ইলিয়াস
লিও তলস্তয়
ক।লেখক পরিচিতি:
খ।গল্পটির উৎস
গ।ইলিয়াস গল্পটির বিষয়বস্তু
ঘ।গল্পটির পূর্বকথা
ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান- ১
চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর।১৫০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
e-book পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1stইউনিট,2ndইউনিট,3ndইউনিট,টেস্ট,ফাইনাল
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য আমাদের
কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকব লেখক পরিচিতি
ক।লেখক পরিচিতি:লিও তলস্তয়:
১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে লিও তলস্তয় রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বিখ্যাত লেখক।তিনি
মাতৃভাষা রুশ,জার্মান,ফরাসি,গ্রিক,আরবি,লাতিন,ইংরেজি,প্রভুতি বহু ভাষায় দক্ষতা অর্জন
করেন।এমনকি চিত্রকলা এবং সংগীততে তলস্তয়ের দক্ষ ছিলেন। তিনি বাস্তব জীবনের
অভিজ্ঞতাকেই তারা লেখার মধ্যে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।জীবনের প্রকৃত অর্থ খোঁজা
এবং অতি সহজে ও সংক্ষেপে জীবনের প্রকৃত রূপ তুলে ধরায় হল ছোটগল্প গুলির উদ্দেশ্য।
তিনি উপন্যাস,প্রচুর ছোটগল্প,প্রবন্ধ এবং নাটক লিখেছেন।তিনি রাশিয়ার জার শাসনতন্ত্রের
স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সরব হন।দরিদ্র চাষীর সন্তানদের জন্য তিনি স্কুল তৈরি করেন এবং
নিজেই সেখানে শিক্ষকতা করতেন।শেষ জীবনে তিনি প্রচন্ড শীতে নিউমোনিয়া রোগে
আক্রান্ত হয়ে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান।
খ। গল্পটির উৎস:
লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পটি'Twenty Three Tales, নামক গল্প সংকলনের প্রকাশিত হয়।
পাঠ্য গল্পটি অনুবাদ করেছেন মনীন্দ্র দত্ত।
গ। গল্পটির পূর্বকথা:
বাসকির হল তুর্কিদের একটি জনগোষ্ঠী।ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থলে পর্বতমালার
দুপাশের এলাকায় এই জনগোষ্ঠী বসবাস করে।ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতকে এদের
বসতির মূল এলাকা ছিল বাসকোত্রোস্তান(উফপ্রদেশ ছিল রাজধানি।এখানে রুশ দেশের
মানুষ ছিল বেশি।ফলে ১৫৫২ খ্রিস্টাব্দে ওই এলাকা রুশদের দখলে চলে যায় এবং বাসকিয়রা
রূশ সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হয়।এরা মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। ঘোড়া,ভেড়া,গরু,মোষ
প্রভৃতি গৃহপালিত গবাদি পশু থেকে উৎপন্ন দুধ,চামড়া, কুমিস,মাংস প্রভৃতি বিক্রি করায়
ছিল এদের পেশা।
ঘ। ইলিয়াস গল্পটির সারাংশ
পশ্চিম রাশিয়া উফা প্রদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত ইলিয়াস নামে এক ব্যক্তি বাসকরত।
ইলিয়াসের বিয়ের এক বছর পর যখন তার বাবা মারা যান,তিনি খুব বেশি সম্পত্তি রেখে যেতে
পারেনি। ইলিয়াস তার বুদ্ধি খাটিয়ে,স্বামী-স্ত্রীর কঠোর পরিশ্রমে তাদের অবস্থার উন্নতি হতে
থাকে।৩৫ বছরের পরিশ্রমে দুশো ঘোড়া,দেড়শ গরু-মোষ, বারোশো ভেড়া মালিক হয়ে উঠে
