পশুপাখির ভাষা
সুবিনয় রায়চৌধুরী
ক।কবি পরিচিতি
খ। উৎস
গ। পূর্বকথা
ঘ।পশু পাখির ভাষা প্রবন্ধটির বিষয় সংক্ষিপ্ত
ঙ। নামকরণ
চ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান- ১
ছ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ)-একটি-দুটি
বাক্যের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-২
জ।সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩)।
ঝ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর।আট-দশটি বাক্যের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
e-bookপেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st ইউনিট,2ndইউনিট,3ndইউনিট,ফাইনাল
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য আমাদের
কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক। কবিপরিচিতি:
১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় বিখ্যাত লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন তাঁর
পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং মাতা বিধুমুখী দেবী।তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির
মধ্যে-'খেয়াল,‘বল তো!রকমারি ‘কাড়াকাড়ি,জীবজগতের আজবকথা ইত্যাদি।তাঁর রচনায়
হাস্যরসের পাশাপাশি তিনি ছোটোদের মনে বিজ্ঞানবোধ জাগানোর চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি'সন্দেশ,পত্রিকার সম্পাদনার কাজে নানা সময়ে যুক্ত ছিলেন।সাহিত্য রচনার পাশাপাশি
তিনি খেলাধুলো আর সংগীতেও বিশেষ পারদর্শী ছিলেন।হারমোনিয়াম,এসরাজ বাজানোয়
তাঁর দক্ষতা ছিল।১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরলোক গমন করেন।
খ। উৎস:
সুবিনয় রায়চৌধুরীর রচিত'পশু-পাখির ভাষা প্রবন্ধটি'সংকলন,গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
গ।পূর্বকথা:
পশুপাখির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বহুদিনের।মানুষের ডাকে গৃহপালিত পশুপাখিরা কান
খাড়া করে বা বিভিন্ন ইঙ্গিত করে সাড়া দেয়। কিন্তু সত্যি সত্যিই কি পশুপাখির কোনো
ভাষাআছে যার সাহায্যে তারা ভাব বিনিময় করে? এ নিয়ে বহুদিন ধরেই গবেষকগণ পরীক্ষা
করে চলেছেন।'পশু-পাখির ভাষা’ প্রবন্ধে সাহিত্যিক সুবিনয় রায়চৌধুরী সেই প্রসঙ্গই
আলোচনা করেছেন।
ঘ। বিষয়সংক্ষেপ:
আলোচ্য গদ্যাংশে লেখক পশুপাখির ভাষা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।লেখকের
মতে, মানুষের মতো পশুপাখিরও নিজস্ব ভাষা আছে, তারাও আমাদের মতো বিভিন্ন
অনুভূতি বা মনের ভাব প্রকাশ করতে সক্ষম।উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিলে তারাও যে মানুষের
সঙ্গে ভাব বিনিময়ের দ্বারা বন্ধুত্ব করতে পারে-‘পশুপাখির ভাষা,-গদ্যাংশে তাই লেখক
বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন-যেমন মুরগিরা ‘তি-তি,ডাক শুনে আসে,
হাঁস ‘সোই-সোই ডাক শুনে আসে,ছাগল ‘অ-র্-র্’ ডাক শুনে আসে ইত্যাদি।আবার পশুদের
মধ্যেও বিভিন্নরকমের ডাক শোনা যায় তাদের অনুভূতির পার্থক্য অনুযায়ী। উদাহরণ
হিসেবে বলা যায়,কুকুরের ঝগড়া আর রাগের শব্দে ‘ঘেউ এবং ভয় বা কান্নার শব্দে
কেঁউ,শোনা যায়।একইরকমভাবে পাখিরাও ভয়,রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করার জন্য বিশেষ
বিশেষ শব্দ ব্যবহার করে থাকে।এই প্রসঙ্গে লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরী রিউবেন ক্যাস্টাং
নামে একজন প্রাণীবিদের কথা উল্লেখ করেছেন,যিনি প্রায় চল্লিশ বছর ধরে বিভিন্ন পশু যথা
