জ্ঞানচক্ষুগল্প
আশাপূর্ণা দেবী
১। সূচিপত্র:
ক।লেখক পরিচিতি
খ।জ্ঞানচক্ষু গল্পের উৎস
গ।জ্ঞানচক্ষু গল্পের আলোচনা
ঘ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
ঙ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
চ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। ৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
ছ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর।১৫০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
e-bookap পেজটি ছাত্ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1stইউনিট,2ndইউনিট,3nd ইউনিট,
টেস্ট,ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই
সাফল্য আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক। লেখক পরিচিতি :
কথা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি লেখিকা।১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর কলকাতার পটলডাঙ্গায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত, মা
সরলা সুন্দরী দেবী। তিনি বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে, তাঁর খুব কম বয়সে বিয়ে
হয়ে য়ায় ,ফলে তাঁর স্কুল-কলেজে পড়ার সুযোগ ঘটেনি।তিনি সারা জীবন গৃহবধূ ও মায়ের
ভূমিকার পাশাপাশি বহু সাহিত্যসৃষ্টি করেছেন।তাঁর সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে ধরা পড়ে ,বাঙালি
মধ্যবিত্তের নানা রকম চরিত্র, তিনি তাঁর গল্প উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। তাঁর লেখায়
একদিকে যেমন বাঙালি নারীদের সাহস যুগিয়েছেন,অন্যদিকে তেমনি পুরুষদের মানবিক
বলকে ফুটিয়ে তুলেছেন।তিনি সারা জীবন বহু গল্প উপন্যাস এবং ছোটদের বহু গ্রন্থ
লিখেছেন-এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ছোট ঠাকুরদার কাশি যাত্রা,অগ্নিপরীক্ষা,
সুবর্ণলতা,সোনার হরিণ ইত্যাদি।এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্প সংকলন গুলির মধ্যে
রয়েছে-কেশবতী কন্যা,সোনালী সন্ধ্যা,ভোরের মল্লিকা,প্রভৃতি।ছোটদের জন্য গল্প সংকলন
গুলির মধ্যে হাফহলিডে ,রঙিন মলাট,কুমকুম প্রভৃতি। তাঁর রচিত গ্রন্থ প্রায় ৬৩ টি বিভিন্ন
ভাষায় অনুদ্রিত হয়েছে। তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার্ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার,র্সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার,
একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট এবং সরকারি খেতাবে ভূষিত হন।১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে তাঁর
দেহবসান হয়
খ। গল্পের উৎস:
আশাপূর্ণা দেবীর রচিত,কুমকুম,গল্প সংকলন থেকে 'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া হয়েছে।
গ। জ্ঞানচক্ষু গল্পের বিষয়বস্তু :
শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত'কুমকুম, গ্রন্থ থেকে 'জ্ঞানচক্ষু,গল্পের নামকরণটি
করেছেন মূলত- ব্যঞ্জনাধর্মী বা বাস্তবধর্মী অর্থাৎ শিশু মনের প্রকৃত জ্ঞান এবং অনুভূতিকে