ইলিয়াস।দূর দূরান্ত থেকে আসা অতিথিদের আগমন ইলিয়াসের বাড়িতে গমগম করত।
ইলিয়াসের এত সম্পত্তির বৃদ্ধি হওয়ায় প্রতিবেশীরা হিংসা করতে শুরু করে।
ইলিয়াসের দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল।তাদের সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল।ইলিয়াস
বড়লোক হওয়ার পর ধন-সম্পত্তির অহংকারে তার ছেলেরা বিলাসী ও অলস হয়ে ওঠে। এই
সময় তার বড়ো ছেলে একটি মারামারির ঘটনায় মারা যায়।ছোটছেলের বউও খুব ঝগড়াটে
হওয়ায়,ইলিয়াস তাদের সম্পত্তির ভাগ দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
পরবর্তীকালে মড়ক দুর্ভিক্ষ এবং কিরবিজ বা চোরদের অত্যাচারে ইলিয়াসের সম্পত্তি কমতে
থাকে।৭০ বছর বয়সে ইলিয়াস বাধ্য হয়ে তার শেষ সম্বল পশমের কোট, কম্বল, ঘোরার
জিন,তাঁবু এবং গৃহপালিত পশুগুলি বিক্রি করে সর্বহারা হয়ে পড়ে। ইলিয়াসের বিতাড়িত
পুত্র অনেক দূর দেশে চলে যায়। আবার তাদের মেয়েটি মারা যাওয়ায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে
সাহায্যের করার কেউ আর নেই।তাই শেষ সম্বলটুকু নিয়ে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম-সেমাগি
অচেনা এক ব্যক্তি মোহাম্মদ শার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।এবং তাদের বাড়িতে মজুর হিসেবে
কাজকর্ম করে কোনরকমে দিন কাটায়।
একদিন মোহাম্মদ শার বাড়িতে এক ধর্মপ্রাণ মোল্লাসাহেব-সহ বেশ কিছু অতিথি আসেন ।
মহম্মদ শা তাদের আপ্যায়নের ফাঁকে বৃদ্ধ ইলিয়াসকে দেখিয়ে অতিথিদের জানাই যে,
ইলিয়াস এক সময় তাদের এলাকার ধনী ও অতিথিপরায়ন ব্যক্তি ছিলেন। সেই সময় তার
খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল দূরদূরান্তে। বর্তমানে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী সর্বহারা হয়ে তার বাড়িতেই
মজুরের কাজ করে এই কথা শুনে অতিথি খুব অবাক হয়ে তাদের দুরবস্থার কথা জানতে
চাই। প্রশ্নের উত্তরে সাম-সেমাগি বলে তারা ৫০ বছরের ধনী জীবন কাটালেও সেই সময়
সুখের সন্ধান পায়নি।কিন্তু বর্তমানে সর্বহারা ভাড়াটে মজুর হয়েও যে সুখ পেয়েছে। তারপর
তাদের জীবনে আর কিছু চাই না। বৃদ্ধা আরো বলে যে,যখন তারা ধনী ছিল তখন তাদের
মনে এক মুহূর্তেরও জন্য শান্তি ছিল না। মনের কথা বলার বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা সময়ও
ছিল না। কিন্তু এখন তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্তরের কথা আলোচনা হয়।ঈশ্বরের কাছে
প্রার্থনার সময়ও এখন তাদের রয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর জীবন কাটলেও এখনো তারা প্রকৃত
সুখের হদিশ পেয়েছে।
এই কথা শুনে অতিথিরা হেসে উঠলে,ইলিয়াস বলে এটাই জীবনের সারসত্য।সম্পত্তির মোহে
অন্ধ ছিল বলে তারা সম্পত্তি হারিয়ে কেঁদেছিল।কিন্তু ঈশ্বর তাদের সম্পত্তিহারা করলেও
জীবনের প্রকৃত সত্য ও সুখের হদিস দিয়েছে।
এ কথা শুনে মোল্লাসাহেব বলেন ইলিয়াসের সকল কথাই সত্য এবং জ্ঞানের কথা।এগুলি
