নোঙর
অজিত দত্ত
ক। কবি পরিচিতি
খ। নোঙর কবিতার উৎস
গ। নোঙর কবিতার সারসংক্ষেপ
ঘ।নোঙর কবিতার নামকরণ
ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর। ১৫০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
ebookapপেজটিছাত্রছাত্রীদেরজন্যসুখবর-1stইউনিট,2nd ইউনিট,3ndইউনিট,টেস্ট,ফাইনাল
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য আমাদের
কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক) কবি পরিচিতি: অজিত দত্ত:
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে পরিচিত অজিত দত্তের জন্ম হয়
বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকার বিক্রমপুরে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে। পিতা অতুল কুমার দত্ত এবং মাতা
হেমনলিনী দেবী।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও সংস্কৃতি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন।
কবি বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে একযোগে'প্রগতি,পত্রিকা সম্পাদনা করেন। কল্লোল সাহিত্য
গোষ্ঠীর অন্যতম লেখক অজিত দত্ত কবিতা পত্রিকার সূচনা থেকেই ছিলেন। তার বিখ্যাত
কাব্যগ্রন্থ গুলির মধ্যে-'কুসুমের মাস,পাতালকন্যা,নষ্ট চাঁদ, ছায়ার আলপনা,শাদা মেঘ কালো
পাহাড়, ইত্যাদি।এছাড়াও তিনি বাংলা সনেট বা চতুর্দশী কবিতা রচনায় তিনি
বিশেষপারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন।১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় কবির জীবনাবাসান ঘটে।
খ) উৎস:
রোমান্টিক কবি অজিত দত্তের রচিত'শাদামেঘকালোপাহাড়,কাব্যগ্রন্থথেকে,নোঙর,কবিতাটি
নেওয়া হয়েছে।
গ) সারসংক্ষেপ:
কবি অজিত দত্তের রোমান্টিক মন দুর সাত সমুদ্রে পাড়ি দিতে চায়। কিন্তু বাস্তব জীবনে
তীরের ধারে নোঙর পড়ে গেছে অর্থাৎ কবিমন বাধা পড়ে আছে জীবনের দায়-দায়িত্ব ও
মায়ার বন্ধনে।সুদূরেরহাতছানি কবিকে চঞ্চল করে তোলে।সারারাত তিনি দাঁড় টেনে
নোঙরের বাঁধন ছিঁড়ে জীবনতরীকে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেন।নানা স্বপ্ন-
কল্পনা-ইচ্ছে জোয়ারের ঢেউয়ের মতো কবির মনের দরজায় মাথা ঠুকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়।
তারপর আসে ভাটার শোষণ-কবি নিরুৎসাহ, নিশ্চেষ্ট,হতাশ হয়ে পড়েন।জোয়ারভাটায়
বাঁধা, উত্থানপতনময় এই জগৎসংসারে কবির বাণিজ্যতরি অর্থাৎ জীবন বাঁধা পড়ে আছে।
