সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর । সিন্ধুতীরে কবিতা বিষয়বস্তু। সিন্ধুতীরে কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর। সিন্ধুতীরে কবিতার ব্যাখ্যা। সিন্ধুতীরে কবিতার উৎস।

 





                                           সিন্ধুতীরে

                                                                সৈয়দ আলাওল   


১। সুচিপত্র:

ক।লেখক পরিচিতি

খ।কবিতার উৎস

গ।কবিতার পূর্ব কথা

ঘ।সিন্ধুতীরে কবিতার আলোচনা

ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। ৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর।১৫০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫


e-bookapপেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st ইউনিট,2ndইউনিট,3nd ইউনিট,টেস্ট

,ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে। তাই এই সাফল্য

আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক।লেখক পরিচিতি:

আনুমানিক সপ্তদশ শতকে,সৈয়দ আলাওল জন্মগ্রহণ করেন,বাংলাদেশের ফরিদপুর

 জেলার জালালপুরে।তাঁর পিতা ছিলেন জালালপুরের অধিপতি মজলিস কুতুবের প্রধান

 কর্মচারী। তিনি বাংলা সাহিত্যের এক প্রখ্যাত মুসলিম কবি ছিলেন। জলদস্যুদের হাতে

 আলাওলের বাবা মারা গেলে,আলাওল আরাকান (বর্তমান ব্রহ্মদেশ) রাজ্যে অশ্বারোহী সৈন্য

 পদে যোগদান করেন। তারপর আরাকান রাজার প্রধানমন্ত্রী মাগন ঠাকুর আলাওল এর

 অসাধারণ সাহিত্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ,তিনি তাকে রাজসভায় বসার অনুমতি দেন।আলাওল

 রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েকটি কাব্য রচনা করেছিলেন ।তাঁর প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ

 রচনা'পদ্মাবতী,। আরাকান রাজার প্রধানমন্ত্রী মাগন ঠাকুরের অনুরোধে সাইফুলমূলক-

বদিউজ্জামাল,রচনা করেন।এছাড়াও তিনি সপ্তপয়কর তোহফা,লোরচন্দ্রানী গ্রন্থ অনুবাদ

 রচনা করেন।

মালিক মোহাম্মদ জায়সীর হিন্দি ভাষায় কাব্য' প্রদুমাবৎ ,অনুসরণে আলওল 'পদ্মাবতী,

 কাব্যটি রচনা করেন। তিনি এই কাব্যে চিতোরের রানা রত্নসেন ও সিংহলের রাজকন্যা

 পদ্মাবতীর প্রেম কাহিনী নিয়ে রচনা করেছেন।


খ।কবিতার উৎস:

সপ্তদশ শতকের শ্রেষ্ঠ মুসলমান কবি সৈয়দ আলাওয়াল এর রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্যটি ৩৫তম

 খন্ড,পদ্মা -সমুদ্র খন্ড থেকে আমাদের পাঠ্য- 'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।


গ।পদ্মাবতী কাব্যের পূর্বকথা:

'পদ্মাবতী,কাব্যটি শুরু হয়,সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীর প্রিয় সুখপাখি হীরামনিকে কেন্দ্র

 করে। পাখিটি একদিন হঠাৎ করে বনে পালিয়ে গেলে,এক (ব্যাধ)শিকারী পাখিটিকে ধরে

 এক ব্রাহ্মণের কাছে হাটে বিক্রি করে।সেই ব্রাহ্মণ আবার পাখিটিকে চিতরের রানা

 রত্নসেনের কাছে বিক্রি করে।তারপর রত্নসেনের স্ত্রী নাগমতী পাখিটিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে

 পাখিটি উত্তরে রাজকন্যা পদ্মাবতীর রূপের বর্ণনা করে,আর সেই বর্ণনার কথা রত্নসেনের

 কানে পৌঁছায় তিনি।পাখিটির সাহায্যে পদ্মাবতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তারপর তাদের