জাগ্রত করা,যার সাহায্যে সে বাস্তবে সত্যকে যাচাই করতে পারবে।
আমরা গল্পের প্রথম এবংশেষের দিকে দেখি,প্রধান চরিত্র হিসেবে কিশোর তপনের
জ্ঞানচক্ষুর উন্মোচন ঘটেছে অর্থাৎ তপনের জ্ঞান খুলে যায়।কারণ সে এতদিন জানতো
-লেখকরা অন্য জগতের মানুষ,সাধারণ মানুষের মতো তাদের জীবন যাপন নয়। তারপর
তপন গরমের ছুটিতে ছোট মাসির বিয়ে উপলক্ষে মামার বাড়িতে প্রথম তার লেখক
ছোটমেসোকে দেখে তার জ্ঞানচক্ষু উন্মেষ ঘটে ।খুব কাছ থেকে লেখক মেসোকে দেখে
তপনের মনে, লেখক হওয়ার আনন্দ জেগে ওঠে।
যাই হোক,এই সময় তপন তার 'প্রথম দিন, স্কুল ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির
গল্পটি লিখে ফেলে দুপুরবেলায় তিন তলার সিঁড়িতে বসে।লেখা শেষ হলেই তপন আনন্দে
এবং উত্তেজনায় ছুটে নিচে এসে বন্ধুসুলভ ছোট মাসির হাতে গল্পটি দেয়, মাসিও আবার
মেসোর হাতে তুলে দেয়। বিকেলে চায়ের টেবিলে ছোট মেসো তপনের গল্পটা পড়ে
শ্বশুরবাড়ির লোকজন অর্থাৎ তপনকে খুশি করতে বলে ওঠে ,তোমার গল্পটা তো দিব্যি
হয়েছে কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় 'কারেকশন'করে সন্ধ্যে তারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার
প্রতিশ্রুতি দেন।শেষমেষ তিনি গল্পটি'সন্ধ্যেতারা,পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন।
এভাবে বেশ কয়েকদিন পর,তপনের বাড়িতে ছোট মেসো ও মাসি এলেন,তপনের গল্প
ছাপানো,সন্ধ্যে তারা,পত্রিকাটি নিয়ে ,তপন তাদের আসতে দেখে তার বুকের রক্ত ছলকে
ওঠে ।মায়ের নির্দেশে,তপন গল্পটা পড়ে শোনাতে গিয়ে দেখে,তার গল্পের নামটা শুধু আছে
আর গল্পের ভেতরের কাঁচা লেখাগুলি মেসো যেন সব পাল্টে দিয়েছে।তখন তপনের মনে
কষ্ট হলো কিন্তু বাস্তবে তার বুদ্ধি খুলে যায়।
তারপর তপন মনকে শান্তি রেখে এবং মনে মনে কঠোর সংকল্প বা প্রতিজ্ঞা করে,যদি
কখনো তপন পত্রিকায় লেখা ছাপাতে দিতে হয়,তাহলে সে নিজেই গিয়ে সেটা দেবে,অন্য
কারোর কাছে দ্বারস্ত হবে না।
ঘ। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ । (MCQ) -প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
১।"এখাকথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল"-নে কার কথা বলা হয়েছে--
ক)তপনের মামা একজন সাহিত্যিক।
খ )তপনের ছোট মেসো সন্ধ্যা তারা পত্রিকার সম্পাদক।
গ) তপনের গল্প ছাপানো হয়েছে।
ঘ)তপনের ছোট মেসো একজন লেখক।
উত্তর ( ঘ)তপনের ছোট মেসো একজন লেখক।
২।"রত্নের মূল্য জহুরীর কাছেই"এখানে কাকে জহুরী বলা হয়েছে ?
ক)তপনের ছোট মাসিকে
খ)তপনের মামাকে
গ)তপনের দিদিকে
ঘ)তপনের ছোট মেসোকে
উত্তর (ঘ) তপনের ছোট মেসোকে
৩।"অনেক বই ছাপা হয়েছে -
ক)তপনের
খ)নতুন ছোট মেসোর
গ)ছোট মাসির
ঘ)মেজ মামার
উত্তর (খ) নতুন ছোট মেসোর
৪।"তপনের গল্প তো দিব্যি হয়েছে "-বক্তা কাকে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলেছে ?সে হল -
ক )তপনকে
খ )নতুন ছোট মেসোকে
গ)ছোট মাসিকে
ঘ )ছোট মামাকে
উত্তর (ক) তপনকে
৫।কোন পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল?