গরিলা,শিম্পাঞ্জি, জংলি কুকুর,গ্রিলি ভালুক,শ্বেত ভালুক প্রভৃতির ভাষা নিয়ে গবেষণা
করেছেন।ক্যাস্টাং সাহেব তাঁরদীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছেন পশুদের ভাষা সম্পর্কে মানুষের
যদি সাধারণ জ্ঞান বা ধারণা যথেষ্ট পরিষ্কার থাকে তাহলে সিংহের মতো হিংস্র পশুও
মানুষের খুব ভালো বন্ধু হতে পারে।তাঁর এই বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ক্যাস্টাং সাহেব
তাঁর জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।পরিশেষে লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরী
ওরাংওটাং, গরিলা,শিম্পাঞ্জি প্রভৃতি জন্তুর সঙ্গে মনুষ্য জগতের মিল ও অমিল নিয়ে
সংক্ষেপে আলোচনা করেছেন।
ঙ। নামকরণ:
নামকরণ হল যে-কোনো সাহিত্যসৃষ্টির একটি প্রয়োজনীয় বিষয়।নামকরণের মধ্য দিয়ে
রচনাটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি আগাম ধারণা পাওয়া যায়। ‘পশুপাখির ভাষা’এই নামটি
থেকে সহজেই বোঝা যায় যে, প্রবন্ধটিতে পশুপাখিদের ভাব বিনিময়ের মাধ্যম সম্পর্কেই
আলোচনা করা হয়েছে।আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক জানিয়েছেন,পশুপাখিদের অবশ্যই নিজস্ব
ভাষা আছে।ভালোভাবে লক্ষ করলে বোঝা যায়,-কুকুর, বনমানুষ,ঘোড়া প্রভৃতি।জন্তুদের
মানুষ যে নাম দেয়,সেই নামে ডাকলেই তারা কান খাড়া করে।মুরগি ‘তি-তি, হাঁস ‘সোই-
সোই,ছাগল ‘অর্-র্’ মহুতের কথা হাতি বুঝতে পারে। তবে এ কথাও ঠিক ভাব বিনিময়ের
জন্য ওদের কোনো সহজবোধ্য ভাষা মাধ্যম নেই।অল্প কিছু শব্দ ছাড়া ওরা আকার-
ইঙ্গিতেই ভাববিনিময় করে।এই প্রসঙ্গে এসেছে রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেবের কথা।তিনি
পশুদের সঙ্গে মিশেছেন,তাদের নিয়ে নানান গবেষণা করেছেন। তিনি পশুদের স্বভাব
বুঝতেন ও তাদের ভাষা আয়ত্ত করতে পেরেছিলেন বলেই অনেক বিপদের হাত থেকে
রক্ষাও পেয়েছেন।তিনি নানাধরনের জন্তুদের সঙ্গে ভাব জমাতে পেরেছিলেন।এই প্রবন্ধে
লেখক জানিয়েছেন,পশুদের ভালোবাসলে ও সহানুভূতি দেখালে তারা সরাসরি না হলেও
নানান হাবভাবে মনের কথা প্রকাশ করে।তাই প্রবন্ধটির এই নামকরণ যথাযোগ্য ও সার্থক
বলা যেতে পারে।
চ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১।মুরগিরা যে ডাক শুনে আসে, তা হল-
ক) সোই সোই
খ) তি-তি
গ) চুই চুই
ঘ) কুই কুই
উত্তর:(খ) তি-তি
২।মাহুতের ভাষায়'তেরে,মানে হল-
ক)কাত হও
খ) পিছিয়ে যাও
গ)সামনে এসো
ঘ)এগিয়ে এসো
উত্তর (ক) কাত হও
৩।মাহুতের ভাষায় ‘ভোরি,কথাটির অর্থ হল-
ক) পিছনে যাও
খ) কাত হও
গ) সাবধান হও
ঘ) উপরে যাও
উত্তর:(ক) পিছনে যাও
৪. মাহুতের ভাষায়'বৈঠ,হচ্ছে—
ক) কাত হও
খ) পিছনে যাও
গ) বোসো
ঘ) ঘুমাও
উত্তর:(গ) বোসো
৫।কুকুরের ঝগড়া আর রাগের শব্দ—
ক)কেঁউ
খ) ঘেউ
গ) কেঁই
ঘ) মিউ
উত্তর:(খ) ঘেউ
৬।রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব ছিলেন-
ক) খেলোয়াড়
খ) পশুপ্রেমী
গ) নায়ক
ঘ) গায়ক
উত্তর:(খ) পশুপ্রেমী
৭।ক্যাস্টাং সাহেব বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন-
ক)ত্রিশ বছর
খ)চল্লিশ বছর
গ)পঞ্চাশ বছর
ঘ)ষাট বছর
উত্তর:(খ) চল্লিশ বছর
৮।শ্বেত ভালুক’দেখতে পাওয়া যায়-
ক)মরুদেশে
খ)মেরুপ্রদেশে
গ)ভারতবর্ষে
ঘ)জাপানে
উত্তর:(খ) মেরুপ্রদেশ
ছ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ)একটি-দুটি বাক্যের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-২
১।'পশুপাখির ভাষা,- প্রবন্ধে যে বিদেশি সাহেবের কথা বলা হয়েছে নাম কী ?