কবি যতই চেষ্টা করুন সংসারের বাঁধন ছেড়ার যতই স্বপ্ন দেখুন বাঁধনমুক্ত জীবনের,গৃহী
কবির জীবন বন্ধনময় হয়েই থেকে যায়।সময়ের স্রোত তাঁকে বিদ্রুপ করে।তবু কবির স্বপ্ন
দেখা থামে না।স্থির গণ্ডিবদ্ধ জীবন থেকে মুক্তির তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং সেই আকাঙ্ক্ষা
অপূর্ণ থাকার বেদনা ‘নোঙর, কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে।
ঘ) নামকরণ
শিরোনামে কবিতার মূলভাব বা ব্যঞ্জনার আভাস পাওয়া যায়। অজিত
দত্তের ‘নোঙর,কবিতাটির নামকরণও সেই দিক দিয়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।কবি নৌকা নিয়ে
সুদূরসমুদ্রে পাড়ি দিতে চান,কিন্তু কখন যেন তাঁর নৌকারনোঙর পড়ে গেছে কুলের
ধারে-“পাড়িদিতে দূর সিন্ধুপারেনোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে।”তাই মাস্কুলে পাল বেঁধে
দাঁড়টানলেও নৌকা এগোয়না।মানুষের জীবনও নৌকার মতো-সৃষ্টিশীল মন সমস্ত বন্ধন
ছিঁড়ে চলে যেতে চান বাস্তব থেকে অনেক দূরের জগতে।কিন্তু সম্পর্কের,কর্মের,দায়িত্ব-
কর্তব্যবোধের নোঙরে তা বাঁধা পড়ে থাকে। কবির সৃষ্টিশীল মনেও এমন সংঘাত
চলেআজীবন। তাঁর কবিসত্তা দৈনন্দিন জীবনযাপনেরসীমাবদ্ধতাকে মেনে নিতে চায় না।
তাসীমা থেকে বেরোনোর জন্য ছটফট করে।ফারসি শব্দ ‘লঙ্গর’থেকে আসা
‘নোঙর,শব্দটিরঅর্থ-নৌকা বেঁধে রাখার ভারী বস্তুবিশেষ।আলোচ্য কবিতাতেও নোঙর হয়ে
উঠেছে জীবনেরবন্ধনের প্রতিশব্দ। তাই শিরোনামটি অত্যন্ত ব্যঞ্জনাধর্মী এবং যথাযথ।
ঙ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১।নোঙর কবিতাটির রচয়িতা-
ক) সঞ্জয় ভট্টাচার্য
খ) যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
গ)কৃষ্ণ দত্ত
ঘ) অজিত দত্ত
উত্তর:(ঘ) অজিত দত্ত
২।নোঙর কবিতাটি অজিত দত্তের যে-কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত,তা হল-
ক) কুসুমের মাস
খ) ছায়ার আলপনা
গ) নষ্টচাঁদ
ঘ) শাদা মেঘ কালো পাহাড়
উত্তর:(ঘ) শাদা মেঘ কালো পাহাড়
৩।অজিত দত্ত যে-ছদ্মনাম ব্যবহার করে প্রবন্ধ লিখতেন,তা হল-
ক)আকাশ
খ) প্রভাস
গ) রৈবতক
ঘ)আরোহী
উত্তর:(গ) রৈবতক
৪।নোঙর শব্দের অর্থ হল-
ক)বড়শি আকৃতির লৌহনির্মিত যন্ত্র
খ) পাল
গ) দাঁড়
ঘ)কাছি
উত্তর:(ক) বড়শি আকৃতির লৌহনির্মিত যন্ত্র
৫।কবি পার হচ্ছিলেন-
ক)মহাকাশ
খ)খাল
গ)সিন্ধু
ঘ)বিল
উত্তর:(গ) সিন্ধু
৬।পাড়ি দিতে দূর সিন্ধুপারে’-পাড়ি শব্দের অর্থ হল-
ক) উড্ডয়ন
খ) সাঁতার
গ) চালনা
ঘ) যাত্রা
উত্তর:(ঘ) যাত্রা
৭।পাড়ি দিতে হবে দূর-