পবিত্রগ্রন্থে লেখা আছে। মোল্লাসাহেবের কথা শুনে অতিথিরা চিন্তামগ্ন হলেন।
ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান- ১
১।ইলিয়াস গল্পটির তরজমা করেছেন-
ক) লিও তলস্তয়
খ)মণীন্দ্র দত্ত
গ)মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ)সুবীরগাঙ্গুলী
উত্তর:(খ) মণীন্দ্র দত্ত ইলিয়াস গল্পে ইলিয়াস গল্পে
২।ইলিয়াস বসবাস করত-
ক)উত্তর প্রদেশ
খ)অন্ধ্রপ্রদেশ
গ)মধ্যপ্রদেশ
ঘ) উফা প্রদেশ
উ:(ঘ)উফা প্রদেশ
৩।ইলিয়াস ছিল একজন-
ক)মোল্লা
খ)উকিল
গ)হাকিম
ঘ)বাসকির
উ:(ঘ) বাসকির
৪।কত বছরের পরিশ্রমে ইলিয়াস প্রচুর সম্পত্তি বানিয়েছিল-
ক) ৩০ বছর
খ) ২০ বছর
গ) ৪০ বছর
ঘ) ৩৫ বছর
উ:(ঘ) ৩৫ বছর
৫।ইলিয়াসের সন্তান বলতে ছিল-
ক)দুই ছেলে দুই মেয়ে
খ)দুই ছেলে এক মেয়ে
গ)এক ছেলে এক মেয়ে
ঘ)এক ছেলে দুই মেয়ে
উ:(খ)দুই ছেলে এক মেয়ে
৬।ইলিয়াসের বড় ছেলে মারা গিয়েছিল-
ক) দুর্ভিক্ষে
খ) মোড়কে
গ)জ্বরে
ঘ)মারামারিতে
উ:(ঘ) মারামারিতে
৭।ইলিয়াসের কোন বৌমা ঝগড়াটে ছিল-
ক)বড় বৌমা
খ)মেজ বৌমা
গ)সেজো বৌমা
ঘ)ছোটো বৌমা
উত্তর:(ঘ)ছোটো বৌমা
৮।ইলিয়াস বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল-
ক)ছোটো ছেলেকে
খ)বড়ো ছেলেকে
গ)মেয়েকে
ঘ)স্ত্রীকে
উ:(ক) ছোটো ছেলেকে
৯।ইলিয়াসের অনেকগুলি ভেড়া মরে গিয়েছিল-
ক)মড়কে
খ)দুর্ভিক্ষে
গ)বন্যায়
ঘ)খরাতে
উ:(ক)মড়কে
১০।ইলিয়াসের ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করেছিল-
ক)হারমাদরা
খ)পাঠানরা
গ)আততরা
ঘ)কিরবিজরা
উ:(ঘ)কিরবিজরা
১১।ইলিয়াস কত বছর বয়সে সর্বহারা হয়ে পড়েছিল-
ক) ৭২ বছর বয়সে
খ) ৭৫ বছর বয়সে
গ) ৭৪ বছর বয়সে
ঘ)৭০ বছর বয়সে
উ:(ঘ) ৭০ বছর বয়সে
চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১।ইলিয়াস কোন জনগোষ্ঠীর মানুষ ছিল?
উত্তর:লিও তলস্তয়ের রচিত' ইলিয়াস,গল্পে উফা প্রদেশে বসবাসকারী বাসকির জনগোষ্ঠীর
একজন মানুষ ছিল ইলিয়াস।
২।বাবা মারা যাওয়ার সময় ইলিয়াসের সম্পত্তির পরিমাণ কী ছিল?
উত্তর:লিও তলস্তয়ের রচিত'ইলিয়াস,গল্পে বাবা মারা যাওয়ার সময় ইলিয়াস সাতটি ঘোটকি,
দুটি গোরু আর কুড়িটি ভেড়ার মালিক ছিল।
৩।পঁয়ত্রিশ বছর পরে ইলিয়াসের বিষয় সম্পত্তির পরিমাণ কি দাঁড়িয়েছিল?
উত্তর:লিও তলস্তয়ের রচিত'ইলিয়াস,গল্পে কঠোর পরিশ্রমে ইলিয়াস শেষ পর্যন্ত দুশো ঘোড়া,
দেড়শ গোরু মোষ আর বারোশো ভেড়ার মালিক হয়েছিল।এছাড়া ভাড়াটে মজুর-মজুরানির
অভাব ছিল না।
৪। কুমিস কী?
উত্তর:লিও তলস্তয়ের রচিত'ইলিয়াস,গল্পে ঘোটকীর দুধ থেকে তৈরি এক ধরনের পানীয় হল
কুমিস।
৫।'কিন্তু বড়লোক হওয়ার পরে তারা আয়েসি হয়ে উঠল,-কারা,কেন আয়েসি হয়ে উঠল?
উত্তর:লিও তলস্তয়ের রচিত'ইলিয়াস,গল্পে ইলিয়াসের ছেলেরা বড়লোক হওয়ার পর আয়েসি
হয়ে উঠেছিল কারণ তার বাবার আর্থিক প্রাচুর্য দেখে পরিশ্রম করতে ভুলে গিয়েছিল।
ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
১।'পাশা-পাশি সকলেই তাকে ঈর্ষা করে।,-তাকে বলতে কার কথা বলা হয়েছে?সেই
ব্যক্তিকে ঈর্ষার কারণ কী ?
