কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি মুকুন্দ চক্রবর্তী।কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতা প্রশ্ন উত্তর। কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা বিষয়বস্তু।



কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি মুকুন্দ চক্রবর্তী।কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতা প্রশ্ন উত্তর। কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা বিষয়বস্তু।


কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি

                                                                                          মুকুন্দ চক্রবর্তী


১। সূচিপত্র:

।লেখক পরিচিতি

খ।কবিতার উৎস

গ।কাব্যাংশের পূর্বকথা:

ঘ।কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার আলোচনা

ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান- ১

চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

৬০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর।১৫০টি শব্দের মধ্যে,প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫


e-bookapপেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1st ইউনিট,2nd ইউনিট,3nd ইউনিট,ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক।কবি পরিচিতি:

আনুমানিক ১৫৪৭ খ্রিস্টাব্দে মুকুন্দ চক্রবর্তী জন্ম বর্ধমান জেলের দামুন্য গ্রামে। পিতা হৃদয় মিশ্র।

বাংলার ডিহিদার মামুদ শরিফের অত্যাচারে দামুন্যবাসীদের মতো,তিনি এবং তাঁর স্ত্রী পুত্র এবং ভাইকে

 নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালান।তিনিি দুর্গম হাঁটা পথেই দেবী চন্ডির স্বপ্নে কাব্য রচনার আদেশ পান। তারপর

 তিনি মেদিনীপুর জেলার আড়রা গ্রামের জমিদার বাঁকুড়া রায়ের কাছে উপস্থিত হন। জমিদার কবিকে

 নিজের পুত্র রঘুনাথকে পড়ানোর কাজে নিযুক্ত করেন ।রঘুনাথ রায়ের পৃষ্ঠপোষকতায়'চন্ডীমঙ্গল,কাব্য

 রচনা করেন এবং রঘুনাথ কবির কাব্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি'কবিকঙ্কন,উপাধিতে ভূষিত করেন।


খ।কবিতার উৎস:

কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর রচিত 'চন্ডীমঙ্গল,কাব্যের'আখেটিক,খন্থকে'কলিঙ্গদেশেঝড়বৃষ্টি,কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।


গ। পূর্বকথা:

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গলের 'আখেটিক,-খন্ডের কাহিনীতে-ধর্মকেতু ও নিদয়ার পুত্র সন্তান

 জন্মায় এবং তার নাম হয় কালকেতু।কালকেতু ছিল মহাদেবের ভক্ত।দেবী চণ্ডীর আদেশে মহাদেব

 কালকেতু কে অভিশাপ দিয়ে মর্ত্যে পাঠান।ব্যধ কালকেতু মর্ত্যে পশু শিকারে দক্ষ হয়ে ওঠে।

 কালকেতু সঙ্গে ফুল্লরার বিবাহ হয়।ফলে তাদের দাম্পত্য জীবন খুব সুখেই কাটছিল।এদিকে বনের

 পশুরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে-দেবী চণ্ডীর কাছে অনুরোধ জানান,দেবী তাদের আবেদন কর্ণপাত করে

 ,বনের সমস্ত পশুকে লুকিয়ে রাখলেন এবং সে নিজেই স্বর্ণগোধিকা রূপ ধারণ করলেন।কালকেতু

 শিকারে বেরিয়ে কিছু না পেয়ে স্বর্ণগোধিকা কে তির দিয়ে মেরে ফেলে এবং বাড়ি নিয়ে যায়। কালকেতুর

 স্ত্রী ফুল্লরা তাকে দেখে ভয় পেলে ছদ্মবেশী দেবী চণ্ডী বলেন, কালকেতুর আর কোন অভাব থাকবে না

। ফুল্লরা সতীন রমণীকে তির দিয়ে আঘাত করতে গেলে দেবী চণ্ডী নিজের পরিচয় দেন।দেবী চণ্ডীর

 আশীর্বাদে,কালকেতু বন কেটে গুজরাট রাজ্য নির্মাণ করে।কালকেতু রাজা হলেও,তার রাজ্যে প্রজা

 ছিল না। তাই কালকেতু প্রজাদের কথা ভেবে, আবার দেবী চণ্ডীর কাছে অনুরোধ জানায়,কলিঙ্গ রাজ্যে

 ঝড়-বৃষ্টি সৃষ্টি করে কলিঙ্গবাসীদের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে আসার জন্য।তারপর দেবী চণ্ডীর

 নির্দেশে,সমুদ্র,ইন্দ্র,মেঘ ও বর্জ্যের দ্বারা কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি সৃষ্টি করেন।-এরপর থেকেই শুরু

 হয়েছে আমাদের পাঠ্য কবিতা-


ঘ।কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার আলোচনা:

আমরা পাঠ্য কবিতা পড়লে দেখতে পাবো,কলিঙ্গের আকাশ কালো ঘন গাঢ় মেঘে ঢেকে গেছে।

 কলিঙ্গবাসীরা নিজেদের শরীর নিজেরাই দেখতে পাচ্ছে না,কারণ ঘন গাঢ় কালো মেঘের গাঢ়ত্ব এতটাই

 বেশি ছিল। তারপর বজ্র-বিদ্যুৎ এর সাথে শুরু হয় বর্ষণ। কলিঙ্গ রাজ্যের প্রজারা,মেঘের ভয়ংকর শব্দে

 ও প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে ঘর ছেড়ে,মৃত্যুকে ঝুঁকি নিয়ে প্রাণপণে সব দৌড়ে পালাতে লেগেছে। জল-স্থল যেন

 আলাদা করা যাচ্ছিল না,গর্ত ছেড়ে সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে,ঠিক এই সময়ে প্রজারা এই ভয়ংকর

 বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা মুনি জৈমিনির নাম জপ করছিলেন।সাতদিন টানা বৃষ্টিতে শস্য

 এর প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। ভাদ্র মাসের পাকা তালের মত শিল ঘরের চাল ফুটো

 করে মেঝেতে পড়তে থাকে।দেবী চন্ডীর আদেশে, বীর হনুমান সবকিছু ভেঙে তছনছ করে

 দেয়,কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে নদনদী,পর্বতের মতো উঁচু ঢেউই -সবকিছু ভাসিয়ে দেয়।ফলে দুর্গত

 প্রজারা কলিঙ্গদেশ ছেড়ে গুজরাট রাজ্যে আশ্রয় নেয়। এইভাবে তিনি তাঁর কাব্যে চন্ডীমঙ্গল বা

 অম্বিকামঙ্গল বা অভয়ামঙ্গলে-প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাহিনী গানের মাধ্যমে শুনিয়েছেনে।


ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ)প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১।কলিঙ্গ দেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতাটির রচিয়তা-

ক) মুকুন্দ চক্রবর্তী

খ) ভারতচন্দ্র রায়

গ)দ্বিজমাধব চক্রবর্তী 

ঘ) মতিলাল দত্ত।

উত্তর:(ক) মুকুন্দ চক্রবর্তী


২।কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতাটি যে কাব্যের অন্তর্গত- 

ক)অন্নদামঙ্গল

খ)চন্ডীমঙ্গল

গ)মনসামঙ্গল 

ঘ)ধর্মমঙ্গল

উত্তর: (খ) চন্ডীমঙ্গল


৩।কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি হল-

ক) খেলন কবি

খ) রায়গুনাকর

গ) কেতকাদাস

ঘ) কবিকঙ্কন

উত্তর:(ঘ) কবিকঙ্কন


৪।'মেঘে কৈল অন্ধকার,এর ফলাফল ছিল-

ক) কেউ অন্যকে দেখতে পাচ্ছিল না

খ) কেউ নিজের শরীর দেখতে পাচ্ছিল না

গ) সবাই রাত হয়েছে ভেবে ভয় পাচ্ছিল

ঘ) সবাই বাড়িতে বসেছিল

উত্তর:(ক) কেউ নিজের শরীর দেখতে পারছিল না


৫।'চন্ডির আদেশ পান,- চণ্ডীর আদেশ পেয়েছিল-

ক) কলিঙ্গবাসী

খ) বীর হনুমান

গ) গুজরাটবাসী

ঘ) জাম্বুবান

উত্তর:(খ) বীর হনুমান


৬।'ভাঙি করে খান খান'-ভেঙ্গে খানখান করা হয়-

ক) মঠ- অট্টালিকা

খ) গৃহ- অট্টালিকা

গ) গৃহ-প্রাসাদ

ঘ) মন্দির- মঠ

উত্তর:(ক) মঠ-অট্টালিকা


৭।'ধুলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত,- হরিত শব্দের অর্থ-

ক)ধূসর

খ)সবুজ 

গ)নীল

উত্তর:(খ) সবুজ


৮।অম্বিকামঙ্গল গান-

ক) কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী

খ) নারায়ন দেব

গ) দিজো মাধব

ঘ) কানা হরিদত্ত

উত্তর:(ক) কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী


৯।"বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়-"রড় শব্দটি অর্থ-

ক) পালানো

খ) কাঁদা

গ) হাসি

ঘ) দুঃখ

উত্তর:(ক)পালানো


১০।তড়কা শব্দের অর্থ হলো-

ক) বৃষ্টি

খ) বিদ্যুৎ

গ) বজ্র

ঘ) বন্যা

উত্তর:(গ)বজ্র


চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১।"বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজাদের রড"-কোন বিপাকে পড়ে প্রজারা পালিয়েছিল?

