পথের দাবী গল্পের বিষয়বস্তু। পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর। দশম শ্রেণী বাংলা পথের দাবী। Class 10 পথের দাবী।

 



পথের দাবী  

                                                     শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 

১। সূচিপত্র:

ক।লেখক পরিচিতি

খ।গল্পের উৎস

গ।গল্পের পূর্বকথা

ঘ।পথের দাবী গল্পের আলোচনা

ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ।(MCQ) প্রতিটি প্রশ্নের মান- ১

চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর। ১৫০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫



e-book পেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুখবর-1stইউনিট,2ndইউনিট,3ndইউনিট,টেস্ট,ফাইনাল

পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে তোমাদের সাহায্য করবে।তাই এই সাফল্য আমাদের

কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।


ক।লেখক পরিচিতি:

কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালে হুগলি জেলা দেবানন্দপুরে জন্ম গ্রহণ করেন।

তিনি ছোটবেলায় মামার বাড়ি ভাগলপুরে বসবাস করার সময় তার সাহিত্যচর্চার সূচনা হয়।

কর্মসূত্রে তিনি রেঙ্গুনে প্রায় ১০ বছর ছিলেন।১৯১৬ সালে তিনি রেঙ্গুন থেকে দেশে ফিরে

আসেন। তাঁর জীবনে লেখালেখি হয়ে ওঠে একমাত্র জীবিকা।তিনি গ্রাম বাংলার মধ্যবিত্ত

মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা,স্বপ্ন দেখা,তিনি তাঁর গল্প উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।তাঁর লেখা

উল্লেখযোগ্য উপন্যাস গুলি হল-বড়দিদি,দেবদাস,গৃহদাহ,পল্লীসমাজ,পথের দাবী,

'বিন্দুরছেলে'শ্রীকান্ত,শেষপ্রশ্ন প্রভৃতি।তাঁর লেখা ছোটগল্পগুলির মধ্যে-লালু,মহেশ,অভাগীর

স্বর্গ ইত্যাদি গল্পগুলি আজও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।শরৎচন্দ্র ১৯২৩ সালে কলকাতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের 'জগত্তারিণী,১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে'ডিলিট'উপাধিতে ভূষিত

হন।এই পুরস্কার গুলির চেয়ে তাঁর আসল পুরস্কার হল -লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রেম

ভালোবাসা,যা আজও আমাদের হৃদয়ে বসে আছে।১৯৩৫ সালে অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র

পরলোকগমন করেন।


খ।গল্পের উৎস:

কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

নেওয়া হয়েছে।


গ।গল্পের পূর্ব কথা:

'পথের দাবী,উপন্যাসের শুরুতে আমরা দেখতে পায়,মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণ ঘরের ছেলে অপূর্ব এবং

 তার পরিবারের বর্ণনার কথা।অপূর্ব কলেজ পাশ করে, কলেজের প্রিন্সিপাল তাকে বোথা

 কোম্পানির রেঙ্গুনের অফিসে একটি চাকরি ব্যবস্থা করে দেন। চাকরিতে মায়ের মত না

 থাকলেও অপূর্ব রেঙ্গুনে চলে আসে। অপূর্ব রেঙ্গুনে এসে তিনি নানা রকম অভিজ্ঞতায়

 সম্মুখীন হন।অপূর্ব রেঙ্গুনে চাকরি করতে গিয়ে রামদাস তলওয়ারকার নামে এক মারাঠি

 ব্রাহ্মণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে।তিনি রেঙ্গুনে যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন,ঠিক তার উপর

 তলায় এক খ্রিস্টান মেয়ে ও তার বাবার সঙ্গে থাকতো।মেয়েটির বাবা ছিলেন সাহেব কিন্তু

 অপূর্বর সঙ্গে উনি খুব খারাপ ব্যবহার করতেন।কিন্তু তার মেয়ে ছিল নম্র ভদ্র। রেঙ্গুনে