উত্তর:লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পে প্রধান চরিত্র বাসুকির জনগোষ্ঠীভুক্ত ইলিয়াসকে
বোঝানো হয়েছে।
আলোচ্য অংশে,পঁয়ত্রিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইলিয়াস বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে
ওঠে। দুশো ঘোড়া, দেড়শো গোরু-মোষ, বারোশো ভেড়া ও ভাড়াটে মজুরদের মনিব হয়ে
ওঠে ইলিয়াস। তার এই সমৃদ্ধি এবং প্রচুর ধনসম্পত্তি দেখেই প্রতিবেশীরা হিংসা করতে শুরু
করে।
২।“ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও”-বোলবোলাও শব্দের অর্থ উল্লেখ করে উদ্ধৃতাংশটির
তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াসগল্পে‘বোলবোলাও শব্দের অর্থ হল নামডাক বা খ্যাতি।
আলোচ্য অংশে দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের কঠোর পরিশ্রম এবং সুব্যবস্থাপনায় ইলিয়াস বিপুল
সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে। দুশো ঘোড়া, দেড়শো গোরু-মোষ এবং বারোশো ভেড়া-সহ
ভাড়াটে মজুর-মজুরনির মনিবে পরিণত হয় ইলিয়াস। ক্রমশ তার খ্যাতি এবং পরিচিতি
দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই কারণেই, আশেপাশের সকলেই তাকে হিংসা করতে থাকে।
৩।ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও।”—‘বোলবোলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে? এর ফল
কী হয়েছিল?
উত্তর:লিও টলস্টয় এর রচিত ইলিয়াস গল্পে পঁয়ত্রিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইলিয়াস বিপুল
সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে ফলের চারিদিকে ইলিয়াসের নাম ছড়িয়ে পড়ে একেই বোলবোলা
বলা হয়।
আলোচ্য অংশে, দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের কঠোর পরিশ্রমে ইলিয়াস প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়ে
ওঠে। এবং তার খ্যাতি ও প্রতিপত্তি চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে প্রতিবেশীরা সকলেই
তাকে ঈর্ষা করতে শুরু করে। তারা মন্তব্য করে যে ইলিয়াস ভাগ্যবান পুরুষ, তার কোনো
কিছুরই অভাব নেই। তার তাই মরবারও দরকার নেই।
৪।'দূর দূরান্ত থেকে অতিথীরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে,- অতিথিরা কার সঙ্গে দেখা
করতে আসত?সে অতিথিদের কীভাবে সেবা করত?
উত্তর:লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পে দূরদূরান্ত থেকে ব্যক্তিরা ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা করতে
আসত।
অতিথিপরায়ণ ইলিয়াস অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে সকলকেই অত্যন্ত খাতির করত। তার
বাড়িতে আগত অতিথির সংখ্যা অনুযায়ী একাধিক ভেড়া কিংবা ঘোটকী মারা হত। কুমিস,
চা, শরবত ইত্যাদি উৎকৃষ্ট আর পানীয় দিয়ে ইলিয়াস অতিথিদের সেবা করত।
৫।'ইলিয়াস তাদের বাড়ি থেকে তাদের তাডিয়ে দিল,- কে,কাদের,কেন তাড়িয়ে দিল?
উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পে ইলিয়াস তার ছোটো ছেলে এবং বউমাকে বাড়ি
থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।
আলোচ্য অংশে, ইলিয়াসের ছোটো ছেলের স্ত্রী ছিল অত্যন্ত ঝগড়াটে। তাই বিয়ের পর
থেকেই তারা ইলিয়াসের আদেশ অমান্য করতে শুরু করেছিল। সেই কারণেই ক্ষুদ্ধ ইলিয়াস
তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছিল। ইলিয়াস একটা বাড়ি এবং কিছু গোরু-ঘোড়া তাদের
দিয়েছিল।
৬।'ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়েপড়ল।”-ইলিয়াসের অবস্থা কীভাবে খারাপ হয়ে পড়ল ?
উত্তর:ইলিয়াস গল্পে নিজের বিতাড়িত পুত্রকে একটা বাড়ি, কিছু গোরু-ঘোড়া দেওয়ায়
ইলিয়াসের সম্পত্তিতে কিছুটা টান পড়ে। এরপরই ভেড়ার পালে মড়ক লেগে তার
অনেকগুলি ভেড়া মারা যায়। তার পরের বছর দুর্ভিক্ষে খড়ের অভাবে শীতকালে অনেক
গোরু-মোষ না খেতে পেয়ে মারা যায়। এর ওপর আবার কিরবিজরা ইলিয়াসের ভালো
ঘোড়াগুলি চুরি করে নিলে ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে।
৭।“সে একেবারে সর্বহারা হয়ে পড়ল।”—এখানে সে বলতে কার কথা বলা হয়েছে? সে
কীভাবে সর্বহারা হয়ে পড়ল ?
উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পে সে বলতে ইলিয়াসকে বোঝানো হয়েছে।
আলোচ্য অংশে, বিপুল সম্পত্তির মালিক ইলিয়াস তার অবাধ্য এবং বিতাড়িত ছোটো
ছেলেকে একটা বাড়ি এবং কিছু সংখ্যক গোরু-ঘোড়া দিয়ে দেওয়ার ফলে তার সম্পত্তিতে
টান পড়ে। এরপরে মড়ক এবং দুর্ভিক্ষের কারণে তার অনেকগুলি ভেড়া এবং গোরু-মোষ
মারা গেলে আর কিরবিজরা তার ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করে নিলে তার দুর্দশা চরমে ওঠে।
সত্তর বছর বয়সে ইলিয়াস তার পশমের কোট, কম্বল, ঘোড়ার জিন, তাঁবু এবং সবশেষে
গৃহপালিত পশুগুলি বিক্রি করে সর্বহারা হয়ে পড়ে।
৮।“বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করবার তখন কেউ নেই!”—বৃদ্ধ দম্পতি বলতে কাদের কথা বলা
হয়েছে? তাদের সাহায্য করার কেউ নেই কেন?
উত্তর:লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পে বৃদ্ধ দম্পতি বলতে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শামশেমাগিকে
বোঝানো হয়েছে।
আলোচ্য অংশে,ইলিয়াস যখন মড়ক, দুর্ভিক্ষ,চুরি ইত্যাদির ফলে সর্বহারা হয়ে পড়ে তখন
তার সাহায্য করার কেউ না থাকার কারণ,একদা বিপুল সম্পত্তির মালিক বিতাড়িত ছোটো
পুত্ৰও অনেক দূরদেশে বসবাস করত। তাদের একমাত্র মেয়েটিও মারা গিয়েছিল। ফলে বুদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রীর চরম দুর্দশায় তাদের সাহায্য করার মতো নিজের কেউ ছিল না।
জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর।১৫০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
উত্তর: লিও তলস্তয় এর রচিত ইলিয়াস গল্পে সে বলতে বৃদ্ধ ইলিয়াসের কথা বলা হয়েছে।
ইলিয়াস উফা প্রদেশের একজন বাসুকির ছিলেন। ইলিয়াস দম্পতির দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের
কঠিন পরিশ্রমের কারণে তারা বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে
ইলিয়াসের সম্পত্তির পতন ঘটে--
ইলিয়াস দম্পতির সম্পত্তির পতনের কারণগুলি হল--
১। ইলিয়াসদের অবস্থা যখন ভালো ছিল না, তখন ইলিয়াসের ছেলেরাও তার সঙ্গে কাজ
করতো গরু ভেড়া ঘোড়া ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু আস্তে আস্তে বড়লোক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে
ছেলেদের বিলাসিতা বেড়ে যায়
২। বড়ো ছেলেটি মারামারি করে মারা যায়। ছোট ছেলে এমন এক ঝগড়াটে বউ বিয়ে করে
আনে, বাবার কথা অমান্য করে। তাই ইলিয়াস বউ ছেলেকে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে
দিয়েছিল। তবে ইলিয়াস ছেলেকে একটি বাড়ি ও কিছু গরু ঘোড়াও দিয়েছিল এর ফলে তার
সম্পত্তিতে টান পড়েছিল।
৩। ইলিয়াসের ভেড়ার পালে মোড়ক লেগে যাওয়ার কারণে অনেকগুলি ভেড়ার মৃত্যু ঘটে।
ঠিক তারপরের বছরই দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, ফলে খর বা বিচুলির অভাবে বহু গরু মারা যায়
ফলে ইলিয়াসের সম্পত্তিতে টান পড়েছিল।
৪।ইলিয়াসের ভালো ভালো ঘোড়াগুলিকে কিরবিজ বা চোররা চুরি করে নেয়ফলে ইলিয়াসের
অবস্থা আরো খারাপ হয়ে ওঠে।
পরিশেষে সত্তর বছর বয়সে ইলিয়াস দম্পতির সংসারে অভাব দেখা দেয়। ইলিয়াসের শেষ
সম্বল টুকু পর্যন্ত বিক্রি করে সর্বশ্রান্ত হয়ে অন্যের বাড়িতে মজুর হিসেবে কাজে নিযুক্ত হল।
এইভাবে ইলিয়াস দম্পতির ভাগ্যজীবনে মুখে সম্মুখীন হয়েছিল।
