,গল্পে‘গণেশ তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ের
মুখশ্রী ভুলে গেছেন।গণেশের ছেলেমেয়েরা গণেশের কাছে গত একশো বছর আসেনি।এই
দীর্ঘ বিচ্ছেদের ফলেই তাদের মুখশ্রী গণেশ ভুলে গেছেন।
২.৭।"গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল”-কে, কী বলেছিল? তার এভাবে তাঁকে সম্মান জানানোর কারণটি কী?
উত্তর:শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত'পাগলা গনেশ,গল্পে,আকাশে ভাসমান একটা পিপে মাটিতেনেমে
গণেশের কাছে এসেছিল এক পুলিশম্যান।সে গণেশকে অভিবাদন করেবলেছিল,গণেশ যখন
কলকাতার সায়েন্স কলেজে পড়াতেন, তখন সে তাঁর ছাত্র ছিল।গণেশযেসব কাগজ পাহাড়ে
ছড়াচ্ছিলেন তা নতুন কোনো গবেষণার কি না, তা সে জানতে চেয়েছিল।তার এভাবে সম্মান জানানোর
কারণ হল,গণেশ একসময়ে ছিলেন তাঁর শিক্ষক।
CONTENTS:
আরো পড়ুন:
ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
পাগলা গনেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
বঙ্গভূমির প্রতি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
একুশের কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
আত্মকথার প্রশ্ন উত্তর Click Here
খোকনের প্রথম ছবি প্রশ্ন উত্তর Click Here
কুতুব মিনারের কথা প্রশ্ন উত্তর Click Here
মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর প্রথম Part Click Here
মেঘ চোর গল্পের প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় Part Click Here
0 Comments