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটিতে,মুষলধারায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঝড়ের তান্ডব শুরু হওয়ায় আসন্ন বিপদের

 কথা ভেবে প্রজারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল।


২।"ধুলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত"-লাইনটি অর্থ লেখ।

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর রচিত'চন্ডীমঙ্গল'কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটির অর্থ হল সবুজ শস্যখেত ধুলোয় ঢেকে গেল।


৩।"চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ"- চারি মেঘের নাম লেখ।

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে 'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটির,চারি মেঘের নাম হল- সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর এবং দ্রোন।


৪। কলিঙ্গবাসী জৈনিনিকে স্মরণ করে কেন?

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল'কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

ভয়ংকর মেঘ ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতেরও হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনির কথা স্মরণ করেছেন।


৫। কলিঙ্গদেশে কতদিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল?

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,কলিঙ্গদেশে টানা ৭ দিন প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছিল।


৬।"চণ্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান"- আদেশ পেয়ে হনুমান কি করেছিল?

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,দেবী চণ্ডীর আদেশ বীর হনুমান মঠ, অট্টালিকা ভেঙে খান খান করেছিল।


৭। চন্ডীর আদেশ নদনদী কি করেছিল?

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,দেবী চণ্ডীর আদেশে নদনদীরা ছুটে যায় আর চারিদিকে তারা পর্বতের সমান ঢেউ তোলে।


৮।"দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার"- কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না কেন?

উত্তর: কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর রচিত,চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,চারিদিকে আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে গেছে ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না।


ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।৬০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩


১।"ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর"-ঈশান শব্দটির অর্থ কি?উদ্ধতিটি তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশ,ঈশান শব্দের অর্থ হল উত্তর-পূর্ব কোণ।

কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয় তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা প্রবল ঝড়-বৃষ্টি কলিঙ্গদেশের সর্বনাশ

 ডেকে আনে।উত্তর-পূর্ব কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে প্রজারা, সেই

 অন্ধকারে নিজেদেরকেও দেখতে পায় না।মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝিলিক পরিস্থিতিকে

 আরো ভয়াবহ করে তুলে, সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের বর্ণনা করা হয়েছে।


২।,বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়,- রড শব্দের অর্থ কি?কোথাকার প্রজারা কি কারনে বিপাকে পড়েছিল?

উত্তর: কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,রড শব্দের অর্থ হল-পালিয়ে যাওয়া।

দেবী চণ্ডীর আদেশে কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি বিপর্যয় ডেকে আনে।আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যায়।ঘন

 অন্ধকারে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না।প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গম্ভীর

 গর্জন ও ঝড়ের তান্ডবে,সেখানকার প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।


৩।"কলিঙ্গে সোঙরে সকল লোক যে জৈমিনি"-জৈমিনি কে?কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কি?

উত্তর: কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর রচিত'চন্ডীমঙ্গল'কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে জৈমিনি হলেন- এক ঋষি।

কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘ জমে ওঠে। আকাশ ভাঙ্গা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে

 মুষলধারায়।মেঘের গম্ভীর গর্জন,ঘন ঘন বজ্রপাত,ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবে কলিঙ্গবাসী ভীত হয়ে পড়ে।এই

 ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় তারা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকেন।


৪।'দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার,-- কেন এমন পরিস্থিতি হল?

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,দেবী চন্ডীর আদেশে,কলিঙ্গদেশে ভয়ংকর প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আকাশ ঘন

 কালো মেঘে ছেয়ে যায়।ফলে সমগ্র কলিঙ্গ দেশ অন্ধকার ঢেকে যায়।কালো মেঘের বুক চিরে ঘনঘন

 বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে,কেউ কাউরেই চেহারা পর্যন্ত দেখার

 উপায় থাকে না।


জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর।১৫০টি শব্দের মধ্যে,প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫


১।'বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড,- এখানে কোন অঞ্চলের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে? কী কারনে তারা বিপাকে পড়েছিল? তাদের পরিণতি কী হল?