 বিবাহ হয়।

   এদিকে বিবাহের পর,পাখিটির মুখে,রত্নসেনের প্রথম স্ত্রী নাগমতীর বিরহ যন্ত্রণার কথা যখন

 শুনেছ, তখন তিনি পদ্মাবতীকে নিয়ে চিতরের উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে যাত্রা করেন।তাঁর

 অহংকারীর ফলে,ঠিক সেই সময় ব্রাহ্মণরুপি সমুদ্র,রত্নসেন কে ভিক্ষা চাইলে,তিনি তাকে

 ফিরিয়ে দেন। রাগে তাণ্ডবে সমুদ্র রত্নসেন -পদ্মাবতীর নৌকা টুকরো টুকরো করে দেয়।

 রত্নসেন প্রাণ বাঁচাতে পদ্মাবতী ও তার চার সখীকে একটি ভেলায় তুলে এবং নিজে অন্য

 একটি ভেলায় উঠে।এইভাবে নতুন বিবাহিত দম্পতি পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে যায়।

 পদ্মাবতী ও তার সখীরা সমুদ্রে ভেলায় ভাসতে ভাসতে তটভুমিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়ে

 তাদের জ্ঞান হারিয়ে যায়।এখান থেকে আমাদের'সিন্ধুতীরে,কবিতাটির শুরু হয়েছে-


ঘ।সিন্ধুতীরে কবিতাটি আলোচনা:


'পদ্মাবতী,কাব্যের পূর্ব কথা থেকে আমরা জানতে পারি- রাজকন্যা পদ্মাবতী ও তার সখীরা

 সমুদ্রে ভেলায় ভাসতে ভাসতে তট ভূমিতে আছড়ে পড়ে এবং ভেলার মধ্যে তাদের জ্ঞান

 হারিয়ে যায় -যে সমুদ্রের তীরে ছিল এক দিব্যপুরী বা সুন্দর প্রাসাদ। সেই সুন্দর প্রাসাদে

 থাকত এক সমুদ্রকন্যা পদ্মা ও তার সখীরা। প্রাসাদের কোলে সমুদ্র কন্যা পদ্মা, নিজের হাতে

 একটি সুন্দর বাগান তৈরি করেছেন - সেই বাগান ফুলের গন্ধে ভরপুর ,নানান ফল মূলএবং

 বিভিন্ন রংবেরঙে গাছপালা ,চিত্র ও রত্নখচিত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। সেই স্থানে

 সমুদ্রকন্যা পদ্মা এবং তার সখীরা বাস করেন।

সমুদ্র মধ্যস্থ প্রাসাদে রাত্রি শেষের পর প্রাত:কালে সমুদ্রকন্যা পদ্মা ও তার সখীরা বাগানে

 ঘুরতে যাওয়ার পথে, চারজন সখীর সঙ্গে অজ্ঞান অবস্থায় রাজকন্যা পদ্মাবতীকে ভেলায়

 (মাঞ্জাস )শুয়ে থাকতে দেখেন।তিনি অজ্ঞান রাজকন্যা পদ্মাবতীর রূপ দেখে নানা অনুমান

 করতে থাকেন, মনে করেন- কোন গান্ধারী ইন্দ্রের শাপগ্রস্থ হয়ে ভুমিতে পড়েছেন বা সমুদ্র

 ঝড়ের আঘাতে নৌকাডুবি হয়ে ভাসতে ভাসতে এখানে এসেছে ।

যাইহোক,সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের নির্দেশ দেন,পাঁচ কন্যাকে বাগানের মাঝে নিয়ে

 গিয়ে তাদের কাপড় দিয়ে ঢেকে ,আগুন জ্বেলে ,তন্ত্র-মন্ত্র ইত্যাদি মহৌষধ দিয়ে তাদের গা

 সেঁকে দিতে বলেন ।তারপর তাদের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে চার দন্ড চলার পর, রাজকন্যা