উত্তর:সুবিনয় রায়চৌধুরীর রচিত‘পশুপাখির,ভাষা প্রবন্ধে যে বিদেশি সাহেবের কথা বলা
হয়েছে,তাঁর নাম-- রিউবেন ক্যাস্টাং|
২।“আমি পশুর ভাষা বেশ বুঝি।”-এ কথা কে বলেছেন?
উত্তর:সুবিনয় রায়চৌধুরী রচিত'পশুপাখির ভাষা,প্রবন্ধে কথাটি বলেছেন,পশুভাষাবিদ
রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব।
৩। রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব মৃত্যুর হাত থেকে কী করে বাঁচতেন ?
উত্তর: সুবিনয় রায় চৌধুরী রচিত 'পশুপাখির ভাষা,প্রবন্ধে রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেব পশুদের
ভাষা বুঝতেন বলে হিংস্র পশুদের সামনে পড়লেও মৃত্যুর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে
পারতেন।
৪।ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় কত বছর ধরে বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন?
উত্তর: সুবিনয় রায় চৌধুরী রচিত পশু পাখির ভাষা প্রবন্ধে ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর
ধরে বন্যজন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন।
৫।ক্যাস্টাং সাহেবের দুটি বন্ধুর নাম লেখো।
উত্তর:ক্যাস্টাং সাহেবের দুটি বন্ধুর নাম হল- শিম্পাঞ্জি ও সিংহ।
৬।কাদের‘মানুষের জাতভাই বলা হয়েছে?
উত্তর:সুবিনয় রায়চৌধুরীর‘পশুপাখির ভাষা প্রবন্ধে শিম্পাঞ্জি ও ওরাংওটাং-কে ‘মানুষের
জাতভাই বলা হয়েছে।
৭। ভালুকরা কী করলে সহজে ভাব পাতায়?
উত্তর:ভালুকদের খাবার দিলে তারা সহজেই ভাব পাতায়।
৮।শিম্পাঞ্জি ও ওরাংওটাং কীভাবে মানুষের সঙ্গে ভাব পাতায়?
উত্তর:ভাষার ব্যবহার না করেও ভালোবাসা ও সহানুভূতি দেখালে শিম্পাঞ্জি ও ওরাংওটাং
মানুষের সঙ্গে ভাব পাতায়।
৯।গরিলাদের জাতভায়ের নাম কী?
উত্তর:গরিলাদের জাত ভায়ের নাম হল মানুষ।
১০।সুবিনয় রায়চৌধুরী কী কী বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন?
উত্তর:সুবিনয় রায়চৌধুরী'হারমোনিয়াম,এসরাজ, প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন।
১১।সুবিনয় রায় চৌধুরী কোন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর:সুবিনয় রায়চৌধুরী'সন্দেশ,পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৩।নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো:
৩.১।ভাষার প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর:সুবিনয় রায়চৌধুরী রচিত'পশুপাখির ভাষা,প্রবন্ধে বলেছেন,মনের ভাব প্রকাশ করার
জন্য এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেও ভাষার প্রয়োজন হয়।
৩.২।'পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে,--একথার সমর্থনে
রচনাটিতে কোন কোন প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে ?তুমি এর সঙ্গে আর কী কী যোগ
করতে চাইবে ?