ক )সাহিত্যমালা
খ )সন্ধ্যা তারা
গ )দু-তারা
ঘ )শঙ্খ তারা
উত্তর (খ) সন্ধ্যাতারা।
৬।"তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায় "-কারণ-
ক) আনন্দে
খ)রাগে
গ)অবিশ্বাসে
ঘ)দুঃখে
উত্তর (গ) অবিশ্বাসে।
৭।ছেলেবেলা থেকেই তপন গল্প শুনেছে-
ক)দু -একটা
খ)রাশি রাশি
গ) মামার মুখে
ঘ )ঠাকুমার মুখে
উত্তর (খ) রাশি রাশি।
৮।"পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে "?যে ঘটনাটিকে এখানে অলৌকিক বলা
হয়েছে?সেটি হল-
ক)সন্ধে তারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হওয়ায়, এবার তা হাজার হাজার ছেলের হাতে
হাতে ঘুরবে
খ)তপনের মা ছেলের লেখা গল্প শুনে কেঁদে ফেলল
গ) তপনের নতুন ছোট মেসো সাধারণ মানুষ হয়েও গল্প লেখেন ঘ)তপনের ছাপানো গল্পের
একটি লাইনও তার নিজের নয়।
উত্তর (ক) সন্ধ্যেতারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হওয়ায়,এবার তা হাজার হাজার ছেলে
হাতে হাতে ঘুরবে।
৯।'সন্ধ্যাতারা'পত্রিকায় প্রকাশিত তপনের লেখা গল্পটির নাম-
ক)ছুটির দিনে
খ)প্রথম দিন
গ)শেষ রাত
ঘ)রোমাঞ্চকর
উত্তর (খ) প্রথম দিন
১০। তপন তার গল্পটি পড়তে না পারার কারণ -
ক)গল্পের অর্থ তার কাছে পরিষ্কার নয়
খ)তার কষ্ট হচ্ছিল
গ)তার হিংসা হচ্ছিল
ঘ)নিজের গল্প ছাপা না হওয়া
উত্তর (খ)তার কষ্ট হচ্ছিল
ঙ।অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নাবলী (SAQ)কম -বেশি ২০টি শব্দের মধ্যে উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান-১)
১)'কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল !-কখন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
উত্তর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে আলোচ্য অংশে,প্রধান চরিত্র কিশোর তপন এতদিন জানত ,লেখকরা অন্য জগতের
মানুষ, সাধারণ মানুষের মতো তাদের জীবন যাপন না। তারপর সে যখন শুনলো,তার নতুন
মেসোমশাই একজন লেখক তখনই,তার চোখ মার্বেল হয়ে গেল।
২।রত্নের মূল্য জহুরীর কাছেই-এখানে 'রত্ন ও জহুরী ,বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে 'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে আলোচ্য অংশে, রত্ন বলতে ,তপনের লেখা গল্পটিকে এবং জহুরী বলতে,তপনের
নতুন মেসোমশাইকে বোঝানো হয়েছে । তাই রত্নের মূল্য যেমন, একজন জহুরী ভালো
বোঝেন,ঠিক তেমনি তপনের গল্পের কদরও নতুন মেসোই বুঝতে পারেন।
৩।তপনের লেখা গল্পটির বিষয় কি ছিল?
উত্তর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'কুমকুম, গ্রন্থ থেকে 'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে আলোচ্য অংশে,কিশোর তপন'প্রথম দিন' গল্পটি লিখেছিল-স্কুলে ভর্তি হওয়ার
অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির বিষয় নিয়ে।
৪।"তপন বিহবল দৃষ্টিতে তাকায়" -কখন তপন বিহবল হয়ে পড়ে?
উত্তর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে 'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে আলোচ্য অংশে,মামার বাড়িতে বিকেলে চায়ের টেবিলে,কিশোর তপন লেখক
মেসোর মুখে গল্প লেখার প্রশংসা শুনে,মনের মধ্যে আনন্দ আর ধরে না। তাই সে বিহবল
হয়ে পড়েছিল।
৫।"বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের"-তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কি ছিল?
উত্তর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে 'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে ।আলোচ্য অংশে,সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় কিশোর তপনের জীবনে 'প্রথমদিন,গল্পটি
প্রথম ছেপে যাওয়ার কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে দেখে, লেখক ছোটমেসো -মাসি তার
বাড়িতে পত্রিকাটি নিয়ে আসতে দেখে,-তার বুকের রক্ত ছলকে ওঠে।
৬।'তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল,কথাটির অর্থ কি?
উত্তর:কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে। আলোচ্য অংশে,কথাটির অর্থ,তপন যা দেখল তাতে সে চরম বিস্মিত হয়ে পড়ল।
৭।"তপন আর পড়তে পারে না"-তপন আর পড়তে পারে না কেন?
উত্তর:কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে 'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে আলোচ্য অংশে,তপন নিজের গল্প পড়তে গিয়ে দেখে, একটা শব্দও তার লেখা নয়।
তাই সে দুঃখিত হয়ে পড়ে ।আর সে পড়তে পারে না।
৮।'তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই,-কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে। আলোচ্য অংশে,তপনের মনে হয়েছে,নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন
পড়ার দুঃখের আর কিছুই নেই।
৯।'বাবা,তোর পেটে পেটে এত!-কে,কোন প্রসঙ্গে এই কথা বলেছিলেন?