ক) দেশে
খ) বনাঞ্চলে
গ)সিন্ধুপারে
ঘ) পদ্মাপারে
উত্তর:(গ) সিন্ধুপারে
৮।নোঙর পড়ে গিয়েছে-
ক)বালিয়াড়িতে
খ)তটের কিনারে
গ)সমুদ্রের মাঝে
ঘ)সমুদ্রের গভীরে
উত্তর:(খ)তটের কিনারে
৯। কবির এই দাঁড় টানাকে মনে হয়েছে-
ক) বাস্তব
খ)কঠিন
গ)মিছে
ঘ) অহেতুক
উত্তর:(গ) মিছে
১০।কথক মিছে দাঁড় টানেন-
ক) সারাদিন
খ) সারারাত
গ) দিনরাত
ঘ) সারাসকাল
উত্তর:(খ) সারারাত
চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১।'নোঙর,শব্দের অর্থ লেখ।
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত'শাদা পাহাড় কালো মেঘ,কাব্যগ্রন্থ থেকে'নোঙর,কবিতাটি
নেওয়া হয়েছে।
আলোচ্য অংশে বড়শি আকৃতির লোহার তৈরি যন্ত্র-যা নৌকাকে তটের কিনারে আটকে
রাখে,তাকে নোঙর বলে।
২।'সারারাত মিছে দাঁড় টানার অর্থ কী?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত'শাদা পাহাড় কালো মেঘ,কাব্যগ্রন্থ থেকে'নোঙর,কবিতাটি
নেওয়া হয়েছে।
আলোচ্য অংশে,চিরকাল কাছিতে বাঁধা নৌকাকে দূর সিন্ধুপারে নিয়ে যাওয়ার
আকাঙ্ক্ষায়,অন্তহীন নিষ্ফল চেষ্টার ছবি ফুটিয়ে তুলতে কাছে সারারাত মিছে দাঁড় টানার
প্রসঙ্গ এসেছে।
৩।'জোয়ারের ঢেউগুলি ফুলে ফুলে ওঠে,-ঢেউগুলি ফুলে ফুলে উঠে কী করে?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত'শাদা পাহাড় কালো মেঘ,কাব্যগ্রন্থ থেকে'নোঙর,কবিতাটি
নেওয়া হয়েছে।
আলোচ্য অংশে,জোয়ারের ঢেউগুলি ফুলে ফুলে উঠে কবিতার কথকের নৌকায় মাথা ঠুকে
ফের সমুদ্রের দিকে ছুটে যায়।
৪। কবিতার কথকের তরিটি কেমন ছিল?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত'শাদা পাহাড় কালো মেঘ,কাব্যগ্রন্থ থেকে'নোঙর,কবিতাটি
নেওয়া হয়েছে।
৫।'বাণিজ্য-তরী,কী?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের নোঙর কবিতা অনুসারে‘বাণিজ্য-তরী, হল মানবজীবনের প্রতীক।
৬।'বাণিজ্য তরী,কোথায় বাঁধা পড়ে আছে?
উত্তর:কবিতার কথকের বাণিজ্যতরি জোয়ারভাটায় বাঁধা তটের কাছে নোঙরে আটকা পড়ে
আছে।
৭। মাস্তুল কী?
উত্তর:নৌকায় পাল টাঙানোর লম্বা ও উঁচু দণ্ডটিকে মাস্তুল বলা হয়।
৮।নৌকা কীসে চিরকাল বাঁধা আছে?
উত্তর:নৌকা চিরকাল নোঙরের কাছিতে বাঁধা আছে।
৯।স্রোতের বিদ্রুপ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর:কবি বার বার দাঁড় টানা সত্ত্বেও নৌকা এগোয় না।তাই স্রোতের বিদ্রুপ ভেসে আসে।
অর্থাৎ গতিশীল জীবনের চলমানতা যেন তাঁকে বিদ্রুপ করে।
১০।'দাঁড় ও পাল কীসের প্রতীক?