উত্তর: আলোচ্য অংশে, লেখক সুবিনয় রায়চৌধুরীর রচিত'পশুপাখির ভাষা প্রবন্ধে,--
পশুপাখিরা মানুষের আচার-আচরণ ভালো-মন্দ তারা অনুভব করতে পারে,ঠিক তেমনি
মানুষও বিভিন্ন জীবজন্তুদের তাদের ভাষায় ডাকলে তারা সাড়া দেয়।যেমন মুরগিকে তি তি
বললে কাছে চলে আসে। এছাড়াও ছাগল,হাঁস,বাঘ,সিংহ প্রভৃতি।
আমি গ্রাম্য পরিবেশের বসবাস করি দেখেছি যে গরুকে হ হ বললে সে থেমে যায়।
৩.৩।রিউবেন ক্যাস্টাংএর অভিজ্ঞতার কথা পাঠ্যাংশে কীভাবে স্থান পেয়েছে,তা আলোচনা করো।
উত্তর:সুবিনয় রায়চৌধুরী রচিত'পশুপাখির ভাষা প্রবন্ধে,রিউবেন ক্যাস্টাং তাঁর জীবনের প্রায়
চল্লিশ বছর বন্যপশুদের সঙ্গে কাটিয়েছিলেন। দীর্ঘকাল ধরে তিনি এইসব পশুদের
ভাষা,আদবকায়দা ইত্যাদি সম্পর্কে গবেষণা করেছেন।তিনি বলেছেন,পশুদের ভাষা যদি
আমাদের জানা থাকে তবে আমরা সহজেই তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে
পারি। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে দেখিয়েছেন জংলি হাতি, বাঘ, ভালুক,গরিলা এমনকি
সিংহের মতো হিংস্র প্রাণীর ভাষা যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে তাদের আর
বিপদের আশঙ্কা থাকে না। বরং অনেক সহজে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানো যায়। তিনি যে
সমস্ত বন্য জন্তুদের নিয়ে গবেষণা করেছেন তাদের মধ্যে শিম্পাঞ্জি,গরিলা,গ্রিজলি
ভালুক,শ্বেত ভালুক উল্লেখযোগ্য। পশুরা শুধুমাত্র শব্দের সাহায্যেই যে ভাব প্রকাশ করে
তেমন নয়।নানারকম ইশারা ও ইঙ্গিতও এদের ভাব প্রকাশে সাহায্য করে। তিনি আরও লক্ষ
করেছেন যে,পশুদের গলার আওয়াজগুলি অবিকল নকল করতে শিখলে পশুদের সঙ্গে
মানুষের ভাব বিনিময়ের পথটি অনেক সহজ হয়।হাতি,সিংহ,বাঘ,শ্বেত ভালুক প্রভৃতি প্রাণীর
সঙ্গে ভাব জমানোর আগে তাদের মেজাজ সম্বন্ধে যথাযথ জ্ঞান থাকা দরকার।ভালুক
নিরামিষাশী আর লোভী হওয়ায় খাবার দিয়ে সহজেই তার সঙ্গে ভাব করা যায়।কিন্তু
আমিষাশী জন্তু কখনোই খাবারের লোভে ভাব পাতায় না। শিম্পাজি,ওরাংওটাং নিয়ে লেখক
অবশ্য বিশেষ কিছু লেখেননি।
৩.৪।'একেও ভাষা বলতে হবে,-- কাকে ভাষার মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন ?তুমি
কি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত ?বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর:সুবিনয় রায়চৌধুরী রচিত'পশুপাখির ভাষা প্রবন্ধে,রিউবেন ক্যাস্টাং সাহেবের
মতে,পশুরা শুধু শব্দের ব্যবহারে মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে না,তারা নানারকম
ইশারার মাধ্যমেও মনের ভাবকে অন্যের কাছে স্পষ্ট করে তোলে। তাঁর মতে এই ধরনের
ইশারাগুলিকেও ভাষার মর্যাদা দিতে হবে।
আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণই সহমত।কারণ, ভাষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশ
করা ও অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা।পশুপাখিরা আমাদের মতো মৌখিক ভাষার
প্রয়োগ জানে না। যেমন, কুকুর তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে লেজ নাড়ে। আবার আদর
খাওয়ার সময় কানটা নুইয়ে ফেলে। তাই প্রাণীদের দেহের নানা ভাবভঙ্গি দেখেও তাদের
মনের ভাব বোঝা যায়।একারণে একেও ভাষা বলাই উচিত।
Contents:
আরো পড়ুন:
ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
শংকর সেনাপতি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
মন-ভালো-করা কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here
পশু পাখির ভাষা গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
ঘাসফড়িং কবিতা প্রশ্ন উত্তর Click Here
কুমোরে-পোকা বাসাবাড়ি গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
চিঠি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
It all began with drip drip part 1 Click Here
It all began with drip drip part 2 Click Here
It all began with drip drip part3 Click Here
the adventurous clown part 1 Click Here
the adventurous clown Part 2 Click Here
The rainbow poem Lesson 3
part-1 Click Here
মরশুমের দিনে গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
0 Comments