 অপূর্বর একটি খারাপ ঘটনা ঘটল -অপূর্বর বাড়িতে চুরি হয়,কিন্তু বাড়ির উপর তলার

 মেয়েটি না থাকলে চোরে সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যেত,এইভাবে মেয়েটির কাছ থেকে সে

 সাহায্য পেয়েছিল। অপূর্ব চুরির রিপোর্ট লেখার জন্য,পুলিশ স্টেশনে যাবার সময় রাস্তায়

 দেখা হয় নিমাই বাবুর সঙ্গে।নিমাই বাবু হলেন তাঁর বাবার বন্ধু,তিনি রেঙ্গুনে পুলিশ অফিসার

 পদে কর্মরত।এদিকে আবার নিমাইবাবুকে জাহাজ ঘাটে তাড়াতাড়ি যেতে হবে কারণ,তার

 কাছে খবর আছে,পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক নদীপথে জাহাজে রেঙ্গুন

 আসছেন।সব্যসাচী মল্লিক রাজদ্রোহী ছিলেন,কিন্তু তাকে ধরার জন্য পুলিশের কর্তারা

 হিমশিম খাচ্ছে-এইসব কথা শুনে অপূর্ব উত্তেজিত হয়ে ওঠে তাকে দেখার জন্য,সেও নিমাই

 বাবুর সঙ্গে জাহাজ ঘাটে যায়, সব্যসাচী সিঙ্গাপুরে তিন বছর জেল খেটে,রেঙ্গুনে আসছেন।

ডাক্তারি,ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আইন ইত্যাদি পাস করেছিলেন এতক্ষন সব্যসাচী মল্লিক সম্পর্কে

 নিমাই বাবু ও অপূর্ব বেশ কিছু কথাবার্তা আলোচনা করছিল।

এমন সময় জেটিতে জাহাজ লাগল এবং সবাই একে একে নামল কিন্তু সব্যসাচী মল্লিককে

 পাওয়া গেল না।পুলিশকর্তারা অনুমান করেন,সে হয়তো পালিয়েছে।কিন্তু জগদীশবাবু বেশ

 কয়েকজনকে সন্দেহ করে থানায় নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নিমাইবাবু ও অপূর্ব

 সেখানে উপস্থিত হলেন।-এখান থেকে আমাদের পাঠ্য'পথের দাবী,গল্পটি শুরু-


।'পথের দাবী,গল্পের বিষয়বস্তু:

উত্তর:আমরা পূর্বকথা থেকে জানতে পারি,অপূর্ব আর নিমাইবাবু পুলিশ স্টেশনে যাওয়ার

 পরে দেখে,পুলিশ কর্মচারী জগদীশবাবু যে লোকটিকে তার খুব বেশি সন্দেহ হয়েছিল,তাকে

 অন্য একটি ঘরে আটকে রেখেছেন।থানায় আটকে রাখা লোকটিকে সামনে ডাকা হল,সে

 পরিচয় দেয়,গিরিশ মহাপাত্র বলে। সে বলে,বর্মা ওয়েল কম্পানির তেলখনি কারখানার

 মিস্ত্রি।বর্মার জলবায়ু আমাদের শ্যুট করছে না বলে চাকরির খোঁজে রেঙ্গুনে এসেছি। গিরিশ

 মহাপাত্রের আচরণ,সাজপোশাক,এবং তার পকেট ও ট্যাঙ্ক ইত্যাদি জিনিসপত্র দেখে,তারা

 বুঝলো এই ব্যক্তি কখনোই সব্যসাচী মল্লিক হতে পারে না। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো।

কিন্তু এই গিরিশ  মহাপাত্রই ছিল সব্যসাচী মল্লিক। এই সব্যসাচী নিজের দেশকে স্বাধীন করার

 জন্য লড়াই করেছিলেন।এই গিরিশ মহাপাত্র ছদ্মবেশ ধারণ করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে

 বেড়াত।অপূর্ব পুলিশ স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরে তার সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকরকে

 সব্যসাচী মল্লিকের কথা বলার প্রসঙ্গে বললেন,একবার স্টেশনে কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক

 কিভাবে তাকে লাঞ্ছিত করে,তার ঘটনা শোনায়।আবার অপূর্ব রেঙ্গুন থেকে ভামো শহরে

 যাওয়ার সময় দ্বিতীয় বার সব্যসাচী মল্লিককে দেখেছিলেন স্টেশনে।

অপূর্ব দ্বিতীয়বার সাহেবদের হাতে বিনা দোষে মার খেয়েছে লাঞ্ছিত হয়েছে। প্রথম শ্রেণীর

 যাত্রী হওয়ার সত্বেও,পুলিশ তাকে রাতে তিনবার ঘুম থেকে তুলেছে শুধু সে ভারতীয়

 নাগরিক বলে।তাই অপূর্ব নিজেও চাইত,এই পরাধীনতার হাত থেকে আমাদের দেশ মুক্ত

 হোক ।তাই তিনি সব্যসাচীর এই মহৎ আন্দোলনকে সমর্থন করেন।

ঙ।সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ (MCQ)প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


।"পুলিশি স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল "-কি দেখা গেল?

ক)পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে হাজির করা হয়েছে

খ)লেবুর তেলের গন্ধে থানা শুদ্ধ মানুষের মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে

গ)সামনের হলঘরে জন-ছয়েক বাঙালি বসে আছে, জগদীশ বাবু তাদের তদারক করছেন

ঘ)নিমাইবাবু চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন

উত্তর:(গ) সামনের হলঘরে জন ছয়েক বাঙালি বসে আছে,জগদীশবাবু তাদের তদারক করছেন


। জগদীশ বাবু পেশায় ছিলেন-

ক)তেল কারখানার মিস্ত্রি

গ)পুলিশ

গ)ডাক্তার

ঘ)উকিল

উত্তর:(গ)পুলিশ


৩। বর্মা ওয়েল কোম্পানি অবস্থিত ছিল-

ক) রেঙ্গুনে

খ) ভামোশহরে

গ) উত্তর ব্রহ্মদেশে

ঘ) গিরিটি শহরে

উত্তর:(গ) উত্তর ব্রহ্মদেশে


।"পলিটিক্যাল সাসপেক্ট "ব্যক্তিটি হলেন-

ক)অপূর্ব কুমার রায়

খ)সব্যসাচী মল্লিক

গ)নিমাই বাবু

ঘ) রামদাস তলওয়ারকার 

উত্তর: (খ)সব্যসাচী মল্লিক


।গিরিশ মহাপাত্রের বয়স হল-

ক)৫০-৫২ বছর

খ)২০-২৫ বছর

গ)৩০-৩২ বছর

ঘ)৭০- ৭২ বছর

উত্তর:(গ) ৩০-৩২ বছর


৬।সব্যসাচী নিজের নাম কি বলেছিলেন?

ক)গিরিশ মহাপাত্র

খ)নিমাই মহাপাত্র

গ)অপূর্ব রায়

ঘ)সব্যসাচী মল্লিক

উত্তর:(ক)গিরিশ মহাপাত্র


চ।অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।(SAQ)-২০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-১


১।'পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল,-পুলিশ স্টেশনে ঢুকে কি দেখা গেল?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,পুলিশ স্টেশনে ঢুকে অপূর্ব দেখল সামনের হলঘরে জন ছয়েক বাঙালি

 মোট-ঘাট নিয়ে বসে আছে।জগদীশ বাবু তাদের টিনের তরঙ্গ আর ছোট বড় পুঁটুলি খুলে

 তদারক শুরু করে দিয়েছেন।


২।'দেখি তোমার ট্যাঁকে এবং পকেটে কি আছে,?-গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁকে ও পকেটে কী কী পাওয়া গিয়েছিল?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত 'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস

 থেকে নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাংক থেকে পাওয়া যায় একটি টাকাও গন্ডা ছয়ে পয়সা।

পকেট থেকে পাওয়া যায় একটা লোহার কম্পাস ও ফুটরুল।এছাড়াও বিড়ি দেশলাই ও

 গাজার কলকেও পাওয়া যায়।


৩।'লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল,-লোকটির পরিচয় দাও।

উত্তর:কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত 'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস

 থেকে নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,লোকটি বলতে গিরিশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশধারী রাজবিদ্রোহী সব্যসাচীর কথা

 বলা হয়েছে।সন্দেহবশত পুলিশ তাকে আটক করলেও তার আচার-আচরণ ও বেশভূষা

 দেখে তাকে ছেড়ে দেন।


৪।'দেখো জগদীশ কিরূপ সদশয় ব্যক্তি ইনি'- ব্যক্তিটিকে সদাশয় বলা হয়েছে কেন?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,নিমাই বাবু গিরিশ মহাপাত্রকে তল্লাশির সময় তার পকেট কে গাজার কল্কে

 পান।সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সে জানায় কলকেটি সে পথে কুড়িয়ে পেয়েছে যদি কাউরির

 প্রয়োজনে লাগে তাই সে রেখেছে।


৫।'বুড়ো মানুষের কথাটা শোনো,-বুড়ো মানুষ কোন কথা বলেছিল?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,বয়স্ক পুলিশ অফিসার নিমাই বাবু গিরিশ মহাপাত্রকে আর গাঁজা খেতে

 নিষেধ করেছেন।


৬।'পলিটিক্যাল সাসপেক্ট'সব্যসাচী মল্লিকের চেহারার পরিচয় দাও।

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবি,উপন্যাস থেক

নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকের চেহারা ছিল অত্যন্ত রোগা, যেন

 তার ভেতরে কোন দুরারোগ্য ব্যাধি বাসা বেঁধেছে।কিন্তু তার দুই চোখের দৃষ্টি আশ্চর্য ছিল।


৭।'মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই'-কোন কথা মনে

 করে অপূর্বের মনোবেদনা?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে'অপূর্ব বিনা দোষে ফিরিঙ্গি যুবকদের হাতে মার খাওয়া সত্বেও উপস্থিত

 ভারতীয়রা এর কোন প্রতিবাদ করেনি।এই কথা মনে করে অপূর্ব এই মনোকষ্ট।


৮।'রামদাসের সুশ্রী গৌরবর্ণ মুখ ক্ষণকালের জন্য আরক্ত হইয়া উঠিল'-কোন কথা শুনে

 রামদাসের মুখ আরক্ত হয়ে উঠল?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী'গল্পটি,পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,ভিরিঙ্গি ছোকরাদের অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দেওয়া

 এবং স্টেশন মাস্টারও তাকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা শুনে রামদাসের মুখ আরক্ত হয়ে

 উঠেছিল।


৯।"বড়বাবু হাসিতে লাগিলেন"।বড়বাবুর হাসির কারণ কি?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত 'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস

 থেকে নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,গিরিশ মহাপাত্রের মাথার লেবুর তেলের গন্ধে থানার সকলের মাথা ধরে

 গিয়েছিল। জগদীশ বাবুর সেই প্রসঙ্গে আলোকপাত করায় নিমাই বাবুর হাসির উদ্রেক

 হয়েছে।


১০।"এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করবার দরকার নেই বড়োবাবু"-জানোয়ারটা কে?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,পুলিশ কর্মচারী জগদীশ বাবু থানায় সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে ধরে আনা

 গিরিশ মহাপাত্রকে'জানোয়ার,বলে নির্দেশ করেছেন।


ছ।ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।৬০টি শব্দের মধ্যে। প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩


১।গিরিশ মহাপাত্রের চেহারার বর্ণনা দাও।

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত 'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস

 থেকে নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটিতে,বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে বর্মা আসেন।

পলিটিক্যাল সাসপেক্ট হিসাবে তাকে আটক করলেও বেশ-ভূষাও চেহারার বিভ্রান্তিতে পুলিশ

 তাকে ছেড়ে দেয়।বছর ৩২ এর সব্যসাচীর গায়ের ফর্সা রং রোদে পুড়ে তামাটে হয়েছে।

 রোগা চেহারার মানুষটি সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপাতে ও কাশতে থাকেন।দেখে মনে হয়