 পদ্মাবতী ও তার সখীদের জ্ঞান ফিরিয়ে আনে।


।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ)-প্রতিটি প্রশ্নের মান -১


১।দিব্য পুরি সমুদ্র মাঝার,-দিব্য-পুরি শব্দটির অর্থ হলো-

ক)সুন্দর বাগান

খ) স্বর্গ

গ) সুন্দর প্রাসাদ

ঘ) জলের মাঝারে

উত্তর:(গ)সুন্দর প্রাসাদ


২।সমুদ্র নৃপতি ,সুতা কে?-

ক) লক্ষ্মী

খ) পদ্মা 

গ) সখী

ঘ) রম্ভা

উত্তর (খ)পদ্মা


৩।সিন্ধুতীরে বহিছে মাঞ্জাস ,মাঞ্জাস শব্দের অর্থ-

ক) জল জাহাজ

খ)ভেলা

গ) নৌকা

ঘ) লহর 

উত্তর:ভেলা


৪।বিস্মিত হইল বালা ,বালা শব্দের অর্থ হলো-

ক)কন্যা

খ)সখী

গ)পদ্মা

ঘ)রমণী

উত্তর (ক) কন্যা।


৫।মাঞ্জাসে অচেতন কন্যাদের সংখ্যা ছিল-

ক) একজন

খ) তিনজন

গ) চারজন

ঘ) পাঁচ জন

উত্তর ( ঘ )পাঁচজন


৬।'ভাঙিল প্রবল বাও,-বাও শব্দের অর্থ হল-

ক) বজ্র

খ) বায়ু

গ) সমুদ্র

ঘ) আঘাত

উত্তর (খ ) বায়ু


৭।কিসের মাধ্যমে পঞ্চকন্যার গা সেঁকা হয়েছিল?-

ক)হাতের ঘষা দিয়ে

খ)আগুন জ্বেলে 

গ)গরম জল দিয়ে

ঘ)কোনটিই নয়

উত্তর (খ )আগুন জ্বেলে 


৮।কতক্ষণ ধরে পঞ্চকন্যার চিকিৎসা চলেছিল?-

ক)তিন দন্ড

খ)চার দন্ড

গ)পাঁচ দণ্ড

ঘ)দুই দন্ড

উত্তর (খ)চার দন্ড।


অতি -সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর(SAQ) ২০টি শব্দের মধ্যে উত্তর। প্রতিটি প্রশ্নের মান -


১।" কন্যারে ফেলিল যথা "- কন্যা বলতে এখানে কাকে বোঝানো হয়েছে ?তিনি কোথায় এসে উপস্থিত হয়েছেন?

উত্তর:মুসলমান কবি সৈয়দ আলাওলের রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্য থেকে' সিন্ধুতীরে,কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

 আলোচ্য অংশে,কন্যা বলতে,সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে বোঝানো হয়েছে। 

একসময়,সমুদ্রে ভেলায় রাজকন্যা পদ্মাবতীসহ -চার-সখী ভাসতে ভাসতে সিন্ধুতীরের তট-

ভূমিতে আছড়ে পড়ে। আর সেই সমুদ্রের তীরে ছিল একটি দিব্যপুরি বা সুন্দর প্রাসাদ। আর

 সেই প্রাসাদে থাকত সমুদ্র কন্যা পদ্মা এবং তার সখিরা


২।"চিকিৎসিমু প্রাণপণ"-কে, কার চিকিৎসা করেছিলেন?

উত্তর:মুসলমান কবি সৈয়দ আলাওলের রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্য থেকে'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,সমুদ্র কন্যা পদ্মা সিন্ধুতীরে ভেলায় অচেতন অবস্থায় পঞ্চকন্যাকে

 দেখেন,এবং তাঁর আদেশে,সখীরা,সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতী ও তাঁর চার সখীকে উদ্যানে

 নিয়ে গিয়ে খুব যত্ন সহকারে, চিকিৎসার ফলে তারা সুস্থ হয়ে উঠেন।


৩।"দিব্যপুরী সমুদ্র মাঝার"-দিব্য পুরীর অর্থ কি?