উত্তর:কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে আলোচ্য অংশে,তপনের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা, পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর
বাড়িময় শোরগোল পড়ে যায়।তখন তপনের মা এই কথাটি তপনের সুপ্ত প্রতিভা সম্পর্কে
বলেন।
১০।'পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে,- কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?
উত্তর: কথার সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম'গ্রন্থ থেকে 'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে। আলোচ্য অংশে,ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত তপনের গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে
ঘুরবে,এই ঘটনাকেই অলৌকিক বলা হয়েছে।
চ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।৬০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
১।'কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল!,- কোন কথা শুনে কেন তপনের চোখ
মার্বেল হয়ে গেল?।
উত্তর:শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত জ্ঞানচক্ষু,গল্পে তপন এতদিন ভেবে
এসেছে,লেখকরা বুঝি অন্য জগতের মানুষ।সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের কোন মিল নেই।
তাই যখন সে শুনল যে তার ছোট মেসোমশাই বই লেখেন, আর সেই বই ছাপাও হয়,তখন
তার বিস্ময়ের সীমা রইল না।নতুন মেসোমশাই একজন সত্যিকারের লেখক। এই আশ্চর্য
খবরটা শুনেই তপনের চোখ মার্বেলের মতো গোল গোল হয়ে গেল।
২। তপনের প্রথম গল্প লেখা অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও।
উত্তর শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম'গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে। আলোচ্য অংশে,ছোটমেসোকে দেখার আগে তপন জানতই না যে সাধারণ মানুষের
পক্ষেও গল্প লেখা সম্ভব।কিন্তু ছোটমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একদিন দুপুরে সবাই
যখন ঘুমের ঘোরে, তখন চুপিচুপি তিন তলার সিঁড়িতে উঠে যায়। তারপর একমনে বসে
হোমট্রাস্টের খাতায় লিখেফেলে গোটা একটা গল্প।লেখা শেষ হলে নিজের লেখা পড়ে
নিজেরই গায়ে কাঁটা দেয়,মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে।উত্তেজিত তপন ছুটে নিচে এসে তার
লেখক হওয়ার খবরটা ছোটমাসিকে দেয়।
৩।পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে,-- উদ্ধৃতির তাৎপর্য উল্লেখ করো।
উত্তর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত 'কুমকুম'গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হ য়েছে। আলোচ্য অংশে,অলৌকিক ঘটনাটি ছিল-'সন্ধ্যাতারা'পত্রিকায় তপনের লেখা
প্রথম গল্পটির প্রকাশ। অলৌকিক কথাটির অর্থ,যা বাস্তবে সম্ভব নয়।দীর্ঘ অপেক্ষার পরে
তপন যেদিন দেখল যে,সত্যিই ছোটমেসোর প্রতিশ্রুতি মতো তার গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত
হয়েছে,সেটা তার কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। কারণ ছাপার অক্ষরে তার লেখা গল্প
হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে এই ঘটনাকে তপনের এতটাই অসম্ভব বলে মনে হয়
যে,সেটিকে অলৌকিক বলে মনে করে।
৪।"তপন,তোমার গল্প আমি ছাপিয়ে দেবো।"- কে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন?তিনি কোথায়
তপনের লেখা গল্প ছাপিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
উত্তর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত'কুমকুম'গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে। আলোচ্য অংশে,কিশোর তপন তার মামার বাড়ি তিনতলার সিঁড়িতে বসে তার স্কুলে
ভর্তি হওয়ার দিনে অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির একটা ছোটগল্প লেখে 'প্রথমদিন'নামে।তপনের
ছোটমাসির পীড়াপীড়িতে তার অধ্যাপক ও লেখক মেসোমশাই গল্পটির ঝাঁপিয়ে দেওয়ার
প্রতিশ্রুতি দেন। তপনের ছোটমেসো তার লেখার গল্পটা'সন্ধ্যাতারা,পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন
বলে জানান। করুনার মূর্তিতে তিনি বলেন,আমি বললে সন্ধ্যাতারা সম্পাদক'না'করতে পারবে না।
৫।"বুকের রক্ত ছলকে উঠে তপনের।"- বুকের রক্ত ছলকে উঠে কেন?