উত্তর:নোঙর কবিতায় দাঁড় ও পাল হল নৌকাকে নোঙরের কাছি থেকে মুক্ত করে
দূর সিন্ধুপারে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতীক।
ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(short question and answer) ৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
১।“নোঙর গিয়েছে পড়ে তটের কিনারে।”-এখানে কবির আক্ষেপ কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত'শাদা পাহাড় কালো মেঘ,কাব্যগ্রন্থ থেকে'নোঙর,কবিতাটি
নেওয়া হয়েছে।
আলোচ্য অংশে,কবিরএখানে বন্ধনের এবং ‘তট’ বাস্তবজীবনের প্রতীক।সুদূরের পিয়াসি
কবির মন অজানা-অচেনার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে চায় দুর সমুদ্রপারে।কিন্তু ব্যক্তিজীবনে
তিনি নানা কর্মের বন্ধনে বাঁধা পড়ে আছেন।সংসারের বিভিন্ন দায়িত্ব-কর্তব্যে তাঁর দৈনন্দিন
জীবন বাঁধা।কবি সমস্ত বন্ধন থেকে মুক্তি চায়, ছুটে যেতে চায় স্বপ্ন-কল্পনার জগতে। কিন্তু
মন চাইলেও বাস্তবকে উপেক্ষা করে সেখানে যাওয়াসম্ভব নয়।
২। “সারারাত মিছে দাঁড় টানি, / মিছে দাঁড় টানি।”—দাঁড় টানাকে কবি মিছে বলেছেন কেন?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত'শাদা পাহাড় কালো মেঘ,কাব্যগ্রন্থ থেকে'নোঙর,কবিতাটি
নেওয়া হয়েছে।
আলোচ্য অংশে,অজানার প্রতি আকর্ষণ কবির মনকে প্রতি মুহূর্তে চঞ্চল করে তোলে,কিন্তু
বাস্তবে কবির পক্ষে সেখানে পৌঁছোনো সম্ভব হয় না। তবু কবির সুদূর পিয়াসি মন আশায়
বুক বেঁধে সারারাত ধরে কল্পনার জাল বুনে চলে। কিন্তু কবির সত্তা জানে,নোঙর গিয়েছে
পড়ে তটের কিনারে অর্থাৎ জীবনের নৌকা দায়িত্বপূর্ণ কর্মমুখর সংসারে বাঁধা পড়েছে। সে
নৌকা আর চলবে না। তাই দাঁড় টানা বৃথা।
৩।"নোঙরের কাছি বাঁধা তবু এ নৌকা চিরকাল।”নৌকা কেন চিরকাল নোঙরের কাছিতে বাঁধা?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত'শাদা পাহাড় কালো মেঘ,কাব্যগ্রন্থ থেকে'নোঙর,কবিতাটি
নেওয়া হয়েছে।
আলোচ্য অংশে,মানুষ সামাজিক ও সাংসারিক জীব। সমাজ-সংসারের কর্তব্য ও দায়িত্বের
বাঁধনে সে সবসময় জড়িয়ে থাকে।কঠোর বাস্তবের সংঘাতে জীবনের অনেক স্বপ্ন-কল্পনাই
অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কবির জীবন ও বাস্তব জগৎ সংসারের বাঁধনে বাঁধা পড়ে আছে। কিন্তু
সৃষ্টিশীল মানুষের থাকে কল্পনাপ্রবণ মন,যে মন বারবার বাস্তবের বন্ধন ছিন্ন করে দূর
অজানায় পাড়ি দিতে চায়। কিন্তু জীবনতরি বাস্তবে দায়িত্ব-কর্তব্যের নোঙরে চিরকাল বাঁধাই
পড়ে থাকে।
৪।'তরী ভরা পণ্য নিয়ে পাড়ি দিতে সপ্তসিন্ধুপারে,-- কোন পণ্যে কবির নৌকা ভরা?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত নোঙর কবিতায় নৌকা ভরা পণ্য নিয়ে কবি সাতসমুদ্রের
তীরে পাড়ি দিতে চান। কর্ম জগতের বাইরে কবি জীবন নৌকা ভাষাতে চান তাঁর সাহিত্য সৃষ্টি
নিয়ে। কবি সাধারণ বাণিজ্যিক নন তার নৌকায় আছে অমূল্য সাহিত্য সম্ভার। কবি এই
সাহিত্য-সম্ভার নিয়ে সাত সমুদ্রে পাড়ি দিতে চান। এখানে মানুষকে তরী এবং মানুষের
কর্মসাধনাকে পণ্য বলে কবি চিহ্নিত করেছেন।
৫।'আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে,-- বাণিজ্য তরী কেন বাঁধা পড়ে আছে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: কবি অজিত দত্তের রচিত নোঙর কবিতার, ব্যবসার সঙ্গে লাভ লোকসানের বিষয়টি
জড়িয়ে থাকে ঠিক তেমনি জীবিকার জালে আটকে পড়েছে আমাদের জীবন। বিভিন্ন যুগে
বাণিজ্যিকরা ব্যবসা নিয়ে পাড়ি দিতেন দূর দেশে। পণ্যের আমদানি রপ্তানির সঙ্গে আদান-
প্রদান চলতো। কবি সাধারণ বাণিজ্যিক নন, তাঁর তরিতে রয়েছে সাহিত্যসম্ভার। সেই স্বপ্ন
কল্পনা সাহিত্য ভরাৎ তরী নিয়ে কবি পাড়ি দিতে চান সাত সমুদ্রের পারে, দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে
দিতে চান তাঁর সৃষ্টিকে।
জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর।১৫০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
১।'সারারাত তবু দাঁড় টানি,-- কবি সারারাত দাঁড় টানেন কেন ?এই দাঁড় টানার মধ্যে দিয়ে
কবির কোন মানসিকতা ফুটে উঠেছে?