উত্তর: মুসলমান কবি সৈয়দ আলাওলের রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্য গ্রন্থথেকে,সিন্ধুতীরে,কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটিতে, দিব্য পুরীর অর্থ হল-এক অলৌকিক মনোরম স্থান বা স্বর্গের নগরী।


৪।'সমুদ্রনৃপতি সুতা' কে?

উত্তর: মুসলমান কবি সৈয়দ আলাওলের রচিত 'পদ্মাবতী, কাব্য থেকে'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে, সমুদ্র নৃপতি সুতা হলেন-পদ্মা


৫।"তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ"-কার, কোথায় থাকার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: মুসলমান কবি সৈয়দ আলাওলের রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্য থেকে'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,সমুদ্র রাজকন্যা পদ্মার পাহাড়ের পাশে ফুলে-ফলে সুগন্ধি ভরা বিচিত্র

 প্রাসাদময় এক সুন্দর উদ্যানে বসবাস করার কথা বলা হয়েছে।


ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(short question and answer)৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩


১।'অতি মনোহর দেশ,- এই মনোহর দেশের সৌন্দর্যের পরিচয় দাও।

উত্তর: মুসলমান কবি সৈয়দ আলাওলের রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্য থেকে'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে, সমুদ্রের ঢেউ পদ্মাবতীর ভেলাকে যেখানে পৌঁছে দেয়,সেখানে জলের

 মধ্যে এক সুন্দর নগরী ছিল,সেটিকেই দিব্যপুরি বলা হয়।

অপরূপ নগরটি বিশেষত্ব তার সামাজিক পরিবেশ।কারণ অঞ্চলটিতে দুঃখ দুর্দশা কোনো

 স্পর্শ নেই।বরং রয়েছে সত্য ধর্ম ও সৎ আচার-আচরণের নিয়ম-শৃঙ্খলা।


২। 'বিস্মিত হইল বালা,-বালা কে?তার বিস্ময়ের কারণ কি ছিল?

উত্তর: মুসলমান কবি সৈয়দ আলওয়াল এর রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্য গ্রন্থ

থেকে'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,বালা শব্দের অর্থ হল- কন্যা।এখানে বালা বলতে সমুদ্র নৃপতির কন্যা

 পদ্মাকে বোঝানো হয়েছে।

একদিন খুব সকালে পদ্মা তার সখিদের সঙ্গে উদ্যানে ভ্রমণ করতে এসে সমুদ্র তীরে একটা

 ভেলা দেখেন।কৌতুহলবশত সেখানে উপস্থিত হন,বিস্মিত হয়ে তিনি দেখেন যে চারজন

 সখীর মাঝখানে এক অপরূপ কন্যা মাটিতে পড়ে আছেন।তারা সকলেই অচেতন অবস্থায়।

কন্যাটি অসামান্য রূপবতী এবং এদের সকলের দৃষ্টি বন্ধ কেস ও বেশবাস এদিক ওদিকে

 ছড়িয়ে আছে।


৩।"পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।"-পঞ্চকন্যা কারা? কিভাবে তারা চেতন পেল?