উওর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে। আলোচ্য অংশে,তপনের লেখা গল্পটি তার নতুন মেসো'সন্ধ্যাতারা,পত্রিকায় ছাপিয়ে
দেবেন বলে নিয়ে গিয়েছিলেন।দীর্ঘদিন তপন সেই অপেক্ষায় বসেছিল। তারপর একসময়
সে ভুলেই গিয়েছিল গল্পটির কথা।এরপর হঠাৎই তার ছোটমাসি আর মেসো তাদের বাড়ি
বেড়াতে এলেন। তখন মেসোর হাতে'সন্ধ্যেতারা'পত্রিকা দেখতে পেল। তার গল্প ছাপা
হয়েছে।এই প্রত্যাশাতেই তার বুকের রক্ত যেন ছলকে উঠল।
৬।"সবাই শুনতে চাইছে তবু পড়ছিস না?"- কি শুনতে চাওয়ার কথা বলা হয়েছে? তা না পড়ার কারণ কি?
উত্তর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে। আলোচ্য অংশটিতে,'সন্ধ্যাতারা,পত্রিকায় ছাপা হওয়া তপনের গল্পটি শুনতে
চাওয়ার কথা হয়েছে। তপনের মা তপনকে সন্ধ্যাতারা-য় প্রকাশিত গল্পটা পড়ে শোনাতে
বলেন।কিন্তু গল্পটি কিছুটা পড়ে তপন অবাক হয়ে যায়।গল্পটা এমনভাবে কারেকশান করা
হয়েছে যে,তপন তার মধ্যে নিজের লেখা খুঁজে পাচ্ছিল না।সম্পূর্ণ নতুন একটা গল্প বলেই
তার মনে হয়েছে।গভীর হতাশা আর দুঃখে তপনকে যেন নির্বাক করে দিয়েছিল।তাই সে
গল্পটা আর পড়তে চায়নি।
ছ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর। ১৫০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
১।'নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের,-কী কারনে এ কথা বলা
হয়েছে?সত্যিই তার জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল কিনা আলোচনা কর।
উত্তর: শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে।আলোচ্য অংশে,মামার বাড়িতে গিয়ে তপন তার নতুন মেসোমশায়ের সঙ্গে পরিচিত
হয়।তিনি একজন লেখক।লেখকরা কতটা সাধারন মানুষের মতো হয় তা নিয়ে তপনের
সন্দেহ ছিল।কিন্তু ছোটমেসোকে দেখার পরে তার ভুল ভাঙে। তিনি ছোট মামার মতই দাড়ি
কামান,সিগারেট খান,থালা থেকে খাবার তুলতে বলেন,স্নানের সময় স্নান করেন,,ঘুমানোর
সময় ঘুমান ইত্যাদি।তিনি বেড়াতেও বেড়ান সেজেগুজে অর্থাৎ আর পাঁচজন সাধারণ
মানুষের সঙ্গে তার কোন পার্থক্যই নেই।এই সত্য উপলব্ধি করেই তপন মনে করেছিল যে
তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছে। তপনের সত্যিকারের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় গল্পের শেষে।তার
লেখা গল্পটি ছোটমাসি জোর করেই ছাপানোর জন্য মেসোকে দিয়েছিল।কিন্তু সন্ধ্যাতারা
পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা যায়,লেখাটি সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে।তার
প্রত্যেকটি লাইন তপনের অপরিচিত।গভীর দুঃখ ও মনোকষ্টে তপন সংকল্প করে,এরপরে
যদি লেখা ছাপাতে দিতে হয় তাহলে তা সে নিজের হাতেই দেবে।এইভাবে তার জ্ঞানচক্ষু
যথার্থ প্রকাশ ঘটে।
২।'তপন আর পড়তে পারে না।বোবার মতো বসে থাকে,- তপনের এই রকম অবস্থার
কারণবর্ণনা করো।
উত্তর:শিশু সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর রচিত'কুমকুম,গ্রন্থ থেকে'জ্ঞানচক্ষু,গল্পটি নেওয়া
হয়েছে। আলোচ্য অংশটিতে তপনের লেখা গল্প তার ছোট মেসোমশায়ের উদ্যোগে
সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গল্পটিকে প্রকাশযোগ্য করে তোলার জন্য কিছু কিছু
জায়গায় কারেকশন করেছেন। তপনের লেখা থেকে মেসোমশাইয়ের কারেকশনের কথাটা
বেশি আলোচিত হতে থাকে। আর এর মধ্যে থেকে গল্প ছাপার আনন্দটা তপন যেন আর