উত্তর:কবি অজিত দত্তের রচিত নোঙর কবিতায়, যে নৌকা ভরা পণ্য নিয়ে তিনি সাত সমুদ্রে
পাড়ে পাড়ি দিতে চান। তাই তিনি সারারাত দাঁড় টানেন।
আলোচ্য অংশে দাঁড় টানার মধ্যে দিয়ে কবির আবেগপ্রবণ মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
তিনি জানেন সমাজ সংসারের নানা বন্ধন তাকে বেঁধে রেখেছে। তবু তাঁর মনের ইচ্ছা সমাজ
সংসার থেকে বহু দূরে পাড়ি দিতে চান। তার সচেতন মন বলে এই দাঁড় টানা বৃথা, কিন্তু তার
অবচেতন মনে আশা-আকাঙ্ক্ষার জাল বুনে চলে। তাই তিনি অবিরাম দাঁড় টেনে চলেন।
তিনি মনে মনে জানতেন তার স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা হয়তো কোনদিনই সফল হবে না তবুও তিনি
স্বপ্ন দেখতে ছাড়তেন না। মাঝে মাঝে হতাশা জেগে ওঠে কিন্তু কবি স্বপ্ন দেখা ছাড়তে
পারেন না। সাত সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নে কবিকে বাঁচিয়ে রাখে।
২।'স্রোতের বিদ্রুপ শুনি প্রতিবার দাঁড়ের নিক্ষেপে,-- স্রোতের বিদ্রূপ কবিকে কেন ব্যথিত
করেছে নিজের ভাষায় আলোচনা কর।
উত্তর: কবি অজিত দত্তের রচিত নোঙর কবিতায়, কবি তাঁর নৌকা নিয়ে সাতসমুদ্রের পারে
পাড়ি দিতে চান। তাঁর বহুদিনের স্বপ্ন তার মন অজানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে চায়। কিন্তু
তার অজান্তেই কখন-'নোঙর গিয়েছে পড়ে তটৈর কিনারে, বাস্তব জগতে সমাজ- সংসার
ছেড়ে জীবনকে এগিয়ে চলা খুব কঠিন। তাইতো দেখা যায়,নৌকা নোঙরের কাছিতে বাঁধা
চিরকাল। জগত সংসারে কবি আবদ্ধ কর্ম জগতে ব্যস্ত তারপরেও কবির মন অসীম
কল্পনার জগতে পাড়ি দিতে চায়। তাই তিনি সারারাত অবিরাম দাঁড় টেনে চলেন। কবি
জানতেন তার এই প্রচেষ্টা বৃথা। তবু তার মন মানে না। তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত গুলি
মনে পড়লে সমুদ্রের গর্জনের মতো কেঁপে ওঠে। কবির মন এতটাই চঞ্চল হয়ে উঠেছিল যে
তিনি বারবার বা ঘন ঘন দাঁড় নিক্ষেপ করেন।
কবি আটকা পড়ে আছেন সংসারের তটভূমিতে। তার মন চাইলেও সে কখনো এই সংসার
থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। তাই অবিরাম জল স্রোত যেন কবিকে প্রতিনিয়ত বিদ্রুপ করে
চলেছে।
CONTENTS:
আরো পড়ুন:
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর Click Here
ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here
হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1 Click Here
Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here
All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here
All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here
Autumn poem Lesson 3 Part 1 Click Here
A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here
A Day in the zoo Lesson 4 part 2 Click Here
All Summer in a Day Lesson 5 part 1 Click Here
আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
0 Comments