উত্তর:মুসলমান কবি সৈয়দ আলালের রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্য গ্রন্থ থেকে'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,চারজন সখিসহ সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতী- এরাই হলো পঞ্চকন্যা।

সমুদ্র কন্যা পদ্মা সাগরের তীরে ভেলায় অচৈতন্য অবস্থায় পঞ্চকন্যাকে দেখে উদ্ধার করেন।

 এরপর তাদের চিকিৎসার জন্য সখীদের নির্দেশ দিলেন।এরপর পঞ্চকন্যাকে উদ্যানে এসে

 কাপড়ে ঢেকে আগুন জ্বেলে তাদের শরীরে সেঁক দেওয়া হয়।তন্ত্র-মন্ত্র সহকারে মহৌষধ

 প্রয়োগ করে পদ্মার সখীরা। এরপর তাদের সেবা করতে থাকে।অবশেষে বহু যত্নে পঞ্চকন্যা

 জ্ঞান ফিরে পায়।


জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর। ১৫০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫


১।"অচৈতন্য পড়িছে ভূমিতে।"- কার কথা বলা হয়েছে?তাকে দেখে, কার কি মনে হয়েছিল?

তিনি এই অবস্থায় কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।

উত্তর:মুসলমান কবি সৈয়দ আলালের রচিত 'পদ্মাবতী,কাব্য গ্রন্থ থেকে'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীর কথা বলা হয়েছে। কারণ চিতরের রানা

 রত্নসেন পদ্মাবতীকে বিবাহ করে সমুদ্রপথে যাত্রা করেন। তাঁর অহংকারের ফলে,ঠিক সেই

 সময় ব্রাহ্মণ রুপী সমুদ্র রত্নসেনকে ভিক্ষা চাইলে তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন।রাগে তাণ্ডবে

 সমুদ্র রত্নসেন ও পদ্মাবতীর নৌকা টুকরো টুকরো করে দেয়।পদ্মাবতী ও তার চার সখীকে

 একটি ভেলায় তুলে এবং নিজে অন্য একটি ভেলায় উঠে।এইভাবে নতুন বিবাহিত দম্পতি

 পরস্পর থেকে আলাদা হয়ে যায়।পদ্মাবতী ও তার চার সখি সমুদ্রের ভেলায় ভাসতে ভাসতে

 তটভূমিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়ে তাদের জ্ঞান হারিয়ে যায়।

খুব সকালে সমুদ্র কন্যা পদ্মা ও তার সখীরা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার পথে চারজন সখীর সঙ্গে

 অজ্ঞান অবস্থায় রাজকন্যা পদ্মাবতীকে ভেলায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি পদ্মাবতীর রূপ

 দেখে নানা রকম অনুমান করতে থাকেন,মনে করেন,কোন গান্ধারী ইন্দ্রের শাবগ্রস্ত হয়ে

 ভুমিতে পড়েছেন বা সমুদ্র ঝড়ের আঘাতে নৌকাডুবি হয়ে ভাসতে ভাসতে এখানে এসে

 পৌঁছেছেন।

পদ্মাবতীর প্রাণ ফিরে পাওয়া আশায় পদ্মা,শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছে শুধু তাই

 নয়,তার চিকিৎসারও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। সখিরা পদ্মাবতী কে কাপড় দিয়ে ঢেকে

 উদ্যানে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তার সখীদের নির্দেশ দেন।তন্ত্র মন্ত্র পাঠ করে নানা ওষুধের

 দ্বারা তাদের চিকিৎসা করা হয়। আগুন জ্বালিয়ে পায়ের তলা মাথায় সেঁক দেওয়া হয়।

 চারদন্ড যত্ন নেওয়ার পরে, চার সখিসহ পদ্মাবতী জ্ঞান ফিরে পায়।


১।"পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন।”-পঞ্চকন্যা বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? কীভাবে তাঁরা

 চৈতন্যলাভ করলেন কবিতা অবলম্বনে আলোচনা করো।

উত্তর:কবি সৈয়দ আলাওলের রচিত'পদ্মাবতী,কাব্যে গ্রন্থ থেকে'সিন্ধুতীরে,কবিতাটি নেওয়া

 হয়েছে। আলোচ্য অংশে,পঞ্চকন্যা বলতে এখানে অচেতন অবস্থায় মান্দাস বা ভেলায় শুয়ে

 থাকা সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতী ও তাঁর চারজন সখীকে বোঝানো হয়েছে।