খুঁজে পায় না।কিন্তু এর থেকেও বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা তার হয়, যখন তার মা তপনকে
নিজের মুখে গল্পটা পড়তে বলেন। লজ্জা ভেঙে তপন যখন গল্পটা পড়তে যায়,দেখে তার
প্রত্যেকটি লাইন নতুনআনকোরা,তপনের অপরিচিত। গল্পের মধ্যে তপনের নিজের লেখা
কোথাও নেই।কারেকশনের নামে ছোট মেসো তপনের গল্পটিকে নতুন করে লিখেছে তার
নিজের পাকা হাতের কলমে।নিজের গল্পের এই পরিণতি তপনকে বাকরুদ্ধ করে দেয়,সে
আর পড়তে পারে না,বোবার মতো স্তব্ধ হয়ে বসে থাকে।
৩। তপনের জ্ঞানচক্ষু কীভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উত্তর:আশাপূর্ণা দেবীর রচিত‘জ্ঞানচক্ষু’গল্পটির প্রধান চরিত্র তপন।লেখকমাত্রেই তার কাছে
কল্পনা জগতের মানুষ ছিল। কিন্তু তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক-এ কথা জানতে
পেরে তপন অবাক হয়ে যায়।কারণ,সে মনে মনে ভাবে তারবাবা-কাকা-জ্যাঠাদের মতোই
সাধারণ জীবন যাপন করেন। এতদিনে তপনের ভুল ধারণা কেটে যাওয়ায় ‘জ্ঞানচক্ষু’ খুলে
যায়।
তপন এরপর আনন্দে নিজেও লেখক হওয়ার স্বপ্ন জেগে ওঠে।সে লিখে ফেলে একটি গল্প
এবং গল্পটি মাসির হাত থেকে পৌঁছে যায় মেসোমশাইয়ের কাছে। তিনি গল্পটির প্রশংসা
করেন এবং পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। বেশ কিছুদিন পর তপনের
লেখা গল্পটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।শেষমেষ তপন গল্পটি পড়তে গিয়ে আর
পড়তে পারে না,দেখে তার হাতের কাঁচা লেখা সব যেন মেসো কালেকশন করে দিয়েছে।
তপন বুঝতে পেরে, দুঃখে,হতাশায় সে ভেঙে পড়ে।সেই মুহূর্তেই তপন সংকল্প করে, এরপর
যেখানেই লেখা পাঠাবে,সে নিজে গিয়ে সেটা দিয়ে আসবে। নিজের গল্পটি ছাপা না হওয়ার
দুঃখে, অপমানের দিনটিকে তপন জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে মনে হয়l
Contents:
আরো পড়ুন:
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here
অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here
নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here
সিরাজদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর Click here
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click here
বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click here
the passing away of bapu question answerUnit 1 Click Here
The passing away of bapu question answer unit 2 Click Here
The passing away of bapu question answer unit 3 Click Here
My Own True family poem Lesson 4 Click Here
শসার স্বাস্থ্য উপকারিতা click Here
Tea benefits for health click hair
চোখ click here
মধুর উপকারিতা click here
শব্দ দূষণ click here
একাদশ শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় সেমিস্টার
নুন কবিতা প্রশ্ন উত্তর click here
প্রবন্ধ রচনা দৈনন্দিন জীবনের বিজ্ঞান Click here
একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রবন্ধ রচনা click here
বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা Click here
বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা Click here
গাছ আমাদের বন্ধু প্রবন্ধ রচনা Click here
বাংলা ব্যাকরণ কারক ও অকারক সম্পর্ক Click here
সমাসের প্রশ্ন উত্তর Click here
বাক্যের প্রশ্ন উত্তর Click here
0 Comments