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।আলোচ্য অংশে কলিঙ্গদেশের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে।কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ

 ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।কলিঙ্গের আকাশ ছেয়ে যায় ঘন কালো মেঘ রাশিতে।মেঘের গম্ভীর

 গর্জনের সঙ্গে বিদ্যুতের চমকে কেঁপে উঠে আকাশ। উত্তরের প্রবল বাতাসে দূর থেকে মেঘের গম্ভীর

 শব্দ শোনা যায়।প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের প্রবল তাণ্ডব শুরু হয়।এর ফলে ওখানকার প্রজারা বিপাকে

 পড়ে।

সাত দিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির প্রবল তাণ্ডবে কলিঙ্গবাসীর অবস্থা হয় শোচনীয়।প্রাণ বাঁচাতে প্রজারা তাদের

 ঘরবাড়ি ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে।ঝড়ের দাপটে সবুজ মাঠ এবং গাছপালা ধুলায় ঢেকে যায়।ঝড়ে

 খেতের শস্য উপড়ে যাওয়ায় প্রজারা ভয় পায়।রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়।মেঘের ভয়ঙ্কর আওয়াজে প্রজারা


 কেউ কারো কথা শুনতে পায় না।প্রজারা বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ

 করতে থাকে।প্রবল বর্ষণে প্রজারা সূর্যের আলো দেখতে পায় না।ভাদ্র মাসের তালের মত সিল চাল ভেদ

 করে ঘরের মধ্যে পড়তে থাকে।ঝড় বৃষ্টির প্রবল তাণ্ডব কলিঙ্গদেশের জনজীবন বিপন্ন করে তোলে।


২।'নিরবধি সাত দিন বৃষ্টি নিরন্তর,-কলিঙ্গবাসীদের জীবনে কী প্রভাব পড়েছিল আলোচনা করো।

উত্তর:কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ থেকে'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি'কবিতাটি

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটিতে,কলিঙ্গদেশে সাত দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলে ঝড়ের তাণ্ডব। সারাদেশ

 বন্যায় ডুবে যাওয়ায়,শস্য ক্ষেতের বিপুল ক্ষতি হয়।বৃষ্টিতে প্রজাদের ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে।জল

 স্থল একাকার হয়ে গিয়ে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে।সাপ আশ্রয় হারিয়ে জলে ভেসে বেড়ায়।

কলিঙ্গদেশের স্থলভূমি জলে পূর্ণ হয়।প্রজারা শঙ্কিত হয়ে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ

 করতে থাকে।ঘন কালো মেঘের আড়ালে সূর্য মুখ লুকায়,ফলে প্রজাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে

 ওঠে।প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে শিল পড়তে থাকে,ভাদ্র মাসের তালের মতো বড় বড় শিলের আঘাতে ঘরের

 চাল ভেঙে যায়।দেবী চণ্ডীর আদেশে,পবনপুত্র বীর হনুমান ঝড়ের বেশে কলিঙ্গদেশ জুড়ে ধ্বংসলীলা

 চালায়। তার দাপটে মঠ-অট্টালিকা সব ভেঙে খানখান হয়ে যায়।দেবীর আদেশে নদনদী একজোট হয়ে

 কলিঙ্গদেশের দিকে ধেয়ে আসে। বিরাট বিরাট ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়ে।সাত দিনের

 অবিরাম বৃষ্টিতে কলিঙ্গ দেশের প্রজাদের দূরবস্থা চরমে ওঠে।



CONTENTS:

আরো পড়ুন:

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের প্রশ্ন

উত্তর Click Here ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here দাম গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click

 Here নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here  হিমালয় দর্শন গল্পের প্রশ্ন

উত্তর Click Here ভাঙার গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর click Here  আবহমান কবিতার প্রশ্ন

উত্তর Click Here আমরা কবিতা প্রশ্ন উত্তর click Here  খেয়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর click

Here  নিরুদ্দেশ গল্পের প্রশ্ন উত্তর click Here  চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-1 click

Here  চন্দ্রনাথ গল্পের প্রশ্ন উত্তর part-2 click Here 



Teles of Bhola grandpa Lesson1 Unit 1 Click Here

Teles of Bhola grandpa Unit 2 Click Here


All about a Dog Lesson 2-Unit -1 -Click Here

All about a Dog Lesson 2 Unit 2 Click Here


Autumn poem Lesson 3 Part 1 Click Here


A Day in the zoo Lesson 4 Part 1 Click Here

A Day in the zoo Lesson 4 part 2 Click Here


All Summer in a Day Lesson 5 part 1 Click Here

The price of bananas part 1 click Here 

The price of bananas part 2 click Here 

Hunting snake poem question answer click Here 

Cucumber is beneficial for the body click Here



ডাবের জলে উপকারিতা click Here 

দুধের উপকারিতা click here

ওজোন গ্যাস click here 

রক্ত সম্পর্কে আলোচনা click here 


অস্থি বা হাড়ের কার্যাবলী Click here 

থাইরয়েড গ্রন্থির প্রশ্ন উত্তর Click here 



প্রবন্ধ রচনা দৈনন্দিন জীবনের বিজ্ঞান Click here 

একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রবন্ধ রচনা click here 

বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা Click here 

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা Click here 

গাছ আমাদের বন্ধু প্রবন্ধ রচনা Click here 

















Post a Comment

0 Comments