কবিতার পূর্ব কথা থেকে আমরা জানি যে, কোনো এক সমুদ্রঝড়ের দাপটে পদ্মাবতী ও তাঁর

 সখীদের নৌকো ভেঙে যায়। তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে ভেলাকে আশ্রয় করেন ও ভেসে আসেন

 ‘দিব্যপুরীর কাছে সিন্ধুতটে,সেখানে ভেলায় অচৈতন্য অবস্থায় যখন সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাদের

 শুয়ে থাকতে দেখেন তখন সমুদ্রকন্যা পদ্মা সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীর অপূর্ব সৌন্দর্যে

 দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর অন্তরের মানবিকতা বোধটি জেগে ওঠে। তিনি উদ্ধারকর্মে

 নিযুক্ত হওয়ার আগেই ঈশ্বরকে স্মরণ করেন। সখীদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, উদ্যানের মাঝে

 পঞ্চকন্যাকে নিয়ে গিয়ে তাদের চারিধারে কাপড় দিয়ে ঢেকে, আগুন জ্বেলে এবং তন্ত্রমন্ত্র

 অনুসরণে মহৌষধি প্রয়োগ করতে। এই কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া চলে প্রায় চার দণ্ড অর্থাৎ প্রায়

 দেড় ঘণ্টা ধরে। সমুদ্রকন্যা ও তাঁর সখীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ফলে পঞ্চকন্যার অচেতন

 অবস্থা কেটে যায়। তাঁরা চৈতন্য ফিরে পান।


২।"চিকিৎসিমু প্রাণপণ”-কে, কার চিকিৎসা করেছিলেন?এই চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে তাঁর

 চরিত্রের কোন্ গুণের প্রকাশ ঘটেছে?

উত্তর: কবি সৈয়দ আলাওলের রচিত'পদ্মাবতী কাব্য থেকে সিন্ধুতীরে, কবিতায় সমুদ্রকন্যা

 পদ্মা,সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতী ও তাঁর চার সখীর চিকিৎসা করেছিলেন।

আলোচ্য অংশে, সমুদ্রকন্যা পদ্মা তাঁর সুন্দর উদ্যান থেকে লক্ষ করেন,পাঁচজন কন্যা কলার

 ভেলায় সিন্ধুতীরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। এদের মধ্যে সিংহল রাজকন্যার রূপের

 লাবণ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি সখীদের সাহায্যে এই পঞ্চকন্যাকে উদ্ধার করে উদ্যানে

 নিয়ে আসেন এবং তাদের সেবা যত্নে তাদের জ্ঞান ফিরিয়ে আনেন। সমুদ্র কন্যা পদ্মা 

 এখানে মানবিকতার প্রতিক। তিনি পঞ্চকন্যাকে দেখামাত্রই হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। তিনি

 পঞ্চকন্যার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে বলেছেন—“কৃপা কর নিরঞ্জন”। শুকনো

 কাপড়ে তাঁদের ঢেকে দেওয়া, আগুন জ্বালিয়ে শরীর সেঁকে দেওয়া এবং তন্ত্রমন্ত্রে বহু যত্ন

 চিকিৎসাতে পদ্মাবতী-সহ পঞ্চকন্যার প্রাণ ফিরে পাওয়ার ঘটনা পাঠকের মনে শান্তি এনে

 দেয়।



Contents:

আরো পড়ুন:


জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here

অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here


প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here


অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click here 

পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার Click here 

 

the passing away of bapu question answerUnit 1 Click Here

The passing away of bapu question answer unit 2 Click Here

The passing away of bapu question answer unit 3 Click Here


My Own True family poem Lesson 4 Click Here


Class -11 বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর click here

তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর click here 



বাংলা ব্যাকরণ কারক ও অকারক সম্পর্ক Click here 























Post a Comment

0 Comments