 সংসারের মেয়াদ বুঝি তার ফুরিয়ে এসেছে। কিন্তু আশ্চর্য রোগা মুখে চোখ দুটি ছিল

 অদ্ভুত।

২।'বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে,কিন্তু শখ ষোলো আনায় বজায় আছে তা স্বীকার করতে হবে,- বাবুটি

 কে? তার শখ যে বজায় আছে তা কিভাবে বোঝা গেল?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত 'পথের দাবী,গল্পটি 'পথের দাবী,উপন্যাস

 থেকে নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশেবাবুটি হল-ছদ্মবেশী গিরিশ মহাপাত্র।গিরিশ মহাপাত্রের মাথার চুলের

 বাহারিতে সুগন্ধি তেল,পরনে রামধনু রঙের জাপানি সিল্কের পাঞ্জাবি ও বিলিতি মখমল

 পাড়ের সূক্ষ্ম কালোশাড়ি,পকেটেবাঘ আঁকা রুমাল,পায়ে হাঁটু পর্যন্ত লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা

 সবুজ মোজা ও বার্নিশ করা পামসু,হাতে হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া বেদের ছড়ি তার শখ

 বজায়ের পরিচয় দেয়।


৩।'দয়ার সাগর পরকে সেজে দি,নিজে খায়নে। মিথ্যেবাদী কোথাকার'- কার উদ্দেশ্যে এই

 উক্তি? তাকে দয়ার সাগর ও মিথ্যাবাদী বলার কারণ কি?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,পুলিশ কর্মী জগদীশবাবু থানায় আটকে রাখা গিরিশ মহাপাত্রের উদ্দেশ্যে

 উক্তিটি করেছেন।থানায় গিরীশ মহাপাত্রের পকেট তল্লাশি করে গাঁজার কল্কে পেয়ে নিমাই

 বাবু তাকে গাঁজা খাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তরে সে জানায় সে খায় না, তবে বন্ধুদের

 তৈরি করে দেয়। এ কথা শুনে সেখানে উপস্থিত জগদীশবাবু তাকে'দয়ার সাগর'বলে ব্যঙ্গ

 করেন এবং তার মধ্যে গাঁজা খাওয়ার সব লক্ষণ প্রকট থাকায় তাকে মিথ্যাবাদী বলে।


৪।'মনে হল দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই,-কোন ঘটনায় অপূর্ব

 লজ্জিত হয়?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত 'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস

 থেকে নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটিতে,রেলওয়ে প্লাটফর্মে কয়েকজন ফিরিঙ্গি যুবক অপূর্বকে লাথি মেরে বের

 করে দেয়। অপূর্ব সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ইংরেজ স্টেশন মাস্টারের কাছে গেলে

 তিনি কুকুরের মতো তাকে তাড়িয়ে দেন।দেশের অনেক মানুষ সেখানে উপস্থিত থাকলেও

 কেউ এগিয়ে আসেনি।পরাধীন মানুষের দৈন আর গ্লানি দেখে অপূর্ব মনে হলো দুঃখে

 লজ্জায় ঘৃণায় সে যেন মাটির সঙ্গে মিশে যায়।


৫।'কেবল আশ্চর্য সেই রোগা মুখের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টি'-কার চোখের কথা বলা

 হয়েছে?চোখ দুটির বর্ণনা দাও।

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত'পথের দাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটিতে,গিরিশ মহাপাত্রের চোখের কথা বলা হয়েছে।অদ্ভুত বেশভূষা গিরিশ

 মহাপাত্রের চেহারার সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তার চোখ দুটি। অত্যন্ত গভীর জলাশয় এর

 মত চোখ দুটিতে এমন কিছু আছে যেখানে কোন খেলা চলবে না,যেখানে থেকে সাবধানে

 দূরে দাঁড়ানোর ভালো।


৬।'বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন-বক্তা কে?তাঁর বাবা কাকে কি চাকরি করে

 দিয়েছিলেন?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচপথেরদাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশটির,বক্তা হলেন-অপূর্ব সরকারঅপূর্ব জানিয়েছিলেন যে,পুলিশ অফিসার

 নিমাই বাবু তার আত্মীয় এবং তার বাবার বন্ধু।তিনিই নিমাই বাবুকে পুলিশে চাকরি করে

 দিয়েছিলেন।


৭।'এ লোকটিকে আপনি কোন কথা জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দিন'-লোকটি কে?তাকে

 কোনকথা জিজ্ঞেস না করে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কেন?