২।'ইলিয়াস যা বলল সবই সত্য এবং পবিত্র গ্রন্থে লেখা আছে,--এই উক্তিটির প্রসঙ্গে ইলিয়াস
সম্পর্কে যা জানো নিজের ভাষায় লেখ।
উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পে সত্তর বছর বয়সে ইলিয়াস দম্পতি সংসারের সবকিছু
শেষ হয়ে গিয়ে প্রতিবেশী মহম্মদ শাহের বাড়িতে মজুরের কাজ করছে। মোহাম্মদ শাহের
বাড়িতে মোল্লাসাহেব এবং তার অনুগামীরা প্রবেশ করেন,সেখানে ইলিয়াসের পরিচয় হয়।
অতিথিরা জানতে চান ইলিয়াসের এই করুন অবস্থার কথা।ইলিয়াসের পিতার মৃত্যুর সময়
তাদের সামান্য সম্পত্তি ছিল। ইলিয়াস দম্পতি পঁয়ত্রিশ বছর সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন।
যখন ইলিয়াসের নাম ডাক বৃদ্ধি পায় তখন অনেক দূর থেকেওভালো ভালো লোক তাদের
বাড়িতে আসতেন।ইলিয়াস তাদের খেতে দিতেন শরবতচা কুমিসমাংস ইত্যাদির ব্যবস্থা
থাকত।ইলিয়াস ছোট ছেলে বউকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেও তাদেরএকটি বাড়ি ও কিছু
গরু ঘোড়াও দেয়। ইলিয়াসের চরিত্রের মহৎ গুণ হলোসে নির্লোভ।
৩।'বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করবার তখন কেউ নেই,-- বৃদ্ধ দম্পত্তি বলতে কারা? তাদের কোন পরিস্থিতিতে সাহায্য করার কেউ ছিল না?
উত্তর: নিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস গল্পে,বৃদ্ধ দম্পতি বলতে ইলিয়াস ও তার স্ত্রীশামশেমাগিকে
বোঝানো হয়েছে।
ইলিয়াস দম্পতি দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়ে ওঠে।
দু-শো ঘোড়া, দেড়-শো গরু-মোষ,বারো-শো ভেড়া এবং অসংখ্য চাকর বাকর ইলিয়াসের
চারিদিকে খুব নাম ছড়িয়ে পড়ে। ইলিয়াসের বাড়িতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসতে থাকে।
এরপর হঠাৎ একদিন ইলিয়াসের বড় ছেলে মারামারির ঘটনায় মারা যায়। তারপর ছোট
ছেলে এবং তার ঝগড়াটে স্ত্রী ইলিয়াসের কথা অমান্য করতে শুরু করে। ইলিয়াস তখন
তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং একটি বাড়ি ও কিছু গরু ঘোড়া দেয়। এরপর থেকে
ইলিয়াসের ভাগ্য খারাপ হতে থাকে। মড়কে ইলিয়াসের অনেকগুলি ভেড়া মারা যায়।
দুর্ভিক্ষের ফলে ঘরের অভাবে শীতকালে অনেক গরু-মোষ না খেতে পেয়ে মারা যায়।
কিরবিজরা,তার ভালো ঘোড়া গুলি চুরি করে নিয়ে যায়, ইলিয়াসের অবস্থা ক্রমশ খারাপ
হতে থাকে। ৭০ বছর বয়সে ইলিয়াস বাধ্য হয়ে তার পশমের কোট, কম্বল, ঘোড়ার জিন, তাঁবু
এবং অবশিষ্ট পশুগুলিকে বিক্রি করে দেয়। বৃদ্ধ দম্পতি সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন।
ছোট ছেলে দূরে থাকে, মেয়েটিও আগে মারা গিয়েছিল তাই বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করার
নিজের বলতে কেউ ছিল না
CONTENTS:
আরো পড়ুন:
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন উত্তর Click Here
ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here
হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1 Click Here
Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here
All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here
All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here
Autumn poem Lesson 3 Part 1 Click Here
A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here
A Day in the zoo Lesson 4 part 2 Click Here
All Summer in a Day Lesson 5 part 1 Click Here
0 Comments