উত্তর:কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রচট্টোপাধ্যায়েররচিত'পথেরদাবী,গল্পটি'পথের দাবী,উপন্যাস থেকে

 নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে,লোকটি বলতে গিরিশ মহাপাত্রকে বোঝানো হয়েছে।অপূর্ব সব্যসাচী

 মল্লিককে জানতেন তিনি ছিলেন বহু ভাষা ও বিষয়ে সুপন্ডিত। বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্রে

 পারদর্শী এবং বিদেশি ডিগ্রি প্রাপ্ত এক ডাক্তার। কিন্তু সেই সব্যসাচী মল্লিক হিসেবে পুলিশ

 যাকে আটক করেছিল তার আচার-আচরণ কোন কিছুই সব্যসাচীর সাথে মেলে না।তাই

 অপূর্ব অনেকটা নিশ্চিত হয়ে এমন কথা বলেছে।


জ।বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী বা বড়ো প্রশ্নোত্তর। ১৫০টি শব্দের মধ্যে।প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫


৩।"লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল।”–বক্তা কে? বক্তার পরিচয় দাও।

উত্তর :কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘পথের দাবী’ উপন্যাসে, বক্তা হলেন

 সব্যসাচী মল্লিক, যাঁর ছদ্মনাম গিরীশ মহামাত্র।গল্পে তার চেহারা ও পোশাক-পরিচ্ছদ ছিল

 অদ্ভুত রকমের।সে ছিল খুব ফর্সা কিন্তু রোদে পুড়ে গায়ের রং তামাটে হয়ে গেছে। তাঁর

 বয়সত্রিশ-বত্রিশের বেশি হবে না।তার চেহারা ছিল বেশ রোগাটে। কিন্তু একটু বেশি কাশলে

 হাঁপাতে থাকে। তাকে দেখলে মনে হয় লোকটির ভেতরে বেশ ভালো রকম রোগ আছে। শুধু

 মনের জোরে লোকটি চলাফেরা করছে। যাইহোক লোকটি চোখ দুটি ছিল অদ্ভুত রকমের।

সেই অদ্ভুত চোখের দিকে তাকালে মনে হবে সেখানে মৃত্যু পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবে না।

সে পুলিশ স্টেশনে বলে-তারা বর্মা অয়েল কোম্পানির তেলের খনির কারখানায় মিস্ত্রির

কাজ করছিল,সেখানকার জলহাওয়া সহ্য হচ্ছে না তাই তারা চাকরির সন্ধানে রেঙ্গুনে চলে

এসেছে। তার মাথার চুলের বাহারিতে লেবুর তেল চপ চুবিয়ে মাখানো।সেই তেলের গন্ধে

গোটা থানা ভরে যায়। গায়ে ছিল জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি,বুক

পকেটে একটা বাঘ-আঁকা রুমালের কিছুটা দেখা যাচ্ছে,পরনে বিলেতি মিলের কালো

মখমল পাড়ের সূক্ষ্ম শাড়ি, পায়ে সবুজ রঙের ফুল মোজা, হাঁটুর উপরে লাল ফিতে দিয়ে

বাঁধা,বার্নিশ করা পাম্পশু, তার তলাটা লোহার নাল বাঁধানো।



Contents:

আরো পড়ুন:


জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here

অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here


হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর Click Here

অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here


প্রলয়োল্লাস কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর Click Here

নদীর বিদ্রোহ গল্পের প্রশ্ন উত্তর Click Here


the passing away of bapu question answerUnit 1 Click Here

The passing away of bapu question answer unit 2 Click Here

The passing away of bapu question answer unit 3 Click Here


My Own True family poem Lesson 4 Click Here

















Post a Comment

0 Comments